সোমবার, ২৯ জুন, ২০১৫

অভিমানই যদি না রয় প্রেমে

নীল আকাশে মেঘ যদি না হয়, বারিধারা বইবে কি?
অভিমানই যদি না রয় প্রেমে, ভালোবাসার মূল্য কি?

চতুরতা

মিথ্যা আর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যেকোন পরিস্থিতিতে নিজেকে চতুর করে তোলা সম্ভব। তবে কারও সত্যনিষ্ঠ জীবন-যাপনকে বোকামি আর ব্যাক্তিকে বোকা ধরে নিজেকে এতটা চতুর ভাবতে যাবেন না।

কাহারে ঘিরে মন

হিল্লোলে দোলে ফুল
প্রান্তরে কি দোলে চাহি ফিরে-ফিরে
ঝিরিঝির বর্ষনধারা, কেন এত বহে যায়
কাহারে ঘিরে মন ক্ষনে-ক্ষনে, ব্যাকুল বারে-বারে।

ভাবা

কাউকে যদি আপনি ছোট ভাই ভেবে স্নেহ-মমতা দেখান, সে মনে-মনে নিজেকে আপনার দুলাভাই ভেবে বসবে। সে ভাববে- না হলে তার প্রতি আপনার দূর্বলতা কোথায়?

ভালো বোঝা পড়া না থাকলে

কারো সাথে খুব ভালো বোঝা পড়া না থাকলে রসিকতা করতে যাবেন না। যে আপনাকে ভালো বুঝতে পারে না, সে আপনার রসিকতার জবাবে আপনার বিশুদ্ধ মনটাকে নিঃস্প্রান করে দেবে।

মধুর যে বসন্ত

সুমধুর যে সুর মনের মাঝে বাজে
সে কি গো তোমারি সুরে তোলা
মধুর যে বসন্ত বুকে এসে লাগে
তা ভেবে তোমারও কি কাটে বেলা?

ভালোবাসি কত

যখন বুঝতেই চাও না রাতের কোলে আলো পড়ে ঢলে
তখন বুঝাই কেমনে ভালোবাসি কত বুঝবে দূরে গেলে....

রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

কয়েকটি কলকথা

কিছু স্বপ্ন পথে ফেলে এসে
ভূল করে ভূলি তারে,
কিছু স্মৃতি ফেলে আসা যায়
ভূলে থাকা যায় নারে...
===
প্রেয়সি; জান না এই চোখের ভাষায় কি? কতটা বোবা কান্না অভিমান জমে-জমে স্তুপ হয়েছে হৃদয়ের কিনারায়। শুধু বলি যদি ভূলতে চেয়েও ভূল করে একবার কাছে আসতে, তবে এত অভিমানে হৃদয় এতটা পাষান হতো না....
===
এসো এসো এই বাহুতলে, জড়াবো তোমায় মায়াজালে
বাহুমেলে ডাকি তোমায় ফাল্গুনে
সবুজ ঘাস সবুজ প্রাণ, সবুজ উদ্ভেল আহ্বান
এসো মিশে যায় পরস্পরে, প্রাণে-প্রাণে।
===
আমি বসে আছি বারান্দায়
তুমি এসো; ফেলে যাও আমার কায়ায় তোমার ছায়া

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০১৫

বেপারোয়া আচারণ

গতকালকের ঘটনা। লেগুনাতে করে মাত্র লুকাস মোড়ের কাছাকাছি স্টুডিও টুমরো এর কাছে। হঠাৎ ধুমম্ করে আমাদের লেগুনার বডিতে একটা ইট পড়ল আর একটা লোক হুঙ্কার ছেড়ে বলতে থাকল, মাদারছোদের দল তোরা লেগুনা চালাবি? শুয়রের বাচ্চারদল? কুকুরের দল...

