রবিবার, ১ মে, ২০১৬

ভাবীর কথামতো নিলেন নাকি?

অফিসের কলিগের দুটো বাচ্চা, দুজনেই ছেলে। তাই বেচারার একটি মেয়ের শখ। ভাবীর কাছে আবদার নিয়ে গেলে, ভাবী সাফ জানিয়ে দিলেন দু‘বাচ্চার যন্ত্রণাই তিনি টিকছেন না, আবার মেয়ে?

এরপরও পুনঃ আবদার হলে- ভাবী জানায় বাচ্চা নিজের পেটে নিতে। tongue emoticon

আজ কলিগ বলছে- তার মাথা ঘুরছে, বমি-বমি লাগছে। বললাম, কি ব্যাপার বলেন তো? ভাবীর কথামতো নিলেন নাকি? gasp emoticon

মরু বালু

মরু বালু ভাবতে পারেনি আজও
বুকে নামতে পারে জলতরঙ্গ খেলা
সূর্য্য দহনলে পুড়ে বুকের মাঝে তাই
গড়ে তোলা ছলে জলতরঙ্গ বেলা

বস্তি

এখানে জীবন বাস্তবতা শেখার, কঠিন পরাভূত করার
আর জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াবার চেষ্টা বারবার!
“জীবন যেখানে আশ্রয়হীনের” - সেখানে কেউ আশ্রিত
“জীবন যেখানে যান্ত্রিকের” - সেখানে কেউ যন্ত্র
এখানে ভোগ আছে বিলাষ নেই
ক্ষমা আছে ক্ষমতা নেই
মমতা আছে মায়া নেই
বলার ভাব আছে ভাষা নেই

ছোট্টশিশু সে যেমন শীর্ণকায় নিয়ে নুন-মরিচে ক্ষুধা ভুলে
জিহ্নকায়ের বয়োবৃদ্ধও দুঃসহ পরিনতি ভেবে পথ ভুলে...

এখানে প্রতিটি দিন পার হয় যুগের আবর্তে
বেঁচে থাকা মানুষগুলো জানে তাদের গড় আয়ু শত-সহস্র
তবু বিনয়ে এদের পরাজিত করার শক্তি পাবে যে; সে মহান
এদের জীবনের রহস্য নিয়ে ভাববে, সে ত কেবল ভগবান...

শুধু চৈত্রের খরা কেটে বর্ষার ধামাকায় পড়লে
চারপাশের পচাগলায় থেকে এরা ভাবতে পারে
এখনও ত পঁচি নি! দিব্যি মানুষ বলছে লোকে!
বস্তিতেও মানুষ নামের কেউ বেঁচে
শুধু জানেনা তারা জীবন বলে কাকে?

বিশ্বাস

বিশ্বাসটাই মনের সবচেয়ে বড় খোরাক। নিত্য-নৈমত্তিক বিষয়ে যিনি যতবেশী বিশ্বাসটাকে মনে অনুধাবন করতে পারেন, তিনি ততবেশী তার মনকে দৃঢ়-প্রগাঢ় করে তুলতে সক্ষম।

যথার্থ অনুধাবন আর দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্তিকে আত্মউন্নতির সর্ব্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারে।

ব্যক্তিস্বাধীনতা

আমি ব্যক্তিস্বাধীনতা বলতে বুঝি, যেটুকু অন্যের অধিকার খর্ব না করে অথবা অন্যের উপর মানষিক চাপ সৃষ্টি না করে করা সম্ভব হয়...

প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ

যারা চিন্তা আর প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের দুনিয়া তাদের চিন্তা ধারাক্রমকে অনেক সময়ই দমবন্ধ করার পর্যায়ে নিয়ে ফেলে।

প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে সারা পৃথিবীর মানুষ। সময়-পরিবেশ-পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনায় কম-বেশী পার্থক্য থাকে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমগুলোতে যখন প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনার স্তরগুলোর পার্থক্য ক্রমাগত আসতে থাকে, তখন চিন্তা ভাবনায় তাড়িত মানুষগুলো অনেকবেশী ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে তার ভাবনা জগতটার পরিসর বাড়লেও হঠাৎ সম্ভাব্য ভাবনার অধিক ভাবনায় পড়ে অনেকের তাল কেটে পড়ে। ফলতঃ অনেকেই খেই হারিয়ে পদচ্যূত হয় নিজের স্বাভাবিক ভাবনা থেকেও।

চাওয়া

তোমার কাছে যেটুকু রুপ রং
কিছু কদর আছে তার আমার কাছে
তাই বলে নেউলে এনে সাপ খেলাবে
চাওয়াটা একটু বেশীই লাগছে...

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

নির্লিপ্ত সত্য

আমরা হিন্দু, আমরা আওয়ামীলিগার! আমরা ভারতীয় দালাল!
আমাদের সবাই যা বলে চাপাতে চায়, আমরা আসলেই তাই!
আমাদের নিজস্বতা নেই, নিজস্ব ভাব-ভাবনা নেই
ভুলস্থানে জন্মগ্রহনের কারণে পদবী পেয়েছি বাঙ্গালী বাংলাদেশী
ক্ষমতার জোরে আমাদের যেভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে সেটাই একান্ত সত্য,
বাকী সব মিথ্যে খোলস, মুখোশের আড়ালে আবডাল রাখা বোধ-ভাবনা
এদেশে আমাদের সুখ-স্মৃতি নেই, অবদান নেই, তাই আবদারও অনাকাঙ্খিত
সবচেয়ে বড় সত্য দিনশেষ এইদেশে আমরা কেবলই অভিশপ্ত পরিত্যাজ্য...

মানুষের উর্দ্ধে

ভাবতে শিহরে উঠি-
আমরা জাত চিনতে চাই, জাতি চিনতে চাই
মনুষ্য বোধ চাই না,
বলতে ঘেন্না লাগে-
আমরা জাত বিভক্তি চাই, জাতি বিভক্তি চাই
মানুষ হতে চাই না।

জন্মে শ্বাস-প্রশ্বাস টানি, যে মাটিতে একছত্রে
তার মানুষ জাতশত্রু করি, জাতি তুলি মিত্রে
জাতির ভাবনায় জাতের টানে, ভিন্নমত সব দালাল
ভাবি না কভু এক মাটির বুকে দুইয়ে টানছি হাল
দুইয়ে করেছি এক সরোবরে স্নান, এক কুপের জল পান
এক বায়ুতে দুইয়ের কায় শীতল, একঘামে সোনালী ঘ্রাণ
এক মাটিতে দুজন বাঁচি, মরি এক মাটির বুকে
জন্মবধি স্বপ্ন বাঁধি সবে, এক মাটিতে সুখে-দুখে।

অনুরোধ

রাত্রির নিকষ অন্ধকার মিছিলে
অস্থিরতার শব্দরা গিলে খেলে
দ্রোহের গল্পটি বন্ধু লিখিও
জীবনভর যার আস্তাকুড়ে সংসার
অসংযত চিৎকারে গুরু দায়িত্বভার
তার চলার পথটি দেখিও...

অবিবেচকের ডাইরি-দেখা

ক্ষমতা দাপট আর দূষিত রক্তকনার এ‘মাটিতে এখনও কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে বিমোহিত করে- কখনও কোন প্রকার অপবাদে তাঁদের জড়াতে আমার দ্বীধা মৃত্যুকাল অবধি থাকবে। তাঁদের প্রতি আমার আবদার আছে, ক্ষোভ আছে, সাথে আছে অদম্য বিশ্বাস। আমার বিশ্বাস এই দেশটাকে তাঁরা হৃদয় খুঁড়ে ভালোবাসতে জানে। তাই আমি সারাজীবন সে বিশ্বাসকে আগলে রাখতে চাই পরম যতনে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, কয়েক ঘন্টা পূর্বে সন্মানের তাড়নায় সাবেক হওয়া গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, সাবেক মন্ত্রী সোহেল তাজ আর প্রিয় ক্রিকেট লিজেন্ড মাশরাফি বিন মর্তুজা। আমার বিশ্বাসের জায়গায়টায় তাঁরা বেঁচে থাকবেন আজীবন।

আশা-নিরাশা

তারা বলেছে তোমরা শ্রম দাও, হও দেশ উন্নয়নের অংশীদার
সকলেই রক্তঝরা প্রতি কনার মূল্য পাবে মনে করি অঙ্গিকার

আমরা দেশমাতৃকার মাথা পাহাড়সম উঁচু করার করি প্রতিজ্ঞা,
শৈশব ভূলি কৈশর হেলি যৌবন করি জলাঞ্জলি
বৃদ্ধ হাল কাঁধে বয়ে পাই নাঙ্গল-জোয়ালে বেঁচে থাকার আজ্ঞা

দেশমাতৃকাকে দেয়া কথা রাখতে হই বিদেশ-বিভুঁইদের গোলাম
রাত-দিন ঘুম ভেঙ্গে শ্রম দিয়ে সদা করি কর্পোরেটরদের সালাম
হাতুড়ির লৌহ আঘাতের ক্ষতগুলো করি প্রতিনিয়ত আড়াল
অকারণ অন্যায়ে শত যাতনাগুলো সহে করি অশ্রু আবডাল

চারদিকে যখন একটু-আধটু আনন্দঘন ঘন্টা শুনি,
শুনি বাতাসে ভেসে আসা শব্দ এগিয়ে যাচ্ছি আমরা
শুনে সুখ পাই- ভাবি এতদিনে কষ্টরা হচ্ছে সারা
কিন্তু হায়; পৌড়া কপাল আরও পুড়ে নিরাশায়...

যারা স্বপ্নটাকে সত্যি করবে বলে দেশের হাল নেয় তুলে
আমাদের রক্তের প্রতিটি ফোঁটা তরল গিলছে তারা ভুলে...

চোখ

সব চোখের রং এক থাকে না
সময়ে সব চোখ এক দেখে না
কখনও চোখ সৃষ্টি দেখায়, কখনও আবার কর্ম
কখনও সমাজ-ধর্ম শেখায়, কখনও আবার মর্ম

ভালোবাসার অনুসঙ্গে

বীণাকে ভালোবেসে ফেলেছি মুগ্ধতা ঝরা চঞ্চল নয়নভোলা হাসি দেখে
তারপর থেকে এক অদৃশ্য মায়া সারাদিন তার কাছে টেনেছে
হঠাৎ সামনে দাঁড়াবার সাহস ছিলনা, তবু ব্যকুল অনুসঙ্গ ভোগালে
পথ আগলে দাঁড়াই, বলি কাউকে ভালোবাসিস বীণা?
বীণা- আকস্মাৎ প্রশ্নে কিছুটা দ্বীধা নিয়ে বলে; কেন?

বলি- চলিস তো নদীর মতো এঁকে-বেঁকে, পায়ের নুপুরে কি খেয়াল রাখিস?
বীণা বলে- তুই বড্ড পাগল হয়েছিস, নুপুরে চেয়ে হাঁটতে কি হোঁছট খাব?

কবির অকাল প্রয়ান

যৌবনে সম্ভবনাময় কবির ঔরস প্রোথিত গর্ভ হতে
আজ নেমে গেল জন্মবিধৌত মৃত প্রসব যন্ত্রণা
তার দশমাস সন্তান যাতনা ছিল
সতর্ক চলনেও তার অন্তঃ ছিল ভার
ডাক্তারি পরীক্ষা সব ঠিকঠাক ছিল
আল্ট্রাসনোগ্রামেও সমস্যা পায়নি খুঁজে
জন্মদানের ব্যাপারটিও ছিল স্বাভাবিক
তবুও অপ্রাকৃত পৃথিবীতে মৃত প্রসবের জন্ম যাতনায়
কবির অকাল প্রয়ান তিথীটাও এঁকে গেল।