রবিবার, ১ মে, ২০১৬

কারও দেখায় সুখ, কারও অসুখ!!!

কারও দেখায় সুখ, কারও অসুখ!!!

- প্রতিদিনকার গুম-খুন-আহাজারি-ধর্ষনে আমাদের নেতা-নেত্রী-মন্ত্রী-এমপি-সরকারগোষ্ঠী চোখ-মুখ কাচুমাচু করে ভেতরে দম ফাটানো খুশি নিয়ে সংবাদ সম্মোলন করে আর তা দেখে আমজনতা পিত্তির যন্ত্রণার মরে...

ঘৃণা

সৃষ্টি রহস্য উলঙ্গ, সঙ্গমরত যুগল উলঙ্গ
জন্ম-জৈববৃত্তি উলঙ্গ, বিবেক-বোধ উলঙ্গ
শুধু নেড়া মাথায় ঘোল ঢেলে মানুষের দাবী তারা সভ্য!!!

শালারা!! নিত্য-নৈমিত্তিক বৃত্তবলয়ে গড়ে তুলছে যত্তসব অদ্ভুত উপখ্যান
দিন-রাতের ব্যবধানটুকুতে থাকে আড়াল হিংস্র জানোয়ার আর ভগবান।

চাওয়া-পাওয়া

আঁধারকে কি কেউ ডেকেছে কখনও অসীম ব্যথার রোধনে?
অথচ জগত সংসারময় কত দীপ পুড়ে অনন্ত আলো আহ্বানে

যা ফসিল তা মেলে সংসারে যুগব্যাপী চাপা সয়ে
জীবনের পথ দিকে-দিকে বদলায় অন্তরে বিষ বয়ে

খাল-নালা-ডোবায় জমে জঞ্জালস্তুপ পঁচে দিগন্ত কটুবাসে
অথচ অনলে ধুপ না পোঁড়ালে সুবাস মেলে না তার আশে

শুভ নববর্ষ-১৪২৩

সময়ের পাতা বদল! 

জীবনের ভাবনাকে সঙ্গিন করে চলতে-চলতে ফিরে গেল পুরনো বছর
আর দেহভরা ক্লান্তিতে একটু বিশ্রামের সুখ-সন্তোষ আর স্বপ্নের আশ্রয় করে
ফিরে এল আরও একটি নতুন বছর।

অতীতের জরাজিহ্নতা আর তপ্তখরা কেটে সবাই যেন বালুবেলার সৈকতে
স্বপ্নটাকে হাতে ধরে বেড়াতে পারে, সে শুভকামনা সতত সবার জন্য।

শুভ নববর্ষ-১৪২৩।

তারা আসলে কি? -সে বরং তারা নিজেরাই ভাবুক

শুধুমাত্র সুনাম কুড়োবার জন্য সবাই লেখে না, অনেক বড় প্রতিভাবান দেখাবার আশায় কিংবা প্রতিষ্ঠিত হবার জন্যও সবাই লেখে না। কিছু লেখা মনের গতিকে রোধ করে, ভারাক্রান্ত মনকে স্থির করে, কখনও ভাষা ভালোবাসা অনুভবকে প্রকাশ করে।

প্রতিদিন অনেক প্রতিষ্ঠিত সমাদৃত লেখকদের মনের ক্ষুধা নিবৃত করার মতো অনেক ভালো-ভালো লেখায় যেমন মনের তাগিদ পাই, চেতনা জাগ্রত হয়। ঠিক তেমনি কিছু সমাদৃতের কলমের খোচায় মনটা ভারাক্রান্ত হয়।

আগেই বলছি সবাই প্রতিষ্ঠা পাবার আশায় লেখে না। যদি তাই হত- আমার মতো অবিবেচকেরও ৫-৬ টি বই এতদিনে কারও কারও হাতে হয়ত পৌঁছত। খুব সহজে টাকা দিয়ে বই বের করবার মতো সেই সামার্থ্য আমার হয়ত ছিল!

তবে প্রশ্ন আসতে পারে দূর্বোধ্য ছারপাশ লেখা কেন? কেন অকারণ সাহিত্যের ময়লার স্তুপ জমানো?

আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি- প্রত্যেকে তার চোখে দুনিয়াকে দেখে, তার মতো করে দুনিয়ার সমস্ত নাড়ি-নক্ষত্র বিশ্লেষন করতে চেষ্টা করে। আর বিশ্লেষন করা এইসকল তথ্য-উপাত্ত কেউ-কেউ খুব সহজে অন্যের কাছে বলার ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করতে পারে, কেউ আবার নিজস্ব জীবনদর্শন নিজের মধ্যেই জমিয়ে রাখতে পারে। এই দুটো শ্রেণীবাদে আরও একটা শ্রেণী আছে যারা দুটোর কোনটাই করতে পারে না। তাদের সমস্ত জীবনদর্শনের কিছু বোধ প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম কাগজ-কলম। মূলতঃ নিজেদের আত্মবিশ্লেষনটাকে প্রকাশ করবার আশায়ই তারা লেখে। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নটা আসে- তবে সাহিত্য জগতে ছারপাশের স্তুপ জমানো কেন? এখানে প্রশ্নটি করার আগে বলতে হবে- যারা অন্যের সবধরনের অভিব্যক্তিটাকে সাহিত্য বলতে চাইছেন- তারা আসলে কারা? - সাহিত্যে আবর্জনার স্তুপ জমানোর কথা বলবার আগে, তাদের মানষিক অবস্থা জানা প্রয়োজন। কারণ কোন লেখাটি সাহিত্য হিসেবে স্থান নেবার যোগ্যতা রাখে আর কোন লেখাটি মনের ভাব প্রকাশের জন্য লেখা, এই দুটোকে যারা আলাদা করতে জানে না, তাদের মানদন্ড নিয়ে মনে সংশয় জাগে।

