রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

নিবছে আলো চুপে

নিবছে আলো চুপে,
কেন আশায় বাঁধছ বুক
বসে যম কুপে....

‪#‎হোকপ্রতিরোধ‬

শিঘ্রই চল

নোঙ্গর তোল, ওহে মাঝি
নোঙ্গর তোল
মাঝনদীতে উঠেছে জোয়ার
শিঘ্রই চল, শিঘ্রই চল

ভরা জোয়ারে বেগতিক নদী
উঠেছে ঢেঁউ খরতল,
পাষান ঢেঁউয়ে যাবে ডুবে
জীবন বৈঠা অস্তাঃচল
বিপদে সাহস রাখিও ওমাঝি
কূলের পথে নোঙ্গর তোল
সমূহ বিপদে আর নয় কর দেরী
শিঘ্রই চল, শিঘ্রই চল

ওহে মাঝি;
আসছে তেড়ে ঝড়
খর ঢেঁউ উগ্র ঝড়ে
কর একটু ত্বর
এমন ক্ষনে আর্তপাশে
তোমার দূরদর্শী ছাহনী
শক্তহাতে ধর বৈঠা
কন্ঠে বাজুক মুক্তিরবাণী
অদম্য সাহস জানি তোমার বুকে
সে সাহসে পথ এগিয়ে চল
মুক্তির বাজনা বাজছে নিঃশ্বাসে
শিঘ্রই চল, শিঘ্রই চল।

বাংলাদেশে আমরা যতদিন বেঁচে থাকব

বাংলাদেশে আমরা যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন ক্ষমতালিপ্সু আওয়ামী আর বিএনপি, রক্তপিপাসু দেশদ্রোহী জামাত-শিবির, সৈরাশাসক জাতীয় পার্টি, সুবিধাবাদী জাসদ-বাসদ, সুশীলের মুখোশধারী বামপন্থি-ডানপন্থি কমিউনিস্ট‘রাই আমাদের নিয়তি।

কেননা-
আমাদের ভাষা থাকার পরও আমরা স্তব্ধ হয়ে গেছি,
আমাদের স্বপ্ন থাকার পরও আমরা অন্ধ হয়ে আছি,
আমাদের প্রেম-সহমর্মিতা থাকার পরও আমাদের চেতনারা উবে গেছে
আমাদের বুকপাটা চিৎকার থাকার পরও আমাদের হৃদয় মরে গেছে
আমাদের বিবেক থাকার পরও আমাদের ভাবনারা জড় হয়ে পড়েছে
সবচেয়ে বড় দূভার্গ্য আমাদের সামার্থ্য থাকার পরও আমরা আজ অথর্ব হয়ে পড়েছি।
তবু; বুক বেঁধে অনাকাঙ্থিত আশায় বিভোর হয়ে আওয়াজ তুলি-

‪#‎হোকপ্রতিবাদ‬ ‪#‎হোককলরব‬ ‪#‎হোকপ্রতিরোধ‬

যে বা যারা নিজের উপর আস্থা স্থাপনে ব্যর্থ হয়

যে বা যারা নিজের উপর আস্থা স্থাপনে ব্যর্থ হয়, তারা ব্যর্থ হবার সাথে-সাথেই মারা পড়ে। একমাত্র আত্মবিশ্বাসী সাহসিজনই কেবল মৃত্যুর শেষ দম পর্যন্ত বেঁচে থাকার প্রত্যয় প্রকাশ করে।

ভাষায় না বুঝাতে পারি, না বলতে পারি

ভাষায় না বুঝাতে পারি, না বলতে পারি। না বাঁচতে পারি, না মরতে পারি।
শুধু মনের ক্ষোভ না দমাতে পেরে বলি- মানুষরূপী জানোয়ার রাজনীতিকদের কথায় আজ সারা গায়ে আগুণ ধরে যায়।

এ্ই জানোয়ারদের একদল জোর করে ক্ষমতা ধরে জীবনকে বিভীষিকাময় করে বলে প্রতিহত করতে।
আরোক জানোয়ারেরদল হিংস্ররূপ ধরে মানুষ পুঁড়ে, পৌঁড়া মানুষের কাবাবে লালসা তৃপ্ত করছে ক্ষমতা আহরণের জন্য।
আর সংকর বেজন্মারদল পূর্বের দু‘ই বেজন্মার দলকে সাপোর্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
আর সর্বশেষ আমরা আবাল জনতা অক্ষম-অথর্বের মত প্রতিবাদবিহীন জীবন দিচ্ছি।

আমার ২৯ বছরের জীবনে যারা আমাকে আগলে রেখেছে

জীবনে চলতে গেলে কিছু মানুষের হাত ধরে এগিয়ে চলতে হয়। এগিয়ে চলা জীবনে যে হাতগুলো সারাজীবন শক্ত করে ধরে রাখে, সে হাতগুলো বাবা-মায়ের। তাই বাবা-মায়েরর্ ঋৃণ শোধ করার মানষিকতা পোষন জগতে সবচেয়ে হীন কর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম।

বাবা-মা ছাড়াও আরো কিছু মানুষ আছে যাদের স্নেহ-সান্নিধ্য কিংবা নিঃস্বার্থ মমতা ছাড়া এগিয়ে চলা কঠিন। আমার জীবনে এগিয়ে চলা পথে যে মানুষগুলো স্নেহ-সহযোগিতা আমাকে আজীবন ঋৃণী করছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মানুষগুলো-

