বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

দয়াল গো...
ও দয়াল, দয়াল গো.....

দয়াল- মাতাল হাওয়ায় উদাস এ মন পাগল হয়েছে
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে....

বাবুই পাখি বাসা বুনে সুনিপুন অতি
আমার দেখিয়া এমন কর্ম মনে জাগে মতি
তাই পরের খড়-কুটো কাটি, মজি জগত বিনাশে...
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

দেহমোড়া জড়ধেনু সুখের আশায় ছুটে
আমি কামনার ফলা বানিয়ে দিলেম তাতে জুটে
এখন চলছে জীবন লুটে-পুটে, না দেখে ভিতর-বাহিরে...
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

কাঁদেতে কলিকাল এসে কালি মেখে যায়
আমার দেহ-কর্ম চিত্তমর্ম ভুমিতে লুটায়
অর্হনিশ জীবন খাতায়, অনেক হিসেব জমেছে...
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

ঝরা-জিহ্ন দেহ নিয়ে সাধু সঙ্গ করি
গুরুর পদপদ্মে মজে স্মরি হে শ্রীহরি
আমার কূলহারা তরী ব্যকুলে ছুটে, ডুবে মরি অকূল সমুদ্রে...
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

পারা, না পারা

অপশক্তি ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস রুদ্ধ করতে পারে, ব্যক্তিতে কেটে খন্ড-বিখন্ড করতে পারে, ব্যক্তির স্বপ্নটাকে থামিয়ে দিতে পারে। কিন্তু তার ভেতরকার সত্ত্বা, তার মগজের চিন্তা-চেতনা, তার ধ্যানযুক্ত সৃষ্টি কিংবা তার আত্মিক দর্শন কোনটিকেই নিঃশেষ করতে পারে না।

আপনি থেমে গেলেন কিংবা থামবেন ভাবছেন?

আপনি থেমে গেলেন কিংবা থামবেন ভাবছেন? পরাজয়টা আপনারই কেবল
ভয় আছে থাকবে, ক্রমাগত ভয়ে হাত কেঁপে-কেঁপে উঠবে, বুক ধড়পড়-ধড়পড় করবে
কিন্তু থেমে গেলেই হেরে গেলেন।

আমাদের ভয়টাতো কেবল মৃত্যুর কিংবা যন্ত্রনার- তাই না?
কিন্তু মৃত্যুটাকে কে কখন কিভাবে রুখবে?
বলছেন মৃত্যু হোক কিন্তু অপমৃত্যুর প্রত্যাশা করেন না, তাই তো?
কিন্তু থেমে গেলে বেঁচে যাবেন, আপনি কি সে ব্যাপারে নিশ্চিত?
গত একমাসে এক নাখালপাড়া রেলক্রসিয়ের আশ-পাশে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে অন্তত ৫ জন।

এ কি অপমৃত্যু নয়? এ কার কাম্য ছিল? তবে ভয়ে এতটা জড়সড় হচ্ছেন কেন?
দেশের বর্তমানকে ভাবুন, ভবিষ্যত স্পষ্ট দেখতে পাবেন...
এদেশে রাষ্ট্রনায়ক আছে, ভাবাদর্শের লোক আছে, আইন-আদালত আছে, আছে বিচার ব্যবস্থা
তারপরও ক্রমাগত খুন হয়, খুনিচক্র ধরা পড়ে না? সত্যি তাই? নাকি ধরছে না?
সহজ ব্যাকারণ...ধরা হচ্ছে না
কেন এমনটি মনে হচ্ছে?

বলছি- দেশে গোয়েন্দা বিভাগ আছে, ইন্টিলিজেন্ট গ্রুপ আছে, আছে তাদের সোলস এজেন্ট
যাদের দায়িত্ব দেশের সামগ্রিকতা অবলোকন করে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা।
এত খুনোখুনির পরও যখন তারা যখন কোন ক্লু‘ই পাচ্ছে না, তখন দুটো উত্তর কেবল জ্বলজ্বল করে-
১) অদক্ষ লোক দিয়ে প্রশাসন চালানো হচ্ছে (গাধা দিয়ে হাল চাষ হচ্ছে)
২) প্রভাব খাটিয়ে তাদের দমিয়ে রাখা হচ্ছে

ভাবুন, আজ যারা গনবিষ্পোরিত এলাকায় প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে খুন করে পার পাচ্ছে,
তাদের কাছে নির্জন স্থানে আপনার রক্ত নিয়ে হোলিখেলা এতো ডাল-ভাত।
এর মানে কি দাঁড়াচ্ছে?

ভাবুন, চুপসে না গিয়ে ভাবুন, আরও তীব্র প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ গড়ে তোলা খুবই জরুরী
না হলে আপনার ভবিষ্যত প্রজন্ম মৃত্যুর জন্য হিংস্র হায়েনাদের উপত্যাকায় রয়ে গেল...

কলম কেবল হাত বদলায়

কলম কেবল হাত বদলায় কিন্তু চলার গতি থামায় না।

আমাদের মাথা সে তোমাদের খড়গের নিচেই সমর্পিত আছে, চালিয়ে যাও...
চেয়ে-চেয়ে দেখী কলম থেমে যায় নাকি!!!

আমার প্রিয় হে দেশমাতৃকা, রক্তে কেবল তোমার আঁচলটাই ভিজে লাল হচ্ছে...

কতবীষ ঐ চোখে জমানো বল সখী

তোমার ঐ চোখ চোখে বীষ ঢেলে দেয়
বীষচোখে উঠে অনল জাগি
কতবীষ ঐ চোখে জমানো বল সখী (সখীগো)।

দেখিতে চোখ বড়ই কোমল
কালো মনিতে হয়েছে সজল
কাজলের কালো পাপড়িতে জল টলমল,
আবার সে জলে জ্বলে মোর আঁখি
শীতল মন চঞ্চল দেখী...
কতবীষ ঐ চোখে জমানো বল সখী (সখীগো)।

ভাবে লোক আমি জাত মাতাল
চোখ তাই এমন রক্তলাল
বলিতে পারি না সখী কেন এমন হাল
অবিবেচক কয় লোক জানেনা
মাতালের নয় কেবল এমন আঁখি...
কতবীষ ঐ চোখে জমানো বল সখী (সখীগো)।

আপাতত রক্ষে



মাতৃশ্রেণী প্রতিটি সন্তানের জন্য আজীবন অবুঝ মায়া আর আবেগ পুষে। এ শ্রেণী সবসময় ভাবে সন্তান কম খেয়ে-খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। অথচ এরকম একনাগাড়ে খেতে গেলে যে শারীরীক ভাবে তা ধরে রাখার সক্ষমতা সকলের থাকে না- তা বোঝানো মুশকিল।

দু‘দিন বারংবার খেতে-খেতে আমার ত্রাহি-ত্রাহি অবস্থা। কিন্তু আমার অবস্থা কাকীকে বোঝানো সে আমার সাধ্যি! যা হোক, আবার সে গন্ডীবদ্ধ জীবনে ফিরে আপাতত রক্ষে।

আমার জীবন ঘিরে অতিবাস্তব



আমার জীবন ঘিরে অতিবাস্তব একটি সত্য বর্তমান- তা হল আমি যখনই কোন আনন্দঘন মূহুর্তকে গ্রহন করি, তার পরক্ষনেই আমার জন্য কোন না কোন বিপদ অনিবার্য্য হয়ে দাঁড়ায়। অথবা আমি যদি কোন আনন্দঘন মূহুর্তের প্রতীক্ষা করি সেটিও কোন ভগ্ন হৃদয়ের আহ্বানে সম্পন্ন হয়। তাই ইচ্ছা হোক কিংবা অনিচ্ছায়, আমি আমার জীবনের আনন্দঘন প্রতীক্ষার বিষয়গুলো এড়িয়ে চলি। সত্যি বলতে কি নিজ বাড়ী কিংবা আত্মীয় বাড়ী, কোথাও কোন উৎসব কিংবা পার্বণ সবকিছুকেই আমি এড়িয়ে চলি। আর নির্দ্বীধার সময়গুলোকে কাটাতে আমি নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখি। আমি জানি সকলের জীবনেই বিপদ কিংবা খারাপ সময় থাকে, তারপরও দেখী আমি আনন্দঘন মূহুর্তগুলোকে অন্যবিষয়ে ব্যস্ত থেকে কাটাতে পারলেই আমি ভালো থাকি আমার সময়গুলো কিংবা মন ভালো থাকে। তাই শত অনুরোধকে যেকোনভাবে কাটানোই আমার লক্ষ্য থাকে।

