শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

বাকীসব নিরর্থক বোধ হয়

এখনকার দুনিয়া এমন এক জায়গা যেখানে বীষটাও কিনে খেতে হয়।
পূঁজিবাদ চক্র দুনিয়াটাকে এতটা অর্থময় করেছে, বাকীসব নিরর্থক বোধ হয়!!

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

সম্পর্ক

আমাদের কোথাও একটা বড় ভুল ছিলো
সে ভুলটাকে নিয়েই আমরা বন্ধন গড়েছি
আমাদের পরস্পরে যোজন ব্যবধান ছিলো
তা আঁকড়েই আমরা নিজেদের জড়িয়েছি।
আমাদের ভাবনারা ভিন্ন ছিল
চলার পথ পারত (পারত পক্ষে)
আমাদের চিন্তা-চেতনায় বৈষম্য ছিল
ব্যাস বিন্যাসও হয়ত
তবুও বলি;
যদি ঐ ধ্রুবতারা সত্যি হয়,
যদি এ পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, মাটি, জল সত্যি হয়
যদি পৃথিবীতে প্রেম-ভালোবাসার নামটি সত্যিই রয়
তবে একদিন আমরাও অজান্তে এতটুকু বেসেছি
যেটুকু বন্ধনটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কালান্তে
হয়তো জন্ম-জন্মান্তে...
উত্তপ্ত নিঃশ্বাসে-
তাই আমরা বীজ বুনি প্রজন্মের!

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০

এমন নির্ঝর দিনে

 এমন নির্ঝর দিনে
    তোমাতে এঁকে যাই
    আমার হৃদয়াদ্রিত বাসনা,
এমন শিরশির ছোঁয়ায়
    তুমি আমি দু'জনে হারাই
    না জানা কোন অজানায়।

বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০

শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০

ভাবতে চাইলে

ভাবতে চাইলে
এও এক জটিল সমীকরণ
অর্ধাংশ কিংবা অর্ধাঙ্গিনি হও
হবেনা দু'য়ে সহমরণ।

এদেশে লকডাউন তুলে দেওয়া উচিত

দেশের সামগ্রিক বিবেচনায় লকডাউন এ দেশের জন্য মোটেই সমাধান নয়। তাই এদেশে লকডাউন তুলে দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। বিষয়টি এজন্যই বিবেচনার-
১) এদেশের মানুষ প্রচন্ডরকম অসচেতন, একগুঁয়ে, কট্টর, সংস্কারহীন, দাসমনোবৃত্তির, ঐক্যহীন, মতহীন, অধিক কৌতুহলী, ভাবলেশহীন, অগ্রাহ্যমনা, নীচমনা, দূর্বল

স্বভাব ও দূর্বল চিন্তাধারার।
২) সরকার ব্যবস্থা পক্ষকেন্দ্রীক, শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অসমর্থ্য, ভীরুতাপূর্ন্য, ক্ষমতাকেন্দ্রিক।
৩) রাস্ট্র ব্যবস্থা দূর্বল, অসহনীয়, নীতিনৈতিকতা বিবর্জিত, অাগ্রাসী।
যেহেতু রাস্ট্র, সরকার আর জনগনের মধ্যেকার কোন সমন্বয় বা ঐক্য সংস্থাপন কোনভাবেই সম্ভব নয়, তাই লকডাউনের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এদেশে প্রয়োগও

বাস্তবিকভাবে সম্ভব নয় বরং এতে কর্মহীন মানুষের দিকে দুর্ভিক্ষ ধেয়ে আসবে আর করোনা থেকে বাঁচাবার পথ খোঁজা এখানে অমূলক হয়ে দাঁড়াবে।

বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

সময় পুরিয়ে এল ঐ যাবি কি সঙ্গে যাবি

ওরে ব্যাকুল বেহালা
আর কতদিন গাবি
সময় পুরিয়ে এল ঐ
যাবি কি সঙ্গে যাবি!!


মনে আজ এক অজানা
শঙ্কার ঢংগা বাজে ঐ
বাতাসে নিঃশব্দে বাজে
মৃত্যুর শিকল পড়ল কৈ
জানাতে সব অজানা
রক্তচোষা রক্ত খাবি!!
সময় পুরিয়ে এল ঐ
যাবি কি সঙ্গে যাবি!!


শুনেছি সময়ে পুরোবে
সময়ের পার্বণ
মৃত্যুর পর ছুবেনা দেহ
এমনই সে মরন
বসে অঘোর ঘোরে ভাবি
তবে কি সঙ্গে রবি!!
সময় পুরিয়ে এল ঐ
যাবি কি সঙ্গে যাবি!!


আজ মরি তো
কাজ হবে না
স্বপনের ভীটে
ঘর হবে না
যারা লড়িল
তারাও চলিল
মাঝখানটায়
নীরব সবি!!
সময় পুরিয়ে এল ঐ
যাবি কি সঙ্গে যাবি!!

মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০

সর্বতো সকলের মঙ্গল কামনায়

মৃত্যু অনিবার্য্য! নির্ধারিত!
হয় আজ অথবা কাল।
কিন্তু সেবা পেশাকে বেছে নিয়ে কাপুরুষের মত জীবন বাঁচাতে ঘরে আবব্ধ হতে চাই না। 
যতক্ষন সুযোগ আছে মানুষের কল্যানেই বাঁচতে চাই। আর এতে অপেক্ষমান


মৃত্যু দ্রুত হানা দিতে চাইলেও তাকে অভিবাদন জানাই।
যদি মৃত্যু কেড়ে নিতে চায়, তবে একটাই আপসোস অবশিষ্ট বর্তমান থাকবে। তা হল- আমার ছোট দুটো বোনকে আর যে সন্তানকে সহসায় ভরসা দিয়ে মমতার দুনিয়ায় নিয়ে এলাম, তাদের কোন শক্ত ভিট আমি রচনা করে যেতে ব্যর্থ হলাম।
সর্বতো সকলের মঙ্গল কামনায়, স্রষ্টা আমাদের সকলকে ভালো রাখুক, সুস্থ রাখুক।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২০

শূণ্যতা

মৃত্যুর পরেই একজন মানুষ কতটা শূণ্যতা তৈরী করতে পারে তা বোঝা যায়।
মা ছেড়ে গেলেন ১৪ বছর শেষ হতে চলল, এর মধ্যে চারপাশ জুড়ে কত নতুন  সম্পর্ক বাহুপাশে বেঁধে নিল, অথচ আমার মায়ের তৈরী করা শূণ্যতার দশ শতাংশ ও সবে মিলে পূরণ করতে সমর্থ হলো না। স্বার্থপর দুনিয়ায় আমার মায়ের শূণ্যতাই কেবল আমাকে তাড়া করে ফিরল।

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাবা হবার অনুভূতি

বাবা হবার অনুভূতি সত্যি অন্যরকম অসাধারণ। গতকাল সন্ধ্যেয় সে বুক ভরে পূর্ণতা এনে দিলে আর তাতে সারাটা রাত কখন যে জেগে কেটে গেল, টেরটিও পেলাম না। 

(আমার প্রথম সন্তান ত্রিদেবের জন্মদিন)

বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯

সমস্ত ক্লান্তি ফিরিয়ে দিলে

অতটা মুছোনা আঁখি, যতটা ভরে জলে
ফিরিয়া যদি না দেখি, কতটা অশ্রুজলে


একদিন সমস্ত ক্লান্তি ফিরিয়ে দিলে
তোমার কাছেই ফিরব সখী ঠিক
সেদিন তোমার ঐ আঁখি জল
মোর আঁখিতে পাবে দিক।

অশ্রু ঋণ

তোমাকে আমি হারাচ্ছি যত প্রিয়া
তুমিও আমায় হারাচ্ছ তত প্রিয়,
মাঝের ভূল খুনসুটি ভুলে হারাবার দিন
অসম্ভবের ক্ষণতায় গড়িবে অশ্রু ঋণ।

বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯

পথ খুঁজি কোথাই....

কাঁচা শরীর পেকে গেছে,
কাঁচা শরীরে পাক ধরেছে
উপায় খুঁজে না পাই
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....।


আড়ম্বর করিয়া আমি, ভেবেছি কি ভুখে
কাটিয়ে দেব এমনি করে, রঙ্গরসে সুখে
বয়সদোষে দেহকোষ মরে গো গোসাঁই
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....


মধুকে মধুকর বসে, খেল মধু সুখে
সুখের প্রমোদ গৃহ, হাসি মুখে-মুখে
হঠাৎ গৃহে ঝড় বহিয়া, গৃহ উজানে মিশে যায়
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....


যদি বোধ এমন হতো,
মানব ভ্রুণ কি কভু প্রমোদে ভুলিত
জানি বা কি? জানি বা কোথায়? সাঁই
ডাকে অবিবেচক অসহায়
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....

রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

দুনিয়ায় সমস্ত সৌন্দর্য

দুনিয়ায় সমস্ত সৌন্দর্য ভীরুতা আর ঢংয়ে পরিপূর্ণ।
দুনিয়া যতবেশি গর্দভে ভরে উঠবে, দুনিয়া ততবেশী হাসি-হুল্লোরে মেতে উঠবে।
বুদ্ধিমান-জ্ঞানীজনের হাতে পৃথিবীটা অনেক বেশি যান্ত্রিক আর অসুখী।

সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮

গুচ্ছ কবিতা

 পূর্বাকাশে মুক্তির সূর্য, দিয়েছে আলো ঢেলে
স্বাধীন আমরা স্বস্তি মোদের, জন্মভুমির কোলে।
=====================
কত সাধনা কত স্বপ্ন কত বিস্তৃত রেখা
সবকিছু মিশে আছে এই মুক্তির পতাকায়।
======================
হিংস্র হায়নার সামনে বসে, এঁকেছি বিজয়রেখা
যে রেখায় হল বিনিময়- এক সাগর রক্ত, একটি পতাকা।
====================
গাঢ়সবুজ সীমানায় মিলেছে রক্তের নদ
বাতাসে মিশেছে আহাজারি; হা-হা-কার
লক্ষপ্রাণের বিনিময়ে পাওয়া পতাকা
তোমার-আমার এই বাংলার।
===================
সবাই ভূলে যায় সময় পেরিয়ে
ভুলে গেছে হয়ত সবাই
কত আর্তনাদ, কত অভিপ্রায়
মিশে আছে এ মাটিতে, বাংলায়।
==================
যে ভয়ংকর রাতে, যে রক্তধারার করালস্রোতে
জন্মনেয় বাঙ্গালীর বীরত্বের ইতিকথা,
সে ইতিকথায় স্বপ্ন খোলে, আগামীর শিশু হাসে মায়ের কোলে
মানচিত্রে তুলে ধরে মুক্তির আহ্লাদে- মুক্ত পতাকা; বাংলার স্বাধীনতা।