অন্যান্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অন্যান্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫

অঙ্কিতা-০২

অঙ্কিতা- বাহ্যিকরুপটাই কেবল উপলব্ধ। অন্তরটাকে খুঁড়ে-খুঁড়ে জানবার বাসনা কার কোথায়? বিনিদ্রাগুলো গুমোট রাতের তারাগুলোর মত মনের মধ্যে ঝলক দিয়ে উঠে, প্রকাশের ভাষাগুলো একটু আবেগ ছোঁয়ায় লালন করবে এমন জন আর পেলাম কৈ?

অঙ্কিতা; দেখছ এখানে যে বিমূর্ত ছায়ারুপ, এখানে কেউ কেবল স্মৃতির ছায়া ধরেই পড়ে থাকে। গন্ধহীন ফুল সে আলোতেই ভালো দেখায়, আঁধারে তাকে হাতরে খুঁজবে এমনতর অভিলাষ কার কোথায়?

গ্রীষ্ম এলেই শীতের সকালে ছড়িয়ে থাকা দূর্বাঘাসের উপর শিশির পায়ে জড়িয়ে রাখা আবেশটুকু এসে শিহরিত করে। অথচ শীতের প্রাক্কালে এমন পরশে সকলেরই অনিহা থাকে। বেঁচে থাকার বাসনাগুলো সময়ের ব্যবধানে কত বর্ন - বিবর্নে সজ্জিত হয়।

এখানেও সুখ মেলে অঙ্কিতা! এ বয়ে বেড়াবার সুখ, প্রহসনগুলোকে তীর্যক মনে ভাববার সুখ অথবা প্রতারিত জীবনে কারও মনে আড়ষ্টতা জিইয়ে দেখবার সুখ। দহণ প্লাবনে আমার মত তুমি দ্রুত ক্ষয়ে না যাও, একটু-একটু করে ক্ষয়ে যাও সে আমি চাইব না কেন?

না, দেবতা হওয়ার মত এত বড় হৃদয় আমার নেই। ষড় ঋতুর বৈচিত্র্যতায় যে আমি বিচিত্র হয়ে পড়েছি, সে আমি দেবতার মত এত নিঃসংকোচ উদারতা পাব কোথায়? দেখ এই চোখের মনিতে, সে সাগরের নোনাজল বয়ে কতটা ঝাপসা হয়েছে। দেখ; দেখ এই দেহ অয়ববে, অনুভবহীন দেহকোষগুলো কতটা মরে গেছে। দেখ; দেখ; দেখ; মনের ভেতরকার ঘুমরে থাকা বাসনাগুলো আজ কতটা হিংস্র হয়েছে। তবে বেঁচে থেকে আমি কি করে দেবতা হব?

অঙ্কিতা আমি জানি- ভালোবাসা মানে ছাড় দেওয়া। কিন্তু ছাড়টাকে যদি ছেড়ে যাওয়ায় বয়ে নিতে হয়, তবে জমানো স্বপ্ন কবিতার কাতরতা সহে থাকা দুষ্কর নয় কি? আমি পারি না অঙ্কিতা, সত্যি আমি পারি না। ছন্দের ছোঁয়াগুলো আমার বিব্রত জীবনটাকে আরও বিপথগামীতার দিকে ঠেলে দেয়। এখন জীবনের পান্ডুলিপিটা পুড়ে সাঙ্গজীবনের সর্ব সমাপ্তি‘ই কেবল সুখ দিতে পারে!

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫

জাতিসংঘের কাজ কি?

জাতিসংঘের কাজ কি?

ক) কোনদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করা
খ) মার্কিনিদের দালালি করা
গ) মানবাধিকারের নাম ভেঙ্গে বিষ্ঠা লেহন করা
ঘ) নাকি উপরের সবগুলো

বুধবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আদৌ মূল্য আছে

জীবনকে নিয়ে এত-এত ভাবনা কিংবা ভাবনার বাসনা জীবনের পাদপার্শ্বে প্রতিনিয়ত সংকল্পে আবদ্ধ হওয়া, সত্যিকার অর্থে এর কি আদৌ মূল্য আছে?

