চাই না বাঁচতে আর ধরায়
তবু কোন পিছুটান জানি
জড়িয়ে ধরে পায়...
রাতের প্রহর শেষে
দিনের তরীর গানে
শত মমতা, শান-শওকত
জড়িয়ে আছে মনে
বাড়ছে ভূ-লোকে দায়
ঋণের দায় কাঁদে বয়ে
হে পৃথিবী বিদায়...
চাই না বাঁচতে আর ধরায়
তবু কোন পিছুটান জানি
জড়িয়ে ধরে পায়...
রাতের প্রহর শেষে
দিনের তরীর গানে
শত মমতা, শান-শওকত
জড়িয়ে আছে মনে
বাড়ছে ভূ-লোকে দায়
ঋণের দায় কাঁদে বয়ে
হে পৃথিবী বিদায়...
কারও জীবন সহিবার
আর কারও বহিবার
কারও স্রোতে ছুটে চলাবার
কিংবা অথৈ তরঙ্গে থামবার
অযথা ভেবে ভেবে পথ হারায় দিক-বিদিক
জানিনে; আছি কি নিজের মাঝে, চলছি কি সঠিক!
অনেকটাই প্রতীক্ষায় ছিলাম-ছোটবোন নিজের যোগ্যতায় একটা অবস্থান তৈরী করুক। আমরা নিন্ম মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান, জীবনের পদক্ষেপে আহামরি কোন আকাঙ্খা নেই। শুধু শেষ অবধি চালিয়ে নেবার মত একটা অবস্থান পেলেই তাতে খুশি। এজন্য নোবিপ্রবি'তে ''ল্যাব এটেনডেন্ট'' হিসেবে ছোটবোনের চাকুরী জীবন শুরুটা আমার জন্য অনেক বড় স্বপ্ন পুরনের মতো।
২০০৬ সালে মায়ের অকাল মৃত্যুতে মায়ের যে সোনার সংসার অনলে পুড়ে শেষ হতে বসেছে, সেই শেষ থেকে আবার নতুন করে শুরু করা জীবনে, এ বাসনার পুরনও আমার জন্য অনেক বেশী।
সকলের আর্শিবাদ একান্ত কাম্য।
আমি কোটা সংষ্কারের শতভাগ পক্ষে।
দেশ অযোগ্য অথর্বদের হাত থেকে মুক্ত হোক,
যোগ্যরা যোগ্যতাবলে আপনা স্থানে অধিষ্ঠিত হোক।
রক্ত দিয়ে অর্জিত যে স্বাধীনতা
তাকে পুনরায় পরাধীন করছে কোটা প্রথা
কেননা; অযোগ্যের দল বরাবরই কাপুরুষ হয়
অযোগ্যরা তেলবাজ, দালাল, সমাজের অবক্ষয়।
এমন একটা দেশে সারাজীবন অতিবাহিত করতে হবে, যেখানে জীবনের মূল্য সিকি আনা দাবি করাও অযৌক্তিক। আর এমন মূল্যহীন জীবন নিয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা আর মমত্ববোধ দুটোয় ঘৃণায় পরিবর্তিত হবে না, সে কে বলতে পারে?
বড়-বড় গলা বাজানো মন্ত্রী আর আমলাতন্ত্র যখন পাবলিককে বোকাছোদা বানিয়ে, নিত্য জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে, তখন আমরা অসহায়ত্ব কে বরণ করেও তাদের চৌদ্দগোষ্ঠীর পিন্ডি চটকাতে ব্যর্থ হবার দায়ের মত, দূর্বিসহ জীবন নিয়ে সত্যিকার অর্থেই কি করব?
বলছি, নোয়াখালী থেকে ঢাকা ৪ ঘন্টার পথ, ৬ ঘন্টা পার করে মেঘনায় এসে পরবর্তী ২ ঘন্টায় পাড়ী দিলাম আধা কিলো, বাকী বাসা নাগাদ পৌঁছুতে ৪০ কিলো পথ কত সময়ে পাড়ী দিতে পারব, উপরওয়ালাই তা ভালো জানেন। কিন্তু আমাদের এমন অসহায় জীবন-যাপনে দেশকে উদ্ধার করা গলাবাজরা কোথায় বসে গৌষ্ঠীর পিন্ডি চটকাচ্ছে?
এ'দেশের শহরে গ্রামে
যে আট-দশ ঘরে করছে আলো চকচকানি
সে আলো ছুটছে কোথায়? ফুটছে কোথায়?
আমরা জানি, হয়ত জানি!
উন্নততর-উন্নতধারায়;
উন্নত কাদের নভোযান?
দেখছি পথের ধূলোয় মিশে
৯০ 'গৃহস্থের গোরস্থান।
হয়ত বদলাচ্ছে জীবনধারা;
পাল্লায় জীবনমান বাড়ছে কি হায়?
উন্নয়নের জোয়ার ছুঁয়েছে আকাশ
আমরা ডুবে-ডুবে খাবি খাই?
