বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

আমার জীবন ঘিরে অতিবাস্তব



আমার জীবন ঘিরে অতিবাস্তব একটি সত্য বর্তমান- তা হল আমি যখনই কোন আনন্দঘন মূহুর্তকে গ্রহন করি, তার পরক্ষনেই আমার জন্য কোন না কোন বিপদ অনিবার্য্য হয়ে দাঁড়ায়। অথবা আমি যদি কোন আনন্দঘন মূহুর্তের প্রতীক্ষা করি সেটিও কোন ভগ্ন হৃদয়ের আহ্বানে সম্পন্ন হয়। তাই ইচ্ছা হোক কিংবা অনিচ্ছায়, আমি আমার জীবনের আনন্দঘন প্রতীক্ষার বিষয়গুলো এড়িয়ে চলি। সত্যি বলতে কি নিজ বাড়ী কিংবা আত্মীয় বাড়ী, কোথাও কোন উৎসব কিংবা পার্বণ সবকিছুকেই আমি এড়িয়ে চলি। আর নির্দ্বীধার সময়গুলোকে কাটাতে আমি নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখি। আমি জানি সকলের জীবনেই বিপদ কিংবা খারাপ সময় থাকে, তারপরও দেখী আমি আনন্দঘন মূহুর্তগুলোকে অন্যবিষয়ে ব্যস্ত থেকে কাটাতে পারলেই আমি ভালো থাকি আমার সময়গুলো কিংবা মন ভালো থাকে। তাই শত অনুরোধকে যেকোনভাবে কাটানোই আমার লক্ষ্য থাকে।

আমার মা পরলোকগামী হয়েছেন আজ প্রায় ৯ বছর হল। মা থাকাকালে মায়ের স্নেহময় দিনগুলো কাটাতে পারলেও এখন সবজায়গায় কোন একটা হা-হা-কার সবসময় বয়ে থাকে। আনন্দ করার ইচ্ছেগুলো এখন প্রায় শূণ্যের কোঠায় গিয়ে পৌঁছেছে। তাই উৎসব কিংবা পার্বণে কোথায় না পারতে যাই না, কারও অনুরোধ রাখি না। না ভাই-বোন-বন্ধুর, না পাড়া-প্রতিবেশীর না নিজের। জানি না কেন সবখানে অনীহা ছড়িয়ে থাকে।

গত ২ মাস ধরে কাকী কল দিয়ে-দিয়ে নরসিংদী যাওয়ার কথা বলছে। কিছু না কিছু বলে এড়িয়ে যাচ্ছি বারংবার, কিন্তু লক্ষ্মীপুঁজোয় যাওয়ার ব্যপারে কাকীর অনুরোধটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, আমি না গেলে কাকী সত্যিই কষ্ট পাবে। কিন্তু আমি কাকী কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের কি করে বোঝাই, আমার জীবনের এই একটুখানী আনন্দের মূহুর্তও আমার জন্য কোন না কোন কষ্ট বহন করে আনবে। তাই আমি যেকোন ভাবে নিজেকে ভালো রাখতে চাই।

না মাতৃসম কাকীর বারংবার অনুরোধ অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই। তাই আগামীকাল সকালে নরসিংদীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছি। কিন্তু মনের মাঝে বদ্ধমূল ভয়টা সেঁটে আছে- আবার না কোন বিপদ এগিয়ে আসে, এই একটুখানী আনন্দের মাঝে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন