বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪

মানুষ স্মৃতি হাতরে বাঁচে..

মানুষ স্মৃতি হাতরে বাঁচে! অতীতের ছায়া ছুঁয়ে বাঁচে, লুকিয়ে বাঁচে, জমানো ঘৃণা আগলে বাঁচে, মমতার যত্নে বাঁচে।

যতদূর চোখ রাখার প্রয়াস করি দেখি সবাই সুদূর সবুজকে আহ্বান করে, আপনাকে আশ্রয় করে, জীবনকে শীরোধার্য্য করে, অহংকারকে হৃদয়ে জমা করে, মলিনতাকে আশ্রয় করে দগ্ধ হয়, ভীষণকে ধরে রেখে ক্ষয় হয়।

জীবনকে নিকট থেকে দেখেছি, অনেক নিকট থেকে। যেখানে মায়া কখনো আপন করে, কখনো ক্ষমা করে অথবা কখনো ছেড়ে দিয়ে চলে যায় দূরে পরিযায়ী পাখিদের মত। শুধু ডানাঝাপ্টানো শব্দ‘রা খানিকটা সময় বিশ্বাসে রাখে বাতাসের ছন্দ প্রয়াসে।

সময়ের আবর্তে লেখা হয় সহস্র বাসনার মৃত্যু ইতিহাস

সময়ের আবর্তে লেখা হয় সহস্র বাসনার মৃত্যু ইতিহাস......
মানুষ, পেটের ক্ষুধা আর দেহ বীষের অনন্ত জ্বালা নিবৃত করতে সব অসাধ্য সাধ্য করে। অন্যথায় মানুষেরও বলা কষ্টসাধ্য ছিল “মানুষের পক্ষে সব সম্ভব” !!!

 
যে বৃদ্ধের নিজ পায়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা থাকে না, কোন হুঁশে সে রাস্তায় ছুটে চলে বোঁঝা বয়ে, রিকসার প্যাডেল চাপে সর্বশক্তি ব্যয়ে?
যে কুলবধু একরাশ স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর সংসারে পা রাখে, ঠিক কি কারণে সে অনিশ্চয়তার পথে পা বাড়ায়?
মানুষের নিজের কাছে যে জীবন অতীব প্রিয়, সে প্রিয় জীবনকে কি ভ্রমে বিসর্জন করে?
অন্ধকার কোন নেশায় অকারণ টুটি চেপে ধরে? কোন আকস্মিকতায় সকলে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়ে?
কোন আড়ষ্টতায় মনের জমানো রিক্ততার বাঁধ ছেড়ে দিতে চেয়েও গলা ধরে আসে?

সামগ্রিক তো এটাই যে; চোখের অশ্রুসব শুকে যায় পেটের তাড়না আর সমগ্রদেহের বীষ যন্ত্রণায়।

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

প্রেমরূপ তরীতে

প্রেম বিনোদিনী, রাইনন্দিনী
প্রেমের উজানস্রোতে,
তুমি প্রেমিক, আমি প্রেমিক
প্রেমরূপ তরীতে।

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

মরতে চাইছি ফাঁস পড়ি!

চঞ্চল উচ্ছ্বল বালিকার চলণে
হৃদয় জমে স্থির
তবু বালিকার চরণে বিঁধেনি
প্রণয়ে ছোঁড়া তীর।

দিন চলে যায় ভেবে-ভেবে তাকে
অস্থির তাড়ণায়
নিঃস্ব রিক্ত হৃদয় ক্ষরণে
পড়েছি বিছানায়।

ভালোবাসার ডাকে কে এমণ ডাকে
পিছু নিয়ে তার পড়ি-পড়ি
তবে কি এবার পাখা গজেছে
মরতে চাইছি ফাঁস পড়ি!

রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪

দিনশেষ আমরা

আমরা শুধুমাত্র আমাদেরকেই দেখি, আমাদেরকেই দেখতে চাই! আমাদের নিজেদের সুখ-দুঃথ-বিন্যাস-ব্যবচ্ছেদ আমাদেরকে অস্থির করে তোলে, তাড়না দেয় প্রচ্ছদে-প্রকটে নিজেদের ছায়া নিরূপণের, সে হোক শংসতায় কিংবা নৃশংসতায়। কিন্তু; চোখ খুললে নিত্যদিন আমাদের সামনে যখন বৈষম্যনীতি এসে দাঁড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে আমরা অবাধ্য হয়ে দেখি, তার আবডাল হতে চাই, আড়ালে সরে তা ভূলতে চাই।

দিনশেষ আমরা আমাদের রক্তের টান খুঁজি, আমরা আমাদের নিজেদের খুঁজি, নিজেদের ভালোবাসি। সহমর্মিতা, সহাভূতি কিংবা সম-মমত্ত্ববোধ সে আবেগে যতটা তাড়িত হয়, কার্য্যপ্রণালীতে তার মাত্রা নিরূপণ কিছুটা কঠিন।

শনিবার, ১৭ মে, ২০১৪

কুমুদিনী

কুমুদিনী,
আমাকে মাপছ পুরুষালি বৃত্তে?
শরীরের ঘ্রাণ অনুভবে দেখ.... 
আর আট-দশটা পুরুষের মত তা?
পীড়িত মন শুধুই কি মোহ বন্ধকতায় বাঁধা?