সৃষ্টির প্রসব বেদনা যার মাঝে থাকে তার চোখে ঘুম থাকে না!

সৃষ্টির প্রসব বেদনা যার মাঝে থাকে তার চোখে ঘুম থাকে না!

নিরন্তর মাতৃগর্ভের মত মগজের ভিতরে যে সন্তানরা দিনে-দিনে অপেক্ষায় থাকে ভূমিষ্ট হবার বাসনায়, তাকে সুরক্ষিত রাখার ইচ্ছেয় মা নিয়ত যন্ত্রনা সহে-সহে তাকে লালন করে। জন্মাদানের এসময় মাতৃচোখে ঘুমের অভ্যর্থনার চেয়ে তার গর্ভাদ্দেশে সন্তানের নড়াচড়াই তাকে বেশী ফুলকিত করে, তেমনি সৃষ্টিশীল মানুষেরা ঘুমোতে পারে না মগজে সৃষ্ট সন্তানের ভূমিষ্ঠ হবার অধীর আগ্রহে; প্রতীক্ষায়।

সন্তান জন্মদানের পর যেমন সন্তানের দিন-রাত কান্না মাতৃহৃদয়কে অসহনশীলতার পরিবর্তে ব্যাকুল করে তোলে, ঠিক তেমনি প্রতিটি সৃষ্টিশীল মানুষের সৃষ্টি তাকে ব্যাকুলতায় আকড়ে ধরে। আপনার সৃষ্টিকে, আপনার সন্তানকে স্নেহ-মমতা উজাড় করে দিতে কার্পণ্য না থাকায় ক্ষেত্রে মাতৃহৃদয়ে ঠিক যেমন বাসনা ব্যপ্ত থাকে সন্তানের স্পন্দনকে সহে-সহে, তেমনি জাগতিক বাসনায় জাগ্রত প্রতিটি সৃষ্টিশীল মানুষের কার্য্যবলয় তাকে নিরন্তন সহে যাবার তাগিদ দেয়, প্রত্যয় দেয় নিজের রূগ্ন সন্তানটিকে পরিপুষ্টভাবে বড় করে তোলার অদম্য বাসনায়।

বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

জীবন সম্পর্কে মানুষের বোধদয়

জীবন সম্পর্কে মানুষের বোধদয় জন্মলগ্ন থেকে। পৃথিবীতে জন্মেই যখন শিশুটি অন্ধকার শীতল মাতৃগর্ভের সংস্পর্শহীনতা অনুভব করে, তখন তার বোধে আসে আলো-আঁধারের উষ্ণতম এই পৃথিবীতে সে কতটা অসহায়। ডুকরে প্রাণপণে কেঁদে সে তার অসহায়ত্বটাকে জানান দেয়। অথচ সময়ের মিলনযজ্ঞ একদিন মানুষকে মাতৃগর্ভের চেয়ে পৃথিবীটাকে প্রিয় করে তোলে। পৃথিবীতে তার স্বপ্ন‘রা লালন হতে থাকে, সময়ের পরিক্রমায় স্বপ্নের মোহজালে জড়িয়ে তার দিনগুলো গড়িয়ে যেতে থাকে।

বৃহস্পতিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আজ বসন্ত

আজ বসন্তের প্রথম দিন, পহেলা ফাল্গুন। পুস্পিত বসন্ত, মধুকরির মধুময় আনন্দ। যৌবনের উদ্দামতা বয়ে দেবার সুখ, উচ্ছ্বাস-উৎফুল্লতায় হৃদয় কেড়ে নেয়া মুখ।