কিছুক্ষনের মধ্যে আরও কয়েকটি ভাঙ্গা ইট ছুটে এল। হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে লেগুনার ভিতরকার আমরা কিছুটা বিহ্বল হয়ে পড়লাম। নেমে পড়ব নাকি কি করব, হঠাৎ করে কিছু বুঝে উঠতে পারলাম না। মনের মাঝে একটা অজানা ভয়ও তৈরী হয়ে গেল। ভেবে দেখলাম লোকটি যে ইট মারছে এ শরীরে পড়লে নির্ঘাত জখম। একটু খেয়াল করতেই দেখলাম, লোকটির ক্ষোভ অন্যে কারো কিছুতে নয়, তার ক্ষোভ লেগুনার ড্রাইভারদের সাথে। ঘটনার সময়কালে আরও দুটো লেগুনা আমাদের পিছনে ছিল। লোকটির এমন বেপারোয়া আচারণে আমাদের আর তৃতীয় নাম্বার লেগুনার ড্রাইভার পগারপার। দ্বিতীয় লেগুনার ড্রাইভার লেগুনা থেকে বের হয়ে লোকজনকে আহ্বান করছে উম্মাদ লোকটিকে থামাতে। কিন্তু লোকটির আচারণ এতটাই বেপারোয়া যে, আশপাশে দর্শকশ্রেণীর কেউই সাহস করে আসছে না থামাতে। একটা ইট এসে লেগুনার দ্বিতীয় ড্রাইভারের পায়ে পড়ে ওর পা থেকে রক্ত ঝরা শুরু করলে লোকটির উন্মাদনা কিছুটা কমে। তারপরও সে সবগুলো ড্রাইভারকে কান ধরার বিনিময়ে ক্ষমা করে। আসলে লোকটির সাথে ড্রাইভারদের সাথে কি সমস্যা সে জানা হয় নি, তবে ঘটনায় বোঝা গেল লোকটির সাথে কোন আচারণগত সমস্যা তাদের হয়েছে যার ক্রোধের ফলাফল এই দৃশ্য।

উপরের দৃশ্যে ভয়ের কারণ ইট হাতে লোকটির উন্মাদ আচারণ। তাকে ঘিরে অন্তত ১৫-২০ জন লোক ছিল। লোকটির শারীরীক ভাষাও ততটা উন্নত নয়, তবুও মানুষের মধ্যে শঙ্কা কেবল তার বেপারোয়া আচারণে।

নেতা

একজন সন্ত্রাসী ১০০ থেকে ১০০০ জন সাধারনকে রুখে দিতে পারে কোন প্রকার শরীরীক শক্তি ছাড়াই শুধুমাত্র একটা অস্ত্র আর বেপারোয়া আচারণে। তাই কোন সন্ত্রাসী যদি মনে করে কেউ তার চেহারায়, অয়ববে কিংবা পেশীতে ভয় পায়, তবে এ সম্পূর্ণ কল্পিত কথা।

আসলে মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা এরা নিজের জীবনের মায়ায় প্রবলভাবে আসক্ত থাকে। তাই সে কোনভাবে চায় না অকারণে কেউ তার অনিষ্ট করুক। অথচ সন্ত্রাসী নামধারী আবালের দল মনে করে, তার চেহারাই মানুষের ভয়ের কারণ। তাকে লোকে খাতির করে, সমীহ করে।
না, ব্যক্তি কাউকেই কারও ভয় নেই। খালি হাতে আসুন, আপনার সাথে দ্বন্ধে যেতে , আপনার মুখোমুখি হতে কারও কার্পণ্য নেই। কিন্তু অস্ত্রের নাড়ানি, ঝঙ্কার দিয়েই দুনিয়ার সব গাঞ্জাখোর, হিরোঞ্চী, বেজন্মা শুয়রেরদল সকলের আতঙ্কের কারণ হয়, নেতা বনে যায়!

