শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

যতই চাস

পথ তোকে পথবেড়ী পরিয়ে
ঠাঁই রাস্তায় রাখব দাঁড়
তুই যতই চাস করতে
আমা হতে ছন্ন ছাড়।

বোধ-বসবাস

সবুজ তুই না বুঝে আমায়
কেন এত পৌহাস
আমার ধ্যান-মান সব পড়ে রয়
তোর বুকে করতে বাস।

প্রাপ্তী-অপ্রাপ্তী

সবুজ তোকে গিলে খাব বলে
তোর গীত গাই
আমার মাতাল হবার আগে গিলে নে তুই
বিঘোর অমবশ্যায়।

বাহির-ঘর

কবিতাকে ভালোবেসে
ঘর ছেড়েছি কবে
কোন ঔশ্বরির ঝলকে পড়ে
ফিরলাম ঘরে তবে?

জিজ্ঞাসা

অন্যকে ভাবতে গিয়ে মানুষ না হয় হিমশিম খায়
মানুষ সারাজীবন ভেবে আপনাকে কি চিনতে পায়?

সুখ!!!

সবে বলে- টাকায় নাকি সুখ কেনা চলে,
অথচ তিনি টাকার বিছানা ফেলে
ঝুল বারান্দায় ঝুলে গেলেন চির নিদ্রায়।

অনুভব আর জীবন

রাজপ্রসাদে থেকে সর্ব্বোচ্চ মাটিরঘরে থাকার সুখ অনুভব করা যায়, থাকা যায় না।

ঔরসের ওজন মাপতে অক্ষম

পত্নীতলায় বহু বেদুঈনের জন্ম হয় কিন্তু সে বেদুঈনের পিতা আপন ঔরসের ওজন মাপতে অক্ষম।

আমি যা

বে-খেয়ালি জীবনকে হেয়ালির খেয়াল পরিয়ে লাভ কি?
তারচে আমি যা তাই বলে ফেরা ভালো।

ভাগ

স্নেহ-সান্নিধ্য আর ভালোবাসার ভাগ কেউই সেচ্ছায় ছাড়তে রাজি নয়। তাইতো সকলে ভালোবাসার মানুষটিকে আকড়ে রাখতে চায়, শক্ত শিকলে বেঁধে রাখার মনোভাব পোষন করে। আর ব্যর্থতায় ভালোবাসার মানুষটিকেই ভাগ করতে বসে যায়। অথচ এই হিসেবের ভাগে পড়ে যে মানুষটি বিভাজিত কিংবা খন্ডিত-বিখন্ডিত হচ্ছে, তার যন্ত্রনাটুকু কেউ অন্বেষণ করার প্রয়োজনও বোধ না।

পবিত্র চরিত্র

আহা! বাহ! বাহ!
দেখতে কি চমৎকার
পুরুষ পবিত্র চরিত্র পায়
নারী সন্তান নিয়ে ছাড়লে সংসার।

সৌন্দর্য আর যোগ্যতা এক জিনিস নয়

সৌন্দর্য আর যোগ্যতা এক জিনিস নয়! সৌন্দর্য অন্যকে বিমোহিত করে, যোগ্যতা প্রশংসিত করে।
এর একটা প্রকৃতির দান অন্যটি অর্জন। তাই সৌন্দর্য নিয়ে আত্মভিমান অনেকটা দানের টাকায় রাজসভা করার মতো।
ফুলের মতো সৌন্দর্যও কিছুদিন পর মলিন হতে থাকে কিন্তু যোগ্যতা ব্যক্তিকে আরও পরিনত করে তোলে।

রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

না হলে

চোখে চেয়ে থাক অবিরাম, জেনো এর ভাষা রপ্ত করার কৌশল শিখতে হয়। না হলে সংগীত তাল হারায় আর জীবন থেমে যায়।

পুরুষ নিজেরাই নিজেদের দোষ বুঝতে অক্ষম

দুটোই সাময়িক নেশা- এক নারী দুই সম্পদ!
অথচ দুনিয়ার সমস্ত লড়াই এই দুটোকে কেন্দ্র করে।

আপত দৃষ্টিতে দেখলে যদিও মনে হয়, সম্পদ আর নারীই সমস্ত লড়াইয়ের মূল কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনা দেখা যায় এর কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত কিন্তু পুরুষই। দুনিয়ার সমস্ত কাজে এরা "ধরি মাছ না ছুই পানি" মানষিকতায় থাকায়, এরা নিজেরাই নিজেদের দোষ বুঝতে অক্ষম।

মাপবে কোন মন্ত্রে?

বুকের স্পন্দন সে না হয় মেপে দিলে যন্ত্রে
মনের তীব্র স্পন্দন সে মাপবে কোন মন্ত্রে?