সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬

প্রশ্ন?

যে সৌন্দর্য্য দেখবার আশায় আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান, সে আয়না আপনার বাহিরের কিংবা ভেতরকার প্রকৃত সৌন্দর্য্যকে কখনওই জানে না, জানাতেও চায় না।

যদি নিজের ভেতরকার সৌন্দর্য্যটাকেই জানা না হয়, তবে অল্প পচনেই দূর্গন্ধ ছড়ানো চামড়ার সৌন্দর্য্য দেখে কি লাভ বলুন তো? আচ্ছা, আপনি চামড়ার সৌন্দর্য্য দেখিয়ে কাউকে প্রভাবিত কিংবা প্রতারিত করার কথা ভাবছেন না তো?

দায়ভার

ভাবিতে যে বিষয় ভাবনা বড় মনোরম
তাহারি দায়ভার সহিতে যাতনা ভীষণ

অভাব

শুরুতে অভাবগুলো ভাত-কাপড়েই থাকে, সময় তাকে আগ্রাসী ভাব-বাসনায় আবদ্ধ করে। সময়ে প্রতিটি কদমের হিসেব রাখা সত্যিই বড় শক্ত।

শ্রদ্ধায় রতনতনু স্যার



ছোটভাইয়ের সাথে সম্পর্কের কারনে চার-পাঁচবার আমাদের বাসায় শ্রদ্ধেয় রতন তনু স্যারের পদার্পন হয়ে ছিল এবং স্যারকে একেবারে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। ভালো মানুষের সংজ্ঞা আগে খুঁজলেও এখন খুঁজি না, কিন্তু মানুষটাকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন তারা জানেন কতটা নিখাদ ভদ্রলোক ছিলেন তিনি। সন্তান-সন্ততিহীন যে পিতা নিজের লেখাকে সন্তান বানিয়ে বেঁচে ছিলেন, সমস্ত মন-প্রাণ ঢেলে যিনি সন্তানগুলোকে পরম মমতায় আগলে বড় করে তুলেছেন, সে সন্তানগুলোর কয়েকজনকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলা একাডেমি তাঁকে বিশিষ্ট জন নিরুপন করতে পারে নি, এ সত্যি আমাদের জন্য হতাশাজনক বাতা! ৫২ বছরের পরিসমাপ্ত জীবনের যাঁর ৭০ খানা বই প্রকাশিত হয়েছে, যাঁর বই বাংলা একাডেমি কর্তৃক সংরক্ষিত হয়েছে, যিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, যাঁর লেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অনেকস্থানে পঠিত হয়েছে, যার বইয়ের সূত্র ধরে অনেকে থিসিস কিংবা গবেষণাপত্র, ক্রোড়পত্র লিখছে, তিনি নাকি বাংলা একাডেমির চোখে বিশিষ্টজন নন। আর তাই তাঁর মরদেহ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শ্রর্দ্ধাঞ্জলির সুযোগ মেলে নি।

অনেক ভেবে দেখেছি, তেলমর্দনে তেলাক্ত করতে পারলে কে কি লিখেছে সে বড় হয়ে উঠে না, বরং জন বিশিষ্টজনে পরিনত হয়। আর তার পরিনতির মুখোমুখি হতেই আমাদের পথও দ্রুত এগিয়ে চলছে।পরিনতি যখন নিশ্চিত, তখন মর্দনের তেল উৎপাদন ব্যবস্থা না থাকলে, একদিন হয়ত খুনোখুনিই লেগে যাবে। যাক যা হবার তা হয়ে গেছে, অন্তরের আহত ক্ষতগুলোকে জমিয়ে রেখেই স্যারের জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থণা জানাই, তিনি যেন তাঁকে স্বর্গবাসী করেন।

গন্তব্য নিশ্চিত সবাই জানে!!!

গন্তব্য নিশ্চিত সবাই জানে!!!

তবু মনের বুভুক্ষু রেখা মাড়াবার যাতনা বড়
সোহার্দ্যে বাঁচার কাতরতায় ঢেঁকে যায় মৃত্যুর পাহাড়-উপত্যকা

মিথ্যাকেই আগলে রাখি-
যদি সত্যকেই জড়াতে চাইব-
তবে স্বপ্ন বাঁচবে কিসে?
রহস্য মিলবে কোথায়?
কিসের নেশায় উন্মোচিত হবে আদিমত্তা?
অার কেনইবা বাঁচার ইচ্ছেতে জন্মাবে জীবনের প্রতি নির্ভরতা?

ক্ষমতা

# ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমতাহীনের ক্ষমা করার শক্তি কতটা, অনুগ্রহের চোখ দিয়ে দেখতে গিয়ে কোন ক্ষমতাশালীর তা দৃষ্টিগোছর হয় না।

# ক্ষমতাই যদি সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হত- অনুভূতির কাছে কেউই পরাজিত হত না আর মমতার পৃথিবীও কাঁচের ন্যায় ঠুনকো আঘাতে ভেঙ্গে পড়ত।

নিজেই পিছু হটছি

বিশ্বাসগুলোর ক্রমাগত ভাঙ্গন দেখছি
মিথ্যার ধ্বংসস্তুপ দেখে, নিজেই পিছু হটছি

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

তোমাদের দিনগুলোতে

তোমাদের দিনগুলোতে ফুল-প্রজাপতির মিতালি
জড়িয়ে যাক ছড়িয়ে থাক মিষ্টি রোদ্দুর চৈতালি

বিবেচনাবোধ

ভালো-মন্দ বুদ্ধি সলাপরামর্শ দেবার মতো দুনিয়া জুড়ে লোকের অভাব নেই, কিন্তু আপনার দুর্দিনে হাতটাকে শক্ত করে ধরবার লোক দু‘একজন এ কেবল বর্তমান। তাই অন্য কারও থেকে যেকোন সলাপরামর্শ নেবার পর নিজের বিবেচনাবোধকে খাটাতে হয়। সব সময় ভেবে নিতে হবে, আমার বর্তমানটিই যেন কেবল আমার না হয়। আলোক পসরা ভরা আমার জীবনের পরবর্তী সময়টাও যেন রয়।

শেষ প্রতিপাদ্যতে

যার অপেক্ষায়
সে আসে নাই
যে আসতে চাইল
তাকে চাই নাই
শেষতক যা না চাইবার
তা আগলে ধরল...
ফেলতে পারলাম না
শুধু দীর্ঘশ্বাস আকড়ে নিলাম
হায়! এটাই কি প্রতিপূরক
শেষ প্রতিপাদ্যতে?

অনুলব্ধ মন

কাউকে ভালোবাসতে অনুলব্ধ মনের টানই যথেষ্ঠ, কদাকার কোমলতাহীন রুপের সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের মোহ-বিশ্বাস-ভালোবাসা সে অনুলব্ধ মনেরই অভ্যর্থনা। অথবা বিশ্বসংসারময় সকলের মধ্যকার যে আত্মিক সমন্ধ গড়ে উঠে তাকে অনুলব্ধ মনের প্রভাব ছাড়া কি বলা চলে?

সামার্থ্যবান ও অক্ষম

মানুষ ততক্ষন সামার্থ্যবান, যতক্ষন সে প্রকৃতি আর মনের সাথে সন্মুখ যুদ্ধে সমান লড়তে পারে।
মানুষ তখনই অক্ষম, যখন মনের সাথে যুদ্ধের সামার্থ্য হারিয়ে প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা অপলক অনুধাবন করে।

হেরে যাওয়া সৈনিকের স্বপ্ন

স্বপ্নগুলো চোখে যতই চকচকে রংধনুর ন্যায় খেলুক না কেন, হেরে যাওয়া সৈনিকের কাছে সে সদা মিথ্যা, মিথ আর প্রবঞ্চনা।

যতই অমূলকে ডুবে যাই না কেন, জরা কিংবা মৃত্যু দুই‘ই জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় সত্য।

লিখতে গেলেই

লিখতে গেলেই থমকে দাঁড়াই
হঠাৎ করে দুলল কেন কানের দুল?
তোমা নিয়ে ভাবতে সব জড়িয়ে ফেলি
এ‘কোন ইশারায় ডাকল পথের বনফুল?

