মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

সত্যিকারের ভালোবাসায় গড়ে উঠুক প্রতিটি সংসার-সমাজ-দেশ-পৃথিবী

যখন সমাজব্যবস্থা সাম্যবস্থায় পৌঁছার চেষ্টা করছে, তখন পুরুষালী সমাজ আড়মোড় ভেঙ্গে মোছড়াতে শুরু করেছে। আর ক্ষমতার বাহুবিন্যাস নারীর সাথে মিলিয়ে দেখাতে চাচ্ছে নারীর ক্ষমতা নস্যি তাদের তুলনায়। এখানে পুরুষালীসমাজ নারী ভূমিকা ধারন করতে চায় এবং নারীকে শেখাতে চায় তাদের ভালো-মন্দের ব্যাপারগুলো। ব্যাপারটা এমন- যেন নারীসমাজ তার ভেতরকার জাগ্রত সত্ত্বাকে কখনও উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। অথচ নিজেদের ব্যাপারে তাদের সচেতনতা আদ্যৌ জাগ্রত হচ্ছে কি?

কিন্তু এটা কেন হচ্ছে?

হচ্ছে কারণ- পুরুষ নারীসমাজকে দাবড়িয়ে রাখতে চায় নিজেদের ভেতরের পশুত্ব কিংবা অপকর্ম ডাকতে কিংবা নিজেদের চরিত্র চরিতার্থ করার মতো বাসনা যেন নারীর মধ্যে জাগ্রত না হয়, সে ঠেকাতে।

আমি সবসময় যা মনে করি তা হল- যেহেতু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আর্কষনটা স্বাভাবিক, তাই চারিত্রিক নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারটা ব্যক্তির ভেতর থেকে হওয়া উচিত। নারী যদি রাস্তা-ঘাটে পুরুষের উন্মুক্ত অঙ্গভঙ্গি দেখেও স্বাভাবিক পথ চলতে পারে, তবে নারীর পোশাকের দায় দিয়ে কেন তাকে হটানোর পয়তারা করা হবে?

নারী সমন্ধে বলতে গেলে অনেকের মধ্যে একটা সুর প্রায়ই উঠে, তা হল- নারীর দূর্বলতা তার মাতৃত্বে। অথাৎ নারীর অনিষ্ট সাধন খুবই সহজতর। তাই যে কোন অনিষ্ট তার চরিত্রে কালিমা লেপে দেবে। এখানে প্রশ্ন দাঁড়ায়- নারীর এ দূর্বলতা হবে কেন? এবং কালিমার ব্যাপারটা কেন একা নারীরক্ষেত্রে হবে? যদি কেউ নারীর অনিষ্ট করে তাহলে উপস্থিত নারী-পুরুষ দু‘জনের চরিত্রই তো শুদ্ধতা হারাল। তাহলে কলংঙ্কের দায় নারীর একার কেন? শুধু সন্তানের উৎপাদনের কারণ কিংবা সন্তানের লালন-পালন হেতুর দায়ে যদি নারীকে টুটি চেপে ধরে রাখা হয়, তবে একটাই উত্তর সন্মুখে এসে দাঁড়ায়, তাহল- পুরুষালীসমাজ বিবেকবর্জিত, এরা নিজেদের সাধু সাজানোর জন্যই কেবল নারীসমাজকে ঘরের ভেতর আটকে রাখতে চায় কিংবা কোনঠাসা করে রাখতে চায়।

জীবনগুলো জীবনের মতো পরিচ্ছন্ন হোক। দাবড়িয়ে রাখার পয়তারায় যে সন্দেহের দেয়াল তৈরী হচ্ছে তা ভেঙ্গে যাক। আর নারী-পুরুষের মধ্যেকার সত্যিকারের ভালোবাসায় গড়ে উঠুক প্রতিটি সংসার-সমাজ-দেশ-পৃথিবী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন