মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

জানিব তব জন্ম কোথায়

কত রক্ত দিয়ে, কেনা এ‘মাটি
ভাষায় বোঝাতে না রি
কত হা-হা-কার, কত অনাচার
এ মাটি নিয়াছে সহি

সে কি বুঝিবে কথা, মনের মর্ম ব্যাথা
যে হয়নি পীড়িত জন
হৃদয়ের কত ক্ষত, নয়নজলে সাগর কত
জমা কত তায় আত্মপীড়ণ

আজ বল ভাই, ভূল যেন যাই
অতীত না কি ধরে পা‘য়
তোমাদের কাছে বলার, এ কেবল আছে
জানিব তব জন্ম কোথায়?

ধ্যাণপূর্ণ রক্তে ভেজা যে মাটি

ধ্যাণপূর্ণ রক্তে ভেজা যে মাটি
তার এক কদমও বৃথা যাবে না
কসম মা, তোমার মাটির একদানাও
কেউ নিংগাঢ়ে যেতে পারবে না
যতদিন বেঁচে তোমার ছায়াতলে
শতদল বীর মুক্তিসেনা....

দরিদ্রতা

দরিদ্রতা অসুস্থতাকে করে না ক্ষমা
বুঝেনা উন্মত্ত যৌবনের বেহাল অনুনয় কিসে আসক্ত।

কি ব্যাথা দেহ সহে-সহে যায়
কি ব্যাকুলতায় আকুতি‘রা হারায়
বুঝতে চায় না ষোড়শি বিকেলে কি তার আদি বৃত্তান্ত....

একদিন তাদের সঙ্গ নেব

ভাবছি উন্মাসিক মগ্নতা মেপে নেব
ধীরে-ধীরে ভূলণ্ঠিত কৃতজ্ঞতা
পাথরের অগ্নিস্নান ক্ষয়ে দেয় দেহ রক্ষার কবচ -

পথে পড়েছি
দেখছি কবেকার নবান্ন ছুটে আসে উৎসুকে
দিনে-দিনে যে স্বপ্ন চুপি-চুপি পথ হারায়
একদিন তাদের সঙ্গ নেব।

প্রয়োজনে বিনষ্ট হোক চোখ

প্রয়োজনে বিনষ্ট হোক চোখ
দেখা যদি না হয় হোক, তবুও কথা হোক।
আবেগের বিবাগী ক্ষন, কেন এত কেঁদে মরে
মরে যাবার আগে কেন তোমার স্বরই মনে পড়ে।

শিক্ষা জীবনের জন্য, সাচ্ছন্দের জন্য নয়

শিক্ষা জীবনের জন্য, সাচ্ছন্দের জন্য নয়। শিক্ষার মূল উপাদানগুলো শুধুই জীবনের প্রয়োজনে প্রয়োগের জন্য। তাই যারা শিক্ষাকে সাচ্ছন্দের উপকরণ হিসেবে খুঁজে, তাদের জীবনে শিক্ষা কেবল একটা স্বপ্ন মাত্র। যা স্বপ্নের ন্যায় যখন-তখন ধূলির্সাৎ হয়ে যেতে পারে।

মুখোশধারী

এই তোদের মতো সভ্যতার মুখোশধারী নাক সিটকানো মানুষগুলোকে দেখলেই আমার ঘেন্না লাগে। শালা সুগন্ধীযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে না পেরে দূর্গন্ধ মল ত্যাগ করিস, সে মলে নোংরা কীট জন্মে। সযত্নে রাখা তোদের সোনার দেহ পঁচেও দূর্গন্ধ ছড়ায়, নোংরা কীট জন্মে। অথচ অহংকার তোদের ধমে না। না অতটা ক্ষ্যাপিস না, বলি এই জীবনের সাথে মিশে দেখ...জীবনের প্রতি যত অভিমান আছে সব কেটে যাবে, জীবনকে উপভোগ করতে পারবি।

মুখোমুখি

মুখোমুখি আমি আমার ছায়া একাকী
বলতে চাইনা কিছু , শুধু কি বলে দেখী

হৃদয়ভাঙ্গানো উর্বশী

চোখে আলো পড়ে তখন ঝলসে উঠে চোখ
অলস দুপুর পড়ে-পড়ে যাচ্ছে করে ক্ষোভ
তখন তুমি নৃত্যচলে হৃদয়ভাঙ্গানো উর্বশী এক।

যে ধারণ করে সে বহনের চেষ্টা করে

যে ধারণ করে সে বহনের চেষ্টা করে। কিন্তু যার মধ্যে ধারণ করার কোন প্রয়াসই নেই তার বহন করার অভিলাষ থাকে না বরং সে ধারণকারীর বহনে অযাচিত হস্তক্ষেপ চালায় এবং বহন করার প্রয়াস নস্যাৎ করে।

আমিতো....

সময় সময়কে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে, আমিতো কেবল সময়ের দিশারী।

বাঙ্গালী জাতি

খড়গ হস্তে ধরে, পত্রে ছাড়ি
এ আমাদের নীতি
আমরা ভূল মগজে, কর্ম ভুলে
হয়েছি বাঙ্গালী জাতি।

প্রকৃত বীর

কৌশলী হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা খুবই সহজ, শুধু নিজের ভাব-প্রকাশ-অভিলাষ লুকিয়ে রেখে সৌহার্দ্যপূর্ণ বাণী প্রচার করতে পারলেই চলে। কিন্তু প্রকৃত বীর তাঁর কর্মে-আচারে বীরত্ব প্রকাশ করে।

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

শর্ষ্যের ভেতর ভূত

কত শর্ষ্যের ভেতর ভূত
কত ভূতের ভেতর শর্ষ্য
আমি ছড়াতে পারিনি কিছু, আমি মেনেছি সবের বশ্য
আমি সব নিয়েছি মেনে
আমি যাচ্ছি দিন গুনে-গুনে
যাকনা জীবন দেখিয়ে তার বিভ্রম রহস্য।।

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪

আমরা শ্রদ্ধেয়জনকে শ্রদ্ধা করব আর ঘৃণিতজনকে ঘৃণা

আমরা শ্রদ্ধেয়জনকে শ্রদ্ধা করব আর ঘৃণিতজনকে ঘৃণা। স্বাধীনতার প্রাক্কালে এদেশে অবস্থানরত যেসকল জারজ দেশের বিরূদ্ধাচারণ করার পরও রাষ্ট্র তাদের তোষন করে স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করেছে, সে রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ এবং জারজদের প্রতি ঘৃণা আমাদের আমৃত্যু জেগে থাকবে। শুধু এই নয়, নয়া উথিত জারজদেরও কোন নিষ্ঠাবান নাগরিক ক্ষমা করবে না কোনদিন। কিন্তু একটা বিষয়ে আমার বলার আছে, তা হল আমাদের এমন কোন আচারণ করা শোভা পায় না, যা কিনা ভন্ডামীতে গিয়ে ঠেকে। হ্যাঁ; আমি বলছি গোলাম আজমের কবর দেয়া প্রসঙ্গে-
এই জারজের প্রতি আমাদের ঘৃণার মাত্রা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, সে আজীবন আমাদের মনে বিশ্বাসঘাতক মীরজাফরের মতো কুলাঙ্গার হয়ে বেঁচে থাকবে। তাই আমরা সচেতন থাকব যাতে এই কুলাঙ্গারকে রাষ্ট্র কোনপ্রকার সন্মানিত করার সুযোগ না দেয়। কিন্তু কবর দেয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনপ্রকার হস্তক্ষেপ ঠিক হবে না। আমার মতে- এ কৃলাঙ্গারের অবস্থান যেহেতু বাংলাদেশে, তাই এই কুলাঙ্গারের কবরের ব্যবস্থা বাংলাদেশের বাহিরে করা সম্ভবপর নয়। যেহেতু সম্ভবপর নয়, তাই যতদ্রুত সম্ভব কুলাঙ্গারটিতে কবর দেবার সুযোগ দিয়ে কোনপ্রকার সন্মান প্রদর্শন বন্ধকল্পে আমাদের সক্রিয় অবস্থান জরুরী।