রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪

অবস্থান নির্ণয়

নিজের অবস্থানে দাঁড়িয়ে অন্যের অবস্থান নির্ণয় করতে শিখতে হয়, না হলে নিজের পক্ষে স্বাভাবিক জীবন-যাপন যেমন কঠিন তেমনি অন্যের স্বাভাবিক জীবন-যাপনেও আপনি বাঁধা।
স্বাভাবিক ভাবনাই কেবল আপনাকে মানষিক প্রশান্তি দিতে পারে। যে দোষী তাকে তার দোষের ভার বহন করতে দিতে হবে, অস্বাভাবিক ভাবনায় হিসেব-নিকেশ করে যারা স্বাভাবিক ভাবনাকে অস্বাভাবিক করে তোলে, সমাজ-সংসার দূষণে তাদের অবস্থানই মূখ্য। যতটা সম্ভব এদের পাশ কাটিয়ে চলুন, এরা নিজে সুখ না পেয়ে অন্যের সুখ কেড়ে নেয়।

মুক্তি ও বাঁধা

যার দায়বদ্ধতা আছে সে দায়মুক্তির চেষ্টা করবে, কিন্তু দায়বদ্ধহীন লোক সজ্ঞানেই দায়বদ্ধলোকের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করবে।

ভূল

ভূল মানুষকে ভালোবাসতে নেই, এতে আপনার ঘরে আগুন লাগিয়ে ভূল মানুষ সমেত আপনাকেই পুড়ে মরতে হয়।

বিশুদ্ধ নারী খোঁজ

আমার এক কলিগ পাত্রী পছন্দের জন্য গতপরশু গিয়ে আজ ফিরে এলেন। জিজ্ঞাসা করলাম- কি অবস্থা? পাত্রী পছন্দ হয়েছে? আমার প্রশ্নের উত্তর না দেয়ায়, আরোক কলিগ উত্তর দিলেন- তার পাত্রী পছন্দ হবে কি করে? তিনি ত বিশুদ্ধ পাত্রী খুঁজতেছেন। আর এখন কি বিশুদ্ধ পাত্রী আছে?
আমি রসিকতার সুরে বললাম এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আপনার আমার মতো পুরুষ‘রা নারীকে জোর করে ধর্ষণ করতে না পারলেও চোখ দিয়ে প্রতিনিয়ত যে পরিমান ধর্ষণ করে চলছি তাতে বিশুদ্ধ নারী খুঁজে পাওয়া সত্যি দুষ্কর!!!

সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৪

লুকিয়ে রাখাতেই সুখ

জীবনের সামনে অনেক বিষয় উত্থাপিত হয়। এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো বড় বেশি বিষাদের। তবুও কিছু-কিছু ব্যাপার সময়ে লুকিয়ে রাখাতেই সুখ থাকে।

জানানো

জানি আমার পাওয়ায় না পাওয়ায় দেশ-জাতি-সমাজের সহানুভূতি ছাড়া এতটা ক্লেশ বা ক্ষোভ জন্মাবে না, কারণ সবারই আমার মত ত্রাহি-ত্রাহি অবস্থা। তবুও নিজের ক্ষোভ চাপা রাখতে না পেরে প্রতিনিয়ত জানান দিচ্ছি নিজের আকুতিগুলোকে, নিজের অনুভূতিগুলোকে। বিশ্বাস, যদি সেখানটায় আগুনের দাবানল ধরাতে পারি, যদি সেখানকার দাবানলের আগুনে জ্বালিয়ে দিতে পারি মুখোশধারী কপট স্বার্থাণ্বেষীদের। যারা ক্ষমতার দাপটে আমি বা আমাদের মেধা, শ্রম সর্বস্ব লুটে নিয়ে আমাদের বিকলাঙ্গ করে ছাড়ছে।

সংঘবদ্ধ

হাজার মতাদর্শ লালিত যে বাঙ্গালী জাতি, তাদের চাইলেই একত্রীভূত করা সম্ভবপর নয়। চাইলেই তাদের কাছে সঠিক মতাদর্শকেও সঠিক বলে প্রমান করা সম্ভব নয়। তাই বাঙ্গালী জাতিকে সামষ্টিকভাবে একত্রীভূত করতে হলে তাদের প্রয়োজনগুলো চিহ্নিত করে তাতেই তাদের প্রলুব্ধ করতে হবে। কারণ- অনৈক্য সংঘ কেবলমাত্র প্রয়োজনের খাতিরেই সংঘবদ্ধ হয়।

প্রস্তুতি

যেকোন বিষয়ে ঝাপিয়ে পড়ার আগে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার শারিরিক এবং মানষিক প্রস্তুতি সম্পর্কে সজাগ থাকা জরুরী। একটা বিষয় সবসময়ই মনে রাখা প্রয়োজন পড়ে- প্রস্তুতি ব্যতীত হাতের জ্বলন্ত কাঠি হাতেই পুড়ে নিঃশেষ হয়, তা দিয়ে দাবানল তৈরী সম্ভবপর হয় না।

