ক্ষোভ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ক্ষোভ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

বাঙ্গালি থেকে গালি

অনেকে বলে থাকেন- গালিটাও নাকি একপ্রকার আর্ট, যে আর্ট মানুষ মনের অন্তঃগোছরে এঁকে রেখেছে সে আদিমকাল হতে। আমিও তাই মনে করি, জীবনের প্রতিটি আলোক বিচ্ছুরণের বিম্ব কিংবা প্রতিবিম্ব যখন চোখের কোণে ধরা দেয়, তখন সে মনের মাঝেও উজ্জ্বল পটরেখা এঁকে যায়।

আমি গাঁয়ের ছেলে। গাঁয়ে থাকাকালে আমাদের বেশীরভাগ সময়ই ঘুম আসত গালি-গালাজের শব্দে আবার ঘুমও ভাঙ্গত তা শুনেই। জীবনের সাথে এর এতটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক এমন ছিল যে, মাঝে-মাঝে মনে হত গালি না শুনলে প্রকৃতিও বোধহয় শূণ্যতা বোধ করত।

আমাদের জাতিসত্তা নিয়ে যদি বিস্তারিত ঘাঁটাঘাটি করা হয় তবে, আমাদের শিকড় থেকেই যে এর অন্তঃপ্রবাহধারা বর্তমান -তা সহজেই অনুমেয় হবে বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু প্রযুক্তির যুগে বসেও সে সব নিয়ে বিস্তর গবেষনা করবার মতো ধৈর্য্য না থাকায় অনুমানভিত্তিক জ্ঞাণকে সত্য বলে স্থাপন করবার যে সাহস দেখাচ্ছি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

কিন্তু হঠাৎ আজকে গালি নিয়ে লেখালেখির কৌতুহল জন্মাল কেন? আসলে মনের মর্জি-আর্জি দুইই বোঝা দায়! কখনও সে কাকে দাবড়াতে চায়, কখন সে নিজের দাবড়ে পালায়, এ বোঝা বেশ কষ্টসাধ্যই বটে। আজকে একটা বিষয় খেয়ালে নিতেই হঠাৎ মনে হল, গালি নিয়ে একটা ধারাবাহিক শুরু করলে কেমন হয়? এ নিয়ে কিছু অল্প-বিস্তর ভেবে দেখে পেলাম, আসলে ব্যাপারটা একেবারে মন্দ হবে না! যে হারে নিজের বিপরীত মানষিকতার মানুষের দিকে মানুষ ক্রোধের দৃষ্টি রেখে চৌদ্দগোষ্ঠীর শ্রাদ্ধ করছে, গোষ্ঠীর নামে নামে ফুল-তুলসির দিয়ে পিন্ডি চটকাচ্ছে, তাতে গালির ধরনগুলো শেখানোর মতো নিখাদ যুক্তির কার্য্যকারিতা আছে বই কি...

বর্তমানে উদিয়মান ক্ষমতাশালী দেশগুলো মধ্যে চীন, ভারত অন্যতম। তো আমরা বাঙ্গালিরা খুবই ভদ্র-শান্ত-সভ্য (নিজেদের মনে) হওয়ায়, আমরা ভাবি- যদি আমরা কোন দিন উদিয়মান শক্তি হইও, আমাদের মনের মধ্যে ভারতের মতো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ইচ্ছে বা অভিলাষ হবে না, কেননা আমরা তাদের তুলনায় অনেক ছোট দেশ এবং আমাদের লোকবল কম এবং আমরা আগায়-গোড়ায় সুগন্ধিমাখা ভালো মানুষী এবং ক্ষমতা হলেও দেশীয় ভূখন্ড কিংবা জনগোষ্ঠীর হিসেব-কিতেবে ইসরাইলের সাথে আমাদের দেশিও ইনছানদের তুলনা চলে না। কারণ তারা ইসরাইল, তারা ইহুদী-নাসারা, তারা ক্ষমতার জন্য হিংস্র দানব হয়ে রক্ত খায়।

তো ঠিক আছে, মুল কথায় আসি- যেহেতু আমাদের দেশের উপর ভারতীয়দের প্রভাব বেশী এবং ওরা আমাদের ক্ষমতার জোরে করায়ত্ত করে রাখতে চায়, তাই আজ আমরা ভারতীয় এবং এদেশে অবস্থানরত ভারতীয় দালালদের গালি-গালাজের কৌশল শিখব।

যেকোন গালি-গালাজ শুরুর পূর্বে যেমন কিছু কারণ থাকা চাই, তেমনি থাকা চাই কিছু উপকরণও। তাই ভারতের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করার জন্য যে কারণগুলো আছে সেগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেই।

১) ভারত আমাদের চারিদিকে স্থল ও জল দখল করে খাচ্ছে। (শ্রুতিপদঃ অধিকার আদায়ের ক্ষমতাহীন প্রত্যেকে অথর্ব বলে, এরা সবকিছু শুয়ে-বসে পেতে চেয়ে কাঁদে।)

২) ভারত অন্যায় ভাবে সীমানায় বাংলাদেশীদের খুন করছে। (তর্কিত প্রশ্নঃ খুন হবার সাধ বুকে জমিয়ে কারা অবৈধভাবে সীমানা পারাপার হতে চায়? আর কেন পারাপার হতে চায়?)

