আমগাছে আম ধরে এ সত্য, কিন্তু যদি বলি আমগাছে জাম, লিচু, কাঁঠাল ধরে তখন
এ অনেকের কাছে আজও অসত্য হিসেবে নির্ণয় হয়। তবুও বর্তমান যুগে বসবাস করে
আমরা জানতে পারি- আমগাছে আম-জাম-লিচু কিংবা কাঁঠাল পাওয়া সম্ভব, যদি আমরা
গাছে কলমের চারা প্রতিস্থাপন করি। এক্ষেত্রে কলমের গাছটির শিকড় আকড়ে রাখে
মূল গাছটিকে, মূল বিস্তারের উপর নির্ভর করে গাছটির শাখা-প্রশাখার বিস্তার।
এখানে মূলগাছটির উপর প্রতিস্থাপিত গাছটিকে বলা হয় পরজীবী। পরজীবী গাছটির
জীবন সঞ্চালনে সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে মূলগাছটি বা মাতৃগাছটির উপর।
কিছু-কিছু সময় এমন হয় পরজীবী গাছটি বিস্তার লাভ করতে-করতে পুরো গাছটিকে
ছেড়ে ফেলে, কিছু-কিছু সময় তারা শিকড় ঠিকমতো জড়িয়ে ধরতে না পারায় প্রাকৃতির
কারণে বা কৃত্রিম কারণে মূলগাছটি হতে ঢলে পড়ে।
সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪
রবিবার, ১৫ জুন, ২০১৪
বেলা বয়ে গেছে
জীবনে কতশত স্বপ্ন-প্রত্যাশা উঁকি দিয়ে বেড়ায় অথচ নিত্য জীবন খেলা শেষ করতেই দেখি বেলা বয়ে গেছে.......
সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪
ফের এবার ঘরে
আমাকেও আমি চিনে নিয়েছি, তোমার মতো করে
হারাবার যা হারিয়ে গেছে, ফের এবার ঘরে।।
হারাবার যা হারিয়ে গেছে, ফের এবার ঘরে।।
শনিবার, ৭ জুন, ২০১৪
ক্ষমতাসীনদের কুক্ষিগত ক্ষমতার সবচেয়ে কুৎসিতরূপের কয়েকটি দৃশ্যের একটি
ছবিগুলো আপলোড করার ইচ্ছে থেকে আপলোড করি নি,
করেছি আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের পরিছন্ন নগ্নরূপ প্রকাশের উদ্দেশ্যে।
নিচের তিনটি ছবি আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের কুক্ষিগত ক্ষমতার সবচেয়ে
কুৎসিতরূপের কয়েকটি দৃশ্যের একটি। আর এই কুৎসিতরূপের কর্মকার এদেশের সরকার,
যাদের ক্ষমতার উৎস সাধারণ জনগণ। আর যেদেশের জনগণ মুখিয়ে আছে সরকার তাদের
জন্য নির্মাণ করবে একটি সুন্দর আবাস!
পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশের নগর তথা সমাজ-সংষ্কৃতি গড়ে উঠে দেশের ভূগৌলিক ভূ-খন্ডের চারপাশ ঘিরে। সমাজ তথা দেশের উন্নতিক্ষেত্র হয়ে উঠে দেশের সমগ্র পরিসীমা। অথচ আমাদের দেশেে এর ব্যতীক্রম। এখানে মূলধারার ক্ষমতা বৈকেন্দ্রীকরণ হয় নগর কিংবা রাজধানী ঘিরে, আর তাই আমাদের দেশের সবকিছুর মূলে কেন্দ্রীভূত হয় রাজধানী। গতিময় জীবনের অনুচ্ছেদে তাই যখনই জীবন বাঁচাবার তাগিদ দমআটকাবার প্রচেষ্টা করে, তখনই রাজধানীতে ছুটে আসা, অবস্থান অনিবার্য হয়ে পড়ে।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশের নগর তথা সমাজ-সংষ্কৃতি গড়ে উঠে দেশের ভূগৌলিক ভূ-খন্ডের চারপাশ ঘিরে। সমাজ তথা দেশের উন্নতিক্ষেত্র হয়ে উঠে দেশের সমগ্র পরিসীমা। অথচ আমাদের দেশেে এর ব্যতীক্রম। এখানে মূলধারার ক্ষমতা বৈকেন্দ্রীকরণ হয় নগর কিংবা রাজধানী ঘিরে, আর তাই আমাদের দেশের সবকিছুর মূলে কেন্দ্রীভূত হয় রাজধানী। গতিময় জীবনের অনুচ্ছেদে তাই যখনই জীবন বাঁচাবার তাগিদ দমআটকাবার প্রচেষ্টা করে, তখনই রাজধানীতে ছুটে আসা, অবস্থান অনিবার্য হয়ে পড়ে।
হিসেব
অভিলাষীর অজ্ঞতা সৃজণে খোঁড়ায় না-
কানা চোখ খুলে দেখ না,
আলো আর ভাবনায়
মানবজীবন কষছে হিসেব দ্যোটানায়.....
কানা চোখ খুলে দেখ না,
আলো আর ভাবনায়
মানবজীবন কষছে হিসেব দ্যোটানায়.....
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০১৪
অজানা রয়ে গেলাম
ঘুমঘোরে নিজেকে জানতে গেলাম কল্পরাজ্যের সজিব সৌন্দর্যে, ঝরঝর নিপবণে। নিসংকোচ উল্লাস নিয়েই সেখানে ছিলাম। কিন্তু, হঠাৎ অপ্রত্যাশিত কি জানি এক ভয় এমনভাবে আছড়ে ফেলল, জানবার নিস্ফলতায় জেগে গেলাম।
এখন ভেবে-ভেবে আমার চিত্ত ক্লান্ত হয়- হায়!!! এ‘জীবনে আমিই সবচেয়ে বেশি অজানা রয়ে গেলাম....
এখন ভেবে-ভেবে আমার চিত্ত ক্লান্ত হয়- হায়!!! এ‘জীবনে আমিই সবচেয়ে বেশি অজানা রয়ে গেলাম....
রবিবার, ১ জুন, ২০১৪
প্রতিটি গল্পই একটা ইতিহাস হয়
প্রতিটি গল্পই একটা ইতিহাস হয়, যদি সে গল্পের প্রসরণ ঘটে।
যদি সে গল্পে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশ্রয়-প্রশ্রয়, বেদনা-দ্যৌদনা,
গঞ্জনা-ব্যঞ্জনা, অগ্রসর-ধ্বংস, পীড়া-পরিণয় সংযুক্ত থাকে।
যদি সে গল্পে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশ্রয়-প্রশ্রয়, বেদনা-দ্যৌদনা,
গঞ্জনা-ব্যঞ্জনা, অগ্রসর-ধ্বংস, পীড়া-পরিণয় সংযুক্ত থাকে।
কার তরে
অঘোর মেঘের তরে, ঘনঘোর বরষণ
রিমঝিম ঝড় ধারায়, কেন এত ভেজে মন
ভেজে মন আকারণ, বহিছে আজ সমীরণ; প্রকটে
কার তরে উতল হীয়া, ভিজে যায় এ পথে।