হৃদয় বন্ধক তার হৃদয়েই কেবল থাকে
যে হৃদয় অস্থিরতায়ও হৃদয়কে সঙ্গ দেয়
পৌরনিক প্রকটেও যেখানে আবছা ছায়া পড়ে না
অথচ ঠিকরে চলা বেলায় পৌঁছে সুরক্ষিত কপটে।
হৃদয় এমন না হলে সে বাসনায় মন পীড়িত হবে কেন?
কি ভেবে অন্ধকার উবে যাবে দু‘টি হৃদয়ের উষ্ণতায়!

কুমুদিনী,
যদি অন্তর নিগড়ে ভালোবাসা দেখানো যেত
যুগে-যুগে প্রেমিক হৃদয় সে সাধ্যই কেবল দেখাত
যদি ফুলের মত শুকিয়ে-শুকিয়ে সৌরভ বিলানো যেত
অনতিকাল হতে সে সৌরভে পৃথিবী পরিপূর্ণ হত।

ভূলচোখে কালবেলা সে বাসরেও আসে
যদি হৃদয় আলিঙ্গনে সুখ না জমে,
নিরুত্তর ভাবনারা ব্যাথা বইতে পারে সদা
যদি সুখ মেটে প্রণয়ে ধোয়া ঘামে।

কুমুদিনী,
ক্লান্তির বিশ্রাম আছে সে তুমিও জান
কিন্তু অপেক্ষার সমবিশ্রাম তখনই কেবল হয়
যখন হৃদয়ের সমূহবাসনা একে সঁপে দেয়া যায়,
অধীর হৃদয়ের প্রকটতা সহেও অপেক্ষার প্রহর গোনা যায়।
তাকে কোন সৌহার্দে মেলাবে তুমি? অথবা কোনরূপে তার ব্যবচ্ছেদ ঘটাবে?
অপেক্ষায় ভালোবাসার বিচ্ছুরণ সে ত কেবল অঞ্জলীতে প্রকাশিত হয়।

কুমুদিনী,
মন মনকে বোঝে আর হৃদয় হৃদয়কে স্পর্শ করে
দৈহিক সৌন্দর্য্য যে অন্ধকারে বিলীন হয়ে পড়ে
কিন্তু মনের বিচ্ছুরিত আলো অন্তরের পরিণয়কে সমৃদ্ধ করে
আমরা যে আজ সে সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে আছি।

কুমুদিনী,
ভূল ভেব না, ভূল ভেবে ভালোবাসা হয় না
ভালোবাসাকে চেতনায় বুঝতে হয়, সময়ে-অসময়ে দেখতে হয়
না হলে সে শক্তির মূল্য কোথায়?

সোমবার, ১২ মে, ২০১৪

অণ্বেষণ

দুষ্টেরনীতি দূর্নীতি আর সুশাসক রাজারনীতি রাজনীতি। যদি এ সত্য হয় তবে- দেশের দায়ভার আমরা দুষ্টের হাতে তুলে দিয়ে কেন সুশাসিত রাজনীতি প্রত্যাশা করছি? আমাদের তো শুধুমাত্র দেশের ছত্রে-ছত্রে লুটেরাদের অণ্বেষণ করা শোভা পায়।

শনিবার, ১০ মে, ২০১৪

হতে পারে

হতে পারে এ মলিন চোখ
হতে পারে এ মলিন মুখ
বলি বাসনা কি তাকে আগলে ধরে?
বলি ভালোবাসা বলে কি তারে?

হতে পারে এলোগেছো চুল
হতে পারে চুলে ঘাসফুল
বলি সৌন্দর্য্য কি সবুজ ভোলায় ভূলে?
বলি প্রণয় সুখ কোথায় কার ছলে?

হতে পারে আজীবনের সুখ
হতে পারে আজীবনের দুখ
বলি মমতা কি জন্মে দুয়ার খোলে?
বলি স্মৃতির রাশি কে কেমনে ভোলে?

বুধবার, ৭ মে, ২০১৪

ওরে খাইলে মিটেনা ক্ষুধা

ওরে খাইলে মিটেনা ক্ষুধা, বাড়ে তার জনবল
লোভ মোহের উর্দ্ধে যিনি, তাহার যে সকল।

মায়ার মোহে বাঁধা পড়ি, গেল জীবন গড়ি
বর্ষা-শরতের আগমন খবর পেলাম না
ওরে আঁধার ঘনিয়ে এল, যখন আমার হুঁশ হল
দেখী সকলে গেল, আমি যে বিকল।

দেহকল নিশ্চল হলো, উর্দ্ধবায়ু যেন চলিল
মায়ার ডাক তখন বলিল, কে কে সঙ্গীজনা
ওরে আশেপাশে কেহ নাই, নিতে হবে একা বিদায়
সবভেবে শেষ পেলাম, তাঁর চরণ আসল।

ক্রান্তিসন্ধি অন্তিমকাল, পাইনা কোন তাল
বেতাল আমি অশ্রু নেত্রে চাই তব চরণ
ওরে না পেলে ঔ চরণ, ভাবে অবিবেচক মিথ্যে জীবন
শেষ প্রভু এই আবেদন, চরণে দাও দখল।

আদিখ্যাতা!!!

