রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

অভয়

হাতখানি না রাখিলে তাল
হয়ে যাই আমি বেসামাল...

সমন্ধ

মনে সুবাস মেলে না মেলে
আগর শেষ হয় জ্বলে
হৃদয়ের উত্তাপ টের পাও না পাও
মোম শেষ হয় গলে...

প্রকাশ

রাত ছুটছে গভীর হতে গভীরে
নিঃশ্বাসগুলো নিবির হতে নিবিরে

জন্মঋণ

পালক সে বাতাসে উড়ছে! পাখির মতো স্বাধীন
তবুও সে মৃত! বয়ে ফেরে আপন জন্মঋণ

ক্ষণিক অভিপ্রায়

পথ হতে কুড়ানো ফুল
পথেই পড়ে রয়
ক্ষণিক অভিপ্রায় শেষে
মুছে পরিচয়।

বন্ধুদের কে বলা

আমি দু'চার শব্দ লিখি, তাতে বন্ধুরা নাকি ফোঁড় খাওয়া ব্যথা টের পায়, অন্তর পৌঁড়া গন্ধ পায়। সে বন্ধুদের কে বলা-

যখন চাঁদনির প্রহর শেষে চাঁদ উবে যায়
কালো আকাশ ভরে উঠে তারায় তারায়
উতলা যতই মন প্রেমের বিলক্ষনে
মাতাল হাওয়া ছুঁলে ভরে সে গানে।

প্রেমের নাজরানা

আমি অল্প পারি কইতে
তারচেয়ে ঢের সইতে
তোমার প্রেমের নাজরানা সই
না পারি গো বইতে

জীবন সে শূন্যেই মিলবে

পথিক পথভুলে পথেই ফেরে...
ছুটতে গিয়ে হয়ত ভুলেছ
জীবন সে শূন্যেই মিলবে।

যেদিন রাত গভীরে

যেদিন রাত গভীরে সাধের সেতারা
তারে তুলবে ঝঙ্কার,
জেনো সকল রাতজাগা খগ
ব্যাকুল আমি স্মৃতি ছুঁয়ে তার...

জিতবার আক্ষেপ

আমি সেদিন থেকে জিতবার আক্ষেপটুকু ছেড়ে দিয়েছি যেদিন আবিষ্কার করতে পারলাম হেরে গিয়েও আমি বেশ টিকে থাকতে পারি।

না আমি কখনও কোনকিছুই জোর করে আদায় করতে চাইনি, শুধু চেয়েছি আমার অধিকারটুকু সকলে সেচ্চায় ফিরিয়ে দিক। অবশ্য না দিলেও তাতে আমার আক্ষেপ কিংবা আপসোস কিছুই থাকবে না।

জীবন আপনার ভাবনার বাহিরের অংশটুকু কেবল

আপনি যোগ্যতার উপরে গিয়ে যা চাইছেন - তা স্বপ্ন।
আপনি যোগ্যতর হয়েও যখন উপেক্ষিত - তা যন্ত্রণা।
আপনি যোগ্যহীন কিছুতে মানিয়ে নিচ্ছেন- তা জীবন।
জীবন আপনার ভাবনার বাহিরের অংশটুকু কেবল, যেটুকুতে মানিয়ে নেয়াই সৌর্ন্দয্য ভিন্নতায় দৈন্যতা।

মেটে কিগো প্রেম তৃষা?

যে আঁখি বোঝেনা ভাষা...

সে আঁখি কাজলে, নয়ন ভেজালে
মেটে কিগো প্রেম তৃষা?

প্রেমের মাহফিল

যে পথ মিশে যেতে চায়
প্রেমের মাহফিলে
সে প্রেমের মাল্য সখী
রেখ পথে ফেলে

দ্বীধা

দ্বীধা;
ধরেছিস যত মোরে
সরে গেছি তত দূরে
পথখানি পাড়িবারে
জন্মে যে সংশয়,

পারিনে দাঁড়াতে পথে
কোথা কি জানি রটে
নামিলে আঁধার বাটে
পড়িবে মনে নিশ্চয়

প্রেমবারিতে ভেজে যার মন

সব কথা কব না সখা
পড়িবে গো ভীষণ মনে
প্রেমবারিতে ভেজে যার মন
মূল্য সে কেবল জানে!