মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৪

জীবনযুদ্ধ

যুদ্ধের ঢংঙ্গা পেছনে বেজে যাচ্ছে অবিরত। এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই এতে, কেননা এ‘যে জীবনযুদ্ধ। নাকের ডগায় যতক্ষন শ্বাস থাকে ততক্ষন লড়ে যেতে হয়, না হলে ভীরুর ন্যায় অন্ধকারে পালিয়ে বাঁচতে হয়। না অন্ধকারের পালাতে চাই না, নিজের সামার্থ্যক্রমে লড়ে যেতে চাই। কারণ লড়াকু পরাজিত বীরের গৌরব থাকে, কিন্তু কাপুরুষ জঞ্জালরুপে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়।

সম্পর্ক

জন্মের পর সম্পর্কগুলো ধীরে-ধীরে পূর্ণ হয়
মৃত্যুর আগে সম্পর্কগুলো ক্ষয়ে-ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়।

চেনা

উদারমনা আর উদ্ভ্রান্ত এ দুই শ্রেণীরলোক নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে পারে শত সংকোচ কেটে। কিন্তু যে নিজের দেহ অলংকরণের জন্য খুঁতখুঁতে হয়, দ্বীধাহীনভাবে বলা যায়- সে স্বার্থপর। কোনপ্রকার কার্য্যসিদ্ধি ব্যতীত তার কাছে কিছু আশা করা বৃথা।

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৪

বলিদান

চাপাতির নিচে ঢলে পড়ে জীবন হয় বলিদান
পথ-ঘাট ভেসে যায় রক্তস্রোতে, নিয়তির কর্মধারায়
ভাঙ্গাকাঁচের জানালায় ভেসে আসে কাঁচামাংসের গন্ধ!

সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে

স্বাদ-ইচ্ছে যাই থাক না কেন, সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে। বাহিরের অভিব্যক্তিকে কেবল সত্য হিসেবে ভাবতে চায়।
আপনি আপনার প্রেমিকাকে মিথ্যে আশ্বাসে বারংবার বলছেন ভালোবাসি, সে তাই মানবে। সে বুঝবে আপনার মত তাকে কেউ কোনদিন ভালোবাসে নি, বাসবেনা। সে আপনার জন্যই কেবল ব্যকুল হবে।
আপনজনের অসুস্থতায় আপনি শুধু আবেগগুলো প্রকাশ করেন মুখ দিয়ে, তবেই হবে। তারা বুঝে নেবে, আপনার মত কেউ সতর্ক যত্ন নেয় নি, নেবে না।
কিন্তু কেউ এতটুকু বুঝেও বুঝতে চায় না কিংবা কাউকে এতটুকু বোঝানো সম্ভবপর হয় না, ভালোবাসা সবার মাঝেই থাকে, সবসময়ই থাকে আর সকলেই ভালোবাসার অনলে পুড়ে। পার্থক্য কেউ বাহির পৌঁড়ায় আর কেউ অন্তর। বোধে নিলে এ সত্যই কেবল ধরা পড়বে।

স্বার্থ

অনেক ভেবে দেখেছি, এখনও ভাবছি। উত্তর একটাই মিলল, কেউই ছাড় দিতে রাজি নয়, কেউ ছাড় দিতে চায় না। না বাবা, না ভাই-বোন, না পাড়া-পড়শি-বন্ধু-বান্ধব। স্বার্থসুখেই সকলে মুখে কবুল বলে, আবার স্বার্থ পুরোলেই তালাক দিয়ে পিছু হটে। মুখের কিংবা সুখের স্বাধীনতা নামক স্তবকটিও ভাব না বুঝে নিরুদ্দেশে চলে যায়। সময় মুখোমুখি দাঁড়ালে মতের বিমতে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তির হাতেও খড়গ চলে আসে।

সজাগ



জীবনযুদ্ধে নিজেকে একা লড়ে যেতে হয়, কিন্তু বাঁচতে গেলে সবাইকে নিয়েই বাঁচতে হয়।
তাই যাদের নিয়ে আপনাকে বাঁচতে হবে তাদেরকে ছাড় দেয়ার মানষিকতা সম্পর্কে বারংবার সজাগ করুন। না হলে আপনার নিজের বেঁচে থাকাটাই দূরহ হয়ে পড়বে।

আলোর বিশোধনে

দিন-রাতগুলোকে আগের মত আলাদা করতে পারি না
আলাদা করতে পারি না হৃদয়ের আধকৌণে জমা স্মৃতিভার।

বুক পকেটে খোলা খামে চিরকুটটি সাক্ষী হয়ে যায়
শুধু সিঁথিতে সিঁধুর লেগে কারও বাসর রচিত হয়,
আর মেনে নিতে না পারা কারও আঁচল ভিজে যায়।

জীবনের বেলাভূমে সবকিছু বড় বর্ণিল!
অথচ আলোর প্রকাশে কত স্বরূপের ব্যত্তি ঘটে
কুয়াশাঘেরা পৃথিবীরও ঘোর কাটে আলোর বিশোধনে।

ছল্

ঘর বেঁধেছি-
সুখকে নিয়ে নয় বরং তোমাকে নিয়ে
স্বপ্ন সাজিয়েছি-
কাউকে দিয়ে নয় বরং তোমাকে দিয়ে
অথচ সাজানো নাট্যশালার রঙ্গচিত্রে-
আমাকে করতে হল প্রতারক পাঠে অভিনয়?

শ্মশানঘাট

পড়ন্তবেলা স্মৃতিকথার হানা দেয়া শেষ হলে
মেঘদল কাঁশফুলে শরতের আকাশ ছুঁয়ে যায়
হঠাৎ অবধারিত বারিধারা নামে,
সমাপ্তীরগল্প পুকুর পাড়ে রচনা করে শ্মশানঘাট।

স্বীকৃতি

যদি আপনি এক ঘন্টা পরে ঘুমান, যদি আপনি এক ঘন্টা আগে উঠেন
তবে পৃথিবীতে কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, আপনি অন্য কারও থেকে বেশি কিছু করেছেন।
জানি আপনার কর্মে আপনার কোন লাভ হয়ত হবে না, হয়ত আপনাকে কেউ আপনার যোগ্য সম্মানে অবহেলা করবে, কিন্তু আপনার ভিতরকার শক্তিতে আপনি দৃড় হবেন, আপনি তাতেই এগিয়ে যাবেন। আর এই এগিয়ে যাওয়াই আপনাকে বাঁচিয়ে দেবে, আপনার কর্মের গুণকৃর্তিতে।
------শ্রদ্ধেয় রেজা স্যারের কথা কে কিছুটা বিস্তৃত করে সাজিয়ে লেখা। ( এটা আমার সিনিয়র কলিগ সবুজ ভাইয়ের মাধ্যমে জানা।)

শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৪

মানুষ বাঁচে

মানুষ বেঁচে থাকে নিজের কৃর্তিগাঁথা স্থাপনের আশায়
নতুবা অকারণ অস্পষ্ট বেদনা পুষে রাখার আশায়!

বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০১৪

বেওয়ারিশের আত্মকথণ

পঁচা-গলা আবর্জ্জনার আঁশ দেহে লেপ্টে মলিন হয়েছে খুব
বুভূক্ষু আমি ক্ষুধায় রাস্তায় নামি, ডাস্টবিনে খাবার পাই
পঁচা খাবারে পেট ফুঁলে, মল ঝরে, পথে পড়ি-পড়ি করি
অদেখা অন্তহীন পথে তবু আমি মানুষ হয়ে বেঁচে আছি!


অতীতেও আমি মানুষ হয়ে ছিলাম, বর্তমানেও আমি মানুষ
ভবিষ্যতেও আমি মানুষ হব, ঈশ্বরের নাকি প্রতিজ্ঞা তাই
জন্মের পর জন্ম হবার আক্ষেপ ঘুছে যায় সলর্জ্জ অভিমানে
দূর অধরায় বসে ঈশ্বর খুশিতে ভ্রুকুটি কাটে ভাবোউল্লাসে!

রাগ

আগের মত রাগছি না
তোমার সাথেও থাকছি না
হয় যদি হোক-
সব কিছুর আজ অবসান,
দিন পড়ছে বলে চলি
পথের সাথে কথা বলি
পথ ভূলে হোক-
চোখ ইন্ধনের আহ্বান।

রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ঘুছবে সকল প্রণয় বাসনা

আমার দেহ তোমার দেহে জড়িয়ে ধর
প্রাণের ব্যাকুল তৃষা মিটিয়ে আদর কর
দেব আমার যা কিছু তা উজাড় করে
দিও তোমার যা কিছু তা তোমার করে।
সুখেরস্রোতে যখন মোদের স্বপ্ন হবে
সে স্বপ্নে নতুন একটা পৃথিবী পাবে
যে পৃথিবীতে জ্যোৎস্না দেবে চাঁদনী কন্যা
রবির আলোয় ঘুছবে সকল প্রণয় বাসনা।।