সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৪

বাড়ন্ত

ভূল পথে গন্তব্যের পথ বাড়ে।

সমর্থ্য

যেহেতু সমাজ-সংসারে মায়া-মমতা ও সৌন্দর্য্যের আঁচড় আছে, সুতরাং উপলব্ধ ব্যক্তি কখনওই সমাজ-সংসারের পিছুটান হতে মুক্ত নন। কিন্তু কেবলমাত্র একজন সত্যিকারের জ্ঞাতা `ই সমাজ-সংসারের সমস্ত পিছুটানকে উপড়ে ফেলতে সমর্থ্য হন প্রয়োজনের তাগিদে।

মৃতসদৃশ এই স্বপ্নগুলো

মানুষের জীবনে অনেক স্বপ্ন থাকে, সাধ থাকে। স্বপ্নগুলো রাত-দিনের আলোয় নিজেদের প্রকট-প্রচ্ছন্ন করে। সময়ের ধারায় স্বপ্নের ধারাও পরিবর্তিত হয়। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ত ঘুরে-ফিরে দেখি, তা হল- প্রায় প্রতিদিন এক-একটা স্বপ্ন মারা পড়ে, মারা যাওয়া স্বপ্নের প্রকোষ্ঠে আবার নতুন স্বপ্ন ধরা পড়ে। তবুও কিছু-কিছু স্বপ্ন আছে যারা ক্ষয়ে যেতে-যেতে শেষধাপে এসেও হৃদয়ের গহ্বরে আঠার মতো লেগে জানান দেয় তার অস্তিত্ব। আর তার এই শেষধাপে এসে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়ার মাঝেই মাথা ছাড়া দেয় স্বপ্নগুলোকে বাঁচাতে না পারার হতাশা। হতাশাগুলো দিন-দিন সমস্ত অর্জনকে ধীরে-ধীরে নিঃশেষ করে। কিন্তু আশ্চার্য ব্যাপার হল- চাইলেই মৃতসদৃশ এই স্বপ্নগুলোকে ছেটেও দেয়া যায় না, কারণ এই স্বপ্নগুলো সম্পূর্ণ মরে গেলে বেঁচে থাকার সব সাধ-বাসনাই মরে যায়, মানে পুরো মানুষের অস্তিত্বটাই মুহূর্তে বিলীন হয়ে পড়ে।

আজ-কাল যেকোন সুশিলদের দেখলেই আমার হাসি পায়

আজ-কাল যেকোন সুশিলদের দেখলেই আমার হাসি পায়, তেনারা বেশ চমকপ্রদ পোষ্ট প্রসব করেন কিন্তু যখন প্রসব করা পোষ্টটি নিয়ে কঠোর সমালোচনা হয় তখন তেনারা নিজেদের চেপে রাখেন। সেখানে প্রয়োজনীয় অতী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থাকলে এবং সেসবের উত্তর দেয়া অভিসম্ভাবী হয়ে উঠলেও তেনারা সেখানে কোন মন্তব্য করেন না।
কিন্তু কেন? তবে তেনাদের পোষ্টের উদ্দেশ্য কিংবা রহস্য কি? তেনারা কি চান যে তেনাদের পোষ্ট লাইক কমেন্টে ভরে উঠুক আর দ্বিধা-দ্বন্দে পড়ে আমজনতা বিভ্রান্ত হোক? তেনাদের আজ-কালকের সুশিলতা দেখে একটা কথাই শুধু মনে ভাসে- অসৎ সন্তানের বাবা-মা‘রা সন্তানকে মানুষ করতে চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হয় তখন তারা তাকে কেবল তার অধিক উপার্জনের পারঙ্গমতা দেখে ভালোবাসে। আমাদের সুশিলদের অবস্থাও কি তাহলে দিন-দিন সেখানে গিয়ে ঠেকছে?

জায়েজ করা যায় কি না?

নিত্য-নিমিত্তিক যা চোখে ভাসে, তাকে আমরা সাধারণ বলি
কারণ আমাদের চোখ মুষলধারের বৃষ্টির মত যখন-তখন ভিজে,
সচেতন সমাজ দেশ-জাতি-জনগন সবার ভাবনা মাথায় রাখে
শ্রেণীসংগ্রাম-জোচ্চুরি-মিথ্যা-পুঁজিবাদ তারাই আমাদের শিখিয়েছে।

একটু-আধটু শিক্ষায় আমরা আজ নিজেদের নিয়ে যখন ভাবতে শুরু করেছি
যখন আমদের রক্ত টগবগে করে উঠার অপেক্ষায়, তখন; ঠিক তখন দেখি

পুঁজিবাদের লাগাম টানতে যে সচেতন সমাজ চিৎকারে গলা শুকিয়েছে
তারাও মিথ্যা ছড়ায় নিজের স্বার্থহাসিলে, চোখ খুলে যাওয়ায় এ দেখে ফেলেছি
তাই ভাবছি চারদিকে যখন টানা-হেঁছড়ার দ্যৌলা-খেলা চলে সুচতুর কৌশলে
সেখানে তাদের একটু-আধটু মিথ্যা জায়েজ করা যায় কি না?

শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

অসন্তোষ

প্রত্যেকের উচিত নিজের দায়িত্ব কর্তব্য ঠিক করে যথাসাধ্যের সহিত তা সম্পন্ন করা। যে নিজের দায়িত্ব কর্তব্যের প্রতি সজাগ নয়, যে ঠিক করতে পারে না কোনটি নিজের দায়িত্ব কোনটি অন্যের- অসন্তোষ সৃষ্টিতে তার ভূমিকাই প্রধান। কারণ হিসেবে নিচের গল্পটির ভাবার্থটিকে নিতে পারেন।

অনুগল্পঃ অসন্তোষ
===========
একলোকের স্ত্রী একটি ছেলে সন্তান প্রসব করলে সন্তান প্রসবের পরবর্তী সময় প্রসূতি আর আগত সন্তানের দেখাশুনার জন্য একজন স্ত্রীলোকের সান্নিধ্য খুবই জরুরী হয়ে পড়ে। কিন্তু কিছুটা সহজ-সরলতার আর একরোখা স্বভাবের ধরুন কারও সাথে ভালো সদ্ভাব বজায় না থাকায় সে নিজের কর্তব্য সমন্ধে কোনভাবে সজাগ হতে পারছেনা।

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৪

শতকে দুই একজনই কেবল মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে

জন্মের পরপরই আমাদের একচোখ কানা করে দেয়া হয় আর বাড়ন্তবেলায় কানা হয় বাকী চোখ। যদি বাকী চোখটিকে কানা করা সম্ভব না হয় তবে ব্যথায় কুকরানো অভিনয়ে হলেও তা কানা বলে চালিয়ে নিতে হয়। এতে নিজের অজ্ঞতাকে খুব সহজে ঢেঁকে রাখা সম্ভব হয়, পাশাপাশি দৈণ্যতার জন্যও কারও মুখোমুখি হতে হয় না।
জন্মে যে চোখ কানা হয়, শতকে দুই একজনই কেবল প্রাণপণ চেষ্টায় নিজের কানা চোখটিকে সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়। আর এই দুই একজনের সামান্য রটনাও সবচেয়ে বেশী ছড়ায়। তবে সব থেকে বড় যে সত্যিটি সামনে দাঁড়ায়, শতকে দুই একজনই কেবল মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে।

জিজ্ঞাসা

মৃত্যুর কাছাকাছি জন্মের ঘুমে
বিষবৃক্ষ নীলঘুম দিয়েছিল চুমে
জরায়ু ভ্রুণে লেগে জমে যে বিষ
জন্মিতে জন্ম স্বাদ নিঃশ্বাসে নিস
বেদ-কোরানে বিভেদ যেমন জন্মে গ্রন্থবাদী
চক্ষুবিষ দমে লুকায়ে আসছে সকল মানবাদী
লোকচক্ষুর যা অন্তরাল, পায় না কেউ টের
সাম্প্রদায়িক মুখের বুলি আড়ালে তীর ফের
এমনি করে জগত জীবন যাচ্ছে টেনে-টেনে
মানুষ আমরা মানুষ কি রই, সত্য প্রহসণে?