মানষিক অধঃগতি

ক্রমাণ্বয়ে মানুষের মধ্যেকার মানষিক অধঃগতি বেড়ে চলছে। দেখার দৃষ্টিভঙ্গিগুলো আমাদের এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, নিজের মা-বোন-মাসি-পিসি-কাকি এদের নিয়ে পথে চলতে গেলেও সংকোচ বোধ হয়। মানুষের বিবেচনা, ধারণা আর বলার ধরন এমন হয় যে, পাশের লোকটির প্রশ্নে অথবা ব্যবহারে আপনি নিশ্চিত বিব্রত বা সংকোচে পড়ে যাবেন কি করবেন বা কি বলবেন এই ভাবনায়।

সোমবার, ২২ জুন, ২০১৫

যুদ্ধ জয়ী সৈনিক

অস্ত্রহাতে যুদ্ধ জয়ী যে সৈনিক, তাকেও আজীবন বাঁচতে হয় ধারালো অস্ত্রের ক্ষতচিহ্ন বয়ে-বয়ে।

স্বপ্ন পতন

না, আমার নিজেকে নিয়ে বড় করে বলার মত কিছুই আমার নেই। যৌথপরিবারের কলহের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে জীবনের ১২-১৩ বছর। অনাহার, অভুক্ততা সব সহে-সহে জীবনটাকে শিখতে চেষ্টা করেছি বারবার। নিজের অজ্ঞতায় অনেক হোঁছট খেয়েছি ছোট্ট এ জীবনের বেলাভূমে। তবুও নিজের অজ্ঞতাকে সংশোধনের চেষ্টা ছিল সব-সময়। অনেক শেখা হয়নি পরিবেশ-পরিস্থিতিতে, অনেক শেখা বাকী রয়ে গেছে নিজের গাফিলতিতে। তবুও নিজের মনকে নিয়ন্ত্রন করার প্রয়াস সব-সময় রেখেছি। নিজের আচারণ, নিজের ইচ্ছা-আকাঙ্খাকে ঠিক অতটা পর্যন্ত রাখার চেষ্টা করেছি প্রতিনিয়ত, যেন আমার জন্য কেউ পীড়িত না হয় অথবা আমার দ্বারা কেউ পীড়িত না হয়।

বড় হবার স্বপ্ন সবাই দেখে, সবাই বড় হবার স্বপ্ন দেখে-দেখেই দুনিয়ার মায়ায় পড়ে। একটা সময় অনেক বড় হবার আকাশ-কুসুম ভাবনা আমাকেও পেয়ে বসেছিল। ঢাকায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশলে ভর্তি হবার ক্ষেত্রে মূল উদ্দেশ্য ছিল- বড়-বড় কবি-লেখকদের সান্নিধ্য নেয়া, তাঁদের দেখে, তাঁদের কাছ থেকে শিখে একদিন অনেক বড় লেখক হওয়া। অথচ এই স্বপ্নটা আমার জন্য সত্যিকারে অর্থে অলিক ছিল! ঢাকায় আমার অবস্থান প্রায় ১১ বছর চলছে। অথচ এখনও পর্যন্ত আমি কোন ভালো লেখক বা কবির সান্নিধ্য গ্রহণ করিনি। সত্যি কথা বলতে কি, নিজের ভিতরকার সে শক্তিগুলো হারিয়ে গেছে। বড় লেখক হবার স্বপ্ন দেখা আমার অনেক আগেই উতরে গেছে। এখন যেটুকু লেখালেখি করি, সেটা নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্যই কেবল করি। একটা সময় যে লেখালেখিতে আসক্তি ছিল, সেটার নেশায় ডুবে করি।

সময়ের ব্যবধানে জীবনের ভীত শক্ত মজবুত হয়। আমার ভীতটাও হয়ত মোটামুটি করে চালিয়ে নেবার মত হয়েছে। কিন্তু নিজের ভিতরকার উজ্জিবিত শক্তিগুলো ক্রমশ দূর্বল হতে-হতে এখন প্রায় নিঃচিহ্ন। এখন কেবল এই ভাবনাই নিজেকে পীড়িত করে, ১০ বছর আগে এই ভীতটাকে ফেলে হয়ত নিজের স্বপ্নগুলোকে এভাবে আছড়ে মারতে হত না।

মানষিক সংশোধন

মানষিক সংশোধনটা সবচেয়ে বেশী জরুরী। যে নিজের মনকে নিজের মানষিকতাকে সংশোধনে ব্যর্থ, সময়ের ব্যবধানে সে অন্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।

খ্যাতি

খ্যাতিতে যতটা সুখ আছে, ঠিক ততটা বিড়ম্বনাও আছে....