বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

সময়ের পরিবর্তন

সময় বদলাচ্ছে, জীবন বদলাচ্ছে
বদলাচ্ছে মুখের ছাপ
ভাব বদলাচ্ছে, অনুভব বদলাচ্ছে
জড়াচ্ছে দুঃখ তাপ...

[ছোটবেলায় খুব রোগাটে আর পিচ্ছি থাকায়, আমাকে নিয়ে মায়ের কষ্টের অন্ত ছিল না। শারীরভাবে উর্বর করতে মায়ের সে কত কি প্রচেষ্টা ছুটোছুটি। আবছা মনে আছে- ষষ্ঠ কি সপ্তমশ্রেনীতে থাকাকালে আমার শারীরীক উন্নতির জন্য মা আমাকে ৭-১০ টি ভিটামিন ইনজেকশন করিয়েছিলেন। সে ইনজেকশনের যন্ত্রণা মনে পড়লে আজও আতকে উঠি। কমচে কম ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা এই ইনজেকশনের ব্যাথা থাকত। কিন্তু সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়েও মা আমার তার ছেলেকে মোটা দেখতে ব্যর্থ হল।

আজকের দিনটাতে দাঁড়িয়ে কিছুটা আপসোস, আক্ষেপ আর বুকভরা কান্না আড়াল করা ছাড়া কিছুই করার নেই। মাকে হারিয়েছি ১০ বছর গত হবার পথে। অথচ যে চেষ্টা করে মা ব্যর্থ হয়েছে, যে শরীরের ক্রমাগতবর্ধনে এখন নিজেই ভীত হচ্ছি। ইতোমধ্যে ৭০ কেজি ওজনের সাথে লড়তে শুরু করেছি।]

বুকের যন্ত্রণা চেপে, সব সহে গেলাম?

প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অফিসের কিছু অর্থ খুইয়েছি বেশী দিন হয় নি। গতপরশু আবার আরোক প্রতারক চক্রের কল। কল দিয়ে বলল- হ্যালো গ্রামীণ ফোন থেকে বলছিলাম। বুঝতে পেরে তাকে- জিজ্ঞাসা করলাম, কদ্দিন যাবৎ চাকুরী করছেন? বলতেই- গালি করতে করতে কলটা কেটে দিল। অফিসে থাকায় গালিগুলো শুনে হজম করা ছাড়া কিছুই করার কিংবা বলার ছিল না।

শালার ভাগ্য আর সময়টাই দেখুন!!

প্রতারণাও করবে আবার গালিটাও দিয়ে আরামে কেটে যাবে। আর আমি শালা বুঝে-শুনেও মুখে কুলুপ এঁটে, বুকের যন্ত্রণা চেপে, সব সহে গেলাম?

প্রসঙ্গ ফেসবুক

ট্যাগ করলে খুবই বিরক্তি লাগে আর রাজনৈতিক ট্যাগ হলে আরও বেশী। সবাইকে অনুরোধ করছি আমাকে কোনপ্রকারের রাজনৈতিক ট্যাগ করবেন না। আমি কোন রাজনৈতিকের টাকায় কখনও এককাপ চা কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের অনুদানের পয়সায় একটা বিস্কিটও খাই নি। ছোটবেলায় বাপ-কাকার উপার্জনের টাকা খেয়ে বড় হয়েছি আর এখন নিজের শ্রমে খেয়ে বাঁচি। যেহেতু কারও খাই না এবং খাবার ইচ্ছেও নেই, তাই কারও প্রচার-প্রচারণামূলক পোষ্ট আমার ব্যাক্তিগত টাইমলাইনে এসে ভীড় করবে এ আমার অসহ্য।

আমার ব্যাক্তিগত মতাদর্শ আছে, আছে আমার ব্যাক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ। আমার কাউকে পছন্দ হলে কিংবা তাঁর মতাদর্শ আমার ভালো লাগলে- সে আমি নিজের ওয়ালে প্রকাশ করি কাউকে বিরক্ত করা ছাড়াই। তবে অযথা আমাকে ট্যাগ করে বিরক্ত করা কেন?

