রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

সুখ আর ভালোবাসা

সুখ আর ভালোবাসা
দুটোকেই মানুষ কাগুজে টাকায় মাপতে চায়, কাগুজে টাকায় কিনতে চায়...

কিন্তু টাকার ওজনে কিনে যখন প্রকৃত ভালোবাসা হতে প্রত্যাহিত হয়, তখন মুমূর্ষু মর্ম বেদনায় দাহিত হয়।

সে যদি ভাসে মোরে ভালো

সে যদি ভাসে মোরে ভালো
আমিও চাহি তারে ভাসিতে
গোরা আঁখিতে নিভৃতে নিরবে
আমিও চাহি পথখানি ভূলিতে!

থেমে গেছে অল্পে

শৈশবের স্বল্প আলোর তেলের প্রদীপ নিভতেই
রাস্তার নিকষ কালোয় গ্রাস করত ধাঁ-ধাঁ-রা
ভূত-প্রেত, রাখাল-রাজা আর স্বপ্নপুরীর গল্পে

এখন নিয়ন আলোয় রাতগুলো দিনের মতো
আলোর পথ কমতে-কমতে মিলে গেছে পথে
আমাদের ভাবনার বিচরণও থেমে গেছে অল্পে।

তেনারা *

তেনাদের মাথা গরম করা প্রশ্ন শুনলে ইচ্ছে করে তুলতুলে গাল টেনে কাঁদিয়ে দেই। আজ তেনাদের একজন বাবার কাঁধে নিজের স্কুলের ব্যাগ তুলে দিয়ে হেলেদুলে হেঁটে চলছেন আর বাবাকে প্রশ্ন করছেন- "বাবা বাবা ডাব কি প্রথমে ছোট্ট থেকে তাপ্পর বড় হয়?"
বলেন তো এটা কোন প্রশ্ন হল? বলি আমার মতো সবাইতো এ ছোট্টবেলা থেইকা জানি, তেনা তবে কেন...
আমি এ কারনে তেনাদের কাঁদানোর পক্ষে

নানারে (বন্ধু করিম) নিয়া বহুত মছিবতে আছি!!

নানারে (বন্ধু করিম) নিয়া বহুত মছিবতে আছি!!

নানা কইল তার পরিচিত কলেজ-ভার্সিটির চেনা-জানা বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে আমাকে সংসারী বানিয়ে ফেলবে, শুনে মনে-মনে বেজায় খুশি হলাম, যাক একটা হিল্লে হল বলে, উদাসিন যাযাবর স্থায়ী আবাস পাবে বলে। এরপর নানা আমার পছন্দের ব্যাপারে জানতে চেয়ে বলে- তোদের তো টাইটেল-টুইটেল কি সব বাছ-বিচার আছে, তোর এধরনের সমস্যা নাই তো? কইলাম নানা বিয়েটা পারিবারিক হলে জামেলা এখনও আছে, যদি প্রেম-টেমের ব্যবস্থা করবার পারছ তো তার লগে লুকাইয়া সংসার পাইতা লমু!! নানা কয় আমার মতো বুইরার নাকি বেইল নাই, এখন ডাইরেক্ট পারিবারিক বিয়েতে যাওন লাগব। কইলাম তয়লে টাইটেল বিছরান লাগব। যা হোক নানা কইল সে ব্যবস্থাই লইব, শুইনা আমিও নানার ভরসায় পথ চাইয়া থাকলাম।

পরদিন নানা সুখবর লইয়া আসল, কইল দাদা তোর একটা ব্যবস্থা করে ফেললাম!! শুনেই আমি মনে-মনে খুশি, নানা একদিনে ব্যবস্থা করে ফেলল? যাযাবরের ঘর হতে চলল...?

এরপর নানা যা কইল, তাতে যাযাবরের ঘরের আশা কি, ছুটেই কুল পায়না...

নানা কয় সে নাকি ফার্মগেইট কোন দোকানে খেতে গিয়ে এক মহিলার শাখা-সিঁদুর দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করে জেনেছে, তিনি আমার টাইটেলের। নানা তার সাথে কথা বলেছে, আর ঐ মহিলাও বলেছে আমার লাগি তিনি নাকি স্বামী-সংসার ছেড়ে চলে আসতে দুই পায়ে খাড়া!!! কইলাম নানা কইলি কলেজ-ভার্সিটির কথা, তবে বিবাহিত মহিলার কাছে গেলি কেন? নানা কয়- সে নাকি খোঁজ করে কাউরে পাচ্ছে না, তাই.... :o

পরদিন অফিস করে বাসায় আসলাম, দেখি নানা ফুরফুরে মেজাজে। জিগাইলাম নানা ঘটনা কি, বহুত মাস্তিতে আছিস মনে হয়?

নানা কয় দাদা আজকে তোর ব্যবস্থা করেই ফেলেছি, কনে আমাদের বাসাও দেখে গেছে, তোর সবকিছু শোনার পর সে রাজি হয়েছে। আমি বললাম তাই নাকি? আজকে আবার কে রাজি হল? নানা কয়- আজকে বাসার সামনে এক মহিলা বলতেছে- ছাই, এই ছাই লইবেন ছাই? হঠাৎ দেখি মহিলার হাতে শাখা-সিঁদুর... নানাকে থামিয়ে বললাম, তোকে মহিলার দিকে তাকাতে কে বলেছে? আর ছাইওয়ালা মহিলার সাথে তোর কথার দরকার পড়ল কেন? নানা কয় আরে শুন না, তোর জন্য না পাত্রী খুঁজছি, ভেবে দেখলাম মহিলা হিন্দু মানুষ, তার উপর হেঁটে-হেঁটে বিভিন্ন বাসায় ছাই বিক্রি করে...তার মাধ্যমে তোর একটা ব্যবস্থা করা গেলে মন্দ কি? তাই তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার নাম কি? মহিলা কয় সীতা রানি দেবনাথ। একথা শুনেই ভাবলাম, মহিলার মেয়ে বা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে তো কেউ অবশ্যই আছে, তোর ব্যবস্থা হবেই, কিন্তু মহিলা কয় তার পরিচিত বিবাহযোগ্য কোন পাত্রী নাই। তবে মহিলা নিজে রাজী হয়েছে, বলেগেছে তুই রাজি হলে সারাজীবন ছাই বিক্রি করে তোরে বসাইয়া-বসাইয়া খাওয়াইব... দাদা তুই রাজি হইয়া যায়, এ সুযোগ আর জীবনেও পাইবি না...

ভাই-বন্ধু-মুরুব্বি-শ্রদ্ধেয় জন, নানার মছিবত থেকে বাঁচার একটা উপায় বাতলায়ে দেন, নইলে তেজগাঁও রেললাইনের পাশের কচুগাছ দেখাইতাছে নানা...

ভালোবাসি বলে কাউকে দন্ডিতে চাইনি বলে

ভালোবাসি বলে কাউকে দন্ডিতে চাইনি বলে প্রতিনিয়ত নিজের মনকে দন্ড দিয়ে গেছি। ভালোবাসি বলে আগলে রাখতে না পারার যন্ত্রণা বইতে পারব না বলেই সরে আছি।

কিন্তু না বলতে পারার আরাধ্য ভালোবাসার অন্তঃক্ষরণ কতটা হয়, সে পরাজিতের অভিপ্রায় না জেনে অনুধাবন এতটা সহজতর নয়!

দায়

আমি না হয় মুর্খ্যসুর্খ্য
না বুঝেই হৃদয় বিকিয়ে দিলাম
তুমি কি এমন দায়ে পড়ে
হৃদয়খানা করলে নিলাম?

মনোরাজ্য

হতে পারি আমি অতি সাধারন
তবুও আছে জেনো রাজ্য শাসন
যেথায় আমার প্রভাব- প্রতিপত্তি, একছত্র অধিকার
আমায় হীনে রাজ্যে, বাকি সব অসার!

