মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০১৪

জিজ্ঞাসা...

মানুষের জীবনে বাস্তবিকই কিছু সময় আসে যা কালবৈশাখীর মতো সব পাল্টে দেয়, যা উল্কার মতো খসে পড়ে চর্তুমাত্রিক আকর্ষন হতে; আপনার ছায়াপথ হতে, যা পূর্ণিমার আলোকে গ্রহণের দাহতে ধাতস্থ করে, যা একাকিত্বকে সম্ভল করে চেতনাকে বিহ্বল করে, যা অন্ধকার বা মৃত্যুকে আহ্বান করে, হিংস্রতায় সবকিছুকে নিঃশেষ করে দিতে চায়, সবভূলিয়ে পাপকার্যে অগ্রসর করার প্রয়াস সৃষ্টি করে, তদুপরি যা মেনে নেয়া অতিশয় দুষ্কর বা দুঃসাধ্য তাকে মানাবার চেষ্টা করে।

এমন দিনগুলোতে স্থির থাকার উপায় কি? নিজেকে সংযত করার সহজ পন্থা কি? নিজের নিঃস্ব‘তাকে মেনে নিজেকে দৃড়তায় পরিপূর্ণ করার সুযোগ কিসে?

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০১৪

প্রয়োজন

চক্রবেধীর কালবেলায়, রাহূদোষে অবেলায়
দাঁড়ায়ে যোগী যদি যজ্ঞে স্বাদ মেটে!
অস্তঃকুড়ে ফেলা ধন, জানি তাতে ভরে না মন
তবু, তমসাকালে তাহাই যোগী লুটে?

বুঝবে

আমি হাসতে জানি, বাসতে জানি
বুঝবে যেদিন আসবে কাছে
আমি কাঁদতে জানি, বেদন জানি
বুঝবে যেদিন থাকবে পাশে।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

কৌণার বাড়ি

বেশ কয়েক বছর আগেকার কথা। তখন প্রতিটি গ্রামের পরিবেশ বেশ মনোরম। মানে তখন গ্রামে বাড়ি-ঘরের এতটা ঘেঁষাঘেষি ছিল না, সবুজে চোখ জুড়ানো ক্ষেতে সকলের ভোর নামত আর সেখানে বসবাসরত লোকে‘রা বুর্জোয়া রাজনীতির “র” না জেনে সবুজ-সরল গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকত। পরম স্নেহ মমতা কিংবা ভালোবাসার সৌহার্দ্রে বেঁধে রাখা জীবনের গচ্ছিত গল্পগুলো তাদের ছড়িয়ে থাকত পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষগুলোর সাথে। হেঁটে-হেঁটে তারা চষে বেড়াত চারপাশের সৌন্দর্য্য; সৌকত। তারা একে অন্যের বন্ধনে, আনন্দ শীহরণে, উৎসবে কিংবা পার্বণে ছিল পরমবন্ধু।

সে সময়ে গ্রামের বাড়িগুলোর নাম নির্দেশিত হত দিক, ক্ষমতা, শিক্ষা কিংবা শ্রর্দ্ধাজন ব্যক্তির নামে। তবে আশপাশের লোকেরা বলার ক্ষেত্রে দিকের উপরই বেশি নির্ভর করত। এই যেমন- বাড়ি পূর্বদিকে অবস্থিত হলে পূবের বাড়ি, পশ্চিমে হলে হইশমের বাড়ি উত্তরে অবস্থিত বাড়ি উত্তুরের বাড়ি আর দক্ষিণের বাড়ি দইনের বাড়ি। আমি এখন যে বাড়িটিকে ঘিরে ঘটনাটি বলব, সে বাড়িটিকে সকলে কৌণার বাড়ি নামে চেনে।

প্রসঙ্গঃ ধর্মপ্রচার (বন্ধুদের আহত করার উদ্দেশ্য এ পোষ্ট নয়, এ শুধু ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ)

গতকাল শুক্রবার জুম্মা নামাজের ১০ কি ২০ মিনিট পূর্বে একজন লোক একজন সুন্দরী মহিলাকে নিয়ে আমাদের ম্যাচের দরজায় নক করল। আমাদের ম্যাচের তিনরুমের মাঝখানের রুমটিতে আমার বসবাস। দরজা নক করা হলে আমার পাশের রুমের একটা ছেলে- যাকে আমরা সবাই ভাগিনা সম্মোধন করে দুষ্টামি করি, সে বেরিয়ে এল। তাকে পেয়ে লোকটি জিজ্ঞাসা করল- এখানে কোন হিন্দু ছেলে-পুলে থাকে? ভাগিনা আমাকে ডেকে দিল- আমি কাছে আসলে লোকটি আমাকে দেখেই বলতে শুরু করল- আমি অমুক (লোকটির নাম বুলে গেছি), পাশের মহিলাকে দেখিয়ে বললেন- ও আমার বোন। আমি লোকটি আর তার বোনের দিকে তাকালাম। দেখেই মনে হল বোন পরিচিতি প্রদানকারিনী প্রকৃত অর্থে তার বোন নয়।

আমি লোকটির হাতে দিকে তাকালাম- দেখলাম তার হাতে যিশুখ্রীষ্টের বাণী সম্বলিত কিছু লিফলেট। আমি লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলাম- আপনি কি খ্রীষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আমাকে ডেকেছেন? লোকটি জবাব দিল- হ্যাঁ; অনেকটা সেরকম।

বুধবার, ২ জুলাই, ২০১৪

সাড়ে তিনঘন্টায় নোয়াখালী থেকে ঢাকায়

সাড়ে তিনঘন্টায় নোয়াখালী থেকে ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব। আর আমি সে সময়ের মধ্যে পল্টন থেকে তেঁজগাঁও (সর্বোচ্চ ১৫ মিনিটের পথ) পাড়ী দিলাম!!!