সত্য আড়াল

চোখের সৌন্দর্য্য আর মনের অনুভূতি, জীবনের অনেক সত্য আড়াল করে।

সৌন্দর্য্য আর প্রেম

সৌন্দর্য্য অনুভব আর প্রেম অনুভূতি
সৌন্দর্য্য ছুঁয়ে দিলে রুপ হারায় আর প্রেম দু‌হাতে জড়িয়ে নিলেই নিঃস্তেজ হয়ে পড়ে

উছন্ন

নয়নাভিরাম প্রেয়সীর প্রেম বন্দনায়
তুলতুলে গাল আলতো ছুঁলে-
সরে দাঁড়ায় সে
বলে- সখা হে
ক্ষয়িষ্ণু রুপে মজ না বলি এত
পাবার মত হইও ব্যাকূল তত
রাখিও মনে-
লাজুক লতা লাজে যায় ঝরে
রুপের পসর ছুঁলে যায় খয়ে
মাঝখানে সব ভূলের অবয়ব
অষ্টাদশির উছন্নের কলরব।

আবেদন

হিমবুড়ী আসছে চুপি-চুপি
তুমি তার সাথে আসছ কি?
তুমি না এলে শীতকেও কর মানা
ঘাসের শিশির চরণ যেন ছৌঁয় না
ভালোবাসাবিহীন জীবন বড্ড একা
শিশির শীহরণে খাচ্ছে কেবল ধোঁকা!!!

ধিক্কার

ইচ্ছে না থাকলেও একবার ভাবুন- মানুষ কতটা হিংস্র জানোয়ার হলে ঠান্ডা মাথায় ২0 জন নিরীহ মানুষকে গুলি করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে-কেটে প্রতিটি মৃত্যু শতভাগ নিশ্চিত করতে পারে? শুধু তাই নয়- কতটা নিকৃষ্ট জানোয়ার হলে, মৃত্যুর মিছিলে বসে হাতের-শরীরের রক্ত মুছে শেফকে দিয়ে নিজেদের পছন্দের খাবার বানিয়ে নির্বিকার মনে বসে পেট পুরে খেতে পারে? এদের বাঁচবার অধিকার আছে?

আর উপরের ঘটনায় কাদের প্রতি সিমপ্যাথি দেখাবার কথা? নিশ্চয়ই সে সব অসহায়দের জন্য, যারা পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ-বিভূইয়ে নৃশংস মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল।

অথচ টাইম-লাইনে ভেসে বেড়ায় সেসব জঙ্গি নেকড়ের বিভৎস ঘৃণ্য ছবি আর তাদের জন্য বিবেক বোধহীন অসংখ্য মানুষের ব্যাকুল রোদন সাথে রুপের স্তব-স্তুতি।

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

যদি অভিমানী আঁখিজলে

যদি অভিমানী আঁখিজলে মুছে কাজল
ধরিয়া রাখিও প্রিয়ে পাতিয়া আঁচল
বিরহী পাখি যবে উড়ে যাবে দূরে
দেখিব কত কাজল রাখিলে আঁচলে।

যদি

যদি বন্ধু হও!!!
সামনে দাঁড়াও
কথা কও
সুরে গাও
দেখি প্রানের পরে মনের কথা গানের সুরে।

যদি প্রিয় হও!!!
ধরা দাও
পাশে দাঁড়াও
হাতটি বাড়াও
প্রেমপ্রেয়সী পাশে থাকুক হাতটি রাখুক হাতের পরে।।

তোকে দেখে

তোকে দেখে-
লজ্জার মাথা খেয়ে, চোখ রাখি চোখে।

বেহেস্তকামীদের সমস্যা কি?

বেহেস্তকামীদের সমস্যা কি?

আরে ভাই, তোরা বেহেস্তে ৭০ হুর নিয়ে উল্লাস করবি আবার দুনিয়াতেও কাফেরের রক্ত নিয়ে উল্লাস করবি?

আরে- কাফের‌রা তো এমনিতেই পরকালে দোজগের আগুণে জ্বলতে থাকবে বলে নিশ্চিত হয়েছে, তাদের দুনিয়ার বাতাসটুকু অন্তত শান্তিতে নিতে দে।

নাকি দুনিয়াতে তাদের এইটুকু সুখও সহ্য হচ্ছে না? নাকি পরকালের দোজগের আগুণের ব্যাপারে তোদের সন্দেহ আছে?

