রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

সবুজের বুকে সুখে মাতি

সবুজের বুকে সুখে মাতি
সাঁঝ সকাল হরদম
হাতের বীণাতারে মনের কোঠরে
বেজে যায় কার সরগম...

কিছু-কিছু

কিছু-কিছু সুখ আছে দুই চোখে বহে যায়
কিছু-কিছু দুঃখ আছে মুখের হাসিতে ক্ষয়ে যায়।

যখন তাদের মানুষ ভাবি

যখন তাদের মানুষ ভাবি; তখন ভাবি-

কোথায় এদের জন্মদাতা? কোথায় এদের জন্মদাত্রী?
কোথায় এদের আতুরঘর? কে এদের জন্মধাত্রী?

বৃহস্পতিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৫

জন্মভার

দেহ পুঁড়িয়ে করেছিস ভষ্ম
ক্ষমতা পিপাসার তরে,
দেহে তোরা মানব হলেও
জন্ম পশুর উদরে।

যে মানুষ বিবেকহীনা হয়
পশুর মত যার আচার
বেদ-বিধি আচারিলেও তার
ঘুছে না পশু জন্মভার।

স্থির যেন রই সংকটে

গতদিনের দুঃখরাশি
পাশাপাশি সাজিয়ে
প্রভাতে নত প্রভু
দু‘হাত তুলে দরবারে।

চিরদিনের দিনগুলো মোর
এমনি কি যাবে কেটে?
দাও শক্তি, দাও ধৈর্য্য
স্থির যেন রই সংকটে।

যখন তাদের মানুষ ভাবি

যখন তাদের মানুষ ভাবি; তখন ভাবি-

কোথায় এদের জন্মদাতা? কোথায় এদের জন্মদাত্রী?
কোথায় এদের আতুরঘর? কে এদের জন্মধাত্রী?

হাসি পায়

রক্তপিপাসু হিংস্র নেকড়ে জ্যান্ত দেহ খুবলে খায়
তোমরাও মানুষ হাসি পায় ব্যবধান‘টা খুঁজি যেথায়?

কোথায় হুঁশের মানুষ পাব?

এ‘ত খুব সহজকাজ করলে বন্ধু
পেট্রোলবোমা জ্বালিয়ে ছুড়ে দিলে....
জানি তোমাদের ক্ষমতা দরকার,
ক্ষমতার মসনদে অধিকার
তাই বলে কি পুড়ে দেবে, করে অন্যায়-অবিচার?
তাতে পুঁড়ে অঙ্গার আহজারীর আর্তচিৎকারে,
তোমাদের কি আসে-যায় আর?

তোমরা রাজনীতি শিখেছ, রাজনীতি করছ
বিক্ষত আহাজারীতে বাতাস ভারাক্রান্ত হলে
রচিত হয় তোমাদের মসনদের দুয়ার
আমরা আজ্ঞাবহ, হুকুমের গোলাম
আমাদের বুকপাটা চিৎকার পৌঁছবে কানে কার?

গণতন্ত্র বলে শেল চালিয়ে দিলে,
অথচ তখনও আমরা নির্বিকার
আমাদের দু‘চোখে জ্বলে আছে স্বপ্ন আলো আলেয়ার

ধীরে-ধীরে সবপথ, উবে যাচ্ছে দিনে-দিনে
দ্বীধাযুক্ত পাষান পায়ে, পড়ছে পথে গুনে-গুনে।

ঝিমুনিতে হতবাক বাকে, মানুষ বলে কাকে ধরব?
মানুষ কারা? মানুষের রূপ কি? কোথায় হুঁশের মানুষ পাব?

কে বইবে?

এই আতঙ্ক, এই আহাজারি
এত-এত দগ্ধ নিরীহ মানুষের অভিশপ্ত নিঃশ্বাস কে বইবে?