আর একটি কথা- কাকের ময়ুরের পাখনা পড়লে যেমন কাক ময়ুর হয় না, তেমনি কাক স্বাদ করে ময়ুরের পাখনা পড়ে ঘুরলে যারা কাক আর ময়ুরকে আলাদা করতে পারে না, তারা আসলে কি? -সে বরং তারা নিজেরাই ভাবুক।

ফিরে দেখা দর্পনের প্রতিবিম্ব

ফিরে দেখা দর্পনে দুটো প্রতিবিম্বের প্রতিচ্ছবি সবচেয়ে বেশী প্রতিফলিত হয়, একটি বিম্ব প্রতারকের অন্যটি প্রতারিতের।

প্রতারক ভাবে মানুষজন কতটা সরল আর বলদ হতে পারে। আর প্রতারিত ভাবে সরলতা আর বিশ্বাসকে মানুষ কতটা হীণমন্যতায় ব্যবহার করতে পারে।

প্রতারকের আছে হিংস্র জানোয়ারের মতো উল্লাস কিন্তু প্রতারিতের কাছে থাকে সরল বিশ্বাস নিয়ে খেলার দুঃখবোধ আর চাপা ক্ষোভ।

আপনারা মশাই কেবল আবেগে ভূল জায়গায় পড়ে যাচ্ছেন

ছাত্র-ছাত্রী আর সাধারণ জনতা বেশী আবেগী। আরে বাবা, তনু নামের কেউ নেই। gasp emoticon সরকার প্রশাসন তাই বলতে চাইছে আর আপনারা অকারণ অনর্থ বকে যাচ্ছেন- তাকে ধর্ষন করে মারা হয়েছে?

দেখুন সরকার প্রশাসন তাদের জায়গায় সঠিক!!! সমস্যা হল গিয়ে- সময়ের পরিবর্তন আপনাদের খেয়াল নেই...

সরকার প্রশাসন পিছনে পড়ে থাকতে চায় না বলে তারা অনেক এগিয়ে গেছে আর আপনারা উল্টো আগের সময়ে ফিরে গিয়ে অকাট্য যুক্তি দেখাচ্ছেন।

সময়ের হিসেব কষে দেখুন আপনারা মশাই কেবল আবেগে ভূল জায়গায় পড়ে যাচ্ছেন। সরকার প্রশাসন অনেক এগিয়ে জীবিত তনু আর তার গোষ্টির পিন্ডি চটকাচ্ছে...

(কুমিল্লার ক্যান্টনম্যান্ট এলাকায় সাদিয়া জাহান তনুকে ধারনা করা হয় প্রশাসনিক লোকজন ধর্ষন করে মেরে ফেলে। কিন্তু সব বুঝেও যখন প্রশাসন চেপে গিয়ে তার পরিবার পরিজনের উপর চাপ প্রয়োগ করে তখন আমাদের মতো সাধারনের আর্তচিৎকারটাই সারমর্ম হয়। এই প্রসঙ্গে এই স্যাটোয়ার।)

ভালোবাসা দেখানো খুব সময়ই কঠিন !

ভালোবাসা দেখানো খুব সময়ই কঠিন !
চাইবার মতো মন থাকলে- ফুল ছুঁয়ে শিহরণ মেলে,
পাখির কাকলিতে তন্ময় জমে, অথবা সাগরের গর্জনে উল্লাস আসে।
আবার নেবার মতো অধিকার থাকলে- চেয়ে নেয়া যায়,
আহ্লাদি আবদার করা চলে, কখনও আবার কেড়ে নেয়া যায়।

পতঙ্গ ভাবনা পতঙ্গের মত, মনুষ্য ভাবনা মানুষের মত
আর জাগতিক ভাবনা জগতের মত...
পতঙ্গ আনন্দ অহরসে অনলে আত্মাহুতি দেয়,
মানুষ চিত্তোল্লাসে ধ্বংশযজ্ঞে আসক্ত হয় আর অসহ্যে জগত ধুমড়ে-মুছড়ে রুপ পাল্টায়।
না; সেযে, বলছি- ভালোবাসা দেখানো খুব সময়ই কঠিন! সেখানে ফিরি-
দেখুন; সময়ে ভালোবাসা পাথরে ফোঁটে, গোবর হতে নেমে আসে আগরের সুগন্ধি,
মোলায়েম পদ্ম ফোঁটে নোংরা দুর্গন্ধ ডোবায় আর কাঁটার আঘাতে দেহ বেড়ে বের হয় বীষ।
অনুসঙ্গ নয়, ভালোবাসার রুপ ঘাটলেও অনেক সময় বোধে আসে না।
আসলে কোনরুপে কোন ভালোবাসা কারে বাঁধে তা বোঝাবার মতো সামর্থ্য কয়জনারই বা আছে?