রিমঝিম ঝড় ধারায়, কেন এত ভেজে মন
ভেজে মন আকারণ, বহিছে আজ সমীরণ; প্রকটে
কার তরে উতল হীয়া, ভিজে যায় এ পথে।
শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪
চরমশূণ্যতা
সবাই স্রষ্টাকে ডাকছে। ডাকার পদ্ধতি ভিন্ন হোক, এখানে পরম শ্রদ্ধায় স্রষ্টাকেই ডাকা হচ্ছে। তবে বাঁধা বা হস্তক্ষেপের কারণ বা হেতু কি? কেউ মসজিদে স্রষ্টাকে ডাকবে, কেউ মন্দিরে। তবে একে ডাকায় অন্যের সমস্যা হবার যুক্তিযুক্ত কারণ কি? মসজিদে যেমন মুসল্লি‘রা তার আল্লাহকে ডাকছে, তেমনি মন্দিরে হিন্দু‘রা তার ঈশ্বরকে ডাকছে। তবে মাইকে শব্দযোগের অজুহাতে মন্দির ভাঙ্গার ইচ্ছা কি ধর্মীয় ভন্ডামী‘কে প্রশ্রয় দেয় না? অন্যের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে এধরনের হস্তক্ষেপ কি নিজের ধর্মকে ছোট করে না বা অন্যের কাছে আপনার ধর্মকে শ্রদ্ধাহীন করে তোলে না? বিষয়‘টি আপনারা ভাবুন, সত্যি বলছি বিষয়টি অবশ্যই অবশ্যই ভাবনার। কারণ চরমশূণ্যতা একটা সময় অন্যায়কে অনৈতিক পর্যায়ে নিয়ে ফেলে, যার ফলাফল খুবই খারাপ হয়.....
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪
মানুষ স্মৃতি হাতরে বাঁচে..
মানুষ স্মৃতি হাতরে বাঁচে! অতীতের ছায়া ছুঁয়ে বাঁচে, লুকিয়ে বাঁচে, জমানো ঘৃণা আগলে বাঁচে, মমতার যত্নে বাঁচে।
যতদূর চোখ রাখার প্রয়াস করি দেখি সবাই সুদূর সবুজকে আহ্বান করে, আপনাকে আশ্রয় করে, জীবনকে শীরোধার্য্য করে, অহংকারকে হৃদয়ে জমা করে, মলিনতাকে আশ্রয় করে দগ্ধ হয়, ভীষণকে ধরে রেখে ক্ষয় হয়।
জীবনকে নিকট থেকে দেখেছি, অনেক নিকট থেকে। যেখানে মায়া কখনো আপন করে, কখনো ক্ষমা করে অথবা কখনো ছেড়ে দিয়ে চলে যায় দূরে পরিযায়ী পাখিদের মত। শুধু ডানাঝাপ্টানো শব্দ‘রা খানিকটা সময় বিশ্বাসে রাখে বাতাসের ছন্দ প্রয়াসে।
যতদূর চোখ রাখার প্রয়াস করি দেখি সবাই সুদূর সবুজকে আহ্বান করে, আপনাকে আশ্রয় করে, জীবনকে শীরোধার্য্য করে, অহংকারকে হৃদয়ে জমা করে, মলিনতাকে আশ্রয় করে দগ্ধ হয়, ভীষণকে ধরে রেখে ক্ষয় হয়।
জীবনকে নিকট থেকে দেখেছি, অনেক নিকট থেকে। যেখানে মায়া কখনো আপন করে, কখনো ক্ষমা করে অথবা কখনো ছেড়ে দিয়ে চলে যায় দূরে পরিযায়ী পাখিদের মত। শুধু ডানাঝাপ্টানো শব্দ‘রা খানিকটা সময় বিশ্বাসে রাখে বাতাসের ছন্দ প্রয়াসে।
সময়ের আবর্তে লেখা হয় সহস্র বাসনার মৃত্যু ইতিহাস
সময়ের আবর্তে লেখা হয় সহস্র বাসনার মৃত্যু ইতিহাস......
মানুষ, পেটের ক্ষুধা আর দেহ বীষের অনন্ত জ্বালা নিবৃত করতে সব অসাধ্য সাধ্য করে। অন্যথায় মানুষেরও বলা কষ্টসাধ্য ছিল “মানুষের পক্ষে সব সম্ভব” !!!