৩) আমাদের দেশের অসহায় গরু ব্যবসায়ীদের মেরে ফেলছে এবং গরু আনতে দিচ্ছে না। (প্রশ্নঃ গরু ব্যবসায়ীরা অকারণ সেখানে মরতে যাচ্ছে কেন? গরু কি এদেশে উৎপাদন সম্ভব নয়?)

৪) ভারত আমাদের সাথে টিপাই বাঁধ নিয়ে খেলছে, তিস্তা চূক্তি নিয়ে খেলছে। (উত্তরেঃ ভারত যখন টিপাই বাঁধ দিয়েছে, তিস্তা নিয়ে খেলছে, তখন আমরা তাদের সাথে শরীর ঘষাঘষি না করে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি না কেন? আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে অসমর্থ্য? তবে অসমর্থ্যে উর্দ্ধস্বর কি মানায়? আমরা না হয় যেদিন সামার্থ্য হবে সেদিন দেখাবার অপেক্ষায় থাকি)

৫) ভারত আমাদের দেশের সমাজ-রাজনীতি আর অর্থনীতি নিয়ে খেলছে। ( আশ্চার্য্যবোধক চিহ্নযুক্ত প্রশ্নঃ খেলার মাঠ আমার দেশের, লোক আমার দেশের, খেলবার দলও ঠিক হল দেশের মধ্যেকার লোকজন নিয়ে। তবে তারা খেলছে কিভাবে? যদি নিজের স্বাধীন ভূখন্ডে অন্যলোক এসে খেলে থাকে, তবে গলা ফাটিয়ে না বলে নিজের অক্ষমতার জন্য সকলের তো উচিত ছিল আত্মহত্যা করা।)

যা হোক- গালি দেবার মতো কারণ তো মিলল- এবার বন্ধুদের সাথে শুরু করুন গালাগালি।

ভারত রেন্ডিয়ার দেশ, শালারা নাপাক, ন...পো, মান্দ..., চু...পো, মা...রি, খা....পো, মা...পো, ন...জাত, বে..., দা... এভাবে চলতে থাকুক।

যেহেতু মেজাজ চাঙ্গা, তো বন্ধুদের গালির সাথে আরও যোগ করুন-

“রেন্ডিয়ার জাকির নায়েক খা.....পো, মওদুদি ন....পো, ভারতের মুসলমানদেরও..... করি, পিসটিভি লোকজনরে......, ডান্ডি রাষ্ট্রে দেওবন্দ রে.....” -আচ্ছা কোটেড লাইন শুরু করার পর বন্ধুরা কেউ-কেউ থেমে গেছে? কারও চোখমুখ লাল হয়ে যাচ্ছে? কারও রক্তচক্ষু আপনার দিকে তেড়ে আসছে? তবে রাগ সামলে থেমে গিয়ে সরে পড়ুন। কারণ গালি আপনি এখনও শিখে উঠতে পারেন নি, উল্টো-পাল্টা গালির জন্য আপনার কাঁধের উপরের ধড়টা হয়ত বন্ধুর রক্তচোখা রাগের উপর হারিয়ে বসতে পারেন।

পরিশেষঃ ভাইলোগ আমার উপ্রে রাগ লইয়েন না। সত্যি কতা কইতে কি- আপনেরা আসলে যে যুক্তিতে আড়ালে আবডালে গালি দিবার পয়তারা করেন, সে যুক্তিরই খাতিরে কয়েকটা কইলে কইছি ভায়ে আপনেরার সইবে না। আর কাঁধে একটু বিদ্যের ভার আছে বিধায় লজ্জায় মুখও খুলবার চাই না। কিন্তু এতে ভাইবে বইসেন না, কিচ্ছু কইবার পারি না, সত্যি কইছি ভাইলোগ- এখানে যে বিদ্যে আপনারা ফলিয়ে যাচ্ছেন তার কয়খান কইলেম পিচ্ছিবেলায়ই মুখস্ত হইয়ে গেছে।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

সভ্য!!!