সত্য প্রতিষ্ঠা

আপনি যদি সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য লড়তে উন্মুখ থাকেন তবে সকল প্রকার শত্রু-মিত্রদের নিয়ে সাথে কাজ করুন। ছোট-ছোট শত্রুদের সাথে লড়ে টিকে থাকতে পারলেই কেবল আপনি বড় শত্রুদের মোকাবেলা করতে সমর্থ হবেন।

সেনানায়ক

যুদ্ধ করতে গেলে সেনানায়কের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী। সব সেনাই আগুন জ্বালাতে পারে, বারুদ ধরাতে পারে। কিন্তু কোথায় যে বারুদের আগুণ ছুঁড়তে হবে সে জানে না।

পৌঁছা

গন্তব্যে সবাই পৌঁছতে পারে, পার্থক্য- কেউ বুদ্ধি-অভিজ্ঞতা-কৌশল খাটিয়ে সরল পথ নির্মাণ করে পৌঁছে, কেউ ভাগ্য জোরে সহজ পথ পেয়ে পৌঁছে আর কেউ ঘুরে-ঘুরে শ্রান্ত দেহের ক্লান্তি নিয়ে পৌঁছে।

বাড়ন্ত

ভূল পথে গন্তব্যের পথ বাড়ে।

সমর্থ্য

যেহেতু সমাজ-সংসারে মায়া-মমতা ও সৌন্দর্য্যের আঁচড় আছে, সুতরাং উপলব্ধ ব্যক্তি কখনওই সমাজ-সংসারের পিছুটান হতে মুক্ত নন। কিন্তু কেবলমাত্র একজন সত্যিকারের জ্ঞাতা `ই সমাজ-সংসারের সমস্ত পিছুটানকে উপড়ে ফেলতে সমর্থ্য হন প্রয়োজনের তাগিদে।

মৃতসদৃশ এই স্বপ্নগুলো

মানুষের জীবনে অনেক স্বপ্ন থাকে, সাধ থাকে। স্বপ্নগুলো রাত-দিনের আলোয় নিজেদের প্রকট-প্রচ্ছন্ন করে। সময়ের ধারায় স্বপ্নের ধারাও পরিবর্তিত হয়। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ত ঘুরে-ফিরে দেখি, তা হল- প্রায় প্রতিদিন এক-একটা স্বপ্ন মারা পড়ে, মারা যাওয়া স্বপ্নের প্রকোষ্ঠে আবার নতুন স্বপ্ন ধরা পড়ে। তবুও কিছু-কিছু স্বপ্ন আছে যারা ক্ষয়ে যেতে-যেতে শেষধাপে এসেও হৃদয়ের গহ্বরে আঠার মতো লেগে জানান দেয় তার অস্তিত্ব। আর তার এই শেষধাপে এসে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়ার মাঝেই মাথা ছাড়া দেয় স্বপ্নগুলোকে বাঁচাতে না পারার হতাশা। হতাশাগুলো দিন-দিন সমস্ত অর্জনকে ধীরে-ধীরে নিঃশেষ করে। কিন্তু আশ্চার্য ব্যাপার হল- চাইলেই মৃতসদৃশ এই স্বপ্নগুলোকে ছেটেও দেয়া যায় না, কারণ এই স্বপ্নগুলো সম্পূর্ণ মরে গেলে বেঁচে থাকার সব সাধ-বাসনাই মরে যায়, মানে পুরো মানুষের অস্তিত্বটাই মুহূর্তে বিলীন হয়ে পড়ে।

আজ-কাল যেকোন সুশিলদের দেখলেই আমার হাসি পায়

আজ-কাল যেকোন সুশিলদের দেখলেই আমার হাসি পায়, তেনারা বেশ চমকপ্রদ পোষ্ট প্রসব করেন কিন্তু যখন প্রসব করা পোষ্টটি নিয়ে কঠোর সমালোচনা হয় তখন তেনারা নিজেদের চেপে রাখেন। সেখানে প্রয়োজনীয় অতী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থাকলে এবং সেসবের উত্তর দেয়া অভিসম্ভাবী হয়ে উঠলেও তেনারা সেখানে কোন মন্তব্য করেন না।
কিন্তু কেন? তবে তেনাদের পোষ্টের উদ্দেশ্য কিংবা রহস্য কি? তেনারা কি চান যে তেনাদের পোষ্ট লাইক কমেন্টে ভরে উঠুক আর দ্বিধা-দ্বন্দে পড়ে আমজনতা বিভ্রান্ত হোক? তেনাদের আজ-কালকের সুশিলতা দেখে একটা কথাই শুধু মনে ভাসে- অসৎ সন্তানের বাবা-মা‘রা সন্তানকে মানুষ করতে চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হয় তখন তারা তাকে কেবল তার অধিক উপার্জনের পারঙ্গমতা দেখে ভালোবাসে। আমাদের সুশিলদের অবস্থাও কি তাহলে দিন-দিন সেখানে গিয়ে ঠেকছে?