যে বৃদ্ধের নিজ পায়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা থাকে না, কোন হুঁশে সে রাস্তায় ছুটে চলে বোঁঝা বয়ে, রিকসার প্যাডেল চাপে সর্বশক্তি ব্যয়ে?
যে কুলবধু একরাশ স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর সংসারে পা রাখে, ঠিক কি কারণে সে অনিশ্চয়তার পথে পা বাড়ায়?
মানুষের নিজের কাছে যে জীবন অতীব প্রিয়, সে প্রিয় জীবনকে কি ভ্রমে বিসর্জন করে?
অন্ধকার কোন নেশায় অকারণ টুটি চেপে ধরে? কোন আকস্মিকতায় সকলে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়ে?
কোন আড়ষ্টতায় মনের জমানো রিক্ততার বাঁধ ছেড়ে দিতে চেয়েও গলা ধরে আসে?
সামগ্রিক তো এটাই যে; চোখের অশ্রুসব শুকে যায় পেটের তাড়না আর সমগ্রদেহের বীষ যন্ত্রণায়।
মানুষ, পেটের ক্ষুধা আর দেহ বীষের অনন্ত জ্বালা নিবৃত করতে সব অসাধ্য সাধ্য করে। অন্যথায় মানুষেরও বলা কষ্টসাধ্য ছিল “মানুষের পক্ষে সব সম্ভব” !!!
যে বৃদ্ধের নিজ পায়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা থাকে না, কোন হুঁশে সে রাস্তায় ছুটে চলে বোঁঝা বয়ে, রিকসার প্যাডেল চাপে সর্বশক্তি ব্যয়ে?
যে কুলবধু একরাশ স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর সংসারে পা রাখে, ঠিক কি কারণে সে অনিশ্চয়তার পথে পা বাড়ায়?
মানুষের নিজের কাছে যে জীবন অতীব প্রিয়, সে প্রিয় জীবনকে কি ভ্রমে বিসর্জন করে?
অন্ধকার কোন নেশায় অকারণ টুটি চেপে ধরে? কোন আকস্মিকতায় সকলে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়ে?
কোন আড়ষ্টতায় মনের জমানো রিক্ততার বাঁধ ছেড়ে দিতে চেয়েও গলা ধরে আসে?
সামগ্রিক তো এটাই যে; চোখের অশ্রুসব শুকে যায় পেটের তাড়না আর সমগ্রদেহের বীষ যন্ত্রণায়।
বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪
প্রেমরূপ তরীতে
প্রেম বিনোদিনী, রাইনন্দিনী
প্রেমের উজানস্রোতে,
তুমি প্রেমিক, আমি প্রেমিক
প্রেমরূপ তরীতে।
প্রেমের উজানস্রোতে,
তুমি প্রেমিক, আমি প্রেমিক
প্রেমরূপ তরীতে।
বুধবার, ২১ মে, ২০১৪
মরতে চাইছি ফাঁস পড়ি!
চঞ্চল উচ্ছ্বল বালিকার চলণে
হৃদয় জমে স্থির
তবু বালিকার চরণে বিঁধেনি
প্রণয়ে ছোঁড়া তীর।
দিন চলে যায় ভেবে-ভেবে তাকে
অস্থির তাড়ণায়
নিঃস্ব রিক্ত হৃদয় ক্ষরণে
পড়েছি বিছানায়।
ভালোবাসার ডাকে কে এমণ ডাকে
পিছু নিয়ে তার পড়ি-পড়ি
তবে কি এবার পাখা গজেছে
মরতে চাইছি ফাঁস পড়ি!
হৃদয় জমে স্থির
তবু বালিকার চরণে বিঁধেনি
প্রণয়ে ছোঁড়া তীর।
দিন চলে যায় ভেবে-ভেবে তাকে
অস্থির তাড়ণায়
নিঃস্ব রিক্ত হৃদয় ক্ষরণে
পড়েছি বিছানায়।
ভালোবাসার ডাকে কে এমণ ডাকে
পিছু নিয়ে তার পড়ি-পড়ি
তবে কি এবার পাখা গজেছে
মরতে চাইছি ফাঁস পড়ি!
রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪
দিনশেষ আমরা
আমরা শুধুমাত্র আমাদেরকেই দেখি, আমাদেরকেই দেখতে চাই! আমাদের নিজেদের সুখ-দুঃথ-বিন্যাস-ব্যবচ্ছেদ আমাদেরকে অস্থির করে তোলে, তাড়না দেয় প্রচ্ছদে-প্রকটে নিজেদের ছায়া নিরূপণের, সে হোক শংসতায় কিংবা নৃশংসতায়। কিন্তু; চোখ খুললে নিত্যদিন আমাদের সামনে যখন বৈষম্যনীতি এসে দাঁড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে আমরা অবাধ্য হয়ে দেখি, তার আবডাল হতে চাই, আড়ালে সরে তা ভূলতে চাই।
দিনশেষ আমরা আমাদের রক্তের টান খুঁজি, আমরা আমাদের নিজেদের খুঁজি, নিজেদের ভালোবাসি। সহমর্মিতা, সহাভূতি কিংবা সম-মমত্ত্ববোধ সে আবেগে যতটা তাড়িত হয়, কার্য্যপ্রণালীতে তার মাত্রা নিরূপণ কিছুটা কঠিন।
দিনশেষ আমরা আমাদের রক্তের টান খুঁজি, আমরা আমাদের নিজেদের খুঁজি, নিজেদের ভালোবাসি। সহমর্মিতা, সহাভূতি কিংবা সম-মমত্ত্ববোধ সে আবেগে যতটা তাড়িত হয়, কার্য্যপ্রণালীতে তার মাত্রা নিরূপণ কিছুটা কঠিন।
শনিবার, ১৭ মে, ২০১৪
কুমুদিনী
কুমুদিনী,
আমাকে মাপছ পুরুষালি বৃত্তে?
শরীরের ঘ্রাণ অনুভবে দেখ....
আর আট-দশটা পুরুষের মত তা?
পীড়িত মন শুধুই কি মোহ বন্ধকতায় বাঁধা?
হৃদয় বন্ধক তার হৃদয়েই কেবল থাকে
যে হৃদয় অস্থিরতায়ও হৃদয়কে সঙ্গ দেয়
পৌরনিক প্রকটেও যেখানে আবছা ছায়া পড়ে না
অথচ ঠিকরে চলা বেলায় পৌঁছে সুরক্ষিত কপটে।
হৃদয় এমন না হলে সে বাসনায় মন পীড়িত হবে কেন?
কি ভেবে অন্ধকার উবে যাবে দু‘টি হৃদয়ের উষ্ণতায়!
কুমুদিনী,
যদি অন্তর নিগড়ে ভালোবাসা দেখানো যেত
যুগে-যুগে প্রেমিক হৃদয় সে সাধ্যই কেবল দেখাত
যদি ফুলের মত শুকিয়ে-শুকিয়ে সৌরভ বিলানো যেত
অনতিকাল হতে সে সৌরভে পৃথিবী পরিপূর্ণ হত।
ভূলচোখে কালবেলা সে বাসরেও আসে
যদি হৃদয় আলিঙ্গনে সুখ না জমে,
নিরুত্তর ভাবনারা ব্যাথা বইতে পারে সদা
যদি সুখ মেটে প্রণয়ে ধোয়া ঘামে।
কুমুদিনী,
ক্লান্তির বিশ্রাম আছে সে তুমিও জান
কিন্তু অপেক্ষার সমবিশ্রাম তখনই কেবল হয়
যখন হৃদয়ের সমূহবাসনা একে সঁপে দেয়া যায়,
অধীর হৃদয়ের প্রকটতা সহেও অপেক্ষার প্রহর গোনা যায়।
তাকে কোন সৌহার্দে মেলাবে তুমি? অথবা কোনরূপে তার ব্যবচ্ছেদ ঘটাবে?
