মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

পতন হোক সাম্রাজ্যবাদের

আদর্শিকতার ব্যাপারে মতের অমিল থাকলেও কোন ধর্মগ্রন্থে আমার অবিশ্বাস নেই। আমি আমার জীবনের যে মেরুতে দাঁড়িয়ে আছি, এখানে এসে দাঁড়াতে গিয়ে আমি যাদেরকে জীবনের আদর্শ কিংবা স্বরূপ মেনেছি- তারা কোন না কোন ধর্মের মতাদর্শী। তাই যুগ কিংবা কালের নাও বেয়ে যে সত্য আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাকে এক তুড়িয়ে মিথ্যা-বানোয়াট কিংবা অসত্য বলতে আমার কার্পণ্যতা সর্বাধিক। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, ধর্মগুলোকে কেউ-কেউ ইন্দ্রর্জাল বলতে চাইলেও এর অর্ন্তহীত যে বোধগুলো নিয়ে জগতে শীর্ষস্থানগুলোতে যারা পৌঁছেছে- ধর্মের আদর্শ কিংবা সারতর্ত্ত্ব যদি সত্যি বানোয়াট হত, তবে সে আকড়ে কেউ শীর্ষে পৌঁছতে পারত না।

কিন্তু ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি করা, এটাকেও আমি মানতে পারিনা। যেমন আমার কথাই যদি বলি তবে যে সত্যিটা সামনে এসে দাঁড়ায়, তাতে আমি দেখী- আমি চাইলেই অনেক কিছু মেনে চলতে পারি না। জীবনের অসঙ্গতিতে কিংবা সামাজিক অথবা পারিবারিক কারণে। যেহেতু অনেক ভাবনাকে কারণে অবহেলায় রাখতে হয়, তাই নিজের মনকে বুঝ দিতে কিংবা স্থির রাখতে আমাকেও নিত্য-নতুন কোন কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। অথাৎ আমার ব্যক্তিগত একটা মতাদর্শ আমাকে তৈরী করতে হয় স্রেফ নিজেকে বুঝ দিয়ে রাখতে।

পৃথিবীর ৯০ শতাংশ মানুষকে আমি একই কাতারে ফেলি। কারণ আমি মনে করি, যাদের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা শক্তিশালী রুপ নেয় নি, তারা কখনও কোন প্রকার নিজস্ব চেতনা কিংবা মতাদর্শ তৈরী করে চলছে না- হাজার শক্তিশালী যুক্তি প্রদান করলেও তা সত্য নয়। আর এই ধর্মীয় বাড়াবাড়িগুলোও এই ৯০ শতাংশ মানুষের হাত ধরেই তৈরী হয়। যারা না সঠিক ধর্মের সারতত্ত্ব প্রদানে সামার্থ্য, না জীবনের বাস্তবতায়। ফলশ্রুতিতে জীবনের সবক্ষেত্রেই এদের অবস্থান অনেকটা জগাখিচুড়ির মত। মানে এরা নিজেরাও শান্তিতে থাকতে পারে না, অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। আর এখানেই আধিপত্য বিস্তার করে মডারেটর, প্রমোটর কিংবা সাম্রাজ্যবাদীরা। এরা বিভ্রান্ত মানুষগুলোকে পেঁচিয়ে এতটাই গুলায় যে, সাধারণ মানুষগুলো নিজেরা সঠিক বলে ছুটতে বাধ্য হয়। তাতে সে খুন হচ্ছে নাকি তার মতো অসহায় কাউকে খুন করছে খেয়াল করে না। আর এখানেই সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থকতা।

পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক, আর পতন হোক সাম্রাজ্যবাদের সেই কামনা অহর্নিশ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন