মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আজকে এমন একটা সময় দাঁড়িয়ে স্যারের সে কথাটি খুব মনে পড়ছে

ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়াকালে জীবনবিজ্ঞান ক্লাসে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সিরাজউদ্দোলা স্যার যখন কৈশরে পদার্পনকালে মানবদেহের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করতেন, তখন ইমোশনাল মনে এর তীব্রতা তৈরীর কারণে পিছনের সারিতে বসা ছাত্রদের মধ্যে হুসহাস-ফুসফাস আর হাসাহাসি শুরু হত। এমত অবস্থায় স্যারের পড়াতে অসুবিধা হত বিধায় স্যার দু‘একজনকে তুলে হুসহাস-ফুসফাসের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা অনুত্তর মুখে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকত। তখন স্যার বলতেন, এরে অডা হগল তোরা কি নিয়ে ফুসুর-ফাসুর করছ, তোরা কি মনে করছ আমি বুঝি না? তোগে কিছু বলার বা জানার থাকলে আমারে জিগা, ফুসফাস করছ কেন? একথা বলে বসিয়ে থামানোর চেষ্টা করতে। কিন্তু ছাত্ররা বসেই আবার একই কাজ করত। তখন স্যার রেগে বলতেন, অডা হগল নিজেগোরে কি বেশী সেয়ানা মনে অয়? তোগে মত কত হোলাইন হগল য়ার মুতের লগে চলি গেছে আর কোতুগুন লুঙ্গিত আটকি মরি গেছে। আর তোরা আইয়ছ ......

আজকে এমন একটা সময় দাঁড়িয়ে স্যারের সে কথাটি খুব মনে পড়ছে। ছাত্রলীগ নামক যে আবালের দল শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যারসহ সন্মানিতদের গায়ে হাত দেয়ার সাহস করেছে,তাদের অনেকেই স্যারের প্রসাবের সাথে বেরিয়ে যাবারও যোগ্যতা রাখে না। অথচ ক্ষমতার জোরে আজ তারা কি করছে তা ভাববার জ্ঞানও তাদের নেই। আর যারা এই ঘটনাকে জাফর স্যারের গায়ের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে তাদের কথা আর না ই বললাম.....

মনুষ্যত্ববোধে কেবল মানুষ আপন

ধর্ম কর তুমি তোমার মতন
ধর্ম করি আমি আমার মতন
ধর্ম বলয়ের পথ যোজন-যোজন
মনুষ্যত্ববোধে কেবল মানুষ আপন।

আমার নাম অবিবেচক কেন?

আমার ফেসবুকের বেশিরভাগ বন্ধুদের কৌতুহল আমার নাম অবিবেচক কেন?

সত্যিকারের যদি বলতে যাই তবে এর রহস্য আমার কাছেও কিছুটা অবোধ্য, তারপরও যখন নামটি ধারন করে আছি তাই বলতে হয়-

* আমি “অবিবেচক” কারণ- চলতে গিয়ে আমি দেখেছি আর আট-দশজনের মতো করে আমি এত সহজ চিন্তা কিংবা বিবেচনা করতে পারি না।

* আমার জানার পরিধির চেয়ে প্রকাশ করার পীড়া বেশী।

* আমি মনের কথাগুলো বলতে গেলেই দেখি, আমার বন্ধুদের অনেকে তা সহজে নিতে পারে না।

* আমার প্রকৃত নাম “বিপ্লব” অথচ এই নামের মত আমি কখনোই দীপ্তমান নই।

* যেহেতু নিজ নামটি বহন করবার মতো নিজেকে উপযুক্ত বিবেচনা করতে পারি না, তাই বিবেচনাহীন হয়েই বেঁচে থাকবার অভিনয় করে যেতে হচ্ছে।

* “অবিবেচক” নামটা বহণ করার ফলে কিছু কিছু দায়বদ্ধ পীড়া থেকে সহজেই নিজেকে মুক্ত করে নিতে পারি।

ইত্যাদি.....

ঘামাব আপন মাথা কি ভেবে গণ্য

এই তল্লাটে, একই পাল্লাতে
রাম-রহিমের ওজন যদি হয় ভিন্ন,
অস্বীকারের কিবা আছে, মুক্ত স্মরিয়া পাছে
ঘামাব আপন মাথা কি ভেবে গণ্য?

