বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২০

শূণ্যতা

মৃত্যুর পরেই একজন মানুষ কতটা শূণ্যতা তৈরী করতে পারে তা বোঝা যায়।
মা ছেড়ে গেলেন ১৪ বছর শেষ হতে চলল, এর মধ্যে চারপাশ জুড়ে কত নতুন  সম্পর্ক বাহুপাশে বেঁধে নিল, অথচ আমার মায়ের তৈরী করা শূণ্যতার দশ শতাংশ ও সবে মিলে পূরণ করতে সমর্থ হলো না। স্বার্থপর দুনিয়ায় আমার মায়ের শূণ্যতাই কেবল আমাকে তাড়া করে ফিরল।

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাবা হবার অনুভূতি

বাবা হবার অনুভূতি সত্যি অন্যরকম অসাধারণ। গতকাল সন্ধ্যেয় সে বুক ভরে পূর্ণতা এনে দিলে আর তাতে সারাটা রাত কখন যে জেগে কেটে গেল, টেরটিও পেলাম না। 

(আমার প্রথম সন্তান ত্রিদেবের জন্মদিন)

বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯

সমস্ত ক্লান্তি ফিরিয়ে দিলে

অতটা মুছোনা আঁখি, যতটা ভরে জলে
ফিরিয়া যদি না দেখি, কতটা অশ্রুজলে


একদিন সমস্ত ক্লান্তি ফিরিয়ে দিলে
তোমার কাছেই ফিরব সখী ঠিক
সেদিন তোমার ঐ আঁখি জল
মোর আঁখিতে পাবে দিক।

অশ্রু ঋণ

তোমাকে আমি হারাচ্ছি যত প্রিয়া
তুমিও আমায় হারাচ্ছ তত প্রিয়,
মাঝের ভূল খুনসুটি ভুলে হারাবার দিন
অসম্ভবের ক্ষণতায় গড়িবে অশ্রু ঋণ।

বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯

পথ খুঁজি কোথাই....

কাঁচা শরীর পেকে গেছে,
কাঁচা শরীরে পাক ধরেছে
উপায় খুঁজে না পাই
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....।


আড়ম্বর করিয়া আমি, ভেবেছি কি ভুখে
কাটিয়ে দেব এমনি করে, রঙ্গরসে সুখে
বয়সদোষে দেহকোষ মরে গো গোসাঁই
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....


মধুকে মধুকর বসে, খেল মধু সুখে
সুখের প্রমোদ গৃহ, হাসি মুখে-মুখে
হঠাৎ গৃহে ঝড় বহিয়া, গৃহ উজানে মিশে যায়
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....


যদি বোধ এমন হতো,
মানব ভ্রুণ কি কভু প্রমোদে ভুলিত
জানি বা কি? জানি বা কোথায়? সাঁই
ডাকে অবিবেচক অসহায়
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....

রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

দুনিয়ায় সমস্ত সৌন্দর্য

দুনিয়ায় সমস্ত সৌন্দর্য ভীরুতা আর ঢংয়ে পরিপূর্ণ।
দুনিয়া যতবেশি গর্দভে ভরে উঠবে, দুনিয়া ততবেশী হাসি-হুল্লোরে মেতে উঠবে।
বুদ্ধিমান-জ্ঞানীজনের হাতে পৃথিবীটা অনেক বেশি যান্ত্রিক আর অসুখী।

সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮

গুচ্ছ কবিতা

 পূর্বাকাশে মুক্তির সূর্য, দিয়েছে আলো ঢেলে
স্বাধীন আমরা স্বস্তি মোদের, জন্মভুমির কোলে।
=====================
কত সাধনা কত স্বপ্ন কত বিস্তৃত রেখা
সবকিছু মিশে আছে এই মুক্তির পতাকায়।
======================
হিংস্র হায়নার সামনে বসে, এঁকেছি বিজয়রেখা
যে রেখায় হল বিনিময়- এক সাগর রক্ত, একটি পতাকা।
====================
গাঢ়সবুজ সীমানায় মিলেছে রক্তের নদ
বাতাসে মিশেছে আহাজারি; হা-হা-কার
লক্ষপ্রাণের বিনিময়ে পাওয়া পতাকা
তোমার-আমার এই বাংলার।
===================
সবাই ভূলে যায় সময় পেরিয়ে
ভুলে গেছে হয়ত সবাই
কত আর্তনাদ, কত অভিপ্রায়
মিশে আছে এ মাটিতে, বাংলায়।
==================
যে ভয়ংকর রাতে, যে রক্তধারার করালস্রোতে
জন্মনেয় বাঙ্গালীর বীরত্বের ইতিকথা,
সে ইতিকথায় স্বপ্ন খোলে, আগামীর শিশু হাসে মায়ের কোলে
মানচিত্রে তুলে ধরে মুক্তির আহ্লাদে- মুক্ত পতাকা; বাংলার স্বাধীনতা।

বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮

বিশ্বাসের জায়গা

 কেন জানিনা ঠিক, তবে বিশ্বাসের জায়গাগুলো ক্রমাগত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১৮

বড় নিঃসঙ্গ, একাকী

সন্ধ্যেটা,
হাতিরঝিলে শতমানুষের ভীড়ে বসে থাকি,
শিরশির মৃদু বাতাস ছুঁয়ে যেতে যেতে বলে
তবুও জীবন একাকী;
বড় নিঃসঙ্গ, একাকী।

মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১৮

অসভ্যতাই দুনিয়ার আসল খেয়াল!