অপেক্ষায় ভালোবাসার বিচ্ছুরণ সে ত কেবল অঞ্জলীতে প্রকাশিত হয়।
কুমুদিনী,
মন মনকে বোঝে আর হৃদয় হৃদয়কে স্পর্শ করে
দৈহিক সৌন্দর্য্য যে অন্ধকারে বিলীন হয়ে পড়ে
কিন্তু মনের বিচ্ছুরিত আলো অন্তরের পরিণয়কে সমৃদ্ধ করে
আমরা যে আজ সে সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে আছি।
কুমুদিনী,
ভূল ভেব না, ভূল ভেবে ভালোবাসা হয় না
ভালোবাসাকে চেতনায় বুঝতে হয়, সময়ে-অসময়ে দেখতে হয়
না হলে সে শক্তির মূল্য কোথায়?
আমাকে মাপছ পুরুষালি বৃত্তে?
শরীরের ঘ্রাণ অনুভবে দেখ....
আর আট-দশটা পুরুষের মত তা?
পীড়িত মন শুধুই কি মোহ বন্ধকতায় বাঁধা?
হৃদয় বন্ধক তার হৃদয়েই কেবল থাকে
যে হৃদয় অস্থিরতায়ও হৃদয়কে সঙ্গ দেয়
পৌরনিক প্রকটেও যেখানে আবছা ছায়া পড়ে না
অথচ ঠিকরে চলা বেলায় পৌঁছে সুরক্ষিত কপটে।
হৃদয় এমন না হলে সে বাসনায় মন পীড়িত হবে কেন?
কি ভেবে অন্ধকার উবে যাবে দু‘টি হৃদয়ের উষ্ণতায়!
কুমুদিনী,
যদি অন্তর নিগড়ে ভালোবাসা দেখানো যেত
যুগে-যুগে প্রেমিক হৃদয় সে সাধ্যই কেবল দেখাত
যদি ফুলের মত শুকিয়ে-শুকিয়ে সৌরভ বিলানো যেত
অনতিকাল হতে সে সৌরভে পৃথিবী পরিপূর্ণ হত।
ভূলচোখে কালবেলা সে বাসরেও আসে
যদি হৃদয় আলিঙ্গনে সুখ না জমে,
নিরুত্তর ভাবনারা ব্যাথা বইতে পারে সদা
যদি সুখ মেটে প্রণয়ে ধোয়া ঘামে।
কুমুদিনী,
ক্লান্তির বিশ্রাম আছে সে তুমিও জান
কিন্তু অপেক্ষার সমবিশ্রাম তখনই কেবল হয়
যখন হৃদয়ের সমূহবাসনা একে সঁপে দেয়া যায়,
অধীর হৃদয়ের প্রকটতা সহেও অপেক্ষার প্রহর গোনা যায়।
তাকে কোন সৌহার্দে মেলাবে তুমি? অথবা কোনরূপে তার ব্যবচ্ছেদ ঘটাবে?
অপেক্ষায় ভালোবাসার বিচ্ছুরণ সে ত কেবল অঞ্জলীতে প্রকাশিত হয়।
কুমুদিনী,
মন মনকে বোঝে আর হৃদয় হৃদয়কে স্পর্শ করে
দৈহিক সৌন্দর্য্য যে অন্ধকারে বিলীন হয়ে পড়ে
কিন্তু মনের বিচ্ছুরিত আলো অন্তরের পরিণয়কে সমৃদ্ধ করে
আমরা যে আজ সে সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে আছি।
কুমুদিনী,
ভূল ভেব না, ভূল ভেবে ভালোবাসা হয় না
ভালোবাসাকে চেতনায় বুঝতে হয়, সময়ে-অসময়ে দেখতে হয়
না হলে সে শক্তির মূল্য কোথায়?
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যসমূহ (Atom)