ভাবীর কথামতো নিলেন নাকি?

অফিসের কলিগের দুটো বাচ্চা, দুজনেই ছেলে। তাই বেচারার একটি মেয়ের শখ। ভাবীর কাছে আবদার নিয়ে গেলে, ভাবী সাফ জানিয়ে দিলেন দু‘বাচ্চার যন্ত্রণাই তিনি টিকছেন না, আবার মেয়ে?

এরপরও পুনঃ আবদার হলে- ভাবী জানায় বাচ্চা নিজের পেটে নিতে। tongue emoticon

আজ কলিগ বলছে- তার মাথা ঘুরছে, বমি-বমি লাগছে। বললাম, কি ব্যাপার বলেন তো? ভাবীর কথামতো নিলেন নাকি? gasp emoticon

মরু বালু

মরু বালু ভাবতে পারেনি আজও
বুকে নামতে পারে জলতরঙ্গ খেলা
সূর্য্য দহনলে পুড়ে বুকের মাঝে তাই
গড়ে তোলা ছলে জলতরঙ্গ বেলা

বস্তি

এখানে জীবন বাস্তবতা শেখার, কঠিন পরাভূত করার
আর জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াবার চেষ্টা বারবার!
“জীবন যেখানে আশ্রয়হীনের” - সেখানে কেউ আশ্রিত
“জীবন যেখানে যান্ত্রিকের” - সেখানে কেউ যন্ত্র
এখানে ভোগ আছে বিলাষ নেই
ক্ষমা আছে ক্ষমতা নেই
মমতা আছে মায়া নেই
বলার ভাব আছে ভাষা নেই

ছোট্টশিশু সে যেমন শীর্ণকায় নিয়ে নুন-মরিচে ক্ষুধা ভুলে
জিহ্নকায়ের বয়োবৃদ্ধও দুঃসহ পরিনতি ভেবে পথ ভুলে...

এখানে প্রতিটি দিন পার হয় যুগের আবর্তে
বেঁচে থাকা মানুষগুলো জানে তাদের গড় আয়ু শত-সহস্র
তবু বিনয়ে এদের পরাজিত করার শক্তি পাবে যে; সে মহান
এদের জীবনের রহস্য নিয়ে ভাববে, সে ত কেবল ভগবান...

শুধু চৈত্রের খরা কেটে বর্ষার ধামাকায় পড়লে
চারপাশের পচাগলায় থেকে এরা ভাবতে পারে
এখনও ত পঁচি নি! দিব্যি মানুষ বলছে লোকে!
বস্তিতেও মানুষ নামের কেউ বেঁচে
শুধু জানেনা তারা জীবন বলে কাকে?

বিশ্বাস

বিশ্বাসটাই মনের সবচেয়ে বড় খোরাক। নিত্য-নৈমত্তিক বিষয়ে যিনি যতবেশী বিশ্বাসটাকে মনে অনুধাবন করতে পারেন, তিনি ততবেশী তার মনকে দৃঢ়-প্রগাঢ় করে তুলতে সক্ষম।

যথার্থ অনুধাবন আর দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্তিকে আত্মউন্নতির সর্ব্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারে।

ব্যক্তিস্বাধীনতা

আমি ব্যক্তিস্বাধীনতা বলতে বুঝি, যেটুকু অন্যের অধিকার খর্ব না করে অথবা অন্যের উপর মানষিক চাপ সৃষ্টি না করে করা সম্ভব হয়...

প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ

যারা চিন্তা আর প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের দুনিয়া তাদের চিন্তা ধারাক্রমকে অনেক সময়ই দমবন্ধ করার পর্যায়ে নিয়ে ফেলে।

প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে সারা পৃথিবীর মানুষ। সময়-পরিবেশ-পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনায় কম-বেশী পার্থক্য থাকে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমগুলোতে যখন প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনার স্তরগুলোর পার্থক্য ক্রমাগত আসতে থাকে, তখন চিন্তা ভাবনায় তাড়িত মানুষগুলো অনেকবেশী ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে তার ভাবনা জগতটার পরিসর বাড়লেও হঠাৎ সম্ভাব্য ভাবনার অধিক ভাবনায় পড়ে অনেকের তাল কেটে পড়ে। ফলতঃ অনেকেই খেই হারিয়ে পদচ্যূত হয় নিজের স্বাভাবিক ভাবনা থেকেও।

চাওয়া

তোমার কাছে যেটুকু রুপ রং
কিছু কদর আছে তার আমার কাছে
তাই বলে নেউলে এনে সাপ খেলাবে
চাওয়াটা একটু বেশীই লাগছে...