অসভ্যতাই দুনিয়ার আসল খেয়াল!

শুধু গুটিকয়েকের সভ্য হওয়ার প্রচেষ্টা;
জগতকে হানাহানির দিকে ধাবিত করে।

রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

মুক্তি

চাই না বাঁচতে আর ধরায়
তবু কোন পিছুটান জানি
           জড়িয়ে ধরে পায়...


রাতের প্রহর শেষে
দিনের তরীর গানে
শত মমতা, শান-শওকত
জড়িয়ে আছে মনে


বাড়ছে ভূ-লোকে দায়
ঋণের দায় কাঁদে বয়ে
        হে পৃথিবী বিদায়...

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

দ্বন্ধ

কারও জীবন সহিবার
আর কারও বহিবার
কারও স্রোতে ছুটে চলাবার
কিংবা অথৈ তরঙ্গে থামবার
অযথা ভেবে ভেবে পথ হারায় দিক-বিদিক
জানিনে; আছি কি নিজের মাঝে, চলছি কি সঠিক!

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

অনেকটাই প্রতীক্ষায় ছিলাম

অনেকটাই প্রতীক্ষায় ছিলাম-ছোটবোন নিজের যোগ্যতায় একটা অবস্থান তৈরী করুক। আমরা নিন্ম মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান, জীবনের পদক্ষেপে আহামরি কোন আকাঙ্খা নেই। শুধু শেষ অবধি চালিয়ে নেবার মত একটা অবস্থান পেলেই তাতে খুশি। এজন্য নোবিপ্রবি'তে ''ল্যাব এটেনডেন্ট'' হিসেবে ছোটবোনের চাকুরী জীবন শুরুটা আমার জন্য অনেক বড় স্বপ্ন পুরনের মতো। 


২০০৬ সালে মায়ের অকাল মৃত্যুতে মায়ের যে সোনার সংসার অনলে পুড়ে শেষ হতে বসেছে, সেই শেষ থেকে আবার নতুন করে শুরু করা জীবনে, এ বাসনার পুরনও আমার জন্য অনেক বেশী।
সকলের আর্শিবাদ একান্ত কাম্য।

সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

অযোগ্যরা তেলবাজ, দালাল, সমাজের অবক্ষয়।

আমি কোটা সংষ্কারের শতভাগ পক্ষে।
দেশ অযোগ্য অথর্বদের হাত থেকে মুক্ত হোক,
যোগ্যরা যোগ্যতাবলে আপনা স্থানে অধিষ্ঠিত হোক।


রক্ত দিয়ে অর্জিত যে স্বাধীনতা
তাকে পুনরায় পরাধীন করছে কোটা প্রথা
কেননা; অযোগ্যের দল বরাবরই কাপুরুষ হয়
অযোগ্যরা তেলবাজ, দালাল, সমাজের অবক্ষয়।

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮

গলাবাজরা কোথায় বসে গৌষ্ঠীর পিন্ডি চটকাচ্ছে?

 এমন একটা দেশে সারাজীবন অতিবাহিত করতে হবে, যেখানে জীবনের মূল্য সিকি আনা দাবি করাও অযৌক্তিক। আর এমন মূল্যহীন জীবন নিয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা আর মমত্ববোধ দুটোয় ঘৃণায় পরিবর্তিত হবে না, সে কে বলতে পারে?
বড়-বড় গলা বাজানো মন্ত্রী আর আমলাতন্ত্র যখন পাবলিককে বোকাছোদা বানিয়ে, নিত্য জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে, তখন আমরা অসহায়ত্ব কে বরণ করেও তাদের চৌদ্দগোষ্ঠীর পিন্ডি চটকাতে ব্যর্থ হবার দায়ের মত, দূর্বিসহ জীবন নিয়ে সত্যিকার অর্থেই কি করব?


বলছি, নোয়াখালী থেকে ঢাকা ৪ ঘন্টার পথ, ৬ ঘন্টা পার করে মেঘনায় এসে পরবর্তী ২ ঘন্টায় পাড়ী দিলাম আধা কিলো, বাকী বাসা নাগাদ পৌঁছুতে ৪০ কিলো পথ কত সময়ে পাড়ী দিতে পারব, উপরওয়ালাই তা ভালো জানেন। কিন্তু আমাদের এমন অসহায় জীবন-যাপনে দেশকে উদ্ধার করা গলাবাজরা কোথায় বসে গৌষ্ঠীর পিন্ডি চটকাচ্ছে?