এ আর এমন কি

জাগতিক শিহরণে যখন জাগ্রতবোধ জাগে না, তখন প্রেম-স্নেহ-পরিনয়-পরিজাত আসবে যাবে এ আর এমন কি?

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

ও আমার রঙ্গিন ঘুড়িগো

ও আমার রঙ্গিন ঘুড়িগো
কে নিয়ে যায়
আমি নাটাই-সুতো নিয়ে বসে আছি ও সাঁই
তোমার দরগায়।


সাঁইগো তোমার পদধুলি
হবে আমার রঙ্গিন ঘুড়ি
আমি সে ঘুড়ি উড়োতে যাব
বেহেস্তের দরজায়।


সময় গেলে রস-রঙ্গে
কার সঙ্গ হবে নবরঙ্গে
রং ঢেলে আপন অঙ্গে
না যাই গুরুর ঠিকানায়।


এখন যখন হুঁশ হল
রঙ্গিন ঘুড়ি সুতো কেটে গেল
ধর বাঁধ সাঁই রঙ্গিন ঘুড়ি (ও গুরু...)
ধরে দাও আমার রঙ্গিন ঘুড়ি
তোমায় বিনে পড়ি অসহায়।

এসেছিলে রেনুকা

এসেছিলে রেনুকা;
তাই কদম্ববনে বংশির ধ্বনি
ছায়াবনের মায়া হরিণী
তব নয়নে দেয় ধরা।


জান কি? সে কিগো কেবল মনের আপন
যে ময়ুরী নেচে যায়, যে রাগিণী ছুঁয়ে যায়
তারে ভাবিতে ভাসিতে কেনগো তবে এত গোপন।
মধুর তরী বয়ে রাগে চিত্রকুঠিরে কুহুকিনী গেয়ে যায়।


এসেছিলে রেনুকা;
হায় এসেছিলে-
নেচেছিলে নিক্বনে হীজল বনে কাহার সনে
বিরহ রাগিণী সঁপে তাহারে, নয়ন কেনগো এত ভেসে যায়।

নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও.....

অনেকেই বলে থাকেন- “নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও নির্ণয় করতে পারেন না”। এ কথার প্রেক্ষিতে আমার একটা কথাই জানার আছে সকলের কাছে- যদি বিধাতা নারীর মন নির্ণয়ে ব্যর্থ হন তবে তিনি কি করে পুরুষের মন নির্ণয় করেন?

যে সভ্যপুরুষ নারীকে অসতী তকমা দিয়ে সমাজের চোখে কোনঠাসা করে সুযোগে রাতে তার সাথে শয্যা রচনা করে, সে পুরুষের মন নির্ণয় বিধাতার কাছে কি করে সহজ হয়?

নির্ণয় সুকঠিন

ভাবনার বাহিরের যে জীবন, তার অবস্থান আবেগ দিয়ে নির্ণয় সুকঠিন।

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

আমার মন দরিয়ার অকূল পাথার পাড়ি দেবে কে?

আমার মন দরিয়ার অকূল পাথার পাড়ি দেবে কে?
(ওরে) কূলহীন আমি অকূল পথে পড়ে আছি রে....

নবরঙ্গ অষ্টফাঁদে গেলাম আমি পড়ি
কোথায় আছে সোনার সংসার, কোথায় টাকা কড়ি (আমার)
নয় দ্বারে যায় পরান যায়, পথের পথিক কে?

মায়া-মায়া-মায়া করে ভ্রমিলাম সংসার (আমি)
ভ্রমিলাম দেশ-বৈদেশ শখে, করে যৌবন অঙ্গার (আমার)
বাঁশের ভেলা যায় ভেসে যায়, মাটির বাসরে....

কোথায় থেকে কোথায় এলাম করলাম আমি কি
পথের ভক্তি-শক্তি আমার, পথে হারিয়েছি (ও প্রভু)
পথহারা পথে কর কর পার, অবিবেচক অবোধরে....