আমি কেবল শ্রেষ্ঠতারই প্রশ্ন তুলছি

আপনি বিশ্বাস করেন- সমগ্র বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড সর্বশক্তিমানের সৃষ্টি, দুনিয়ার কোন কিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাহিরে নেই। তিনি চাইলে- সমগ্র বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড এক ইশারায় ধ্বংস করে দিতে পারেন। আবার সে আপনিই বলছেন “সনাতনধর্ম” “ইসলামধর্ম” “খ্রীষ্টধর্ম” “বৌদ্ধধর্ম” “গুরুধর্ম” “শিখধর্ম”...সেরা। আপনার শ্রেষ্ঠধর্ম গ্রহন ব্যতীত বাকীরা কাফের/নাস্তিক, এ‘জন্য তারা স্বর্গ/বেহেস্ত তো পাবেই না বরং নরক/দোজগ এর অনলে দাউ-দাউ করে জ্বলবে।

তাহলে কি দাঁড়াল?
আপনার শ্রেষ্ঠতার যুক্তিতে- আপনার ধর্ম ব্যতীত অন্যধর্মের
সৃষ্টিতে স্রষ্টার ইচ্ছে কিংবা উদ্দেশ্য কি?
তিনি কেন সৃষ্টির সমগ্রকে এক করেন নি?
কেন করেন নি একজাতের কিংবা একধর্মের?
যদি হাশরের ময়দানে সমস্ত সত্য-মিথ্যার নির্ণয়ের স্থান হয়,
তবে- কি কারনে অন্যধর্মের হিসেবে সৃষ্টি করে
স্রষ্টা স্বয়ং কারও নরক/দোজগ নিশ্চিত করেছেন?
বলতে চাইছেন- দুনিয়ায় এসে আপনার শ্রেষ্ঠটাকে গ্রহণের সুযোগ আছে?
কিন্তু প্রশ্ন রাখছি- কেন দুনিয়ায় এসে শ্রেষ্ঠ নির্ণয়ে দ্বীধা-দ্বন্ধে পড়তে হবে?
কেন এখানে এসে নিজের জন্মদাতা-জন্মদাত্রী
আর পূর্বপুরুষদের শেখানো সত্যকে মিথ্যে বলে আপনারটাকে সত্য হিসেবে
গ্রহণ করার মতো দম রূদ্ধকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে?
আপনাকে সত্য বলে স্বীকার করতে গিয়ে কেন সমস্ত রক্তের
সম্পর্ক ছিহ্ন করে, সবাইকে হয়ত অসহায় পথে ঠেলে
আপনার দিকে এগিয়ে যেতে হবে?
দুনিয়ায় আপনি এত সহজে শ্রেষ্ঠটাকে পেয়ে গেলেন,
তবে অন্যকে কেন এত আঘাত এত নিঃস্বার্থ ত্যাগ এত বিড়ম্বনা সইতে হবে?
শ্রেষ্ঠত্বের কথা বললে আমি সন্দিহান, আর বিশ্বাস রেখে সবাইকে মানুষ বলে মানবতাকে আশ্রয় করতে চাইলে অথাৎ সবার আগে আমরা মানুষ বললে- আমি আপনার সাথে এক কাতারে দাঁড়াতে সদা উদগ্রীব, আমি আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি বিশ্বাস রাখি- সমগ্র ধর্ম সত্য, সমগ্র বিশ্বাসও সত্য।আর বিশ্বাসই সামগ্রিকতার নির্ণয়ক কিংবা রুপকার। আপনি আপনার অবস্থান থেকে সৎ থাকলে, সত্যটাকে আগলে রাখলে, আপনি আপনার জায়গা থেকেই শ্রেষ্ঠ হতে পারেন। কিন্তু অকারন যদি বিতর্ক করতে চান- আমি বলব, আমি আপনার সত্য কিংবা বিশ্বাসকে প্রচন্ড ঘৃণা করি। আপনি স্বার্থণ্বেষী ধ্বান্ধাবাজ, ধর্মের মুখোশ লাগিয়ে পৃথিবীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর হীন বাসনা আপনার মগজ আর হৃদয়ের আদ্যপৃষ্ঠে লেপ্টে গেছে।