বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

রিফিউজি

এদেশে হিন্দুধর্মালম্ভী‘রা রিফিউজি নয় বরং সংখ্যাগুরুদের চেয়েও এদেশে তাদের বাপ-দাদার ভিটে অধিকার অনেক বেশী, অনেক প্রাচীন। সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা সংষ্কৃতিক যে অবকাঠামোর উপর এদেশটা আজও দাঁড়িয়ে আছে, তারও বীজ বপন এদের হাতেই হয়েছে। ১৯৪০ থেকে ১৯৬০ সালের ভূমি রেকর্ড কিংবা তফসিল ঘাটাঘাটি করলে এখনও স্বচ্ছ কাঁচের মতো স্পষ্ট দেখা যায়, এইদেশের সব ভূমি-সম্পত্তি প্রকৃত মালিক ছিল তারাই। অথচ অবাক হয়ে দেখতে হয় আজকের সময়টাকে!

তাদের বর্তমান অবস্থান দেখলে খুব সহজেই অপরিচিত কেউ ভেবে নেবে, এদেশটাতে তারা রিফিউজিই ছিল। তাদের পাঞ্জাবী রেখে ধুতির কোচ খুলে পালানো দেখলে খুব সহজে বলে দেয়া যায়, নিজস্বার্থের জন্য এরা নিজের পরিবার-পরিজনকে নেংটা করার দক্ষতা অর্জন করলেও, নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য মৃত্যু অবধি লড়তে প্রস্তুত নয়। এদের শক্তি মনে নয় দেহে, তাই মনের ভয়ে শরীরের শক্তি নিয়ে এরা যতটা পালিয়ে ছুটতে সক্ষম, ঠিক ততটা শক্তি দিয়ে অন্যায়কারীকে ধরাশায়ী করতে সক্ষম নয়। এভাবে ছুটতে-ছুটতে কত কম সময়ের মধ্যে তারা এইদেশের অবাঞ্চিত রিফিউজি হয়ে গেছে, হাত কচলিয়ে আজও হয়ত অনেকে ভেবে ফেরে!

সইবে তো?

কৃষক-মজৃরের পিঠের চামড়া তুলে তা দিয়ে দেশটাকে ঢেঁকে যদি সোনালি রঙ্গের তুলিতে আঁচড় কেটে বলা হয়, এই দেখ আমরা দেশটা চকচকে সোনায় মুড়িয়ে দিয়েছি। তাতে কি সারা পৃথিবী মেনে নেবে আমার দেশটা সোনায়-সোনায় ভরে উঠেছে? আপনারা কি খোঁজ করে জেনেছেন সারা পৃথিবী ঢুলছে তালে-তালে, মাতালে?

দেশসেনানী‘রা আর একটু ভাবুন, মনে হয় আর একটু ভেবে নেবার প্রয়োজন খুব বেশী। মাতাল ঘোর থাকা পর্যন্ত রঙ্গিন দুনিয়ার সুখ খুঁজে, প্রলাপ বকে।কিন্তু ঘোরহীন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ালে, প্রতিটা কদমে এত-এত আর্তনাদ-আহাজারী-আক্রোশ সইবে তো?

ট্যাক্স

৫৬ হাজার কোটিপতি ট্যাক্সের টাকায় ফূর্তি করবে, অভুক্ত কৃষক দেশ চালাতে ট্যাক্স দেবে। আর প্রজাতন্ত্রের সেনানায়ক‘রা গাঞ্জা খেয়ে দেশটাকে উদ্ধার করবে।

কার !

টগবগে তরুন তুখোড় কবি
বুকে প্রেমের পাথার, চোখে রঙ্গিন ছবি
কার ! প্রেমিকার?
এ বোঝা দায়!!

কবি কোন বিভোরে থাকে, কখন ইশারায় ডাকে
রুপকথার জগত পেরিয়ে ভ্রান্তী কাটলে, সকলে বুঝে
সে শুধুই প্রেমিক ছিল !
সুন্দরের, কবিতার...

হিংসেটুকু আগলে রাখি কি করে বলুন ত?

আরে এতদ্দিন তো কেবল তেনাদের (পুছকা পোলাপাইনের) কাজ-কারবার দেইখা আমি তাজ্জব হইতেম। এখন তেনাদের মতন আরেকদল পেলুম। তেনাদের রং তামাশাও আমার কাছে বেশ লেগেছে। এইদল কিন্তু তেনাদের মতো কথায়-কথায় কাঁদেন না, তবে খিটখিটে স্বভাবের জন্য তেনাদের সবসময় বেশ সুনাম। হয়, ঠিক ধরেছে- তেনারা বয়সে বড় হলেও আচারণগত দিকে মাঝে-মাঝে পুছকা তেনাদেরও হার মানিয়ে দেন। এই ধরুন আজকের কথাই বলি-

তখন রিকশায় আফিসে আচ্ছিলুম। লুকাস মোড়ে রিকশা ফার্মগেটের দিকে মোড় দিতেই দেকি তেনারা দু‘জন (বয়স অনুমানিক হিসেবে ৭০+) রং-ঢংয়ে মেতেছেন। একজনের হাতে কচকচে ২০ টাকার দুটো নোট, অন্যজন সাথে বসা। নোট হাতে তেনা করলেন কি, উৎসাহ নিয়ে একটু লাফালেন, তারপর একটা কচকচে নোটের উপর মুখ থেকে একটু থু-থু নিয়ে অন্যজনের কপালে আটিয়ে দিলেন। অন্যজনও দেখী এতে বেপুক মজা লুটছেন। তিনি খুশিতে গদগদ হয়ে,হাফুস-হাফুস করা মুখে একগাল হেসে, কপাল থেকে টাকাটা পকেটে পুরে নিলেন। এদেকে হাতে থাকা বাকী আরখানা নোটও থু মেরে এঁটে দিলেন কপালে আর অন্যজন একইভাবে পকেটে পুরলেন। দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছিল, দুজনের মধ্যেকার আনন্দঘন সুখটুকু।

দু‘জনের হাস্যোউজ্জল মুখ দেখে সত্যি অনেক সুখবোধ হল। জীবনের এ সময়টায় দাঁড়িয়ে এতটা নিঃসঙ্গতা, এতটা একাকিত্ব ঘুছিয়ে নেবার মতো এতটুকু সুখবোধ খুব কমজনেরই মেলে। আমি ভাবছি, যদি বেঁচে থাকি জীবনের সে ক্রান্তিক্ষনে আমারও কি এমন একজন বন্ধু মিলবে? আমিও কি জীবনটাকে এই ছোট্ট একটা আনন্দে এতটা মশগুল করে নিতে পারব? পাওয়ার শোকটুকু এখনই অনুধাবন করছি। তাই বলি- হিংসেটুকু আগলে রাখি কি করে বলুন ত?

শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

যেদিন মন বিষে যায়

যেদিন মন বিষে যায়, সেদিন থেকে ছায়াটাকে মাড়ায়ে পিষছি প্রতিদিন
এ‘মাটির মায়ায় যত নুড়েছি মানুষের ঘৃণার দহানলে হৃদয় ততটা লীন।

আকৃষ্ট

ভালোবাসাটা ভিতরকার বস্তু. একে বুঝতেও তেমন মন থাকা লাগে।
অথচ বেশীরভাগই অবদমনে জড়িয়ে মুখের প্রলাপযুক্ত ভালোবাসাতে বেশী আকৃষ্ট হয়। 

কেউ আবার দেখানো ভালোবাসা না পেলে ভেতরকার অন্তর্দহ ক্ষতে আরক্ত হয়।

দাসত্ব জীবন কাটিতে হইবে?



দুঃখ কারে কহি বাপু, হগলের বন্ধু থায়ে, কয়ে বন্ধু-বান্ধব বিপদ-আপদের সঙ্গী।

আর শালার আমি এমন বন্ধু-বান্ধব পায়াছি, যারা কয়- “বন্ধু-বান্ধব নাকি চাকর-বাকরের সমান”।।

বলি এমন বন্ধু-বান্ধব লয়ে কি মোকে সারাজীবন দাসত্ব জীবন কাটিতে হইবে?

সহনশীল মানুষ

সহনশীল মানুষ বোধযুক্ত বটে, তবে দায়িত্বের ব্যাপারে সতর্ক নয়।

নিদহীন কে গো

বিদূর রাতে বৈরাগীমন ডুকরে কাঁদে উজান-ভাটির মেঘমালায়
অঝর ধারায় প্রিয় বিনে নিদহীন কে গো শিউলি তলায়

ভয়

যে নিজের জীবন নিয়ে খেলতে প্রস্তুত, তার আবার হারাবার ভয় কিসে?

একই

একই গৃহ, একই বোধ, একই চিত্ত, একই মূল আর সে একই স্বজাতি ভাবনা----

তবে নষ্ট বিলে ফোঁটা ফুলে মন্দের ভালোটাই তো কেবল কাম্য; তাই নয় কি?

না; বলছি এই বঙ্গে ক্ষমতাসিনদের মধ্যে আমাদেরতো কেবল মন্দের ভালোটাই চাওয়া, অন্য কারও ভিন্ন ভাবনা থাকলে, পসরা সাজিয়ে তার কাছেই বরং যান।

ধ্রুব দূর্লভ নেশায়

ধ্রুব দূর্লভ নেশায় ঝাউবনের জোনাক গিলেছে টিকটিকি
এখন কুঞ্চিত কৃচ্ছের আলয়ে, নিয়ন আলোর পসরা মেলে

সে দেখারই প্রতিক্ষায়

না বলার ভাষা কোনদিন ছিল না, এখনও নেই। শুধু পেট গুলিয়ে বমি পাচ্ছে আর বমির ভাব ঘুছাতে চারদিকে কেবল থু-থু টাকে ছিটানোরই কেবল প্রয়াস পাচ্ছি।

সময় বলছে আমরা বোধহয় নিজেদের হারিয়ে পেলছি শীঘ্রই, হারিয়ে ফেলছি সম্মান-সঞ্চয়-বিবেকবোধ, তবে আর রইলই বা কি?

যারা শ্রদ্ধা-সম্মান ভূলছে তার এই বোধ দিয়ে ধর্মটাকে লালন করবে? তবে চেয়ে আছি সে দেখারই প্রতিক্ষায়...

অব্যক্ত প্রশ্ন

আজ একজন তার বন্ধুশ্রেনীর একজনের কাছে গল্প করার সময়ে বলে উঠলেন, মাওলানা মওদুদীর “শান্তিপথ” বইটি পড়লে নাকি তার রক্ত টকবগিয়ে উঠে। তিনি জানালেন বইটি তিনি বেশ কয়েকবার পড়েছেন এবং প্রতিবারেই কাফেরদের বেদাতি কাজ দেখে ক্ষুদিত হচ্ছেন তাদের শেষ করার ব্যাপারে।

লোকটির কথা প্রতিবাদ করার সাহস আর সুযোগ না থাকলেও হাসছি আর ভাবছি মানুষকে খুন করার উদ্ভুদ্ধ করা বইয়ের নামও তাহলে ”শান্তিপথ” হয়?