বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬

নিজেকে খুঁজে নিতে পারাটাই প্রত্যেকের জন্য সবচেয়ে বড় সফলতা

নিজেকে খুঁজে নিতে পারাটাই প্রত্যেকের জন্য সবচেয়ে বড় সফলতা। আপনি যখন আপনার ভিতরটাকে জানবেন, আপনি জানতে পারবেন আপনার ক্রোধ-হিংসা-অহংবোধ-দ্বেষ-ঘৃনা-সংযুক্তি। আবার আপনি যখন আপনার বাহিরটাকে জানবেন, আপনি বুঝবেন আপনার বাহ্যিক রুপ-লাবন্যপ্রভা-সবুজ-সৌন্দর্য-শৈর্য্য-বীর্য ।

যিনি নিজের ভিতর-বাহির সম্পর্কে অবগত, তিনি ধীর-স্থির হন। নিজের ভার অনুযায়ী কথা বলেন, বিষয়িক গতিবিধি সতর্কতার সাথে প্রত্যক্ষ করেন।

মানুষ তখনই কেবল নিজেকে আর সকলে চিন্তার উর্দ্ধে স্থাপন করতে সক্ষম হন, যখন তিনি তার গতিপ্রকৃতি যথার্থভাবে অনুধাবন করতে সমর্থ।

না চাহি আপন গলে

অতটা দেবার ছিলনা আমার
যতটা তুমি চেয়েছ
চোখের কিনারে দু‘ফোঁটা অশ্রুজলে
অকারণ চরণ ভিজিয়েছ

আমিতো কভু ছিলেম না চাঁদ
ধারিয়া আলোয় ভাসাব তোমায়
তবু মিছেমিছি কোন খেলার ছলে
জড়িয়ে গেলে হায়!

রাতের সেঁজুতি ডুরিয়া কাঁদে
শিহরিয়া বারে-বারে
কেন অকারন পড়িলে ফাঁস আজ
না চাহি আপন গলে!

নির্ণয়

সুন্নি না হয়ে সুন্নত করলে কি
মুসলিম হয়রে ভাই
শিয়া, ওহাবী, কাদিয়ানী, খারিজির
সুন্নতের দাম নাই!

সুন্নত কেবল সুন্নি জানে
জানত হিন্দু ব্রাক্ষ্মণে
জাত-পাতের বিধান ঘুটিয়ে
শুয়ে গেছে তারা শ্মশানে!

সুন্নি দেহ জান্নাতবাসী
সবকিছু তাদের জায়েজ হবে
বাকীসকল মাটির দেহ
কবরমাঝে কীটে খাবে!

দোজাহানের মূল্য কি জানি
আমার মত অজ্ঞ-ফ্যাসাদী
ধার্মিকের দেহে বোম্ বাঁধা দেখে
বাঁচিবার আশায় তাঁকে ডাকি।

ডাক কি তিনি শুনবেন আহা
সুন্নত আমার বড় বিকল
সুন্নতের পর সুন্নতি মুসলমান
বলিছে ধর্ম তাদেরই আসল!!!

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

বান্দিও মন্দিরাতে

ভোরের পাখি খুলে আঁখি
ডানামেলে ডাকিও
বিহানবেলায় হিমেল ছোঁয়ায়
সাথে নিও সঙ্গ দিও, প্রিয়।

রাত জোনাকি নিলে ডাকি
ডেকে নিও সাথে
আকাশ তারা আলোকধারা
বান্দিও মন্দিরাতে।

কোরোনা দেনা-দরবার

দ্বীপ জ্বলুক কিংবা দিল
দুই জ্বলে কেবল অঙ্গার
নিকষ কালোয় আলো দেখে
কোরোনা দেনা-দরবার।

হয়ত একদিন

হয়ত একদিন লড়তে থাকা জীবনগুলো পূর্ণতা পাবে!
রবি আর রাতের তারার আলো আলতো ছুঁয়ে প্রাণ জুড়োবে
সানবাঁধানো পুকুরজলে জলতরঙ্গে মন ভোলাবে
উদাস হাওয়া সবুজঘাসে প্রজাপতির দোল সে খাবে

হয়ত একদিন লড়তে থাকা জীবনগুলো পূর্ণতা পাবে!
স্বপ্ন দেখে লড়তে থাকা জীবনগুলো রং রূপ পাবে
কাঁদার মাঝে লুটিয়ে পড়া আলোর ঝলকে চিত্র হবে
ভূলে যাওয়া পথের ভাবুক সেও স্মৃতি খুঁজে নেবে