আজ ফুল ফোটানোর দিন, ফুলের মৌ-মৌ ‘তে বয়ে যাওয়া রঙ্গিন। মহুয়ার মাতাল হরা মন, উড়ন্ত ভ্রমরার গুঞ্জরণে অনুভব সারাক্ষন। নব জেগে উঠা কুঁড়িরা নানা বর্ণে রঙ্গিন, কৌকিলের কুহু-কুহু রবে স্বপ্নরাঙ্গা দিন। আজ আত্মহারায় আপনাকে বিলিয়ে গেয়ে যায় আপন চিত্ত, ফুল ফুটুক আর না ফুটুক; আজ বসন্ত...।

সোমবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সীমাবদ্ধ জীবনে

যদি কোন বিষয়ে অন্তর্হীত তাৎপর্য্য খুঁজতে ৩০০ বা তারও অধিককাল সময় ব্যয়ের প্রয়োজন হয়, তবে মানব জীবনের সীমাবদ্ধ জীবনে সে তাৎপর্য্য খুঁজে বেড়াবার উদ্দেশ্য থাকে কি?

আমি বলতে চাইছিঃ এই পৃথিবীতে মানুষের আগ্রহ-অভিলাষ-অভিসন্ধি-অভিরুচী-কামনা-বাসনা-অভিপ্রায় সব সম্পন্ন করার পর, মানুষের আর কতকটা আগ্রহ থাকে, যাতে করে সে ৩০০ বছরের কোন তাৎপর্য্যের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাবে?

রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

প্রতিটি মৃত্যুই কষ্টদায়ক

প্রতিটি মৃত্যুই কষ্টদায়ক আর মায়ের কাছে সন্তান হারানোর বেদনা সে বড় কষ্টসাধ্য। আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে মর্মাহত চিত্তে বেগম জিয়ার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আর কামনা করছি, মাতৃহৃদয় যেন এমন ভারাক্রান্ত পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারে।

মাননীয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী- আপনি দয়া করে মাতৃহৃদয়ে আমাদের ব্যথাগুলোকে বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনাদের অতৃপ্ত রাজনৈতিক বাসনায় আমরা যে আজ বড় অসহায়।

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও.....

অনেকেই বলে থাকেন- “নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও নির্ণয় করতে পারেন না”। এ কথার প্রেক্ষিতে আমার একটা কথাই জানার আছে সকলের কাছে- যদি বিধাতা নারীর মন নির্ণয়ে ব্যর্থ হন তবে তিনি কি করে পুরুষের মন নির্ণয় করেন?

যে সভ্যপুরুষ নারীকে অসতী তকমা দিয়ে সমাজের চোখে কোনঠাসা করে সুযোগে রাতে তার সাথে শয্যা রচনা করে, সে পুরুষের মন নির্ণয় বিধাতার কাছে কি করে সহজ হয়?

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪

বিশুদ্ধ নারী খোঁজ

আমার এক কলিগ পাত্রী পছন্দের জন্য গতপরশু গিয়ে আজ ফিরে এলেন। জিজ্ঞাসা করলাম- কি অবস্থা? পাত্রী পছন্দ হয়েছে? আমার প্রশ্নের উত্তর না দেয়ায়, আরোক কলিগ উত্তর দিলেন- তার পাত্রী পছন্দ হবে কি করে? তিনি ত বিশুদ্ধ পাত্রী খুঁজতেছেন। আর এখন কি বিশুদ্ধ পাত্রী আছে?
আমি রসিকতার সুরে বললাম এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আপনার আমার মতো পুরুষ‘রা নারীকে জোর করে ধর্ষণ করতে না পারলেও চোখ দিয়ে প্রতিনিয়ত যে পরিমান ধর্ষণ করে চলছি তাতে বিশুদ্ধ নারী খুঁজে পাওয়া সত্যি দুষ্কর!!!

