রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

জীবন সে শূন্যেই মিলবে

পথিক পথভুলে পথেই ফেরে...
ছুটতে গিয়ে হয়ত ভুলেছ
জীবন সে শূন্যেই মিলবে।

যেদিন রাত গভীরে

যেদিন রাত গভীরে সাধের সেতারা
তারে তুলবে ঝঙ্কার,
জেনো সকল রাতজাগা খগ
ব্যাকুল আমি স্মৃতি ছুঁয়ে তার...

জিতবার আক্ষেপ

আমি সেদিন থেকে জিতবার আক্ষেপটুকু ছেড়ে দিয়েছি যেদিন আবিষ্কার করতে পারলাম হেরে গিয়েও আমি বেশ টিকে থাকতে পারি।

না আমি কখনও কোনকিছুই জোর করে আদায় করতে চাইনি, শুধু চেয়েছি আমার অধিকারটুকু সকলে সেচ্চায় ফিরিয়ে দিক। অবশ্য না দিলেও তাতে আমার আক্ষেপ কিংবা আপসোস কিছুই থাকবে না।

জীবন আপনার ভাবনার বাহিরের অংশটুকু কেবল

আপনি যোগ্যতার উপরে গিয়ে যা চাইছেন - তা স্বপ্ন।
আপনি যোগ্যতর হয়েও যখন উপেক্ষিত - তা যন্ত্রণা।
আপনি যোগ্যহীন কিছুতে মানিয়ে নিচ্ছেন- তা জীবন।
জীবন আপনার ভাবনার বাহিরের অংশটুকু কেবল, যেটুকুতে মানিয়ে নেয়াই সৌর্ন্দয্য ভিন্নতায় দৈন্যতা।

মেটে কিগো প্রেম তৃষা?

যে আঁখি বোঝেনা ভাষা...

সে আঁখি কাজলে, নয়ন ভেজালে
মেটে কিগো প্রেম তৃষা?

প্রেমের মাহফিল

যে পথ মিশে যেতে চায়
প্রেমের মাহফিলে
সে প্রেমের মাল্য সখী
রেখ পথে ফেলে

দ্বীধা

দ্বীধা;
ধরেছিস যত মোরে
সরে গেছি তত দূরে
পথখানি পাড়িবারে
জন্মে যে সংশয়,

পারিনে দাঁড়াতে পথে
কোথা কি জানি রটে
নামিলে আঁধার বাটে
পড়িবে মনে নিশ্চয়

প্রেমবারিতে ভেজে যার মন

সব কথা কব না সখা
পড়িবে গো ভীষণ মনে
প্রেমবারিতে ভেজে যার মন
মূল্য সে কেবল জানে!

একদিন নিশ্চয়ই...

একদিন নিশ্চয়ই...
ভালোবেসে ভেঙ্গে দেব তোর সমস্ত সংশয়
হোক সে প্রভাতে জানাজানি দখিনায় কানাকানি
তোর হাতে হাত রেখে দেব আর একবার অব্যয়

জয়ের বাসনায়

চক্রবূহে আবর্তমান যে খেলা, সংসারের সে খেলায় মজে আপনাবূহে অন্যকে পরাজিত করতে পারার মনোবাসনা স্বার্থবাজদের জন্মগত!

এখানে স্বার্থবাজরা মধ্যবর্তী ফাঁদ ফেলে পরস্পর ভালো খেলতে চায়, জিততে চায়। কিন্তু তাদের জয়-পরাজয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে কেউ যখন মুষলধারায় সারাটা প্রহর ভিজে বিছানা থেকে শ্বশ্মানে চির সমাহত হয়, তখন পরাজিত তাকে নিয়ে নতুন খেলার পট রচনা করে পুনরায় কারও সঙ্গে খেলায় ফিরতে!

অন্ধকার চোরাগলিতে ডুবছে আজি পা...

কার মমতা আশিস সত্য সবে কি তা জানে?
পাবার আশায় পথচেয়ে রই ভুল মানুষি জনে!
অন্তরে বীষ পুষে কি হে ভালোবাসা যায়
অন্ধকার চোরাগলিতে ডুবছে আজি পা...

হেরে গিয়ে কি লুকোচ্ছিস গা?

সাদা-কালো জীবনে কানে ভাসে
সুবোধ তুই পালিয়ে যা
জীবন থেকে পালাতে গেলে জীবন বলে
হেরে গিয়ে কি লুকোচ্ছিস গা?

কতটা

তোমাকে কতটা ছুঁলে
হই আমি অপরাধী
কতটা পথ পেরুবার আশায়
পাহাড় ভেঙ্গে ছুটে নদী

অবাধ্য প্রেমিক

তখন স্বপ্নটাকে ছুঁলে আর দুটো হাত নাগাল ফেলে
আমিও তোমার মত কারও অবাধ্য প্রেমিক হতাম!

সহসায় বাতায়নে বসন্ত দৌলা দেয়
সব আকাশেই পাখিরা ডানা মেলে উড়ে
কখনও নীলঘন মেঘে, কখনও আবার সাদা
কখনও অন্তঃধ্যানে গুড়ু-গুড়ুম বা এক চিলতে বৃষ্টিতে
ভেজামন হারায় তোমার- আমার কিংবা আমাদের
যদি উপাস্য হতে, আমিও হাত ধরে তোমারি হতাম!

মনের বিষূবরেখা এড়াতে পারি না-
একাকি সঙ্গোপনে এলোকেশী এলে
তাকে এড়িয়ে যাব এতটা কঠোর তো নই...
বরং হৃদয়ের ভূ-খন্ড চিরে গড়তে রাজি ছিলেম
সবুজ বনায়ন, তৃষ্ণার্থ পাহাড়ের স্রোতধারা
সংকোচ কেটে অভয় দিলে, সেই কেবল বলে ফিরতাম!

নব জলপ্রপাতের ধারা ব্যাকুল বাসনায় ছুটে
ঘাস ফড়িং ছুটে ফেরে সবুজের কোমলতা ছুঁয়ে
অথচ আপনাকে বারবার হারিয়েও ফিরি আপনায়
কেননা অন্তরের বেচা-কেনা এত সহজ নয়
অনুপযুক্ত লেন-দেনের হিসাব কষে নেয়াও সহজ নয়
তাইতো চোখের জলুস ফেলে পথ ফেরে গন্তব্যে
আর বাসনারা ব্যাহত কাতরতায় বলে যায়-
পরস্পরের সম্মতি মিললে আমরা হয়ত কুটির গড়তাম!

সুন্দরের মহিমা কেমনে খুঁজিতে?

মনের মাপকাঠিতে মেপে
সুন্দরের মান ধরি
অসুন্দর আছে বলে হই
সুন্দরের পূজারি।

যদি কুৎসিত কদাকার কিছু
নয়নে না পেতে
জগতে সুন্দরের মহিমা
কেমনে খুঁজিতে?