শরীর, মন, মগজ তিনটাই মানুষ বিকিয়ে বেড়াচ্ছে, প্রতিনিয়ত বিক্রি করে যাচ্ছে। বলছি তবে আর অবশিষ্ট কি বাকী, যার জন্য মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে পারে?
পর্বতশৃঙ্গ পাড়ী দিতে,
কাঁপে যার বুক
মাটির ভূগহ্বরেই তার,
আজীবনের সুখ।
যদি রাগ না কর, প্রিয়তমেষু;
তবে সত্য বলি!
তুমিই কেবল আমার প্রিয়তম নও!
অধিকারের কথা বললে-
তাই সত্যটাও জানানো কর্তব্য!
আমার প্রথম অর্ধাংশ আমার শিক্ষা
সময়ে অসময়ে মানা না মানার মাঝেও-
জড়িয়েছি তার প্রণয়ে,
অর্জন করেছি তার স্থিতি
তাই; তাকে কটুক্ত প্রণয়ে ছিন্ন করবে
সে শক্তি তোমার কোথায়?
আমার দ্বিতীয় সত্ত্বা আমার কর্ম, কর্তব্য!
প্রথম প্রথম তার ভয়েও পালাতাম!
অথচ দীর্ঘ কালচক্রের সমস্ত জিজ্ঞাসায়
আমাকে সে সমর্পিত করে নিয়েছে!
শিখিয়েছে- ভালোবাসার জন্য যথার্থ সমর্পণ!
বুঝিয়েছে- অক্লান্ত প্রচেষ্টায়ই মেলে
কেবল প্রেমময় অমৃতসুধা!
তাই; সে জায়ার প্রতি সম সমর্পণে
সঁপেছি সমস্ত, যা তার প্রাপ্য সংকলন।
জীবনের গতিপথ নির্মাণে এটুকু যদি পর্যাপ্ত হত!
যদি যোগ্য উত্তরসূরির প্রদাহ তাড়নায় না বাঁধত।
তবে তুমিই বা আমার কি ছিলে?
অথচ কি আশ্চর্য দেখ-
সে তুমিই দাবী করে বসলে, তুমিই প্রথমা!
দাবী করলে তুমি সমস্ত প্রনয়ের দাবীদার! জানালে তুমিই ঐশ্বর্য্য, শয্যা, সংসার!
এটা কতটা অবাক ব্যাপার না? বল!
মাত্র কয়দিনেই তুমি আমি হতে শুরু করলে!
প্রতিভূ শুরু করলে আমার নাড়ী- নক্ষত্র, অস্তিত্বে!
তাও হয়ত সে পর্যন্তই ঠিক ছিল-
কিন্তু; যখন বোঝালে তুমি ব্যতীত আমি লীন!
তখন তোমাকে সত্য জানানো জরুরি হয়ে পড়ল।
তবে হয়ত এও সত্য,
অত তাড়া না দিলে-
সময়ের প্রয়াসযজ্ঞে তুমিই হবে আমার
সত্যিকারের অধিশ্বরী, প্রেমময় অর্ধাঙ্গিনী!
তাই; পুনঃ প্রেমময় আহ্বান-
খোলসের আগ্রহে বেঁধোনা প্রিয়তম।
হে প্রিয়তমেষু, তুমি বরং সময়ের যোগ্য হও!
বিশ্বাস রেখ, শিক্ষা নিষ্ঠা কর্মে যথার্থ সঙ্গ দিলে
শাশ্বত সত্য শপথে আমিও যোগ্য অর্ধাঙ্গ হব!
প্রদীপ হও
সলতে হয়ে জ্বলি তোমার মাঝ
জ্বলুক এ দেহখানি
তুমি নাও আঁচ
বিশ্বভুবন আলোর সুখে পাক
তপ্তদহন শ্বাস!
সুবাস হও
আগর হয়ে দহে-দহে যাই
উড়বার আগে আঁচটুকু নাও
বোঝ কতটা জ্বলছি তাই
বিশ্বভুবন মজুক সুখে
সুরভিত বিশুদ্ধতায়...
পরিস্থিতি যখন বিপরীতে-
আকাশ যখন মেঘের সুখে!
তখন আমি লাজ হেরি সে কার দুয়ারে?
ভেজা আমি, ভেজা বসন
ভেজে লাজ নিজে লজ্জা হেরে!
চূড়ান্ত ফুলগুলো ঝরে গেলে, নিস্ফলা বৃক্ষের নির্জীব নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকাও অপরাধ বলে মনে হয়!
যদি বিশ্বাসই সত্য হয় তবে বিবেকের কাজ কি?
এভাবে বসে-বসে কত রাত পার করে দিয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। জীবনের রাতগুলো কেমন জানি, মাঝে-মাঝেই অস্থির করে তোলে!
পথগুলো কঠিন বলেই-
অভিযোগ রেখে অনুযোগ করি,
অভিমান জমিয়ে রেখে পথ দেই পাড়ি।