বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০১৫

ঘামের দাম

শরীর বেড়ে ঝরে পড়া ঘামে
কে দিয়েছে সঠিক দাম তার, কে বা দিতে জানে?
যে দেয় খুশি মনে ঝরা রক্তের দাম
তাঁহার চরণে আমার অকুণ্ঠ প্রণাম।

ভূল চুল

যেটুকু ভেবেছি বসে, সেটুকু না হয় হল ভূল
তাই বলে কি ক্ষোভ বিলেতে, ঝরে যাবে চুল?

যখন অস্তিত্বে সংকট আসে

যখন অস্তিত্বে সংকট আসে- তখন বিঁভূইয়ের চোখও ধন-জনের মোহ ভূলে! পড়ন্ত আচ্ছাদনে লাঘব ধরে কিঞ্চিৎ আশার রেশে, যে রেশটুকু সংকটে সংকীর্ণ সাহস যোগায়।

ভাব-বিচারে কি ভূল

সৃষ্টির যে সুখ, সে সুখ বিধাতারও থাকে মনণে
আমরা ভাব-বিচারে কি ভূল করি আপন সৃষ্টির বিস্তরণে?

নিষ্পাপ জীবন

অশৌচ আতুর ঘরেই জন্ম হয় প্রতি পুত-পবিত্র নিষ্পাপ জীবনের।

জানুক

দেহকে মিশিয়ে নাও মাটি,
জীবনকে বিষিয়ে যার লাভ আর যার ক্ষতি
জানুক সবে তোমার আশ্রয়টাই খাঁটি।

মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫

স্বীকার ও স্বীকৃতি

রাষ্ট্র অন্তত একবার যদি বলতে
তোমার সমূদ্র সীমায় কোন সন্তান থাকে পাহারায়
সীমান্তে নির্বিঘ্ন দৃষ্টিতে কে আছে মৃত্যুর অন্তরায়
তবে একদিন মরতে পারতাম শোকে...

রাষ্ট্র অন্তত একবার ঢুকরে কাঁদতে
অন্তত একবার যদি বলতে ব্যর্থ তুমি অক্ষমতায়
তবে দেখতাম তোমার চোখের পানি
জানতাম তুমি ঝাপসা দেখছ চোখে।

প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা

মনের সাথে মনের ভাব হইলে,
দেহের ভাবও যায় জানা
ভবের বাজারে রসিক আমরা সবজনা
(ওরে) প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা।।

প্রেমেরও কাঞ্চণমনি, গলে পড়ে তত্ত্বজ্ঞাণী
অমৃতের সুধা মাখে জঠরে
মজাইয়া প্রেমসলিলে, কদম্ব গাছের ডালে
মুররীর সুর ধরে করে আনমনা।
ভবের বাজারে রসিক আমরা সবজনা
(ওরে) প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা।।

দিবসে ধন-বৈভব, বাসনায় জ্ঞাণ বিলোপ
সংসার ত্রিসম্ভাবীমায়া বাঁধে মন্তরে
ষড় ইন্দ্রিয়ের পরিচয়, শুধু মায়ায় মায়া হয়
মোহরুপের পরিচয় না হয় জানা।
ভবের বাজারে রসিক আমরা সবজনা
(ওরে) প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা।।

সংসার মায়ায় পড়ে, গুরুপদে আশ্রয় না লয়ে
জগৎ মোহবাসনায় করি প্রেমের বন্দনা
অবিবেচক কয় জগৎ পাগল, মেলে না আর এমন যুগল
যে যুগলরুপে জাগে প্রেমিক হবার বাসনা।
ভবের বাজারে রসিক আমরা সবজনা
(ওরে) প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা।।

শনিবার, ২ মে, ২০১৫

জীবনের অসমাপ্ত গল্প

অকারণ চোখ করোনা ভারি
জীবনের অসমাপ্ত গল্পগুলো, হয় একান্ত আপনারি

ভাবছি...

ভাবছি এ জীবন আর রাখব না......
 

আরে কি কমু ভাই? এ জীবনে কারো কাছে এতটুকু দাম পেলাম না। বড়রা তো দাম দেয় না, পিচ্ছি‘রাও দেয় না।

এই ত সেদিনের কতা, ফার্মেসীতে গেছি বন্ধুর সাথে ওর ঔষধ কিনতে। ফার্মেসীতে ঢুকে দেখী একটা পিচ্ছি ফার্মেসীর টেবিলের উপর পা মেলে বসে। পাশেই পিচ্ছির বাবা আর ফার্মেসীর ডাক্তার কি বিষয়ে আলাপে মগ্ন। আমি সুযোগ পেয়ে পিচ্ছিকে শুধু অল্প একটু ভেংচি কাটলাম.......