উগ্রবাদী ধার্মিক হবার চেষ্টায় রত

পবিত্র বেদ, ত্রিপিটক, বাইবেল, কোরআন আমাদের জীবনবোধযুক্ত সত্যিকারের মানুষ হবার উপদেশ দিলেও, আমরা উগ্রবাদী ধার্মিক হবার চেষ্টায় রত হই।

সময়ে একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াও জরুরি!

সময়ে একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াও জরুরি!

আসলে অন্তরে অন্তর্গাতপূর্ণ শূন্যতা আর মনের ভিতরে কাউকে ভেবে বুনে চলা পৃথিবীটা ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে হৃদয়টাকে বিসন্নতায় জড়িয়ে ফেলে!

কোথাও কেউ নেই

কোথাও কেউ নেই-
তবু পাশে; একখন্ড আকাশ, এক মুঠি রৌদ্দুর আর এক আকাশ আশা

কোথাও কেউ নেই-
তবু পাশে; অনুভবে তুমি, তোমার গড়া পৃথিবী আর স্মৃতি আকড়ে বাঁচা।

আমার মুখে পুরে কেন আমায় গিললি বল

নেশা যদি গিলে নেশায়
মাতালময় এই দুনিয়াটাকে
সে গিলে না তাকে গিলে
কেমন করে বুঝবে লোকে?

ওরে আমার মুষ্টিহাতের বদ্ধ সুরার ঢল
আমার মুখে পুরে কেন আমায় গিললি বল..

জরুরি

অন্যকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে শেখা জরুরি। মানুষ হবার নিরন্তর চেষ্টা সবচেয়ে বেশী জরুরি।

সুখ-দুঃখ বলতে কিছু নাই

সুখ-দুঃখ বলতে কিছু নাই! এটা জৈবিক তাড়নার মতো এক ধরনের তাড়না, যা চাইলেই ভিন্ন উপায়ে মন থেকে হটিয়ে দেয়া সম্ভব! শুধু উপায়টাকে যথাযথ আত্মস্থ করার কৌশল আয়ত্ব করতে শিখতে হয়। আসল কথা হলো অন্তরের ভাব-বাসনার পীড়া মানুষকে যখন পরাস্ত করে তখন মানুষ দুঃখবোধ করে, জয়ে সুখবোধ।

আমাদের ক্ষমা করো

রাষ্ট্র যখন অন্যায়ের কাছে মাথা নুড়ে দেয়, অন্যায়কে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তখন সে রাষ্ট্রের গণমানুষের বেহালদশার গল্পগুলো মুখে জানানোর প্রয়োজন পড়ে না।

...দেশমাতৃকা আবারও লাজ-লজ্জা হেলে উন্মুক্ত দরবারে উলঙ্গ হল। তাঁর শাসক-নিয়ন্ত্রক যারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল, জীবনের বিনিময়ে হলেও মায়ের সম্মান সমুজ্জল রাখব! তারাও অন্যায়ের কাছে নিজেদের প্রতিজ্ঞা বিকিয়ে, নিজের হাতে দেশমাতৃকাকে উলঙ্গ করে ছাড়ল, তাই তাদের জন্য আবারও-

আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
আমরা নষ্ট বীজে অপুষ্ট ভ্রুণ
নেই গ্রহীরে শক্তি...

আমাদের ক্ষমা করো-
ক্ষমাহীন যত অযাচিত শাপ
জন্ম মোদের সংকরিত ফল
প্রভেদে রটে প্রবাদ...

আমরা আপনা নীড় আপনি ভাঙ্গি
নির্বাক প্রতিবাদে
আমাদের জন্মধারায় সংশয় আতুরঘর
কাঁদে ধুকে-ধুকে।

আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
কাপুরুষ সন্তান জন্মাতে বয়েছ প্রসব বেদনা
কাপুরুষ সন্তানের ভীড়ে হয়েছ মৃত্যু পথযাত্রী।