এ দেশের সাধারণ জনগন হিসেবে বলছি- এ সত্যি আমাদের জন্য চরম দূর্ভাগ্যের, এদেশে আমাদের কথা ভাবার মত এখনো কেহ নেই। ক্ষমতার দৌরাক্তে এখানে মানুষের দূর্ভাগ্যের কথা ভাবার চেয়ে ক্ষমতার প্রদর্শণ বেশী গুরুত্বপূর্ণ । মানুষের ভোগান্তির চেয়ে এখানে উল্লাস যাপন গুরুত্ববহ। তাই মানুষের চরম দূঃসহ জীবনের মুক্তির কথা ভাবার চেয়ে রাস্তা বন্ধ করে ক্ষমতাসীনদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন অতীব জরুরী।

সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

সমর্পণ

ঘুম থেকে উঠে গতকালকের দৃড়তা যখন বিগঢ়ে যায়, তখন নতুন দিনের সমস্তটাই সমর্পিত হয় আত্মযন্ত্রনায়।

রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

আটক

অধীরতা; মোহ পাষাণে যে বুক মিশেছে, তাকে গলতে দিও না।
ভালোবাসা; সেযে আটকা পড়েছে কল্প-কাঞ্চণে।।

কি পদ্য সে লেখে?

অকারণ একা-একা, হৃদয় ভেজাবার নিস্ফলতায়
বৃষ্টি তোমার ঝর-ঝর স্পন্দনে, বার্তা দিলাম যাকে
সে বার্তা পেয়েছে কি সে, হয়েছে কি আকুল হৃদয়
মর্মভাষী ভালোবেসে, কি পদ্য সে লেখে?

শনিবার, ২৮ জুন, ২০১৪

তীলোত্তমা

তীলোত্তমা, অতটুকু ছেড়ে দিতে হয়-
না‘হলে শত মমতার আশ্রয়েও বন্ধন টেকে না

কেননা; বহুরূপী প্রকৃতিতে সমরুপ ক্ষয়ে যায়।

মৃগ

মৃগ; কস্তুরীর যাতনায় ছুটে চলে অভেদ্য লক্ষ্যে
উন্মত্ত সে সুগন্ধি টানে ওদার্য্য সহগমণে
যদি কৌঠরেই শুধু জমত জন্মসিদ্ধ সুখ
তবে প্রণয়ের লালসায় ঘুছে যেত সব প্রতিরোধ।

সোমবার, ২৩ জুন, ২০১৪

হারানো

এ বঙ্গে সন্মানীজন সন্মান হারিয়েছে নির্লজ্জ পা‘ছাটা স্বভাবে....

সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

নারী জীবন

আমগাছে আম ধরে এ সত্য, কিন্তু যদি বলি আমগাছে জাম, লিচু, কাঁঠাল ধরে তখন এ অনেকের কাছে আজও অসত্য হিসেবে নির্ণয় হয়। তবুও বর্তমান যুগে বসবাস করে আমরা জানতে পারি- আমগাছে আম-জাম-লিচু কিংবা কাঁঠাল পাওয়া সম্ভব, যদি আমরা গাছে কলমের চারা প্রতিস্থাপন করি। এক্ষেত্রে কলমের গাছটির শিকড় আকড়ে রাখে মূল গাছটিকে, মূল বিস্তারের উপর নির্ভর করে গাছটির শাখা-প্রশাখার বিস্তার। এখানে মূলগাছটির উপর প্রতিস্থাপিত গাছটিকে বলা হয় পরজীবী। পরজীবী গাছটির জীবন সঞ্চালনে সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে মূলগাছটি বা মাতৃগাছটির উপর। কিছু-কিছু সময় এমন হয় পরজীবী গাছটি বিস্তার লাভ করতে-করতে পুরো গাছটিকে ছেড়ে ফেলে, কিছু-কিছু সময় তারা শিকড় ঠিকমতো জড়িয়ে ধরতে না পারায় প্রাকৃতির কারণে বা কৃত্রিম কারণে মূলগাছটি হতে ঢলে পড়ে।

রবিবার, ১৫ জুন, ২০১৪

বেলা বয়ে গেছে

জীবনে কতশত স্বপ্ন-প্রত্যাশা উঁকি দিয়ে বেড়ায় অথচ নিত্য জীবন খেলা শেষ করতেই দেখি বেলা বয়ে গেছে.......

সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪

ফের এবার ঘরে

আমাকেও আমি চিনে নিয়েছি, তোমার মতো করে
হারাবার যা হারিয়ে গেছে, ফের এবার ঘরে।।