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৪

মতভেদ

চোর চুরি করে আর চুরি মহাপাপ। কিন্তু এই চুরি করাটার অর্থ জন বিশেষে ভিন্ন। যেমন কেউ বলে সে পেটের দায়ে চুরি করেছে, কেউ বলে বাধ্য হয়ে চুরি করেছে, কেউ বলে শালা হারামির বদ-স্বভাব বশে চুরি করেছে, তাই বিতর্কের বিষয়টিও জনবিশেষে ভিন্ন হবে।

চেনা

উদারমনা আর উদ্ভ্রান্ত এ দুই শ্রেণীরলোক নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে পারে শত সংকোচ কেটে। কিন্তু যে নিজের দেহ অলংকরণের জন্য খুঁতখুঁতে হয়, দ্বীধাহীনভাবে বলা যায়- সে স্বার্থপর। কোনপ্রকার কার্য্যসিদ্ধি ব্যতীত তার কাছে কিছু আশা করা বৃথা।

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৪

সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে

স্বাদ-ইচ্ছে যাই থাক না কেন, সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে। বাহিরের অভিব্যক্তিকে কেবল সত্য হিসেবে ভাবতে চায়।
আপনি আপনার প্রেমিকাকে মিথ্যে আশ্বাসে বারংবার বলছেন ভালোবাসি, সে তাই মানবে। সে বুঝবে আপনার মত তাকে কেউ কোনদিন ভালোবাসে নি, বাসবেনা। সে আপনার জন্যই কেবল ব্যকুল হবে।
আপনজনের অসুস্থতায় আপনি শুধু আবেগগুলো প্রকাশ করেন মুখ দিয়ে, তবেই হবে। তারা বুঝে নেবে, আপনার মত কেউ সতর্ক যত্ন নেয় নি, নেবে না।
কিন্তু কেউ এতটুকু বুঝেও বুঝতে চায় না কিংবা কাউকে এতটুকু বোঝানো সম্ভবপর হয় না, ভালোবাসা সবার মাঝেই থাকে, সবসময়ই থাকে আর সকলেই ভালোবাসার অনলে পুড়ে। পার্থক্য কেউ বাহির পৌঁড়ায় আর কেউ অন্তর। বোধে নিলে এ সত্যই কেবল ধরা পড়বে।

স্বার্থ

অনেক ভেবে দেখেছি, এখনও ভাবছি। উত্তর একটাই মিলল, কেউই ছাড় দিতে রাজি নয়, কেউ ছাড় দিতে চায় না। না বাবা, না ভাই-বোন, না পাড়া-পড়শি-বন্ধু-বান্ধব। স্বার্থসুখেই সকলে মুখে কবুল বলে, আবার স্বার্থ পুরোলেই তালাক দিয়ে পিছু হটে। মুখের কিংবা সুখের স্বাধীনতা নামক স্তবকটিও ভাব না বুঝে নিরুদ্দেশে চলে যায়। সময় মুখোমুখি দাঁড়ালে মতের বিমতে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তির হাতেও খড়গ চলে আসে।

সজাগ



জীবনযুদ্ধে নিজেকে একা লড়ে যেতে হয়, কিন্তু বাঁচতে গেলে সবাইকে নিয়েই বাঁচতে হয়।
তাই যাদের নিয়ে আপনাকে বাঁচতে হবে তাদেরকে ছাড় দেয়ার মানষিকতা সম্পর্কে বারংবার সজাগ করুন। না হলে আপনার নিজের বেঁচে থাকাটাই দূরহ হয়ে পড়বে।

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

প্রবচনঃ সংগ্রহ ননুদাদু থেকে

লেই রাখছি কলাহাত্রে, হুন মারাও গৈ হাত্রে হাত্রে।
( সংগ্রহঃ ননুদাদুর কাছ থেকে)
 

উপরের প্রবচনটি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত, যেটা আমি শুধুমাত্র আমার শ্রদ্ধেয় ননুদাদুর কাছ থেকেই শুনতাম। এখানে ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষাসমূহ- লেই=লিখে, কলাহাত্রে= কলারপাত্রে, হুন= মানব দেহের পশ্চাৎদেশ, মারা= মার খাওয়া/দেওয়া, হাত্রে- জমিনে/ক্ষেতে।
এই প্রবচনটি তিনি তখনই কেবল ব্যবহার করতে, যখন তিনি কাউকে কোন ভালো বিষয়য়ে বুঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে রেগে পড়তেন।