সভ্যরা অস্ত্র বানিয়ে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে মশা-মাছি, কীট-পতঙ্গ ধ্বংস আর পশু-পাখি শিকার করে জীবন-ধারনের মহৎ উদ্দেশ্যে। আর তারা অসভ্য-বর্বর‌‌ মানুষদেরও শিকার করে চলছে সভ্যদের সাথে গলায়-গলায়, বাহুয়ে-বাহুয়ে জড়িয়ে চলতে!!!

সময়ের অভ্যর্থনা

যৌথপরিবারে কেটেছে পুরোটা শৈশবকাল। একত্রে পরিবারের ১৫-২০ জন মানুষের সাথে মানষিকতা ভাগাভাগি কিংবা বসবাস করতে গিয়ে দেখেছি প্রত্যেকটি স্বাধীনতা মুখাপেক্ষি জীবনগুলোকে। স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা ভাগাভাগিতে তখন কত কত প্রতিযোগিতা! সময়ের সাথে জীবনের আয়োজন, খাদ্যের প্রয়োজন কিংবা বন্টণে কত বৈসাদৃশ্য-বৈচিত্র্যতা! দেখেছি স্বার্থের প্রয়োজনে অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার সে কি দারুন নিকৃষ্ট মানষিকতা। পরিবারের ক্ষমতাধর ব্যক্তির নিকট ভালো মানুষিরুপে প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে অন্যকে অগ্রহণযোগ্য করে তোলার কত সব নির্মম প্ররোচনা। অন্যের দূর্বলতার সুযোগে উচ্চস্বর বিলাপে কারও মাথা নত করে দেবার কত শত প্রতারিত ভাবনা। কত সহজে সময়কে না বলে কারও চোখে ঢল অথবা কারও চোখে চকচকে ছল্। দেখেছি কখনও অমানুষিক অন্যায় নির্যাতন, কখনও আবার চোখের সামনে দিয়ে রক্তের ঢলে ভেজাঘাস কিংবা অসহায় বেলায় কীতপতঙ্গের পীড়ন। আর সময়কে বাসনা করে উপোস কাটিয়ে দেয়া জীবনের কিছু নির্মম দিনলিপি।

সময়ের সাথে-সাথে জীবনের অনেক গল্প বদলে যায়, বদলেছেও। অনেক বছর আগেই যৌথপরিবার ভেঙ্গে একক স্বতন্ত্ররূপ পেয়েছে। স্বতন্ত্র পরিবারগুলো নিজেদের ঘিরে জমানো স্বপ্নে বর্ণিল হয়েছে। কিন্তু কিছু মানাষিকতা কিংবা রক্তধারা এখনও উত্তরাত্তরে বয়ে যাচ্ছে। সমতা বজায় রেখে বাঁচার তাগিদে যতটা সাধ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছি কিন্তু ব্যর্থতায় মাঝে-মাঝে অসহায় আর অবাক লাগে। তবে সবচেয়ে বেশী অবাক লাগে যখন দেখী ছোট-ছোট ভাইবোন যারা আমাদের মতো এমন শৈশব পায় নি অথচ আমাদের বদ্যৌলতে তারা পূর্বপ্রজন্মের মতো দক্ষ অভিনয়ের কৌশল আয়ত্ব করে ফেলেছে আর ভাব দেখাচ্ছে সে বুঝতে অক্ষম!!

বাঙ্গালি চরিত্র ও ভবিষ্যত



বাঙ্গালি চিরকালই দু‘মুখো! এরা স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনাতে কখনও এক হতে পারে নি, অদূর ভবিষ্যতের সে আশা করাটা দূরহ বটে। এরা সন্ত্রাসকে যেমন প্রতিহত করতে চায়, ঠিক তাদের লালনে মদদ দিতেও তৎপর। একদল একজনকে দোষী সাব্যস্ত করে তথ্য দিলে অন্যদলের কাছে মিথ্যে সাব্যস্ত করার তথ্যও এসে যায়। কেউ আক্রান্ত হয়ে ঘৃণা-ভয়ে থু-থু ছিটালে ঠিক বিপরীত কেউ এসে সে থু-থু চেটে খায়।

কেউ হ্যাঁ বললে সে হ্যাঁ‘কে না বলার লোকের যেমন অভাব থাকে না, তেমনি হিংস্র জানোয়ারের সুদর্শনরুপ দেখে ক্রাশ খেয়ে অর্গাজম হওয়ারও অভাব নেই।

এমন জাতির ভবিষ্যৎ কতটা ভয়ঙ্কর রুপ হয়ে এসে দাঁড়াবে- সময় কেবল তারই প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে।