পরিপূর্ণতা

জন্মে কর্মসিদ্ধ হয় না বরং মানুষের ভিতরকার সৎনিষ্ঠা আর শ্রমের বিনিময়ে তা পরিপূর্ণতা পায়।

বর্নিলে দেখা

হৃদয়ের ক্যানভাসে যে ছবি আঁকা
তারে;
--তুলির রেখায় টেনে বর্নিলে দেখা

ভাষাহীন রোদন

আমি মনের ভাষাগুলো গুলিয়ে ফেলি বার-বার
শব্দরা বারবার বেরুতে চেয়েও স্তব্ধ হয়ে পড়ে,
ঘৃণাগুলোকে উগলে দিতে পারলে স্থির হতে পারতাম
অথবা উন্মাদ হয়ে মাসুদ নামক হিংস্র হায়েনাগুলোর
রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মাততে পারলে-
না; মাসুদ হায়েনাদের এমন করে ষষ্ঠশ্রেনীর
হরিণ শাবকটাকে খুবলে খাওয়ার দৃশ্য-

এ আমি ভাবতে পারি না,
এমন অবলীলায় অমানবিক হিংস্র জানোয়ারের পীড়ায়
জন্মদাতা-দাত্রীর ভাষাহীন রোদন এ আর সহ্য হয় না।

আরও একবার নতি স্বীকার

সুলতানা সুস্থ হয়ে জীবনে ফিরুক সে ইচ্ছেটা ছিল কিন্তু আমার সে ইচ্ছেটা বোধহয় ইচ্ছেতেই থেকে গেল, কারন জীবন তার অতি সন্নিকটে চলে গেছে।

জীবনের রূঢ বাস্তবতার কাছে বোধহয় আরও একবার নতি স্বীকার করতে হচ্ছে।

মানুষ প্রকারন্তে দারূন অসহায়

মানুষ জীবনের প্রতিটি স্তরে অসহায়।

সমাজে বলুন, সংসারে বলুন, কিংবা জাতি ধর্ম বর্ন গোত্র দেশ কিংবা বিদেশ যেখানেই বলুন না কেন, মানুষ প্রকারন্তে দারূন অসহায়। অসহায় এই জীবনে প্রত্যেকেই তাই কর্তব্যকে সীমাবদ্ধতার মাঝেই পরিব্যাপ্ত রাখে। স্নেহ-মায়া-মমতা কিংবা মানবতা, সব কিছুই জনবিশেষে সীমাবদ্ধ গন্ডিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে।

ও বিধাতা

এমনি করে জন্ম-মৃত্যু গুনে-গুনে
ক্ষীন সম্ভাবী জীবনও থেমে পড়ে,

হাসপাতালের বিছানায় ছড়িয়ে থাকা বেদনার্ত জীবনের আর্তনাদ
মৌণমুহূর্ততায় দুই-চারটা থেমে যাওয়া শরীর দেখে অভিভূত হই,
বলি ও বিধাতা; এই সহে-সহে ক্ষয়ে যাওয়া দেহে
কেন তবে এত বাসনারা ডুবে মরে?

বাংলার প্রবাদ পুরুষ, ন্যায় নিষ্ঠতার প্রতীক

বাংলার প্রবাদ পুরুষ, ন্যায় নিষ্ঠতার প্রতীক শুধু একজনই। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এমনই একজন বলিষ্ঠ নেতা যার নাম উচ্চারিত হতেই পাকি ঘরনার লোকদের চুলকানী আর গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। শুধু তাই নয়- এই চুলকানী আর গাত্রদাহ তাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বহে বেড়ায়। যখন চুলকানী কিংবা গাত্রদাহ খুব বেড়ে যায়, তখন তারা গেয়ে উঠে-

“জাতির পিতা মুজিব পিতা স্বপ্নে দেইখা কয়

দেশটা তো আমার একা, অন্য কারও নয়”

চরম চুলকানীর এই রোগে ভুগতে থাকা তারা ভুলে যায়- যে স্বপ্ন দেখে, দেখায় এবং স্বপ্নকে সার্থক করে, সে সত্যিকার অর্থেই সেই স্বপ্নের দাবীদার। অথচ তারা বঙ্গবন্ধুর বিদ্রুপ করতে গিয়েও তাঁর স্বীকৃত কর্মকে স্বীকৃতি দিয়ে ফেলে নিজেদের অজান্তেই।

আজ ১৫ই আগষ্ট। বাঙ্গালী জাতির চির শোকের দিন। এই দিনে পাকিসমমনা ক্ষমতালিপ্সুদের হাতে জাতি হারায় একজন সত্যিকারের অভিভাবক, একজন রুপকার কিংবা একজন মহান সেনা নায়ককে। আজ এমন একটি শোকার্ত সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে শুধু এইটাই বলবার আছে-

“ওহে মহান সেনা, সত্যিকারের বলে বলিয়ান

আজ এই দীনহীনের লহও প্রণাম।”

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

প্রিয় ভাবতে দিও

আমায় ভাবতে দিও
যখন তুমি ভাবছ আমার মত, প্রিয়
প্রিয় ভাবতে দিও;

ভাবতে দিও কেন এত লাল টিপ পরেছ
লাল পাড়ের ঐ জামদানি পরে রেশমি চুলের বেনী তুলেছ
কানে সোনার দুল পরেছ, নাকে সোনার নোলক পরেছ

ভাবতে দিও চলতে কেন নুপুর বাজে
দু‘হাতের ঐ রিনিঝিনি চুড়ি বাজে
সকাল-সাঁঝে কোন বিহগের সুর সে বাজে
অকাল বোধন চাঁদ-তারারা গান সে বাঁধে।

আমায় ভাবতে দিও, ভাবতে দিও
কেন তোমায় দেখলে মনে শিহরণ লাগে
দুরুদুরু বুকে কেন এত কাঁপন জাগে
নীল আকাশের সাদা মেঘেরা ভেলায় ভাসে
ভাবনা গড়িয়ে সোনার পালঙ্কে স্বপ্ন আসে?

প্রিয় ভাবতে দিও
কেন তোমায় ছুঁয়ে দিলে চোখ এত লাল হয়
মেঘের সাথে মেঘের গর্জন বুকের বানে বর্ষন হয়
সুখের রাগে কান্নার গড়িয়ে নদী হয়ে সাগরে বয়
হারিয়ে ফেলা দিনগুলো পেতে কেন আবার ইচ্ছে হয়।

কেন তুমি এমন প্রিয়,
প্রিয় হয়ে জড়িয়ে থাক হৃদখোলসে
ভাবতে ভাবতে যখন তখন তন্দ্রা আসে
হাত বাড়িয়ে হাত রেখে যাই সবুজঘাসে; ভালোবেসে অনায়াসে।

জন্ম

দিনে দিনে কত স্বপ্নের অপমৃত্যু
ধরিত্রীতে কত শোকের মাতম
তবু জন্মধারার খোলস খুলে হয়
কতশত কীটপতঙ্গের জনম।

জন্ম বয়ে বেড়ায় অভিশাপের পণ
জন্ম বয়ে চলে জন্মের মতন
নিধারুন জন্মক্ষয় আজও জন্মের বলয়ে
হায়! তবু কত জন্ম দেখ দীনের আলয়ে।

ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলেই প্রেপ্তার করা হবে

ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলেই প্রেপ্তার করা হবে, এমন একটা সিদ্ধান্তে সরকারের প্রতি সাধুবাদ।

কিন্তু আমার প্রশ্ন শুধু লিখলেই কেন? কেন ধর্মিয় উষ্কানিমুলক বক্তব্য দিলে বা অন্যধর্মকে কটাক্ষ করে কোন বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরকার তৎপর হতে চাইছে না? এতে কি সুস্পষ্ট হচ্ছে, এতে কি সরকার বা প্রশাসন কোন নির্দিষ্ট ধর্মবলয়ের ব্যাপারে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করছে না? যদি না হয়- তবে সরকার বা প্রশাসনকে এও স্পষ্ট করা উচিতঃ

১) যেসকল হুজুর ধর্মীয় উষ্কানী দিয়ে ওয়াজ কিংবা বয়ান দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার বা প্রশাসন কি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে?

২) যারা উষ্কানীমূলক কাজ করে যাচ্ছে তাদের কি সরকার বা প্রশাসন এই ব্যাপারে ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে?

৩) যে সকল ধর্মীয় উষ্কানীমূলক সিডি, অডিও ক্লিপ, ভিডিও ক্লিপ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিষিদ্ধে সরকারের বা প্রশাসনের ভূমিকা কি?

আরও একটি ঐতিহ্যবাহী সংখ্যালঘু পরিবার রাতের অন্ধকারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে

আরও একটি ঐতিহ্যবাহী সংখ্যালঘু পরিবার রাতের অন্ধকারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তারা ফরিদপুরের “দয়াময়ী ভবনের“ বাসিন্দা।

খুবই মজার বিষয় যেটি- তারা ১৯৪৭- এ ভয় পায় নি, ১৯৬৫ তে ভীত হয় নি, ১৯৭১ সালেও তারা এতটা আরক্ত হয়নি। অথচ ২০১৫ তে এসে যে সরকার যখন সংখ্যালঘুদের জান-মালের নিশ্চয়তায় নিশ্চিত করছে বলে গলা ফাটাচ্ছে, তখন সেই সরকারের নেতার দাপটে পরিবারটি রাতের অন্ধকারে মিশে গেছে।

অবশ্য নেতা সাহেব বলছেন- তিনি ১২ কোটি টাকায় বাড়ি ক্রয় করেছেন। লোকমুখে ভাসছে তাকে ১ কোটি টাকা, সাথে হারিকেন-কানাওয়ালা বাঁশ আর পাছায় বনের কচু ডুকিয়ে নেতা সাহেব শিঙ্গে টাঙ্গিয়ে ছিলেন।

আমরা অবশ্য নেতা সাহেবকে সঠিক বলে ধরে নিচ্ছি, বুঝেনই তো তাদের দেশ, তারা ক্ষমতায়, সবকিছুতেই তারা মাথা। তারা কি এসব করতে পারেন?