আমার মা পরলোকগামী হয়েছেন আজ প্রায় ৯ বছর হল। মা থাকাকালে মায়ের স্নেহময় দিনগুলো কাটাতে পারলেও এখন সবজায়গায় কোন একটা হা-হা-কার সবসময় বয়ে থাকে। আনন্দ করার ইচ্ছেগুলো এখন প্রায় শূণ্যের কোঠায় গিয়ে পৌঁছেছে। তাই উৎসব কিংবা পার্বণে কোথায় না পারতে যাই না, কারও অনুরোধ রাখি না। না ভাই-বোন-বন্ধুর, না পাড়া-প্রতিবেশীর না নিজের। জানি না কেন সবখানে অনীহা ছড়িয়ে থাকে।

গত ২ মাস ধরে কাকী কল দিয়ে-দিয়ে নরসিংদী যাওয়ার কথা বলছে। কিছু না কিছু বলে এড়িয়ে যাচ্ছি বারংবার, কিন্তু লক্ষ্মীপুঁজোয় যাওয়ার ব্যপারে কাকীর অনুরোধটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, আমি না গেলে কাকী সত্যিই কষ্ট পাবে। কিন্তু আমি কাকী কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের কি করে বোঝাই, আমার জীবনের এই একটুখানী আনন্দের মূহুর্তও আমার জন্য কোন না কোন কষ্ট বহন করে আনবে। তাই আমি যেকোন ভাবে নিজেকে ভালো রাখতে চাই।

না মাতৃসম কাকীর বারংবার অনুরোধ অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই। তাই আগামীকাল সকালে নরসিংদীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছি। কিন্তু মনের মাঝে বদ্ধমূল ভয়টা সেঁটে আছে- আবার না কোন বিপদ এগিয়ে আসে, এই একটুখানী আনন্দের মাঝে।

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে প্রিয়গো না ভরে আঁখি

যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে
প্রিয়গো; না ভরে আঁখি
বলো বলোগো কি আর থাকে বাকী,
প্রিয়গো কি আর থাকে বাকী....

শরতের শিশির ঝর-ঝর আড়ালে কি তার আছে
কেন এত ভালোলাগা অকারন এ জীবনে আসে
মরমের ভালোবাসা কেন এত ডাকে বলো দেখী
যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে
প্রিয়গো; না ভরে আঁখি

চেনা টানে চেনা সুরে গায় যখন আড়ালে বিরহী পাখি
উতলা হৃদয় পুড়ে মেঘধারায় ভেজামন যায় প্রিয় ডাকি
বিরহ বিনা প্রেম আবেগী মধুর দিন চায় কি
যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে
প্রিয়গো; না ভরে আঁখি

এই সে দান প্রিয় এই সে দান
ভালোবাসার অশ্রু বেড়ে যে দান হয় মহিয়ান
জানে শুধু অর্ন্তযামী ব্যকুলমন প্রিয় আঁশে পায় কি
যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে
প্রিয়গো; না ভরে আঁখি

কেটে যাবে তোমার দুখ?

তোমার রেখে দেয়া স্মৃতি যদি
হীরের মূল্যে কেউ কিনতে চায়
অনাদরে তারে দেবে কি বেঁচে
দুর্মূল্যের এই বাজারটায়?

যুগের পাঁজর কেটে-কেটে
জমা হয় যে কয়টা অশ্রু-সুখ
হীরের মূল্যে সে কি গো বেঁচে
কেটে যাবে তোমার দুখ?

আমার এ মনের দুঃখ কেমনে যাবে?

আমার এ মনের দুঃখ কেমনে যাবে?

হল কি- একদিন একটা পিচ্ছি কাঁদছিল- আমি বলল, এই পিচ্ছি না বুঝি কাঁদছ কা।
এম্মা, একটুখানি পিচ্ছি কান্না থামায়ে আমারে কয়- ধাতি দিমু।
আমি চোখ রাঙ্গায়ে ভারী গলায় বললাম- এরই....
পিচ্ছি আমার কোন বিষয় আমলে না নিয়ে বলল-ওপ, ধাতি দিমু।
এদিকে আমার ত মান-সুলোমান টিকানো দায়, তাই আমি গলা আগের চেয়ে আরও একটু ভারী করে বললাম, বোপ।
একথা বলতেই পিচ্ছি বাড়ি-ঘর কাঁপায়ে কান্না জুড়িয়ে দিল,
আমি উপায়ান্তু না দেখে পিচ্ছির নিকটজন কেউ আসার আগেই কেটে পড়লাম।

বলি এই জীবনে পিচ্ছিদের কাছেও আমার দাম নাইক্ক...

মহিমাণ্বিত করে

মননশীল কর্ম ব্যক্তিকে মহিমাণ্বিত করে ব্যক্তির আচারণ কিংবা চরিত্র নই। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তির আচারণ তার মৃত্যুর সাথে-সাথেই সমাহিত হয়।

অনুকাব্যগুচ্ছ- ০২

(১)

আকাশের বুকে মনের রঙ্গে
এঁকে দেই যদি আল্পনা
তোমার বিভোর মনের ঘোর কেটে কি
তাকে একটু ছোঁবে না?

(২)

বাপ জুগিয়েছে ছেলে খাবে
জমে যাক এমন গল্প
অলস আমরা কাজ কি মোদের
কিসের ভবিতব্য!

(৩)

এসো হে বিনোদিনী, বিরহী ব্রজবাসিনী
তব নয়নে হৃদয় মজায়ে, তপস্বী ধ্যানে মজে
ওহে অপলক গোপনে, শিয়রে শিহরণে
স্বপন আলাপন সকাল-সাঁঝে....

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

অনুকাব্য গুচ্ছ-০১

(১)

ওরে উজান-ভাটির গৌরী -
তোর বুকের ঐ ঘোলা জলে
নিবি কি আমায় ডুবসাঁতারে?

(২)

হিংস্র হায়নার সামনে বসে, এঁকেছি বিজয়রেখা
যে রেখায় হল বিনিময়- এক সাগর রক্ত, একটি পতাকা।


(৩)

বুলেট যদি মাথায় ঠেকে
বাঁচব কিসে আর?
মন ভাঙ্গিলে সংসার কিসের?
জীবনই ত ছন্নছাড় ।

(৪)
বিষদাঁত পীড়ায় যার
মধুর বচণ
শুনিলে তুষের অনলে
পুড়িবে জীবন।

(৫)

বিষ গিলে ঝিনুকের
হয় মুক্তো সাধন
তবে কেন অমৃত আঁশে
সকলের রোধন?

জীবনরে বেচে দিলে মিলবে কি একমুঠো সোনালী আলো

জীবনরে বেচে দিলে মিলবে কি একমুঠো সোনালী আলো
ও জীবনরে- বিলিয়ে দিলে অনাদরে, ক্ষয়ে যাবে কি অন্তরের কালো

জীবনরে ইচ্ছে মত পুড়িয়ে নিলে ভস্ম ছাইয়ে মিলে কি কোন সোনার কনা
ও জীবনরে ভাসিয়ে দিলে অবেলার স্রোতে, দাম মিলে কি তার দু‘চার আনা।

ও জীবনরে তোর চাওয়াতে উড়ে চলি, চাতক পাখির মতো
জীবনরে তৃষ্ণায় ছাতি ফাটে তবু প্রেয়সি মেঘে ঘুরি অবিরত
জীবনরে অভিশাপের এই মোহনায় সুখ কুড়োতে যাই কার সে সীমানায়
ও জীবনরে চোখের দেখায় ঝাপসা দেখী, খুঁড়ে চলে স্বপ্ন অজানায়।

ও জীবনরে বনের বাঘে খাচ্ছে হরিন ছুটছে সবে রণে
জীবনরে গোপন মন্ত্র জপতে-জপতে ছুটি বৃন্দাবনে
জীবনরে ওপাড় স্বর্গে এপাড় পুড়ে কেন করলি বনাচার
ও জীবনরে বিবেক ধ্বংশ মগ্ন নেশায়, ছুটে শেষ কৈলাশপাহাড়।

ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর

ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর
ও ক্ষ্যাপামন বাঁধবি কেমনে ঘর
ও তুই পরের ঘরে থাকিস পড়ে, আপন করিস পর।

ভাবিস কত আপন তোর
ইট-পাথরের দেয়াল তুলে বাঁধবি আপন ঘর
ওরে উড়ু-উড়ু মনের খেলায়, পড়ে যাস ঠিক পথের উপর
ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর
ও ক্ষ্যাপামন বাঁধবি কেমনে ঘর

তোর চলন ভালো নয়
দেহ পচে মনটা পচে উপায় কি আর রয়
ও তোর রুগ্নচেতন ইষ্ট কিসে, কি বয়ে দেহপীঞ্জর ক্ষয়
ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর
ও ক্ষ্যাপামন বাঁধবি কেমনে ঘর

ভেবে নিলি জগতেই সব তোর
ভোরের আশায় জাগিস তবু কাটে না যে ঘোর
ও তুই মাঝনদীর উত্তালে পড়ে, কেঁদে ডাকিস কোথায় প্রানেশ্বর
ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর
ও ক্ষ্যাপামন বাঁধবি কেমনে ঘর