১) মেজদিদিঃ ছোটবেলায় আমাদের যৌথ পরিবারের দায়িত্ববেড়িতে মা যখন ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন বড়দিদি মামার বাড়িতে, বাড়িতে আমার ভরসার আশ্রয় আমার মেজদিদি। মেজদিদির স্নেহ-সান্নিধ্য ছাড়া বেড়ে উঠা পথটা সত্যিই কঠিন ছিল। চাপা স্বভাবের হওয়ায় ছোটবেলায় থেকে আমার বাবা-মায়ের কাছে আবদারগুলো বেশিরভাগই পূর্ণ হত মেজদিদির মাধ্যমে। ছোটবেলায় পড়তে বসলেই আমার কেবল ঘুম পেত, পড়ালেখার ব্যাপারে মায়ের কড়াকড়ি বেশী থাকায় আমি ঘুমিয়ে পড়লে দিদি পাহারা দিয়ে রাখত মা কখন আসে? তাছাড়া একই শ্রেণীতে পড়ার সুবাদে প্রাইভেট পড়া থেকে শুরু করে আমার যে সোর্সগুলোতে টাকা-পয়সার প্রয়োজন পড়ত সেগুলোতে বাবাকে বলার মত সাহস আমার না থাকায় দিদিই আমার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগি হিসেবে কাজ করত।

যখন জানতে

যখন জানতে মিলে না নদীর দু‘মুখ
মিলে কেবল মোহনায়,
তবে কোন সহসায় মারলে ডুব
কুলহীন প্রেমের যমুনায়।

সবুজের বুকে সুখে মাতি

সবুজের বুকে সুখে মাতি
সাঁঝ সকাল হরদম
হাতের বীণাতারে মনের কোঠরে
বেজে যায় কার সরগম...

কিছু-কিছু

কিছু-কিছু সুখ আছে দুই চোখে বহে যায়
কিছু-কিছু দুঃখ আছে মুখের হাসিতে ক্ষয়ে যায়।

যখন তাদের মানুষ ভাবি

যখন তাদের মানুষ ভাবি; তখন ভাবি-

কোথায় এদের জন্মদাতা? কোথায় এদের জন্মদাত্রী?
কোথায় এদের আতুরঘর? কে এদের জন্মধাত্রী?

বৃহস্পতিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৫

জন্মভার

দেহ পুঁড়িয়ে করেছিস ভষ্ম
ক্ষমতা পিপাসার তরে,
দেহে তোরা মানব হলেও
জন্ম পশুর উদরে।

যে মানুষ বিবেকহীনা হয়
পশুর মত যার আচার
বেদ-বিধি আচারিলেও তার
ঘুছে না পশু জন্মভার।

স্থির যেন রই সংকটে

গতদিনের দুঃখরাশি
পাশাপাশি সাজিয়ে
প্রভাতে নত প্রভু
দু‘হাত তুলে দরবারে।

চিরদিনের দিনগুলো মোর
এমনি কি যাবে কেটে?
দাও শক্তি, দাও ধৈর্য্য
স্থির যেন রই সংকটে।

যখন তাদের মানুষ ভাবি

যখন তাদের মানুষ ভাবি; তখন ভাবি-

কোথায় এদের জন্মদাতা? কোথায় এদের জন্মদাত্রী?
কোথায় এদের আতুরঘর? কে এদের জন্মধাত্রী?

হাসি পায়

রক্তপিপাসু হিংস্র নেকড়ে জ্যান্ত দেহ খুবলে খায়
তোমরাও মানুষ হাসি পায় ব্যবধান‘টা খুঁজি যেথায়?

কোথায় হুঁশের মানুষ পাব?

এ‘ত খুব সহজকাজ করলে বন্ধু
পেট্রোলবোমা জ্বালিয়ে ছুড়ে দিলে....
জানি তোমাদের ক্ষমতা দরকার,
ক্ষমতার মসনদে অধিকার
তাই বলে কি পুড়ে দেবে, করে অন্যায়-অবিচার?
তাতে পুঁড়ে অঙ্গার আহজারীর আর্তচিৎকারে,
তোমাদের কি আসে-যায় আর?

তোমরা রাজনীতি শিখেছ, রাজনীতি করছ
বিক্ষত আহাজারীতে বাতাস ভারাক্রান্ত হলে
রচিত হয় তোমাদের মসনদের দুয়ার
আমরা আজ্ঞাবহ, হুকুমের গোলাম
আমাদের বুকপাটা চিৎকার পৌঁছবে কানে কার?

গণতন্ত্র বলে শেল চালিয়ে দিলে,
অথচ তখনও আমরা নির্বিকার
আমাদের দু‘চোখে জ্বলে আছে স্বপ্ন আলো আলেয়ার

ধীরে-ধীরে সবপথ, উবে যাচ্ছে দিনে-দিনে
দ্বীধাযুক্ত পাষান পায়ে, পড়ছে পথে গুনে-গুনে।

ঝিমুনিতে হতবাক বাকে, মানুষ বলে কাকে ধরব?
মানুষ কারা? মানুষের রূপ কি? কোথায় হুঁশের মানুষ পাব?