হয়ত একদিন লড়তে থাকা জীবনগুলো পূর্ণতা পাবে!
ন্যায় আদায়ের দীপ্তকণ্ঠ আকাশ জ্বেলে বজ্র হবে
অসহ্যের সব দৃড়বলয় ভেঙ্গে-চুরে গুড়িয়ে দেবে
জানবার মতো বিশ্বসংসার আপন হাতে গড়ে দেবে।

এখনও বিয়ে করিনি

একজন বলল বিপ্লব ভাই, আপনার কেউ নেই?
বললাম- আছে ত, মা-বোন-পাড়া প্রতিবেশী -আত্মীয়
আরে তা না
তবে?
প্রেমিকা!
না, প্রেমিকা নাই, বউ আছে...
বউ? কোথায়?
বাপের বাড়ি
কেন? এখনও উঠিয়ে আনেন নি?
আরে তা না, এখনও বিয়ে করিনি...

মেয়ের পেছনেও কিন্তু ঘুরে

বন্ধুশ্রেণীর একজন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল- ভাইরে দুনিয়ার সবাই স্বার্থের পিছনে ঘুরে।
আমি তার দীর্ঘশ্বাসকে হালকা করে দিয়ে বললাম- মেয়ের পেছনেও কিন্তু ঘুরে..

ঘৃণার থু-থু সে খুব কমজনই গিলে নিতে সক্ষম

সবাই কম-বেশী লিখতে চায় কিন্তু সবাই লিখতে পারে না আবার লিখলেও সবাই ভালো লেখে না।
একই মানুষের সন্মানের জায়গাটা জনবিশেষে কিংবা স্থানবিশেষে ভিন্ন। আজকে কারও লেখার অনেক কদর থাকতে পারে আবার ভবিতব্য সময়ে অলেখা-কুলেখাগুলোই সমান প্রিয় হতে পারে।
পৃথিবীতে একদিন ধর্মটা তীব্র বিশ্বাসের স্থানে ছিল, তখন বিজ্ঞানটাকে অবাস্তব রুপকথা ভাবত সকলে। কিন্তু এখন যখন বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত, ক্রমাগত দ্যৌদুলমান জীবনে পড়ে মানুষ এখন ধর্মটাকে সংশয়ে ঠেলে রুপকথার গল্প বলতে চাইছে?

বলছি সময়ের প্রাপ্তিকাল কিন্তু খুব বেশী নয়, তাই অযথা অন্যের লেখার মানদন্ড নিরূপণ না করে প্রত্যেককে প্রত্যেকের মত কিছু প্রকাশের স্বাধীনতা দিন না। বলছি- আঘাতের পরিণাম ত হাসি তে হয় না আর ঘৃণার থু-থু সে খুব কমজনই গিলে নিতে সক্ষম।

নেবে কি খেলায় যাদু-সোনা

খেলার বয়স চুকিয়ে এলাম তবু-
মন আমার আজও ভরল না
আমার সোনারঙ্গা দিনগুলো ছোঁব
নেবে কি খেলায় যাদু-সোনা?

প্রকৃত জয়ী

জীবনযুদ্ধে বার-বার হেরেও যে বা যিনি মাথা তুলে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে পারেন, তিনিই প্রকৃত জয়ী।

২০০২ সালে মাধ্যমিক দেয়া ছেলে-মেয়েদের বেশীরভাগ ভোদাই প্রজন্ম!

২০০২ সালে মাধ্যমিক দেয়া ছেলে-মেয়েদের বেশীরভাগ ভোদাই প্রজন্ম!

না বলছিলাম- ২০০২ সালে আমরা যারা মাধ্যমিক দিয়েছি তাদের অনেককেই দেখেছি জীবনের প্রতিটি পরতে এত-এত নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি হয়েও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের সংশোধন করতে সমর্থ হইনি। জীবনের প্রতিটি প্রহসনই এখন যখনটা না মর্মাহত করে, তারচেয়ে নিজেদের বোকামীর জন্য হাসি আসে। জীবনের গল্পগুলো বললে হয়ত অন্যরাও আমাদের বলদামির কথা শুনে হেসে উঠবে।

আচ্ছা গতকালকের বন্ধুর মোবাইল রুম থেকে নিয়ে যাওয়ার গল্পটাই বলি। নতুন বাসায় আমরা দুবন্ধুই আঁচ করতে পেরেছিলাম বাসায় এঘটনা ঘটার সম্ভবনা শত ভাগ। তারপরও নিজেদের অসাবধানতায় বন্ধুর আইফোন আর নোকিয়া সেট দুটো রুম থেকে চোরে নিয়ে গেল। বন্ধু রাত তিনটায় ঘুমিয়েছে আর আমি ৬ টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছি, অথচ ঘুম আমাদের এমনভাবে জড়িয়েছিল, দুইবন্ধুর কেউই টের পাইনি এমন একটা ঘটনায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে চলে আসলাম, বুঝতেই পারিনি কিছু একটা ঘটেছে। আর বন্ধুর অফিস শুক্রবারে বন্ধ থাকে বিধায় সে ১১ টায় ঘুম থেকে উঠে টের পেয়েছে। সন্ধ্যায় অফিসে বসে ছোটভাইয়ের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে বেশ কষ্ট পেলাম। তারপর যখন বাসায় পৌঁছে বন্ধুর বিমর্ষ মুখ দেখলাম তখন নিজেদের ভোদাই গুণের কথা মনে করে কষ্টের বদলে মুখ চেপে হাসি বেরিয়ে আসছিল। সত্যি বলছি- জীবনের প্রহসনগুলো সত্যি বড় বেশী হাসিয়ে যাচ্ছে।

নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ

ও নদী ক্ষরস্রোতে ভেঙ্গে দিলি কার সোনার শহর
ও নদী ভেঙ্গে দিলি স্বপ্নডাঙ্গার পাড়া-পড়শির ঘর
ও নদী কেড়ে নিলি অনুরাগীর কপলের সিঁধুর
ও নদী গহীরে ডুবিয়ে দিলি রাখালিয়ার সুর
ও নদী তোর বুকে একটু কি মায়া নাই
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই
কারও নাই নাই নাই নাইরে
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই

(নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ, বাঁধিতে নাই কেউ
ক্ষরস্রোতে দু‘কূল ভেঙ্গে যায়।)

নয়া ভেলায় ডাক পড়িলে বৈঠা বায় ত্বরায়
ও সে পাষাণে ভূলায়
নতুন পাতা সবুজ গায়ে ফাগুন জাগায়
ও সে পুলকে মজায়
তবে তোর চলনে রসের রঙ্গ কেন ভেসে যায়
হায় কোন সে সীমানায়
কারও নাই নাই নাই নাইরে
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই

(নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ, বাঁধিতে নাই কেউ
ক্ষরস্রোতে দু‘কূল ভেঙ্গে যায়।)

আমার ভেস্তে গেলে ঘর, আমি পড়ি তার ভিতর
দিন পড়িতে দিনের মায়া নাই
যখন সময় সে ফুরায়, আমার দেহ খাবি খায়
স্বাদের জীবন জলেতে মিলায়
তবে জীবনটাকে মিছে মায়ায় কেন বেসে যাই
বাসিবার যা ছিল কেন বাসতে পারি নাই
কারও নাই নাই নাই নাইরে
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই

(নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ, বাঁধিতে নাই কেউ
ক্ষরস্রোতে দু‘কূল ভেঙ্গে যায়।)

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

দু‘জন যদি ভাসি

পূর্ণিমার চাঁদ
সেদিন; দেবে কি লাজুক আলোর হাসি...
সহসায় হৃদ তৃয়াসে জলতরঙ্গে
দু‘জন যদি ভাসি!

গীবন জ্বইলে-পুইরে ধুয়া-ধুয়া, পুড়া-পুড়া হইয়া যাইব

বিয়ের আগেই কত্ত অভিজ্ঞতা জ্ঞান ভান্ডারে জমা হইতেছে, আমি ত জ্ঞাণীর জ্ঞাণী মহাজ্ঞাণী হয়ে যাচ্ছি হে...

আইজকে এক কলিগ কইল- প্রাইভেট চাকুরীজীবীদের বউকে বাড়িতে রেখে দূরে চাকুরী করতে হলে বউরে আদরে আর গাজরে রাখত হইব। নইলে মোবাইল ফুনে প্যানাপ্যানানি আর চাকুরীতে বসের গ্যানগ্যানানী দুই‘ই মিলে গীবন জ্বইলে-পুইরে ধুয়া-ধুয়া, পুড়া-পুড়া হইয়া যাইব।