ভয় ও বোধ

খেলোয়ার‘রা খেলছে- রাষ্ট্রযন্ত্র খেলছে, প্রধানমন্ত্রী খেলছে, আইনমন্ত্রী খেলছে, মন্ত্রী পরিষদ খেলছে, সাবেক বিরোধী বর্তমান বিরোধী খেলছে, বাম খেলছে, ডান খেলছে, সাথে মধ্যবর্তী‘রাও খেলছে। বুর্জোয়া রাজনৈতিক খেলছে, নীতি বিসর্জিত আমলাতন্ত্র খেলছে। প্রশাসন খেলছে, তার হাতে ধরে সাঙ্গ-পাঙ্গরা খেলছে। লেজুড় ধর্মব্যবসায়ী খেলছে, বুদ্ধিজীবী খেলছে। বিশ্বাসীরা খেলছে, বিশ্বাসবাসী‘রা খেলছে। লেজ গুটানো বিড়াল খেলছে, ধূর্ত শেয়াল খেলছে। লেজ তোলা কুকুর খেলছে, উগ্রতায় শুয়র খেলছে।

এখানে খেলায় জয়-বিজয় অনুমেয় না হলেও খেয়াল করলেই বোঝা যাচ্ছে সকলের খেলার উদ্দেশ্য হাসিল! খেলায় অংশগ্রহণকারী সবাই নিজেদের কায়দায় খেলতে-খেলতে ভাবছে আবাল জনতা ঠিক বোঝে না, ঠিক খেলার কৌশল জানে না। আর সত্যিতে পৌঁছে আমরাও দেখছি, আসলেই কম ভুগছি না। খেলার চমকে-ঢমকে আমরা ভীতি নিয়ে সেযে, ছুটছি আর থামছিও না। অথচ ভীতি থামিয়ে এদের দিকে হাত এগিয়ে নিলে এরা ঠিক মুঠিতে কতটা পুরত সন্দেহ!

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

মূল্য

দীর্ঘ তিন বছর যন্ত্রণা সহ্য করেছি, দৈনিক গড়ে ৪-৫ ঘন্টা রাস্তায় কাটিয়েছি ২০ মিনিটের বাসের রাস্তায়। সব সহ্য করেও ভেবেছি সরকার ফ্লাইওভার বানাচ্ছে সে তো আমাদের মতো জনসাধারনের জন্যেই। কাজটা শেষ হলে আমরাই উল্লাসে এই রাস্তায় পথ পাড়ি দেব। ফলে ফ্লাইওভারের উল্লাসে বিভোর আমরা যখন রাস্তার বড়-বড় গর্ত পার হই, তখন তাতে আমাদের চিত্ত আহত হয় না বরং আমরা হাওয়াই মিঠে খেয়ে হাওয়ায় উড়ছি ভেবে নেই।

তিনবছরের মতো সময় পার হয়। যে ফ্লাইওভার দুই বছরের মধ্যে শেষ হবার চুক্তি হয়, তিনবছর পর তার অর্ধেক শেষ করেই প্রধানমন্ত্রী উৎসাহ নিয়ে উদ্ভোধন করেন। আহা! এ দেখার মধ্যেও সুখ, কৈফিয়ত ছাড়া ঢাক-ঢোল-বাজনা বাজিয়ে উদ্ভোধন! যা হোক অর্ধেক ত হয়েছে, মনে আনন্দ জাগে। আপাতত অর্ধেকে না হয় পেট ফুরবো। হ্যাঁ; মাসখানেক আধেকে বেশ ভালোই কাটছিল। ২০ মিনিটের রাস্তায় আমরা উড়োজাহাজে উড়ে ১০ মিনিটে পার হয়ে গেছি। বাসার সবাইকে তাই কয়দিন কৈফিয়ত দিতে হয়, কি করে আমি এত তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছি! কৌতুক করে বড় এক ভাই বলেন; কি খবর বিপ্লবভাই? অফিস ফাঁকি দিচ্ছেন নাকি? তখন গর্ব করেই বলে উঠি, আমরা এখন ফ্লাইওভারে উড়ি ভাইয়া। আপনি উড়ে চলার মজা না পেলে বুঝবেন না।