আদিখ্যাতা কিসে?
যখন গ্রীবায় চুমিলে শিখন্ড চূর্ণ হয়
যখন ধর্মযজ্ঞে শকুনির প্রয়াস সিদ্ধ হয়
ধর্মধারীর মস্তক নত হয় অকারণ পীড়ায়
অথবা দ্রৌপদির সম্মান ভূলণ্ঠনে জন্মে কুরূচি।

না আদিখ্যাতা চাই না
সংসারযজ্ঞ যখন প্রিয়তে সুখী হয়
তখন উচিত সে ত সহ্যঘেরা অলংকারে প্রতিষ্ঠিত
তাকে কোন বোধে এড়িয়ে যাব অক্ষম জ্ঞাণপ্রভায়?

বিলক্ষনে সুখী হয়
বিনিদ্রায় হয় ভ্রমশান্তি
অস্তির অস্থিরতায় যখন আত্মসির্দ্ধ হবে
তখনই কেবল প্রিয় ঘুছবে সমূহ সংকটে
আদিখ্যাতায় নয়।

কান্না ও কান্নারে

কান্না ও কান্নারে
তুই কি আমার বন্ধু হবি? সারাজীবন সঙ্গে রবি?
দুঃসহ ব্যথা ছাড়িবারে।

ওরে নয়না;
শুনরে কথণ; হারিয়েছি আমার মা।
যাকে নিয়ে স্বপ্ন গড়া, সে স্বপ্নে তাকে ছাড়া
সু‘সময়ে পৌষমাস দ্বারে।

ওরে বদ্ধবাসী;
গুরুদোষ ছাড়া হলাম উদাসী।
যাহা আমার আশা বিশ্বাস, সেযে আজ বদ্ধ নিঃশ্বাস
প্রহসণ যে প্রতি সুরাসুরে।

ওরে গ্রহীরনীদি;
যত ব্যথা; নে না সাধী।
যাহা উদাসধারা পথে, কালঙ্গির রথে
উড়ে চলছে আকাশ দুয়ারে।

রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

স্নেহহীন

স্নেহহীনের যে শূণ্যতা, অবোধ ভালোবাসায় কি তাকে নিবৃত করতে পারে?

কদর

প্রেম বাজারে সুখের কদর আছে সত্য, তবে সুন্দরের কদর বোধকরি একটু বেশি....

শনিবার, ৩ মে, ২০১৪

লক্ষ্মী বউ

একটা লক্ষ্মী বউ চাই
যে আমাকে বুঝবে, আমাতে সব খুঁজবে.....
ফেবু দুনিয়া বলতে পার, এমন বউ কি জুটবে?

বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৪

জন্ম যখন অজন্ম পাপ!!!

হ্যাঁ; আমাদের জন্মই অজন্ম পাপ আর তাই পাপের প্রায়চিত্ত আমরা মুখ বুঝেই সহ্য করার চেষ্টা করছি!
জীবন যখন পাথরের যাতাকলে চেপে চুপে যায়, তখন এই কেবল ধ্রুব সত্য হয়ে দাঁড়ায়, খন্ডনের ভাষায় কেহ-কেহ মমত্ত্ববোধ কিংবা মহত্বতা দেখালেও স্বীকৃত দায় কেউই এড়িয়ে যেতে পারে না। ক্ষমতা জীবনকে কেন্দ্রীভূত করে, পারস্পরিক করে সাম্প্রদায়িক অগ্রসানে। যুগে-যুগে, কালে-কালে এই সত্যই কেবল নিরূপনের আপ্রাণ প্রচেষ্টা বা প্রয়াস চলছে। আর এই প্রচেষ্টা বা প্রয়াসের বলিয়ান হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা ক্ষুদ্র ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠি।

কে কোন সত্য-মিথ্যা আলিঙ্গন করে এই দায় ঠেকাবে? ঠিক কোন প্রবোধ-বিবেচনায় নিজের জিজ্ঞাসাকে স্থির করবে? অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুই‘ই সম অপরাধে অপরাধী, যদি তাই হয় তবে গলা খেকিয়ে মহত্ব দেখাবার মাহার্ত্ব্য কি? কার্য্যবিধি প্রণয়নের সুস্থির বিন্যাস ব্যতিত অবুঝ-অবোধ শান্তনার মূল্য কি?