শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪

পদ

পদব্রজে পদ চলেছে পদে
এমন করে চলবে কি পদ শোধে !

বঙ্গ

বঙ্গ; মরি মম অহংকারে
তোমার ভাষার মধুর স্বরে
সৃজণে যে সুখ,
বঙ্গ; মরি সবুজ সরোবরে
তব গানের মধুর স্বরে
উন্নতশিরে বুক।

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪

যাচ্ছি ডুবে অতল জলে

তুমি ব্যাঙ্গেরমত ঘরকোণে
শীতনিদ্রাতে ঘর বানালে
আমার দেহের চর্বি কেটে
শীত বসতের চর্বি জমালে
তোমার মতো তুমি হয়ে
আপন সুখে দিন কাটালে।

আর আমি!!!
শীতহীমাঙ্কে ডাহুক ডুবে ফেনামুলে
যাচ্ছে দম যাচ্ছে বলে
তবু শিকারি হতে বাঁচব বলে
যাচ্ছি ডুবে অতল জলে।

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০১৪

আমাদের জীবন

জীবনটাকে আজীবন বয়ে-বয়ে ক্ষয়ে ফেরাতেই আমাদের জীবনের সর্বস্ব। মৌণ-মুর্চ্ছনায় এই আমাদের জীবনের সব বাসনাই তিক্ততায় ভরা। অলস বেলায় আমাদের সুখ স্মৃতি আসে না। সারাক্ষনই ঢুলু-ঢুলু ঘুম চোখে রাগিণীর বাসনায় পুষে যাওয়া ক্লেদাক্ত বেলায় আমরা অনুভব করি অপুরন্ত অশ্রান্ত হৃদয়ের অব্যক্ত জ্বালা।

দায়

দেখেও দেখিনা, কারণ বিবেক দেখার দায় সহে না...

বরাত

বরাতে নাই করাতের গুড়ি
আপনা আগুনে আপনি পুড়ি।।

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০১৪

চেতনার হাল-বর্তমান


মামা দেখ কি সব আজে-বাজে মিনিংলেস বিতিকিচ্ছা-

কোনটা মামা?

এই যে কবি লিখলেন-
”এমন জীবনের তুমি করিবে গঠণ
মরিতে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবণ।”
-এটা একটা কথা হল?

কি কও মামা আমার তো মনে হয় ঠিকই আছে। একটা মানুষের মহৎ জীবনের অনুভব মানুষের মাঝে সব সময় বিরাজ করবে।

কাঁটা-ফুল

কাঁটা-
সে থাকে গাছের অন্তঃশীরে গীটে
তীক্ষ্ণতায় দেহ বিঁধে
ব্যাথায় টুটে!

রঙ্গিণ ফুল-
সে ফোঁটে গাছের অন্তঃশীরে গীটে
সৌরভ-সৌন্দর্য্যে অন্তর বিঁধে
ব্যাথায় টুটে!

মনমানুষি হারাবে যদি সুদূর দূরে

ওপাড়ে যাবার যদি, সময় হয়ে এল
একপেগ মদ দাও, যন্ত্রনা ভুলি ঘোরে
মনমানুষি; হারাবে যদি সুদূর দূরে
বীষকাঁটা বিঁধে দাও, যন্ত্রনায় ভুলি তারে।

কি এত লাভ হলো, আশায় মন রাঙ্গানোয় ?
নীড় ভোলা সুখের পায়রা, দিগন্তে ডানা ছড়ানো
ভোলা যায় কি হায়, যে মন জড়িয়েছে
দিনে-দিনে তাকে ঘিরে…………


অনুগল্পঃ অনুরাগের প্রত্যয়!

দৈহিক কামসিদ্ধিরপর শিউলী যখন জানালো- আমাকে এখুনি বিয়ে করতে হবে, তা না হলে আমি বাঁচব না। তখন আমি না করলাম না। তাকে জবাব দিলাম, শিউলী আমি তোমাকে জান-প্রান দিয়ে ভালোবাসি, তুমিই বল তোমাকে ছাড়া আমি কি বাঁচব? তারচে চল আমরা এখুনী কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি। দু’জনের আগ্রহে আমরা বিয়ে করার উদ্দেশ্যে কাজীর অফিসের দিকে রওয়ানা হলাম।
মাত্র একমাসের চেনা-জানা আমাদের দু‘জনের। অথচ একমাসের মধ্যে আমাদের ভালোবাসার ঢেঁউয়ের জল স্থলবন্দরে এতটাই টইটম্বুর হয়ে উছলে পড়ছে যে, আমরা দু’জন দু‘জনার দৈহিক প্রনয়ে আবদ্ধ হয়ে গেলাম! ভালোবাসার সমাপ্তী টানতে আমরা তাই কাজী অফিসের দিকে যাচ্ছি! আমরা আজ ভালোবাসার পূর্ণরূপ দেব!
তখন আমরা কাজী অফিসের অর্ধেক পথে, আমার মাথায় নানান প্রশ্ন কেন জানী উঁকি-ঝুঁকি দিতে থাকল। তাই আমি তাকে বললাম শিউলী আমরা আজ ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে যাচ্ছি, তোমার কেমন লাগছে? লজ্জায় শিউলীর মুখ লাল হয়ে উঠল। ভালোবাসার চুড়ান্তরূপের এই সময়টায় তার হৃদয় যেমন আবেগগ্রস্থ, তেমনী ভালোবাসার শিহরণে তার মন খুব বেশী ব্যাকুল। হয়ত অজানা কোন শীহরণ তার মনেও হানা দিচ্ছে।