বাবার মৃত্যু বার্ষিকী পালনের জন্য বাড়ি গেছি। ফিরে আবার যখন নিয়মিত অফিস করবার জন্য ৩০ মিনিট আগে বাসে উঠলাম, লক্ষ্য ১০ মিনিটে অফিসের কাছে পৌঁছব, তারপর হাতে ২০ মিনিটে নাস্তা খেয়ে একটু রিলাক্স হয়ে অফিসে ঢুকব। কিন্তু; একি? গাড়ি ফ্লাইওভারে উঠল না, ড্রাইভারের সাথে কেওয়াজ লাগালাম- মামা তোমাগো এত যাত্রীতে পেট পুরে না? অফিস টাইমে মজা করছ? কিছুক্ষন বাক-বিতন্ডা শেষে বাসের স্টাফের কথায় বুঝলাম, বেইলি রোড ভিআইপিদের রোড! আম-জনতা ভিআইপি রোড দিয়ে চলবে? তাই মন্ত্রণালয় থেকে সাধারন যাত্রীসেবা বাসের রোড পার্মিট তুলে দেয়া হয়েছে। সেদিন অফিসে ১ ঘন্টা পর নাস্তা না খেয়েই ডুকলাম। বুঝলাম, এদেশে আম-জনতার মূল্য শাসে, তাই আমের (আমজনতার) শাসটাই সকলের চাওয়ার, ঐটুকু শেষ হলে আঁটি হতে নতুন চারা গজে যতদিন না নতুন শাসের আম পাওয়া যায়, ততদিন পর্যন্ত তা মূল্যহীনই পড়ে থাকে।

রিফিউজি

এদেশে হিন্দুধর্মালম্ভী‘রা রিফিউজি নয় বরং সংখ্যাগুরুদের চেয়েও এদেশে তাদের বাপ-দাদার ভিটে অধিকার অনেক বেশী, অনেক প্রাচীন। সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা সংষ্কৃতিক যে অবকাঠামোর উপর এদেশটা আজও দাঁড়িয়ে আছে, তারও বীজ বপন এদের হাতেই হয়েছে। ১৯৪০ থেকে ১৯৬০ সালের ভূমি রেকর্ড কিংবা তফসিল ঘাটাঘাটি করলে এখনও স্বচ্ছ কাঁচের মতো স্পষ্ট দেখা যায়, এইদেশের সব ভূমি-সম্পত্তি প্রকৃত মালিক ছিল তারাই। অথচ অবাক হয়ে দেখতে হয় আজকের সময়টাকে!

তাদের বর্তমান অবস্থান দেখলে খুব সহজেই অপরিচিত কেউ ভেবে নেবে, এদেশটাতে তারা রিফিউজিই ছিল। তাদের পাঞ্জাবী রেখে ধুতির কোচ খুলে পালানো দেখলে খুব সহজে বলে দেয়া যায়, নিজস্বার্থের জন্য এরা নিজের পরিবার-পরিজনকে নেংটা করার দক্ষতা অর্জন করলেও, নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য মৃত্যু অবধি লড়তে প্রস্তুত নয়। এদের শক্তি মনে নয় দেহে, তাই মনের ভয়ে শরীরের শক্তি নিয়ে এরা যতটা পালিয়ে ছুটতে সক্ষম, ঠিক ততটা শক্তি দিয়ে অন্যায়কারীকে ধরাশায়ী করতে সক্ষম নয়। এভাবে ছুটতে-ছুটতে কত কম সময়ের মধ্যে তারা এইদেশের অবাঞ্চিত রিফিউজি হয়ে গেছে, হাত কচলিয়ে আজও হয়ত অনেকে ভেবে ফেরে!

সইবে তো?

কৃষক-মজৃরের পিঠের চামড়া তুলে তা দিয়ে দেশটাকে ঢেঁকে যদি সোনালি রঙ্গের তুলিতে আঁচড় কেটে বলা হয়, এই দেখ আমরা দেশটা চকচকে সোনায় মুড়িয়ে দিয়েছি। তাতে কি সারা পৃথিবী মেনে নেবে আমার দেশটা সোনায়-সোনায় ভরে উঠেছে? আপনারা কি খোঁজ করে জেনেছেন সারা পৃথিবী ঢুলছে তালে-তালে, মাতালে?

দেশসেনানী‘রা আর একটু ভাবুন, মনে হয় আর একটু ভেবে নেবার প্রয়োজন খুব বেশী। মাতাল ঘোর থাকা পর্যন্ত রঙ্গিন দুনিয়ার সুখ খুঁজে, প্রলাপ বকে।কিন্তু ঘোরহীন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ালে, প্রতিটা কদমে এত-এত আর্তনাদ-আহাজারী-আক্রোশ সইবে তো?

ট্যাক্স

৫৬ হাজার কোটিপতি ট্যাক্সের টাকায় ফূর্তি করবে, অভুক্ত কৃষক দেশ চালাতে ট্যাক্স দেবে। আর প্রজাতন্ত্রের সেনানায়ক‘রা গাঞ্জা খেয়ে দেশটাকে উদ্ধার করবে।

শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

একই

একই গৃহ, একই বোধ, একই চিত্ত, একই মূল আর সে একই স্বজাতি ভাবনা----

তবে নষ্ট বিলে ফোঁটা ফুলে মন্দের ভালোটাই তো কেবল কাম্য; তাই নয় কি?

