অনেক ভেবে দেখেছি, এখনও ভাবছি। উত্তর একটাই মিলল, কেউই ছাড় দিতে রাজি নয়, কেউ ছাড় দিতে চায় না। না বাবা, না ভাই-বোন, না পাড়া-পড়শি-বন্ধু-বান্ধব। স্বার্থসুখেই সকলে মুখে কবুল বলে, আবার স্বার্থ পুরোলেই তালাক দিয়ে পিছু হটে। মুখের কিংবা সুখের স্বাধীনতা নামক স্তবকটিও ভাব না বুঝে নিরুদ্দেশে চলে যায়। সময় মুখোমুখি দাঁড়ালে মতের বিমতে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তির হাতেও খড়গ চলে আসে।
সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৪
সজাগ
জীবনযুদ্ধে নিজেকে একা লড়ে যেতে হয়, কিন্তু বাঁচতে গেলে সবাইকে নিয়েই বাঁচতে হয়।
তাই যাদের নিয়ে আপনাকে বাঁচতে হবে তাদেরকে ছাড় দেয়ার মানষিকতা সম্পর্কে বারংবার সজাগ করুন। না হলে আপনার নিজের বেঁচে থাকাটাই দূরহ হয়ে পড়বে।
আলোর বিশোধনে
দিন-রাতগুলোকে আগের মত আলাদা করতে পারি না
আলাদা করতে পারি না হৃদয়ের আধকৌণে জমা স্মৃতিভার।
বুক পকেটে খোলা খামে চিরকুটটি সাক্ষী হয়ে যায়
শুধু সিঁথিতে সিঁধুর লেগে কারও বাসর রচিত হয়,
আর মেনে নিতে না পারা কারও আঁচল ভিজে যায়।
জীবনের বেলাভূমে সবকিছু বড় বর্ণিল!
অথচ আলোর প্রকাশে কত স্বরূপের ব্যত্তি ঘটে
কুয়াশাঘেরা পৃথিবীরও ঘোর কাটে আলোর বিশোধনে।
আলাদা করতে পারি না হৃদয়ের আধকৌণে জমা স্মৃতিভার।
বুক পকেটে খোলা খামে চিরকুটটি সাক্ষী হয়ে যায়
শুধু সিঁথিতে সিঁধুর লেগে কারও বাসর রচিত হয়,
আর মেনে নিতে না পারা কারও আঁচল ভিজে যায়।
জীবনের বেলাভূমে সবকিছু বড় বর্ণিল!
অথচ আলোর প্রকাশে কত স্বরূপের ব্যত্তি ঘটে
কুয়াশাঘেরা পৃথিবীরও ঘোর কাটে আলোর বিশোধনে।
ছল্
ঘর বেঁধেছি-
সুখকে নিয়ে নয় বরং তোমাকে নিয়ে
স্বপ্ন সাজিয়েছি-
কাউকে দিয়ে নয় বরং তোমাকে দিয়ে
অথচ সাজানো নাট্যশালার রঙ্গচিত্রে-
আমাকে করতে হল প্রতারক পাঠে অভিনয়?
সুখকে নিয়ে নয় বরং তোমাকে নিয়ে
স্বপ্ন সাজিয়েছি-
কাউকে দিয়ে নয় বরং তোমাকে দিয়ে
অথচ সাজানো নাট্যশালার রঙ্গচিত্রে-
আমাকে করতে হল প্রতারক পাঠে অভিনয়?
শ্মশানঘাট
পড়ন্তবেলা স্মৃতিকথার হানা দেয়া শেষ হলে
মেঘদল কাঁশফুলে শরতের আকাশ ছুঁয়ে যায়
হঠাৎ অবধারিত বারিধারা নামে,
সমাপ্তীরগল্প পুকুর পাড়ে রচনা করে শ্মশানঘাট।
মেঘদল কাঁশফুলে শরতের আকাশ ছুঁয়ে যায়
হঠাৎ অবধারিত বারিধারা নামে,
সমাপ্তীরগল্প পুকুর পাড়ে রচনা করে শ্মশানঘাট।
স্বীকৃতি
যদি আপনি এক ঘন্টা পরে ঘুমান, যদি আপনি এক ঘন্টা আগে উঠেন
তবে পৃথিবীতে কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, আপনি অন্য কারও থেকে বেশি কিছু করেছেন।
জানি আপনার কর্মে আপনার কোন লাভ হয়ত হবে না, হয়ত আপনাকে কেউ আপনার যোগ্য সম্মানে অবহেলা করবে, কিন্তু আপনার ভিতরকার শক্তিতে আপনি দৃড় হবেন, আপনি তাতেই এগিয়ে যাবেন। আর এই এগিয়ে যাওয়াই আপনাকে বাঁচিয়ে দেবে, আপনার কর্মের গুণকৃর্তিতে।
------শ্রদ্ধেয় রেজা স্যারের কথা কে কিছুটা বিস্তৃত করে সাজিয়ে লেখা। ( এটা আমার সিনিয়র কলিগ সবুজ ভাইয়ের মাধ্যমে জানা।)
শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৪
মানুষ বাঁচে
মানুষ বেঁচে থাকে নিজের কৃর্তিগাঁথা স্থাপনের আশায়
নতুবা অকারণ অস্পষ্ট বেদনা পুষে রাখার আশায়!
নতুবা অকারণ অস্পষ্ট বেদনা পুষে রাখার আশায়!
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০১৪
বেওয়ারিশের আত্মকথণ
পঁচা-গলা আবর্জ্জনার আঁশ দেহে লেপ্টে মলিন হয়েছে খুব
বুভূক্ষু আমি ক্ষুধায় রাস্তায় নামি, ডাস্টবিনে খাবার পাই
পঁচা খাবারে পেট ফুঁলে, মল ঝরে, পথে পড়ি-পড়ি করি
অদেখা অন্তহীন পথে তবু আমি মানুষ হয়ে বেঁচে আছি!
অতীতেও আমি মানুষ হয়ে ছিলাম, বর্তমানেও আমি মানুষ
ভবিষ্যতেও আমি মানুষ হব, ঈশ্বরের নাকি প্রতিজ্ঞা তাই
জন্মের পর জন্ম হবার আক্ষেপ ঘুছে যায় সলর্জ্জ অভিমানে
দূর অধরায় বসে ঈশ্বর খুশিতে ভ্রুকুটি কাটে ভাবোউল্লাসে!
বুভূক্ষু আমি ক্ষুধায় রাস্তায় নামি, ডাস্টবিনে খাবার পাই
পঁচা খাবারে পেট ফুঁলে, মল ঝরে, পথে পড়ি-পড়ি করি
অদেখা অন্তহীন পথে তবু আমি মানুষ হয়ে বেঁচে আছি!
অতীতেও আমি মানুষ হয়ে ছিলাম, বর্তমানেও আমি মানুষ
ভবিষ্যতেও আমি মানুষ হব, ঈশ্বরের নাকি প্রতিজ্ঞা তাই
জন্মের পর জন্ম হবার আক্ষেপ ঘুছে যায় সলর্জ্জ অভিমানে
দূর অধরায় বসে ঈশ্বর খুশিতে ভ্রুকুটি কাটে ভাবোউল্লাসে!
রাগ
আগের মত রাগছি না
তোমার সাথেও থাকছি না
হয় যদি হোক-
সব কিছুর আজ অবসান,
দিন পড়ছে বলে চলি
পথের সাথে কথা বলি
পথ ভূলে হোক-
চোখ ইন্ধনের আহ্বান।
তোমার সাথেও থাকছি না
হয় যদি হোক-
সব কিছুর আজ অবসান,
দিন পড়ছে বলে চলি
পথের সাথে কথা বলি
পথ ভূলে হোক-
চোখ ইন্ধনের আহ্বান।
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ঘুছবে সকল প্রণয় বাসনা
আমার দেহ তোমার দেহে জড়িয়ে ধর
প্রাণের ব্যাকুল তৃষা মিটিয়ে আদর কর
দেব আমার যা কিছু তা উজাড় করে
দিও তোমার যা কিছু তা তোমার করে।
সুখেরস্রোতে যখন মোদের স্বপ্ন হবে
সে স্বপ্নে নতুন একটা পৃথিবী পাবে
যে পৃথিবীতে জ্যোৎস্না দেবে চাঁদনী কন্যা
রবির আলোয় ঘুছবে সকল প্রণয় বাসনা।।
প্রাণের ব্যাকুল তৃষা মিটিয়ে আদর কর
দেব আমার যা কিছু তা উজাড় করে
দিও তোমার যা কিছু তা তোমার করে।
সুখেরস্রোতে যখন মোদের স্বপ্ন হবে
সে স্বপ্নে নতুন একটা পৃথিবী পাবে
যে পৃথিবীতে জ্যোৎস্না দেবে চাঁদনী কন্যা
রবির আলোয় ঘুছবে সকল প্রণয় বাসনা।।
মা তোমাকে আমি খুব মিস করছি
ছোটবেলা থেকে দেখা স্বর্গালোকপ্রাপ্তীর আগ পর্যন্ত আমার মায়ের যে জীবনযুদ্ধ করে টিকে থাকা, এখনো জ্বলজ্যন্ত হয়ে জ্বলছে আমার দু‘চোখে। এখনকার সকলকে এমনকি আমার বোনদের দিকেও তাকিয়ে আমি নির্ধিদ্বায় বলে দিতে পারি, তার এক কিঞ্চিৎ গ্রহণ করার মতো শক্তিও তারা নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে পারছেনা। হতে পারে সময় ব্যবধানই তার প্রধান কারণ।
আমার জীবনের যতটুকু শিক্ষা আজ বর্তমান তার ৭০শতাংশই আমার মায়ের কাছ থেকে আমি পেয়েছি।
আমার লেখালেখির যাবতীর ইচ্ছে বা আগ্রহ, তার সমস্তই আমার মায়ের কাছ থেকে নেয়া। মায়ের মুখ থেকে শোনা দু‘একটা লাইন যেগুলো আমার মনে ধরত, সেগুলো দিয়েই আমার প্রথম দিকের লেখার হাতে খড়ি। যেমনঃ
মা একদিন বললেন- ছোট‘রা কাঁচামাটির চুলোর মতো, এদেরকে ছোটবেলা থেকে যেভাবে গড়ে তোলা যাবে, এরা সে`মতই হবে।
