শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ভাবনা

সাজিতে-গুছিতে আমার গেল দিনমান
কেমনে হবে তবে মুশকিল আসান

স্বীকার ও স্বীকৃতি

কেউ হাতটা বাড়িয়ে না দিলে পায়ের কদমগুলো সেখানেই জমে পড়ত।

স্বীকার কিংবা স্বীকৃতিটাকে পড়তে চাই না, নির্দ্বিধায় নিশ্চিত হয়েই বলতে চাই- কেউ হাতটা বাড়িয়ে না দিলে আপনার বড়াই-অহংকার যেমন স্বীকৃতি পেত না, তেমনি মুক্তির পথটাও আরও সন্নিকট হত।

ভবঘুরে!!!

কিছুটা হারিয়ে আছি কাজের ঘোরে,
কিছুটা নিজের ঘোরে।
আড়াল হলে শুনি বলে লোকে-
আমি নাকি ভবঘুরে!!!

উপযুক্ততা নির্ণয়

দর কষাকষি করে উপযুক্ততা নির্ণয় করা যায় না, অথচ আহম্মকের মতো সে কাজটিই আমরা প্রতিনিয়ত করে বেড়াই।

বিনিময়

এটাই শেষ লড়াই, শেষ আর্তনাদ। এরপর কেবল নিশ্চল দেহটিকে টুকরো-টুকরো করার পালা।
একের আনন্দ বিনিময় হয় অন্যের জীবন বলিদানে!

কি মিলেছে

ধ্রুবতাঁরা!
আকাশ হতে চেয়েছিলে সংঘাতে
দুনিয়া জানতে চায়নি
কি মিলেছে প্রভাতের বিধূর বৈরি সংকটে?

আবেগ ও জীবন

হ্যাঁ; আবেগ সাময়িক। কিন্তু জীবন! একে সাময়িক শেকলে আটকানো যায় না। আবেগের ঘোর সময়ের চৌ-কাঠ ফেরুলেই খানিকটা কেটে যায় কিন্তু পায়ের প্রতিটি কদমে নিজেকে সামলায়ে জীবনের যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের ফলাফল মিলাতে হয়।

আর একটা কঠিন, তবে জীবনের জন্য অপরিহার্য্য। কিছু পেতে কিছু হারাতে হয়। দু'টো আকড়ে রাখতে গেলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।

যতই চাস

পথ তোকে পথবেড়ী পরিয়ে
ঠাঁই রাস্তায় রাখব দাঁড়
তুই যতই চাস করতে
আমা হতে ছন্ন ছাড়।

বোধ-বসবাস

সবুজ তুই না বুঝে আমায়
কেন এত পৌহাস
আমার ধ্যান-মান সব পড়ে রয়
তোর বুকে করতে বাস।

প্রাপ্তী-অপ্রাপ্তী

সবুজ তোকে গিলে খাব বলে
তোর গীত গাই
আমার মাতাল হবার আগে গিলে নে তুই
বিঘোর অমবশ্যায়।

বাহির-ঘর

কবিতাকে ভালোবেসে
ঘর ছেড়েছি কবে
কোন ঔশ্বরির ঝলকে পড়ে
ফিরলাম ঘরে তবে?

জিজ্ঞাসা

অন্যকে ভাবতে গিয়ে মানুষ না হয় হিমশিম খায়
মানুষ সারাজীবন ভেবে আপনাকে কি চিনতে পায়?

সুখ!!!

সবে বলে- টাকায় নাকি সুখ কেনা চলে,
অথচ তিনি টাকার বিছানা ফেলে
ঝুল বারান্দায় ঝুলে গেলেন চির নিদ্রায়।

অনুভব আর জীবন

রাজপ্রসাদে থেকে সর্ব্বোচ্চ মাটিরঘরে থাকার সুখ অনুভব করা যায়, থাকা যায় না।

ঔরসের ওজন মাপতে অক্ষম

পত্নীতলায় বহু বেদুঈনের জন্ম হয় কিন্তু সে বেদুঈনের পিতা আপন ঔরসের ওজন মাপতে অক্ষম।