না; বলছি এই বঙ্গে ক্ষমতাসিনদের মধ্যে আমাদেরতো কেবল মন্দের ভালোটাই চাওয়া, অন্য কারও ভিন্ন ভাবনা থাকলে, পসরা সাজিয়ে তার কাছেই বরং যান।

সে দেখারই প্রতিক্ষায়

না বলার ভাষা কোনদিন ছিল না, এখনও নেই। শুধু পেট গুলিয়ে বমি পাচ্ছে আর বমির ভাব ঘুছাতে চারদিকে কেবল থু-থু টাকে ছিটানোরই কেবল প্রয়াস পাচ্ছি।

সময় বলছে আমরা বোধহয় নিজেদের হারিয়ে পেলছি শীঘ্রই, হারিয়ে ফেলছি সম্মান-সঞ্চয়-বিবেকবোধ, তবে আর রইলই বা কি?

যারা শ্রদ্ধা-সম্মান ভূলছে তার এই বোধ দিয়ে ধর্মটাকে লালন করবে? তবে চেয়ে আছি সে দেখারই প্রতিক্ষায়...

অব্যক্ত প্রশ্ন

আজ একজন তার বন্ধুশ্রেনীর একজনের কাছে গল্প করার সময়ে বলে উঠলেন, মাওলানা মওদুদীর “শান্তিপথ” বইটি পড়লে নাকি তার রক্ত টকবগিয়ে উঠে। তিনি জানালেন বইটি তিনি বেশ কয়েকবার পড়েছেন এবং প্রতিবারেই কাফেরদের বেদাতি কাজ দেখে ক্ষুদিত হচ্ছেন তাদের শেষ করার ব্যাপারে।

লোকটির কথা প্রতিবাদ করার সাহস আর সুযোগ না থাকলেও হাসছি আর ভাবছি মানুষকে খুন করার উদ্ভুদ্ধ করা বইয়ের নামও তাহলে ”শান্তিপথ” হয়?

রবিবার, ১ মে, ২০১৬

রক্ত পানি করে কর দিয়ে কাদের পুষে যাচ্ছে....???

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন- নিরাপত্তার স্বার্থে নিজস্ব নিরাপত্তা বলয় তৈরী করার জন্য। এর অর্থ ত এই দাঁড়ায়, তারা মূলত তাদের নিজেদের নিরাপত্তায় ব্যস্ত আছে আপাতত, তাই দেশ নিয়ে ভাবনা আপাতত ছেড়ে দিয়েছে।

ভেবে দেখুন সাধারন জনতা নিজের রক্ত পানি করে কর দিয়ে কাদের পুষে যাচ্ছে....???

কারও দেখায় সুখ, কারও অসুখ!!!

কারও দেখায় সুখ, কারও অসুখ!!!

- প্রতিদিনকার গুম-খুন-আহাজারি-ধর্ষনে আমাদের নেতা-নেত্রী-মন্ত্রী-এমপি-সরকারগোষ্ঠী চোখ-মুখ কাচুমাচু করে ভেতরে দম ফাটানো খুশি নিয়ে সংবাদ সম্মোলন করে আর তা দেখে আমজনতা পিত্তির যন্ত্রণার মরে...

তারা আসলে কি? -সে বরং তারা নিজেরাই ভাবুক

শুধুমাত্র সুনাম কুড়োবার জন্য সবাই লেখে না, অনেক বড় প্রতিভাবান দেখাবার আশায় কিংবা প্রতিষ্ঠিত হবার জন্যও সবাই লেখে না। কিছু লেখা মনের গতিকে রোধ করে, ভারাক্রান্ত মনকে স্থির করে, কখনও ভাষা ভালোবাসা অনুভবকে প্রকাশ করে।

প্রতিদিন অনেক প্রতিষ্ঠিত সমাদৃত লেখকদের মনের ক্ষুধা নিবৃত করার মতো অনেক ভালো-ভালো লেখায় যেমন মনের তাগিদ পাই, চেতনা জাগ্রত হয়। ঠিক তেমনি কিছু সমাদৃতের কলমের খোচায় মনটা ভারাক্রান্ত হয়।

আগেই বলছি সবাই প্রতিষ্ঠা পাবার আশায় লেখে না। যদি তাই হত- আমার মতো অবিবেচকেরও ৫-৬ টি বই এতদিনে কারও কারও হাতে হয়ত পৌঁছত। খুব সহজে টাকা দিয়ে বই বের করবার মতো সেই সামার্থ্য আমার হয়ত ছিল!