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

রহস্যময় পৃথিবী

পৃথিবীতে মানুষের বিশ্বাসের বাহিরেও অনেক কিছু ঘটে, মেনে নিতে না চাইলেও অনেক কিছু মানতে হয়। এমন কিছু না চাইলেও হঠাৎ মেলে আবার নিশ্চিত প্রাপ্য কাঙ্খিত বস্তুটি অদৃশ্য হয়ে যায়।

পৃথিবী রহস্যময় !!! তাই রহস্যভেদ করার ইচ্ছেও মানুষের মাঝে প্রকট। যদি পৃথিবী রহস্যহীন হত? তবে বেঁচে থাকার এতটা ব্যকুলতা কেহই বোধহয় এতটা বোধ করত না।

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মানুষের মুখের ভাষা আর মনের ভাষা যদি এক হত

মানুষের মুখের ভাষা আর মনের ভাষা যদি এক হত, তবে পৃথিবীর প্রতিটি পদক্ষেপ দূষ্কর ঠেকত।

জীবনের কিছু-কিছু মুহূর্ত জীবনকে এতটাই বিষিয়ে তোলে যে, প্রিয়জনদের ঘিরে অনেক অপ্রিয় গরল অনিচ্ছায় বেরিয়ে পড়ে কিন্তু গরল উগঢে গিয়ে মন যখন স্থির হয়, তখন মমতার বন্ধনে আবদ্ধ হৃদয়ে জমে থাকা আকুতিগুলো আরও ব্যকুল হয়। অনুশোচনাবোধে ক্ষমাযোগ্য হৃদয়ের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।

জীবনের প্রতিটি ধাপে বোঝাপড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, না হলে চলার পিচ্ছিল পথে পড়ে দেহের প্রতিটা পাঁজর ভেঙ্গে চূর্ণ হতে পারে। তাই দ্বিধা-দ্বন্দ যাই থাকুক না কেন- প্রিয়জনদের মনকে বুঝতে সচেষ্ট হওয়া খুব প্রয়োজন, নচেৎ সামান্য হোঁচটও জীবনের জন্য কঠিন সময় বেঁধে দিতে পারে।

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

ঈদের শুভেচ্ছা

জীবনের পথে চলতে-চলতে যখন বোধ আসে- এ বোধহয় আমি থেমে গেছি, ঠিক সে সময়ের একটা উপলক্ষ্য একটা অনুভূতি জীবনকে নতুন করে চালকের আসনে বসিয়ে দেয়। নতুন করে বাঁচতে শেখায়, স্বপ্ন দেখতে শেখায়, নতুন করে ভালোবাসতে শেখায়। গম্ভীর আড়ষ্ট জীবনের গতানুগতির ধারাকে পরিবর্তনের যে সমূহ স্বীকৃত সুখ, আরাধ্য অনুভূতি তাহাই খুশি।
প্রতিটি খুশিই এক-একটা পীড়ার মহাঔষধ, জীবনকে চেনার নতুন এক আয়োজনযজ্ঞ। ভালোবাসায়, মমতায়, স্নেহ কিংবা সোহার্দ্যের অটুট বন্ধন গঠনে সজ্জিবনী শক্তি। যে শক্তি আত্মাকে বিশুদ্ধ করে, শেখায় ভাগ করে রাখা ভালোবাসার সংযোজন।
স্নেহ-সান্নিধ্য-ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক সকলের প্রাণ নতুন উৎসাহ আর উজ্জিবিত শক্তিতে, সে কামনায়- সকলকে ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
শুভ ঈদ মোবারাক।

রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৪

স্তনবৃন্তে

স্তনবৃন্তে শুধুমাত্র জন্মশিশুর তৃষ্ণা মেটে না
লাজুক ময়ুরীও সাজে, মধুর সুখও ঘুছে।