আমার জীবনের যতটুকু শিক্ষা আজ বর্তমান তার ৭০শতাংশই আমার মায়ের কাছ থেকে আমি পেয়েছি।
আমার লেখালেখির যাবতীর ইচ্ছে বা আগ্রহ, তার সমস্তই আমার মায়ের কাছ থেকে নেয়া। মায়ের মুখ থেকে শোনা দু‘একটা লাইন যেগুলো আমার মনে ধরত, সেগুলো দিয়েই আমার প্রথম দিকের লেখার হাতে খড়ি। যেমনঃ
মা একদিন বললেন- ছোট‘রা কাঁচামাটির চুলোর মতো, এদেরকে ছোটবেলা থেকে যেভাবে গড়ে তোলা যাবে, এরা সে`মতই হবে।
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
কার্পণ্য
৭৫‘ পরবর্তি সময়ে বঙ্গজননী নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক সন্তান পয়দা করতে না পারলেও মুখোশধারী কপট সন্তান পয়দা করতে কার্পণ্য করে নি।
ভাবনা
যে নিজের বিশ্বাস কে চেনে, বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করতে জানে, সে তার শ্রদ্ধা-বিশ্বাসে নিজের প্রত্যয়কে জানে। কিন্তু অবিশ্বাসী লোকদের কাছে সকলে স্বার্থপর ঠেকে।
প্রবচনঃ সংগ্রহ ননুদাদু থেকে
লেই রাখছি কলাহাত্রে, হুন মারাও গৈ হাত্রে হাত্রে।
( সংগ্রহঃ ননুদাদুর কাছ থেকে)
উপরের প্রবচনটি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত, যেটা আমি শুধুমাত্র আমার শ্রদ্ধেয় ননুদাদুর কাছ থেকেই শুনতাম। এখানে ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষাসমূহ- লেই=লিখে, কলাহাত্রে= কলারপাত্রে, হুন= মানব দেহের পশ্চাৎদেশ, মারা= মার খাওয়া/দেওয়া, হাত্রে- জমিনে/ক্ষেতে।
এই প্রবচনটি তিনি তখনই কেবল ব্যবহার করতে, যখন তিনি কাউকে কোন ভালো বিষয়য়ে বুঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে রেগে পড়তেন।
( সংগ্রহঃ ননুদাদুর কাছ থেকে)
উপরের প্রবচনটি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত, যেটা আমি শুধুমাত্র আমার শ্রদ্ধেয় ননুদাদুর কাছ থেকেই শুনতাম। এখানে ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষাসমূহ- লেই=লিখে, কলাহাত্রে= কলারপাত্রে, হুন= মানব দেহের পশ্চাৎদেশ, মারা= মার খাওয়া/দেওয়া, হাত্রে- জমিনে/ক্ষেতে।
এই প্রবচনটি তিনি তখনই কেবল ব্যবহার করতে, যখন তিনি কাউকে কোন ভালো বিষয়য়ে বুঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে রেগে পড়তেন।
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
রহস্যময় পৃথিবী
পৃথিবীতে মানুষের বিশ্বাসের বাহিরেও অনেক কিছু ঘটে, মেনে নিতে না চাইলেও অনেক কিছু মানতে হয়। এমন কিছু না চাইলেও হঠাৎ মেলে আবার নিশ্চিত প্রাপ্য কাঙ্খিত বস্তুটি অদৃশ্য হয়ে যায়।
পৃথিবী রহস্যময় !!! তাই রহস্যভেদ করার ইচ্ছেও মানুষের মাঝে প্রকট। যদি পৃথিবী রহস্যহীন হত? তবে বেঁচে থাকার এতটা ব্যকুলতা কেহই বোধহয় এতটা বোধ করত না।
পৃথিবী রহস্যময় !!! তাই রহস্যভেদ করার ইচ্ছেও মানুষের মাঝে প্রকট। যদি পৃথিবী রহস্যহীন হত? তবে বেঁচে থাকার এতটা ব্যকুলতা কেহই বোধহয় এতটা বোধ করত না।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)