তবে বল- দুনিয়াতে কাফেরের এই সামান্য সুখ নিতে পারছিস না, জান্নাতে অন্যের সেই মানের ৭০ হুর দেখে সইতে পারবি তো?

(বি. দ্র- এই পোষ্ট বিশেষ কারও পক্ষ নিয়ে নয়। এই পোষ্ট আক্রান্ত সাধারন অসহায়েদর পক্ষে, এই পোষ্ট ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির ধরুন আমার মত আর যারা কাফের খ্যাতি পায়- তাদের জন্যে।)

যে যেতে চায়

পুলিশের আইজিপি (এ কে এম শহীদুল হক) বলেছেন, আটক জঙ্গিরা বলে, ‘আমাকে মেরে ফেলেন। আমি জান্নাতে যাব।’

প্রত্যেকের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার আছে, আছে বাসনা পুরণের অধিকারও। অথচ প্রশাসন অকারণ হস্তক্ষেপ চালাচ্ছে।

যে যেতে চায় তাকে যেতে দিতে হয়, তাকে যেতে দেওয়া উচিত। না হলে সে যার যাওয়ার ইচ্ছে নেই, তাকে নিয়ে যাবার সুযোগ খুঁজে।

নিঃখাদ ভালোবাসা্ ও দেশপ্রেম

নিঃখাদ ভালোবাসা কাকে বলে? সত্যিকারের দেশপ্রেমিক কারা?

ভালোবাসা তখনই নিখাদ হয়, যখন তা বিনিময় বিহীন হয়।
মা-বাবা জানে তার কোলের কন্যা সন্তানটি একদিন তাদের ছেড়ে অন্যে ঘরের কেউ হবে, জানে- তাঁদের ছেলেটি একদিন তাঁদের পথে ফেলে দিতেও হয়ত দ্বীধা করবে না। তবুও তাঁরা কন্যাটিকে, তাঁদের ছেলেটিকে নিজের শরীরের হাজার ছোট-জখমের বিনিময়ে কোমল রাখতে উদগ্রীব থাকে।

নিখাদ ভালোবাসা বাসতে পারে একজন কৃষক। সারাদিন মাঠে পড়ে আগুণে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ফসল বুনে। অথচ তিনি জানেন এই ফসলের দশভাগের একভাগও তাঁর উদর নিবৃতের জন্য নয়। তবুও সন্তানের মমতায় আগলে তিনি ফসল বুনেন, ফসল উঠার আগ পর্যন্ত হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা ঢেলে ফসলের যত্ন করেন।

নিখাদ ভালোবাসা দেখাতে পারেন একজন শ্রমিক- তিনি পরম মমতায় অন্যের জন্য বড়-বড় দালান-কৌঠা, পথ-ঘাট গড়ে তোলেন প্রতিটি রক্তঝরা ঘামের দামে। অথচ এই দালান-কৌঠা, রাস্তা-ঘাট কোনটিই তাঁর থাকবার বা চলবার নয়।

আমরা একটু দানবীর হলেই তাকে শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিকের খেতাম দেই! রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অলংকৃত করে শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিকের আসন প্রদান করি! অথচ জানতে চাই না- দানবীরের অর্জিত সম্পদের খাত, বুঝতে চাই না নেতা-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর সাচ্চা দেশপ্রেমিক সাজার পেছনে কাক্ষিত থাকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার বাসনা।

আগে অনেকবার লেখেছি- মনের ভেতরে পুড়ে-পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া প্রেমিকের প্রেম খুব কম প্রেমিকাই বুঝতে চেষ্টা করে। অথচ ভালোবাসি-ভালোবাসি বলে মুখে ফেনা তোলা লাফাঙ্গারই প্রতারণা ফলাবার আগ পর্যন্ত প্রেমিকার কাছে শ্রেষ্ঠ প্রেমিক বলে বিবেচ্য হয়!

ব্যাচেলরদের বাড়ী ভাড়া

বাড়িওয়ালাদের যদি ব্যাচেলরদের বাড়ী ভাড়া দেবার ইচ্ছে না হয়, তবে তারা কন্যার পিতা হয়ে ব্যাচেলরদের আত্মীয় কইরে নিবার পারে। এতে কারও থাকার ঘরও হয়, পাশে থাকার বউও হয়..