রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৪

গন্তব্য

চলার পথটুকু হতে পারে বন্ধুত্বের কিংবা বাসনার
চলতেও একসাথেই শুরু করতে পারি,
কিন্তু; গন্তব্য যে আমাদের সকলের বিভিন্ন।।

স্তনবৃন্তে

স্তনবৃন্তে শুধুমাত্র জন্মশিশুর তৃষ্ণা মেটে না
লাজুক ময়ুরীও সাজে, মধুর সুখও ঘুছে।

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৪

অজ্ঞতার দূর্বলতা

সময়ক্ষেপনে জীবনের প্রতি যে রূদ্ধদ্বারের ভয় কার্য্যকর হবার কথা তাও খানিকবাদে সমাপ্ত হয়।
তবে সংষ্কার বিষয়ে সৃষ্ট উৎপীড়নটুকু দায়িত্বেরসহিত শোধরানোর পূর্বেই মানুষের অজ্ঞতার দূর্বলতা নিয়ে এত নাড়াছাড়া কি ঠিক?

শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০১৪

তুমি আমায় না...

নির্গুম চোখে রাত কেটে যায়, কেটে যায় দিনের আলো
তুমি আমায় না বাসিতে পার, আমি বেসেছি ভালো
ছোট-ছোট স্বপ্ন, মনের অনুভব, আবেগী হৃদয়ে রেখে
তুমি আমায় না ডাক কভু, আমি যাব তোমায় ডেকে।

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৪

প্রসঙ্গ: গাজা

জাতিসংঘ পুরোটাই আবালি সংগঠন। যাদের মগজের প্রকোষ্ঠে লেগে আছে পুঁজিবাদের শোষনের দিক-নির্দেশনা। যারা ক্ষমতাসীনদের পা‘ছাটা দালাল, যারা সত্যের নাম করে ভন্ডামী করে, ভালোর মুখোশে সৎ-সাহসিদের সাথে প্রপঞ্চনা করে, বিভ্রান্ত করে। এরা নিকৃষ্ট পশুরদল, এদের মগজ শোষণের, নিপীড়নের বিরূদ্ধে এরা নিঃশব্দ পা ফেলে, সবলের শক্তির উন্মোচিত করতে এরা জাগ্রত হয়, এরা মিথ্যা আশ্বাসে মানুষের বিশ্বাস‘কে নিয়ে খেলে। তাই গাজার এমন নির্মম মানবতার বিরূদ্ধে এরা নিস্তব্ধ, নিরব। বিশ্ববাসীর সকলের উচিত এই দালাল সংঘকে প্রত্যাখ্যান করে মাণবতার পক্ষে এগিয়ে আসা। যে নির্মমতায় সুন্দর ফুলগুলো ঝরে যাচ্ছে, সে নির্মমতার বিরূদ্ধে সকলের স্বোচ্ছার হওয়া।

প্রসঙ্গঃ যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ

যৌন বিষয়ক লেখা লিখতে বিবেকে বাঁধে, কেননা আমার ফেবু ফ্রেন্ডলিষ্টে আমার অনেক ছোটভাই-বন্ধু আছে, আছে আমার থেকেও অনেক বয়োজ্যোষ্ঠ শ্রদ্ধেয়, তারপরও না লিখে পারছিনা। কারণ- নির্মম সত্যকে মিথ্যার প্রশ্রয়ে ঢেঁকে রাখা সম্ভব নয় বলে।

নারায়নগঞ্জের ন্যায় টাঙ্গাইলেও যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে? কাদের স্বার্থচরিতার্থ করার আশায় কোনপ্রকার পূর্ণবাসন ছাড়া যখন এভাবে উচ্ছেদ অভিযান চলে? আর এর উদ্দেশ্য কি দাঁড়ায়? আমি বলছি- এ‘যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ করার পর এরা কি যৌন ব্যবসা ছেড়ে দেবে? যদি ছেড়ে না দেয়, তবে তাদের জীবন-যাপনের ব্যবস্থা কি? ঠিক কোন প্রকারে তাদের জীবন চলবে? সরকার, সরকারী প্রসাশন কিংবা ক্ষমতালিপ্সু নেতা‘রা কি এ‘ব্যপারে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে? যদি না নিয়ে থাকে, তবে এর সুদূরপ্রসারী ক্ষতিটার হিসেব কি কেউ করছে?

করব জীবন অঙ্গার

বেদনারা লেগে আছে বীষের শরীরে-
দেহখুটে জাগাতে এলে, বলি তুমি কি জেগেছ বন্ধু?

মরা মরূর দেশে, অনাগ্রহে নিরুদ্দেশে...
বল-জেগেছ কি একবার, করে হাহাকার
যখন বোমার স্পিল্টারে গাজায় ফুলগুলো খসে
যখন জীবন-জীবনের বিধ্বংস দেখে লজ্জায় হাসে!
যখন রোহিঙ্গারা ছুটে আপন বসত ফেলে, করে হাহাকার
যখন ইহুদী‘রা বাঁচাতে অস্তিত্বসংকট, করে সব বনাচার!

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০১৪

অভাব

অভাব কি? অভাব কি সত্যিকারে মানুষের জীবনে আসে?
নাকি মানুষের আবেগ তাড়িত শূন্যতাই অভাব।
নিষ্ঠুর বড়ই অকৃপণ-
এ হাত সে ছাড়তে চায় না.....
অথচ অভাবের অনুযোগ এলই দেখী আপনজনের মুঠি বন্ধ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০১৪

অসমক্রিয়া

খোপছাড়া কপোতজীবন বড়ই অশান্ত-শৃঙ্খলহীন
মৃগয়া কালে সমূদ্রতরঙ্গের মত ছুটে সে লক্ষ্যভেদ নিশানায়
অস্থির এই সাঙ্গভূমির রঙ্গখেলায় কতজন ভুবে গেছে অসমক্রিয়ায়
অথচ হিল্লোলে বটপত্রী বীজ বিঘোর প্রকাশে ছুটে চলে ব্যাপ্তীর শৃঙ্খলায়।

রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৪

ব্যকুল

সে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে, যে বন্ধু আর শত্রু দুইই মানে
কিন্তু সে মুখ ফিরিয়ে ব্যকুল হয়, যে বন্ধনে আগলে রাখে।

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০১৪

কারণ

ঠিক যে কারণে মানুষ মরতে চায়, ঠিক একই কারণে মানুষ বাঁচতে প্রাণপণে চেষ্টা চালায়.....

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০১৪

জিজ্ঞাসা...

মানুষের জীবনে বাস্তবিকই কিছু সময় আসে যা কালবৈশাখীর মতো সব পাল্টে দেয়, যা উল্কার মতো খসে পড়ে চর্তুমাত্রিক আকর্ষন হতে; আপনার ছায়াপথ হতে, যা পূর্ণিমার আলোকে গ্রহণের দাহতে ধাতস্থ করে, যা একাকিত্বকে সম্ভল করে চেতনাকে বিহ্বল করে, যা অন্ধকার বা মৃত্যুকে আহ্বান করে, হিংস্রতায় সবকিছুকে নিঃশেষ করে দিতে চায়, সবভূলিয়ে পাপকার্যে অগ্রসর করার প্রয়াস সৃষ্টি করে, তদুপরি যা মেনে নেয়া অতিশয় দুষ্কর বা দুঃসাধ্য তাকে মানাবার চেষ্টা করে।

এমন দিনগুলোতে স্থির থাকার উপায় কি? নিজেকে সংযত করার সহজ পন্থা কি? নিজের নিঃস্ব‘তাকে মেনে নিজেকে দৃড়তায় পরিপূর্ণ করার সুযোগ কিসে?

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০১৪

প্রয়োজন

চক্রবেধীর কালবেলায়, রাহূদোষে অবেলায়
দাঁড়ায়ে যোগী যদি যজ্ঞে স্বাদ মেটে!
অস্তঃকুড়ে ফেলা ধন, জানি তাতে ভরে না মন
তবু, তমসাকালে তাহাই যোগী লুটে?

বুঝবে

আমি হাসতে জানি, বাসতে জানি
বুঝবে যেদিন আসবে কাছে
আমি কাঁদতে জানি, বেদন জানি
বুঝবে যেদিন থাকবে পাশে।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

কৌণার বাড়ি

বেশ কয়েক বছর আগেকার কথা। তখন প্রতিটি গ্রামের পরিবেশ বেশ মনোরম। মানে তখন গ্রামে বাড়ি-ঘরের এতটা ঘেঁষাঘেষি ছিল না, সবুজে চোখ জুড়ানো ক্ষেতে সকলের ভোর নামত আর সেখানে বসবাসরত লোকে‘রা বুর্জোয়া রাজনীতির “র” না জেনে সবুজ-সরল গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকত। পরম স্নেহ মমতা কিংবা ভালোবাসার সৌহার্দ্রে বেঁধে রাখা জীবনের গচ্ছিত গল্পগুলো তাদের ছড়িয়ে থাকত পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষগুলোর সাথে। হেঁটে-হেঁটে তারা চষে বেড়াত চারপাশের সৌন্দর্য্য; সৌকত। তারা একে অন্যের বন্ধনে, আনন্দ শীহরণে, উৎসবে কিংবা পার্বণে ছিল পরমবন্ধু।

সে সময়ে গ্রামের বাড়িগুলোর নাম নির্দেশিত হত দিক, ক্ষমতা, শিক্ষা কিংবা শ্রর্দ্ধাজন ব্যক্তির নামে। তবে আশপাশের লোকেরা বলার ক্ষেত্রে দিকের উপরই বেশি নির্ভর করত। এই যেমন- বাড়ি পূর্বদিকে অবস্থিত হলে পূবের বাড়ি, পশ্চিমে হলে হইশমের বাড়ি উত্তরে অবস্থিত বাড়ি উত্তুরের বাড়ি আর দক্ষিণের বাড়ি দইনের বাড়ি। আমি এখন যে বাড়িটিকে ঘিরে ঘটনাটি বলব, সে বাড়িটিকে সকলে কৌণার বাড়ি নামে চেনে।