মতভেদ

চোর চুরি করে আর চুরি মহাপাপ। কিন্তু এই চুরি করাটার অর্থ জন বিশেষে ভিন্ন। যেমন কেউ বলে সে পেটের দায়ে চুরি করেছে, কেউ বলে বাধ্য হয়ে চুরি করেছে, কেউ বলে শালা হারামির বদ-স্বভাব বশে চুরি করেছে, তাই বিতর্কের বিষয়টিও জনবিশেষে ভিন্ন হবে।

সাহিত্য

সাহিত্যিক যত্ন করে রুপালী কাগজ আর সোনালী কলমের
দুই‘য়ে মিলে জড়ো করে বিবেকি বিন্যাসের কর্মকান্ড আর স্পন্দন
সোনালী কলম ফালি-ফালি করে কাটে রুপালী কাগজের নাড়ী-নক্ষত্র
জমাট বাঁধা কালো-কালো ছোপে তাতে অক্ষর হয় কিছু অশ্রু বিসর্জণ।

জীবনযুদ্ধ

যুদ্ধের ঢংঙ্গা পেছনে বেজে যাচ্ছে অবিরত। এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই এতে, কেননা এ‘যে জীবনযুদ্ধ। নাকের ডগায় যতক্ষন শ্বাস থাকে ততক্ষন লড়ে যেতে হয়, না হলে ভীরুর ন্যায় অন্ধকারে পালিয়ে বাঁচতে হয়। না অন্ধকারের পালাতে চাই না, নিজের সামার্থ্যক্রমে লড়ে যেতে চাই। কারণ লড়াকু পরাজিত বীরের গৌরব থাকে, কিন্তু কাপুরুষ জঞ্জালরুপে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়।

সম্পর্ক

জন্মের পর সম্পর্কগুলো ধীরে-ধীরে পূর্ণ হয়
মৃত্যুর আগে সম্পর্কগুলো ক্ষয়ে-ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়।

চেনা

উদারমনা আর উদ্ভ্রান্ত এ দুই শ্রেণীরলোক নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে পারে শত সংকোচ কেটে। কিন্তু যে নিজের দেহ অলংকরণের জন্য খুঁতখুঁতে হয়, দ্বীধাহীনভাবে বলা যায়- সে স্বার্থপর। কোনপ্রকার কার্য্যসিদ্ধি ব্যতীত তার কাছে কিছু আশা করা বৃথা।

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৪

বলিদান

চাপাতির নিচে ঢলে পড়ে জীবন হয় বলিদান
পথ-ঘাট ভেসে যায় রক্তস্রোতে, নিয়তির কর্মধারায়
ভাঙ্গাকাঁচের জানালায় ভেসে আসে কাঁচামাংসের গন্ধ!

সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে

স্বাদ-ইচ্ছে যাই থাক না কেন, সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে। বাহিরের অভিব্যক্তিকে কেবল সত্য হিসেবে ভাবতে চায়।
আপনি আপনার প্রেমিকাকে মিথ্যে আশ্বাসে বারংবার বলছেন ভালোবাসি, সে তাই মানবে। সে বুঝবে আপনার মত তাকে কেউ কোনদিন ভালোবাসে নি, বাসবেনা। সে আপনার জন্যই কেবল ব্যকুল হবে।
আপনজনের অসুস্থতায় আপনি শুধু আবেগগুলো প্রকাশ করেন মুখ দিয়ে, তবেই হবে। তারা বুঝে নেবে, আপনার মত কেউ সতর্ক যত্ন নেয় নি, নেবে না।
কিন্তু কেউ এতটুকু বুঝেও বুঝতে চায় না কিংবা কাউকে এতটুকু বোঝানো সম্ভবপর হয় না, ভালোবাসা সবার মাঝেই থাকে, সবসময়ই থাকে আর সকলেই ভালোবাসার অনলে পুড়ে। পার্থক্য কেউ বাহির পৌঁড়ায় আর কেউ অন্তর। বোধে নিলে এ সত্যই কেবল ধরা পড়বে।