রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

গৃহহীণ

স্বপ্নকাতুরেরা দিনশেষে গৃহহীণ!

সত্য

মিথ্যের বেসাতি দিয়ে সত্যকে যতই আবডাল করা হোক না কেন, মিথ্যার রং ছং এ সাজিয়ে যত সুন্দর প্রাসাদ‘ই গড়ে তোলা হোক না কেন, সত্যের একটুখানি সু-বাতাস তাকে খড়কুটোর ন্যায় উড়িয়ে নেবে, সত্যের একটুখানি অগ্নিদাহ তাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে অঙ্গার করে দেবে।

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

বাস্তবতা বড় কঠিন

যে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়, অর্ধেকের বেশী হিন্দুদের ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে, আজ সে দেশ ইসলামী দেশ। সে দেশে হিন্দু‘রা সংখ্যালঘু, তাদের এদেশে বসবাসের অধিকার নেই। সত্যি বাস্তবতা বড়ই কঠিন..........

নিজের বুঝ

যত সত্য-সংযত তথ্য দিয়েই বুঝানো হোন না কেন, প্রত্যেকে নিজের বুঝকে আকড়ে ধরে থাকার আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে।

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

পার্থক্য

বিশ্বস্ততা আর সততার মাঝে বিরাট পার্থক্য আছে, একজন বিশ্বস্ত লোক অসৎ হতে পারে। কিন্তু একজন সৎ লোককে অবিশ্বাসী প্রমাণ করতে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া লাগে.......

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩

অঘোরের ঘোরে ঘুরছে প্রকৃতি


বুক চিরে দেখ; এ প্রহসণ হৃদয়টাকে কুড়ে-কুড়ে খায়
দায় আমার ৪২ বছরের জমানো ক্ষরণের,
নিশ্চুপে কত বিলাপ, কত আহাজারী সে শূণ্য মিলিয়ে গেছে
অন্তর‘টাকে খুলে এনে যদি দেখাতে পারতাম
তবে হয়ত দেখতে এ প্রহসণে সে কতটা চিহ্ন-ভিন্ন।

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩

যদি এ‘হয় মানবাধিকার!!!

শালাল মানবাধিকার, মানবাধিকার, মানবাধিকার। মুতি মানবাধিকারের মুখে।
দৈনিক হিংস্রাত্নক আচরণে সাধারণ জনগন মেরে ফেলার পরও মাণবাধিকারের প্রশ্ন উঠে না,
সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা‘কে জিম্মি করে বারংবার কোনঠাসা করতে গেলেও মানবাধিকারের প্রশ্ন উঠে না,
ক্ষমতায় তৃয়াস মেটাতে অস্রধারীর অস্র রক্তে রঞ্জিত হলেও মানবাধিকারের প্রশ্ন আসেন,
একাত্তরে হানাদারের ঘৃণ্য কু-কর্মের জন্য মানবাধিকারের প্রশ্ন উঠে না।

আর যেই না কাদের মোল্লা, সাঈদী, সাকা, নিজামীসহ একাত্তরের হিংস্র জানোয়ারদের বিচার কার্য্য হচ্ছে, তখনই মানবাধিকার ছটপট করা শুরু করেছে?
জানতে ইচ্ছে করে মানবাধিকার কি বিশষস্থান থেকে বেড়ে পড়া রস যা মানবাধিকার বলে চিৎকার করা সুশিলদের স্বাদ মেটায়?
যদি এ‘হয় মানবাধিকার, তবে এমন মানবাধিকার চাই না, শুধু চাই একাত্তরের হিংস্র হানাদারদের ফাঁসি।

