মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৪

ধরা‘র অবসর

সূর্য্য‘টাকে গিলে নিয়ে যার জন্ম
উদাসিন চাঁদে কৃষ্ণ প্রহার আলোর
তারার মিছিলে নক্ষত্র ক্ষয়ে খসে
পর্বত্র প্রবালে নামে কালোর প্রহর।

ধীরধীবরে কাল ক্ষয়ে হয় ভোর
ধ্বংস-যজ্ঞের প্রলয় পথে ঘর,
বিরস জন্মে সূর্য্য দেয়না আলো
রূদ্ধশ্বাসে ধরা‘র মাঝে নামে অবসর।

ভিড়বে বল কোন সে কুলে...

ভৈরব নদ উথলে পড়ে
অশ্রুভরা নোনাজলে;
ধর্মেরডিঙ্গি বাড়িয়ে সে‘স্রোতে
ভিড়বে বল কোন সে কুলে?

সাজানো ঘর ভেঙ্গে দিলে
হলো খান-খান স্বপ্নগুলো,
শঙ্কিত আজ পথে জীবন
নৃশংসতায় হারায় চাল-চূলো।

নাও; মালাউন মেরে ধর্ম কবজ গলায় পড়

ধর্ম তোমার দ্বীধায় পড়ে মালাউনে
পথে-পথে ধরছে ঠেসে মালাউনে
ধর্মের দোহাই দিয়ে তাই, জিহাদ কর
নাও; মালাউন মেরে ধর্ম কবজ গলায় পড়।

এদেশে তোমরা শতাংশে আছ নব্বইভাগ
থাকবে এথায় তোমাদের ধর্ম; তোমাদের রাগ
সে রাগের ক্ষোভ প্রকাশে; মালাউন পোড়
নাও; মালাউন মেরে ধর্ম কবজ গলায় পড়।

সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৪

অধিকার

অধিকার ছেড়ে দিতে গেলে অধিকার বিষয়ে তীব্রঘৃণা বা তীব্র উদারতা দেখাতে হয়।

রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৪

শেখা

ভূল গন্তব্যে পা বাড়িয়ে শেখ
জীবনটাকে শিখতে-শিখতে দেখ।

শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৪

নিরূপণ

মালাউনের দল ভোট দিলেও মরবে, না দিলেও মরবে। পুরো বাংলায় তারাই পক্ষ-বিপক্ষ নিরূপণ করে!!!

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৪

সন্দিগ্ন-সংশয় পরম্পর

তিলেকদোষে পথ যাহার নড়বড়
তালের খুটিতে সে পথে হবে ঘর
সন্দিগ্ন-সংশয় পরম্পর।

জানি তিল হতে তাল করিতে
পথে-পথে পড়িতে, কাঁদিতে
মানে-বিমানে এমনে গড়ি ঘর
জীবনভর;
সন্দিগ্ন-সংশয় পরম্পর।

ইচ্ছে

ইচ্ছে করে মাঝে-মাঝে হারিয়ে যাই
হারিয়ে যাই সখী তোমার খেলাঘরের মর্ত্ত খেলায়।।

বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৪

যাত্রা

জীবন চলছে নীরবে
সাগরের উত্তাল তরঙ্গের সাথে দূর সীমানায়
অসীম আজ হারিয়েছে অতল গহ্বরে
আমি উদ্ভ্রান্তচোখে মলিন যাত্রার পথে।

অভিযোগ

যার পেটের দুখ আছে; তার কাছে স্বার্থ হাসিল নয় বরং পেটের অভিযোগই অনেক বড়।

বিচিত্র ভাবনা

আমরা এখন খাল কেটে কুমির এনে নিজেরাই কুমিরের সাথে লড়ছি জয়ের আশায়।
বাহ!!! বড়ই বিচিত্র আমাদের ভাবনারা।

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

চাওয়া

জানতে আমার ভূল কোথায় জানি না
তবু জানতে আমার মন কভূ চাহে না।

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

নিরূপণের ইচ্ছে

আকাঙ্খাগুলোকে যদি গলাটিপে মেরে ফেলা যেত তবে বোধহয় এতটা ভাবান্তর হতে হত না আমাকে, শূণ্যহাতে এসে শূণ্য হাতেই যদি ফিরি তবে আলো-আঁধারের পার্থক্য নিরূপণের ইচ্ছে কোথায়?

ভাবাচ্ছন্ন মোহ

জীবন উৎপত্তি সমাপ্তির জন্যই।
তবুও; রাজপ্রসাদে কিংবা কুড়োঘরে, সম্রাট কিংবা চোর, জীবনের তাগিদে কিংবা মোহসুখে প্রশ্রয় দেয় বাসনায়।

যখন ছাতিফাটা চৈত্র কিংবা যৌবনাৎসায়ী বসন্ত মিশে একাকার হয় তখন মানবতা কিংবা ভালোবাসা বাঁচে নিষ্কন্টতায়।
কমলালেবুর মত গোল পৃথিবীতে আলো-আঁধারির খেলা নিমিত্তিক বলেই বলি, মানুষের ভিতরকার চিত্রপট নিঃস্বার্থ ভাবে ভাবা মুশকিল। বরং জীবনভূমে সেই বড় সত্য, স্বার্থের তাগিদে মানুষের চলাচলই জীবনভূমে অতী বাস্তব।

ভাবাচ্ছন্ন মোহনায় মোহে আবদ্ধ ব্যক্তিত্ব আমাদের কাছে মিথ্যে করে দেয়, জন্ম-মৃত্যুর মত ধ্রুব সত্যকেও!

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

সুতো


চেনা সুতো
বাঁধে তোমাকে-আমাকে-তাকে
দূর বিজনে; নির্জনে,

এই সংসার মোহতলে
দুঃখ-সুখ ভাগাভাগি করে
মমতার বানে।