সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬

অতীত ভবিষ্যৎ

কখনও আসেনি এমনদিন রথী, যেদিন একের হাসিতে হেসেছে লুটে সবে
এমনদিনও আসবে না কভূ, যেদিন একের ব্যথায় কাঁদবে সবে অনুভবে

পরিচয়

পরিচয় পর্বটা চেহারা-পোশাক-আশাক দেখে শুরু, আচারণ মধ্যবর্তী পর্যায় আর চরিত্র জানার শেষ পর্যায়ে উপণীত হতে-হতে বেশীরভাগই প্রতারিত হয়ে সব হারিয়ে বসে!

জিজ্ঞাসা

বেঁচে থাকার জন্য মানুষের ঠিক কতটা চাই? ঠিক কতটা হলে একজন মানুষ মন থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলতে সক্ষম, অনেক হয়েছে আর চাই না?

না, মানুষের কাছে কিংবা মানুষের বিবেকের কাছে এ প্রশ্ন রাখা নিতান্তই অমূলক। যেহেতু মানুষের চোখ বা মগজ হাঁটুর নিচে তাকাবার চেষ্টাকে হেয়ালে চলে, তাই মানুষের বাসনা কিংবা ব্যাকুলতা সে কেবল উপরের সিঁড়িতে পা রাখার। আর এই উপরের সিঁড়িতে ক্রমাগত পা তুলতে গিয়ে সে রপ্ত করতে শেখে- অন্যকে অধিকার বঞ্চিত কিংবা প্রতারিত করার নীতিকৌশল।

মানুষ নামের মুখোশ

পৃথিবীতে এমন কোন দেশ কি আছে যেখানে মানুষ হয়ে অন্য মানুষের রক্ত নিয়ে বিভৎস খেলায় মেতে উঠা কল্পনাতীত, নাকি হিংস্র নেশা আবডাল করতেই মানুষ পৃথিবীতে এসে মানুষ নামের মুখোশ পড়ে?

জীবনটা কাঁচের গ্লাসের মত

জীবনটা কাঁচের গ্লাসের মত। এর বাহিরকার রুপ দেখে অনেকে ভুলে যায় এটা সোডিয়াম সিলিকেট আর বালির মিশ্রন, যা যতন করে আগলে রাখতে না পারলে যেকোন সময় ভেঙ্গে খান-খান হয়ে যেতে পারে। অথচ দূর থেকে প্রত্যেকে অন্যের জীবনটাকে কতটা স্বচ্ছই না ভাবে।

প্রশ্ন?

যে সৌন্দর্য্য দেখবার আশায় আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান, সে আয়না আপনার বাহিরের কিংবা ভেতরকার প্রকৃত সৌন্দর্য্যকে কখনওই জানে না, জানাতেও চায় না।

যদি নিজের ভেতরকার সৌন্দর্য্যটাকেই জানা না হয়, তবে অল্প পচনেই দূর্গন্ধ ছড়ানো চামড়ার সৌন্দর্য্য দেখে কি লাভ বলুন তো? আচ্ছা, আপনি চামড়ার সৌন্দর্য্য দেখিয়ে কাউকে প্রভাবিত কিংবা প্রতারিত করার কথা ভাবছেন না তো?

দায়ভার

ভাবিতে যে বিষয় ভাবনা বড় মনোরম
তাহারি দায়ভার সহিতে যাতনা ভীষণ

অভাব

শুরুতে অভাবগুলো ভাত-কাপড়েই থাকে, সময় তাকে আগ্রাসী ভাব-বাসনায় আবদ্ধ করে। সময়ে প্রতিটি কদমের হিসেব রাখা সত্যিই বড় শক্ত।

শ্রদ্ধায় রতনতনু স্যার



ছোটভাইয়ের সাথে সম্পর্কের কারনে চার-পাঁচবার আমাদের বাসায় শ্রদ্ধেয় রতন তনু স্যারের পদার্পন হয়ে ছিল এবং স্যারকে একেবারে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। ভালো মানুষের সংজ্ঞা আগে খুঁজলেও এখন খুঁজি না, কিন্তু মানুষটাকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন তারা জানেন কতটা নিখাদ ভদ্রলোক ছিলেন তিনি। সন্তান-সন্ততিহীন যে পিতা নিজের লেখাকে সন্তান বানিয়ে বেঁচে ছিলেন, সমস্ত মন-প্রাণ ঢেলে যিনি সন্তানগুলোকে পরম মমতায় আগলে বড় করে তুলেছেন, সে সন্তানগুলোর কয়েকজনকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলা একাডেমি তাঁকে বিশিষ্ট জন নিরুপন করতে পারে নি, এ সত্যি আমাদের জন্য হতাশাজনক বাতা! ৫২ বছরের পরিসমাপ্ত জীবনের যাঁর ৭০ খানা বই প্রকাশিত হয়েছে, যাঁর বই বাংলা একাডেমি কর্তৃক সংরক্ষিত হয়েছে, যিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, যাঁর লেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অনেকস্থানে পঠিত হয়েছে, যার বইয়ের সূত্র ধরে অনেকে থিসিস কিংবা গবেষণাপত্র, ক্রোড়পত্র লিখছে, তিনি নাকি বাংলা একাডেমির চোখে বিশিষ্টজন নন। আর তাই তাঁর মরদেহ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শ্রর্দ্ধাঞ্জলির সুযোগ মেলে নি।

অনেক ভেবে দেখেছি, তেলমর্দনে তেলাক্ত করতে পারলে কে কি লিখেছে সে বড় হয়ে উঠে না, বরং জন বিশিষ্টজনে পরিনত হয়। আর তার পরিনতির মুখোমুখি হতেই আমাদের পথও দ্রুত এগিয়ে চলছে।পরিনতি যখন নিশ্চিত, তখন মর্দনের তেল উৎপাদন ব্যবস্থা না থাকলে, একদিন হয়ত খুনোখুনিই লেগে যাবে। যাক যা হবার তা হয়ে গেছে, অন্তরের আহত ক্ষতগুলোকে জমিয়ে রেখেই স্যারের জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থণা জানাই, তিনি যেন তাঁকে স্বর্গবাসী করেন।

গন্তব্য নিশ্চিত সবাই জানে!!!

গন্তব্য নিশ্চিত সবাই জানে!!!

তবু মনের বুভুক্ষু রেখা মাড়াবার যাতনা বড়
সোহার্দ্যে বাঁচার কাতরতায় ঢেঁকে যায় মৃত্যুর পাহাড়-উপত্যকা

মিথ্যাকেই আগলে রাখি-
যদি সত্যকেই জড়াতে চাইব-
তবে স্বপ্ন বাঁচবে কিসে?
রহস্য মিলবে কোথায়?
কিসের নেশায় উন্মোচিত হবে আদিমত্তা?
অার কেনইবা বাঁচার ইচ্ছেতে জন্মাবে জীবনের প্রতি নির্ভরতা?

ক্ষমতা

# ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমতাহীনের ক্ষমা করার শক্তি কতটা, অনুগ্রহের চোখ দিয়ে দেখতে গিয়ে কোন ক্ষমতাশালীর তা দৃষ্টিগোছর হয় না।

# ক্ষমতাই যদি সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হত- অনুভূতির কাছে কেউই পরাজিত হত না আর মমতার পৃথিবীও কাঁচের ন্যায় ঠুনকো আঘাতে ভেঙ্গে পড়ত।

নিজেই পিছু হটছি

বিশ্বাসগুলোর ক্রমাগত ভাঙ্গন দেখছি
মিথ্যার ধ্বংসস্তুপ দেখে, নিজেই পিছু হটছি

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

তোমাদের দিনগুলোতে

তোমাদের দিনগুলোতে ফুল-প্রজাপতির মিতালি
জড়িয়ে যাক ছড়িয়ে থাক মিষ্টি রোদ্দুর চৈতালি

বিবেচনাবোধ

ভালো-মন্দ বুদ্ধি সলাপরামর্শ দেবার মতো দুনিয়া জুড়ে লোকের অভাব নেই, কিন্তু আপনার দুর্দিনে হাতটাকে শক্ত করে ধরবার লোক দু‘একজন এ কেবল বর্তমান। তাই অন্য কারও থেকে যেকোন সলাপরামর্শ নেবার পর নিজের বিবেচনাবোধকে খাটাতে হয়। সব সময় ভেবে নিতে হবে, আমার বর্তমানটিই যেন কেবল আমার না হয়। আলোক পসরা ভরা আমার জীবনের পরবর্তী সময়টাও যেন রয়।

শেষ প্রতিপাদ্যতে

যার অপেক্ষায়
সে আসে নাই
যে আসতে চাইল
তাকে চাই নাই
শেষতক যা না চাইবার
তা আগলে ধরল...
ফেলতে পারলাম না
শুধু দীর্ঘশ্বাস আকড়ে নিলাম
হায়! এটাই কি প্রতিপূরক
শেষ প্রতিপাদ্যতে?