তবে প্রশ্ন আসতে পারে দূর্বোধ্য ছারপাশ লেখা কেন? কেন অকারণ সাহিত্যের ময়লার স্তুপ জমানো?

আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি- প্রত্যেকে তার চোখে দুনিয়াকে দেখে, তার মতো করে দুনিয়ার সমস্ত নাড়ি-নক্ষত্র বিশ্লেষন করতে চেষ্টা করে। আর বিশ্লেষন করা এইসকল তথ্য-উপাত্ত কেউ-কেউ খুব সহজে অন্যের কাছে বলার ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করতে পারে, কেউ আবার নিজস্ব জীবনদর্শন নিজের মধ্যেই জমিয়ে রাখতে পারে। এই দুটো শ্রেণীবাদে আরও একটা শ্রেণী আছে যারা দুটোর কোনটাই করতে পারে না। তাদের সমস্ত জীবনদর্শনের কিছু বোধ প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম কাগজ-কলম। মূলতঃ নিজেদের আত্মবিশ্লেষনটাকে প্রকাশ করবার আশায়ই তারা লেখে। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নটা আসে- তবে সাহিত্য জগতে ছারপাশের স্তুপ জমানো কেন? এখানে প্রশ্নটি করার আগে বলতে হবে- যারা অন্যের সবধরনের অভিব্যক্তিটাকে সাহিত্য বলতে চাইছেন- তারা আসলে কারা? - সাহিত্যে আবর্জনার স্তুপ জমানোর কথা বলবার আগে, তাদের মানষিক অবস্থা জানা প্রয়োজন। কারণ কোন লেখাটি সাহিত্য হিসেবে স্থান নেবার যোগ্যতা রাখে আর কোন লেখাটি মনের ভাব প্রকাশের জন্য লেখা, এই দুটোকে যারা আলাদা করতে জানে না, তাদের মানদন্ড নিয়ে মনে সংশয় জাগে।

আর একটি কথা- কাকের ময়ুরের পাখনা পড়লে যেমন কাক ময়ুর হয় না, তেমনি কাক স্বাদ করে ময়ুরের পাখনা পড়ে ঘুরলে যারা কাক আর ময়ুরকে আলাদা করতে পারে না, তারা আসলে কি? -সে বরং তারা নিজেরাই ভাবুক।

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

নির্লিপ্ত সত্য

আমরা হিন্দু, আমরা আওয়ামীলিগার! আমরা ভারতীয় দালাল!
আমাদের সবাই যা বলে চাপাতে চায়, আমরা আসলেই তাই!
আমাদের নিজস্বতা নেই, নিজস্ব ভাব-ভাবনা নেই
ভুলস্থানে জন্মগ্রহনের কারণে পদবী পেয়েছি বাঙ্গালী বাংলাদেশী
ক্ষমতার জোরে আমাদের যেভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে সেটাই একান্ত সত্য,
বাকী সব মিথ্যে খোলস, মুখোশের আড়ালে আবডাল রাখা বোধ-ভাবনা
এদেশে আমাদের সুখ-স্মৃতি নেই, অবদান নেই, তাই আবদারও অনাকাঙ্খিত
সবচেয়ে বড় সত্য দিনশেষ এইদেশে আমরা কেবলই অভিশপ্ত পরিত্যাজ্য...

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

ঘৃণার থু-থু সে খুব কমজনই গিলে নিতে সক্ষম

সবাই কম-বেশী লিখতে চায় কিন্তু সবাই লিখতে পারে না আবার লিখলেও সবাই ভালো লেখে না।
একই মানুষের সন্মানের জায়গাটা জনবিশেষে কিংবা স্থানবিশেষে ভিন্ন। আজকে কারও লেখার অনেক কদর থাকতে পারে আবার ভবিতব্য সময়ে অলেখা-কুলেখাগুলোই সমান প্রিয় হতে পারে।
পৃথিবীতে একদিন ধর্মটা তীব্র বিশ্বাসের স্থানে ছিল, তখন বিজ্ঞানটাকে অবাস্তব রুপকথা ভাবত সকলে। কিন্তু এখন যখন বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত, ক্রমাগত দ্যৌদুলমান জীবনে পড়ে মানুষ এখন ধর্মটাকে সংশয়ে ঠেলে রুপকথার গল্প বলতে চাইছে?

বলছি সময়ের প্রাপ্তিকাল কিন্তু খুব বেশী নয়, তাই অযথা অন্যের লেখার মানদন্ড নিরূপণ না করে প্রত্যেককে প্রত্যেকের মত কিছু প্রকাশের স্বাধীনতা দিন না। বলছি- আঘাতের পরিণাম ত হাসি তে হয় না আর ঘৃণার থু-থু সে খুব কমজনই গিলে নিতে সক্ষম।

২০০২ সালে মাধ্যমিক দেয়া ছেলে-মেয়েদের বেশীরভাগ ভোদাই প্রজন্ম!

২০০২ সালে মাধ্যমিক দেয়া ছেলে-মেয়েদের বেশীরভাগ ভোদাই প্রজন্ম!

না বলছিলাম- ২০০২ সালে আমরা যারা মাধ্যমিক দিয়েছি তাদের অনেককেই দেখেছি জীবনের প্রতিটি পরতে এত-এত নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি হয়েও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের সংশোধন করতে সমর্থ হইনি। জীবনের প্রতিটি প্রহসনই এখন যখনটা না মর্মাহত করে, তারচেয়ে নিজেদের বোকামীর জন্য হাসি আসে। জীবনের গল্পগুলো বললে হয়ত অন্যরাও আমাদের বলদামির কথা শুনে হেসে উঠবে।

আচ্ছা গতকালকের বন্ধুর মোবাইল রুম থেকে নিয়ে যাওয়ার গল্পটাই বলি। নতুন বাসায় আমরা দুবন্ধুই আঁচ করতে পেরেছিলাম বাসায় এঘটনা ঘটার সম্ভবনা শত ভাগ। তারপরও নিজেদের অসাবধানতায় বন্ধুর আইফোন আর নোকিয়া সেট দুটো রুম থেকে চোরে নিয়ে গেল। বন্ধু রাত তিনটায় ঘুমিয়েছে আর আমি ৬ টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছি, অথচ ঘুম আমাদের এমনভাবে জড়িয়েছিল, দুইবন্ধুর কেউই টের পাইনি এমন একটা ঘটনায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে চলে আসলাম, বুঝতেই পারিনি কিছু একটা ঘটেছে। আর বন্ধুর অফিস শুক্রবারে বন্ধ থাকে বিধায় সে ১১ টায় ঘুম থেকে উঠে টের পেয়েছে। সন্ধ্যায় অফিসে বসে ছোটভাইয়ের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে বেশ কষ্ট পেলাম। তারপর যখন বাসায় পৌঁছে বন্ধুর বিমর্ষ মুখ দেখলাম তখন নিজেদের ভোদাই গুণের কথা মনে করে কষ্টের বদলে মুখ চেপে হাসি বেরিয়ে আসছিল। সত্যি বলছি- জীবনের প্রহসনগুলো সত্যি বড় বেশী হাসিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

সমগ্র বিচার ব্যবস্থা স্থগিত করা হোক

নিজামী ভদ্দরলোক, খুবই অমায়িক ভাষা-ব্যবহার-আচারণ। তাই অতীতের ভূলগুলো বর্তমান চরিত্র ও বয়স বিবেচনায় ক্ষমা করে দেয়া হোক। -খন্দকার মাহবুব।

পৃথিবীর সব অপরাধীর বর্তমান প্রত্যক্ষ করা হোক আর তাদের বয়স এবং আচারণ বিবেচনায় তাদের ক্ষমা করা হোক। -অবিবেচক দেবনাথ।

এপিটকঃ রক্ত টগবগে থাকা কালে অপরাধ করুন এবং লুকিয়ে পড়ুন। বয়স বাড়লে ভালো মানুষি মুখোশ পড়ে ধরা দিন। কিছু আবাল আইনজীবী আপনার ভদ্র ব্যবহার আর বয়স দেখে বিচার করতে আর্জি জানাবে।

[বিঃ দ্রঃ বয়স আর আচারণ বিবেচনায় অপরাধের শাস্তি হলে, সমগ্র বিচার ব্যবস্থা স্থগিত করা হোক।]

জীবনটাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ফালা-ফালা করতে হবে

যেহেতু ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ বাড়িওয়ালারা ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দেবে না বলে ঠিক করেছে, সেহেতু প্রত্যেক বাড়িওয়ালাদের উচিত অনেকগুলো কন্যাসন্তান পয়দা করা আর আমাদের মতো ব্যাচেলরদের ২-৩ মাস পরপর বাড়ি ভাড়া খোঁজা থেকে রেহাই দেয়া।

নতুন বাসায় উঠতে রাত দুটো পর্যন্ত কাজ করে এখন শরীরের ব্যাথা সহে অফিস করতে হচ্ছে। এই ঢাহা শহরের বাড়িওয়ালাগুলোর যন্ত্রণায় হয় বিয়ে করে তাদের বউ দেখাতে হবে, না হয় জীবনটাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ফালা-ফালা করতে হবে।