এ মা, এরপর দেখী পিচ্ছি আমারে পাইছে নাকি পাবে যাচ্ছে তাই অবস্থা। হাত-পা-চোখ-মুখ উল্টিয়ে পিচ্ছি আমাকে ইচ্ছে মতো জব্দ করল।

শেষতক আমি না পেরে যেই না জিহ্বা বের করে ভেংচি মারব অমনি পিচ্ছির বাবা আমার ভেংচি মারা দেখে ফেলেছে। অতঃপর মনের দুঃখ-কষ্ট-লজ্জা নিয়ে বেরিয়ে এলাম।

এখন আপনারাই বলেন, এ জীবন রাখার কোন মূল্য আছে? যাকে এখনও কেউ মানে না, তাকে কবেতক সবাই মানবে?

সে বেশীদিন বাঁচে না

যার হৃদয় তার থাকার বাসভূমির থেকে বড়, সে বেশীদিন বাঁচে না।

পিচ্ছি পোলাপাইনরে থামানোর সাধ্যি...

পিচ্ছি পোলাপাইনরে থামানোর সাধ্যি বোধকরি আমার বাপের জন্মেও হবে না....

বলছিলাম পাশের ফ্ল্যাটের পিচ্ছিটার কথা, অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম মাথা গরম, পিচ্ছি ওয়া ওয়া কান্না করেই চলছে, কোনরকমে থামাবার জো নেই....
হাক ডেকে বললাম, ওই পিচ্ছি একটু বুঝে কান্না কর না, পিচ্ছি দেখি শুনেও শুনে না। এমন করলে মাথা ঠিক থাকে কি না আপনারাই বলুন....

রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৫

নিজেকে সংযত রাখাই উত্তম চরিত্র প্রকাশের শ্রেষ্ঠ উপায়

নিজেকে সংযত রাখাই উত্তম চরিত্র প্রকাশের শ্রেষ্ঠ উপায়।

পৃথিবীতে যেহেতু ভোগ-বাসনা আছে তাই তাতে আসক্তি থাকাটাও স্বাভাবিক। কিন্তু আসক্তির ব্যপ্তীতে যে নিজেকে সংযত রাখতে সক্ষম নয়, জ্ঞান কিংবা প্রবৃত্তিতে তার আর পশুতে পার্থক্য নিরুপণ সুকঠিন।

নোংরামির একটা সীমা বা গন্ডী

সরকারের কাছে কোন যুক্তিযুক্ত উত্তর চাই না। শুধু একটাই কথা বলছি বা বলার আছে....
প্রতিটি নোংরামির একটা সীমা বা গন্ডী থাকে। যা উতরে গেলে সে নিয়ে বলতে ঘৃণা ছাড়া কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।

নিয়তির গন্তব্য!

ছোট্ট এ জীবন!
এখানে ফাগুন আসে, ফুল ফোঁটে
পাখি গায়, বাতাস ভাসে, সমূদ্র ডাকে
কারও হাসি কানে বাজে, কারও মুখ চোখে ভাসে
হৃদয় কিছুটা দ্যৌলে, কখনও অবাধ্য উন্মত্ততায় খেলে
চারিদিকের চরিত্রগুলো এক হয়, আবার সময় ব্যবধানে ভেঙ্গে পড়ে
একরাশ স্বপ্নঘেরা সুরকাননের লহরিতে জেগে উঠে জাগতিক মোহাচ্ছন্ন সুখ!

ছোট্ট এ জীবন!
এখানে কি পেয়েছি, কি দিয়েছি
কি হারিয়েছি, কি হারাব, কি হারাবার আছে
দেখেছি শুনেছি ভেবেছি, তবু বলতে গিয়ে সব ভূলে ভরে গেছে
জানার পীড়া ছিল, জানাবারও ইচ্ছে ছিল, তবু জানাতে কোথাও ভূল হয়েছে
মাশুলে সুদ কষে-কষে জীবন অংকের ভূল শিক্ষায় ভূল হয়েছে জাগতিক জ্ঞানের প্রদর্শণ
শুধু বাধ্য-বাধ্যকতার শিক্ষায় অপূর্ণ জীবনের শেকড় চড়ে-উৎরে পৌঁছে গেছে নিয়তির গন্তব্যে!