অরক্তিম ভালোবাসা আর সম্মান রইল মহান নেলসন ম্যান্ডেলার প্রতি

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। অথচ শ্রেষ্ঠত্বের এই রূপটাই বারংবার পাংশুটে বিবর্ণ রূপ ধারণ করে স্বার্থসিদ্ধ; মনুষ্যত্ব বিবর্জিত আচারণের কারণে। হ্যাঁ; শুধু এ একটা কারণেই মানুষেররূপটা হিংস্রপশুররূপে ধরা পড়ে, কঠিণ হয়ে পড়ে চিহ্নিত করতে জীবজগতের এই শ্রেষ্ঠ জীবটিকে।
জীবজগতের অন্য জীবদের তুলনায় মানুষ দৈহিক, বাহ্যিক আর চিন্তাধারায় উন্নত হলেও তারা সবসময় নিজেকে নিজের আসনে ধরে রাখতে পারে নি। ক্ষমতার অন্ধমোহ, শারীরীক গঠণ, জৈবিক আকর্ষণ, ধর্মীয় গোড়ামী কিংবা আপনার মধ্যেকার অজ্ঞতাপ্রসূত দাম্ভিকতায় মানুষ বারংবার নিজেদের মধ্যে জড়িয়ে নিয়েছে লড়াইয়ে। লড়াই শেষে রক্তাক্ত প্রহসন মানুষের মধ্যেকার মানুষটিকে কিছুটা নাড়া দিলেও ক্ষোভ কিংবা আপনার চরিতার্থ রচনায় তারা কখনো পিছু হটে নি। ফলে সর্বত্র দেখা মেলে যুদ্ধ, বিগ্রহ, হিংসা, দ্রোহ, নৈরাজ্য কিংবা বর্ণবাদের মহোৎসব। আর এই মহোৎসবের উন্মাদনায় যখনই দেশ, জাতি কিংবা বিশ্ব পথভ্রষ্ট হয়, তখনই জীবনবাজি রেখে আলোকবর্তিকা হাতে ধরে সাম্যের গানে-গানে আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে অবিসংবাদিত কোন মহান নেতা। নেলসন ম্যান্ডেলা তেমনি একজন। সমগ্র দক্ষিন আফ্রিকায় যখন বর্ণবাদের ছড়াছড়ি, শ্বেতাঙ্গদের কাছে যখন কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি নির্মম অত্যাচার চলছে, ঠিক তখনি কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য নিজের জীবনবাজী রেখে আলোক হাতে এগিয়ে চলেন তিনি। জীবনের দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ, শারীরীর, মানুষিক অত্যাচার সহ্য করেও তিনি লড়ে গেছেন বর্ণবাদ আর শ্রেণী শোষনের বিরূদ্ধে। আর তারই ফলশ্রুতিতে পেয়েছেন মানুষের নিষ্কণ্টক ভালোবাসা, দক্ষিন আফ্রিকার জনকের শ্রেষ্ঠত্ব সম্মান। এই শ্রেষ্ঠ মানুষটি গত বৃহঃস্পতিবার আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। অরক্তিম ভালোবাসা আর সম্মান জানাই এই মহাণ মানুষটিকে।

একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি

আজ বিপ্লবি নেতা ক্ষুধিরাম বসুর জন্মদিন। ১৮৮৯ সালের এ দিনে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত মেদিনীপুরে এ সূর্যসন্তানের জন্ম। যিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরূদ্ধে লড়তে গিয়ে মাত্র ১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিন বয়সে হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে আরোহণ করেন। বরণ করে নেন মাতৃভুমির জন্য গৌরব উজ্জ্বল মৃত্যু যাতনা।
স্যালুট জানাই সময়ের এই বীর সূর্যসন্তানকে, যে অকুতোভয় প্রাণ নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলণে আমার স্বপ্নের রূপকার হয়ে।
আর তাঁর মৃত্যুতে আহত মনে কেঁদে উঠে বলি- “একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি”।

নির্ভরশীলতা

স্বপ্ন দেখে যাও, স্বপ্ন দেখিয়ে যাও
স্বপ্ন দেখার পথগুলোকে যদি আস্থায় দৃঢ়শীল করতে পার, তবে সে স্বপ্ন পূরণ হবেই।
তবে স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে কোন নির্ভরশীলতা আশা কর না, কারণ একটা নির্ভরশীলতা স্বপ্ন ভেঙ্গে দেবার ক্ষেত্রে হাজারটা বন্ধকতা তৈরী করে।

শুভ জন্মদিন

নিসঙ্গ পথচারী, সুদূর পথে
হেঁটে যায় একাকী অকারণ
চলে যাওয়া সে পথে
ভালোবাসা বাঁধে তারে আমরণ।

সে ভালোবাসা ভূলে, পথে ফেলে যে
পাষন্ড চিত্ত তার,
পথে-পথে ঝরা ফুলে
পদদোষে চিত্তবিষে একাকার,

অজানা সত্য

বোধের বিচারে নির্বোধ হয়েছি আমি,
যাতনা পুষেছি অন্তরে;
জেনেছি, সেই অজানা সত্য,
ক্ষোভের প্রায়চিত্তে মানুষ হয় সাধু কিংবা চোর
পুষে রাখা স্বপ্নের মন্তরে।

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

সুযোগ

দৃষ্টিকটু বাক্যে শুরু হওয়া নিষ্কন্টক সত্যও গুরুগম্ভীর মিথ্যা। কারণ; তা বিতর্ক সৃষ্টিতে সুযোগ দেয়।

জানা

মরতে যাকে চেনা হয়, সে আমার যম
সংসার তরণী পাড়ি দিতে, লাগে বড় দম!!

মমতার আশ্রয়ে আমাদের স্বপ্ন‘রা যে বড় নিঃস্ব

জীবন আর জীবিকার পথে পুড়ে ছাই কত স্বপনের সোনালী কুড়োঘর। তবু স্বপনের খুনশুটি ভূলে ছুটি এই আমরা, বাঁচার তাগিদ যে আমাদের বড়, মমতার আশ্রয়ে আমাদের স্বপ্ন‘রা যে বড় নিঃস্ব।