প্রলাপ

ঐ কে আছিস কোথায়, সামনে এসে দাঁড়া
এক ফুৎকারে সবকয়টাকে করে দেব হাওয়া।

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

রূপান্তর

পৃথিবীতে প্রত্যেকে মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে। জন্মেরপর ধর্ম তাকে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-শিখ প্রভৃতিরূপে পরিণত করে। আবার প্রত্যেকটি স্বাতন্ত্রীক ধর্ম মানুষকে বিভিন্ন গৌত্র বা সম্প্রদায়ে রূপান্তরিত করে। আর এই রূপান্তরিত বিভিন্ন গৌত্র বা সম্প্রদায় নিয়ে গঠিত সমাজ মানুষকে নারী-পুরুষ বা ছেলে-মেয়ে রূপে পরিগণিত করে।

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

শ, ষ, স তিন‘শ

বাংলা বর্ণমালায় শ, ষ, স এই তিন‘শ অস্তিত্ব বর্তমান হলেও-
জীবনকে উপভোগ করতে প্রয়োজন শ‘ য়ের,
জীবনকে অনর্থক ভাবতে ষ‘য়ের আর
বিলিয়ে দিতে স‘য়ের ব্যবহার স্বভাবসিদ্ধ।

কারণ?
সে একটাই কারণ শ এর শত ব্যবহৃত হয় শতক কল্পে- যেমন শত কোটি টাকা, শত-শত কৌড়ি, শতখানেক চাকর-বাকর।
ষত এর কোন যুক্তযুক্ত অর্থবোধকতা নেই, তাই এর প্রভাব অনর্থক
সত এর অর্থ সৎ বা সততা, যার অর্থ বিলিয়ে দিতে, সব কিছুর উর্দ্ধে নিজেকে ধরে রাখতে।

জীবনের প্রয়োজন অনুসারে মানুষ এই তিন‘শ তে নিজেদের আকড়ে রাখে!!

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সৃজণ আমায় অন্ধ করে বন্ধ ঘরে

সৃজণ আমায় অন্ধ করে বন্ধ ঘরে
জীবন আমার চলে ঘুরে দ্বারে-দ্বারে
নাইযে আমার কুল কিনারা ভবসংসারে
জীবন আমার চলছে দয়াল আপনা খেয়ালে।

দয়াল দিলেনা যদি ভবের কূল
ব্যাকুল পথে দিশেহারার কর ক্ষম ভূল
কোথায় সে ভবসিন্ধু হাতপাতি আজ সে দুয়ারে
এ সৃজণে জীবন গেল মোহবাসনার করতলে।

বেদনারাও একদিন ক্লান্ত হয়

জান? বেদনারাও একদিন ক্লান্ত হয়। ঐযে শোন নি, সেদিন সরল দুপুরবেলায় পূর্ণত্রীর সাগরসম নয়ন শুকিয়েছিল। অথচ কোন বুঝ দিয়েই তো তাকে এতকাল কেউ থামাতে পারেনি। শুনেছি তার শুকনো সাগরে এখন ধু-ধু বালিচরে ভরে গেছে। স্মৃতিরাও আবছা হয়েগেছে।

নিবারণ সত্যি কি জান? তোমাকে হারালে আমারও এমন হবে। যে বিশ্বাস ঘিরে আমার সবুজ ছায়াবিথীতে রঙ্গিন ফুল ফুটে, যে অধরের গ্রীবায় আলোক উজ্জ্বল হাসে, সে বিবর্ণ হলে আমার স্মৃতিরাও হৃদয় ক্ষরণে জমে-জমে আবছা হবে। চোখের ভ্রুকুটিতে আমার বিষন্ন বেদনার সাজানো অঞ্চল ভিজে একাকার হয়ে যাবে।