বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

সময়ের অভ্যর্থনা

যৌথপরিবারে কেটেছে পুরোটা শৈশবকাল। একত্রে পরিবারের ১৫-২০ জন মানুষের সাথে মানষিকতা ভাগাভাগি কিংবা বসবাস করতে গিয়ে দেখেছি প্রত্যেকটি স্বাধীনতা মুখাপেক্ষি জীবনগুলোকে। স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা ভাগাভাগিতে তখন কত কত প্রতিযোগিতা! সময়ের সাথে জীবনের আয়োজন, খাদ্যের প্রয়োজন কিংবা বন্টণে কত বৈসাদৃশ্য-বৈচিত্র্যতা! দেখেছি স্বার্থের প্রয়োজনে অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার সে কি দারুন নিকৃষ্ট মানষিকতা। পরিবারের ক্ষমতাধর ব্যক্তির নিকট ভালো মানুষিরুপে প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে অন্যকে অগ্রহণযোগ্য করে তোলার কত সব নির্মম প্ররোচনা। অন্যের দূর্বলতার সুযোগে উচ্চস্বর বিলাপে কারও মাথা নত করে দেবার কত শত প্রতারিত ভাবনা। কত সহজে সময়কে না বলে কারও চোখে ঢল অথবা কারও চোখে চকচকে ছল্। দেখেছি কখনও অমানুষিক অন্যায় নির্যাতন, কখনও আবার চোখের সামনে দিয়ে রক্তের ঢলে ভেজাঘাস কিংবা অসহায় বেলায় কীতপতঙ্গের পীড়ন। আর সময়কে বাসনা করে উপোস কাটিয়ে দেয়া জীবনের কিছু নির্মম দিনলিপি।

সময়ের সাথে-সাথে জীবনের অনেক গল্প বদলে যায়, বদলেছেও। অনেক বছর আগেই যৌথপরিবার ভেঙ্গে একক স্বতন্ত্ররূপ পেয়েছে। স্বতন্ত্র পরিবারগুলো নিজেদের ঘিরে জমানো স্বপ্নে বর্ণিল হয়েছে। কিন্তু কিছু মানাষিকতা কিংবা রক্তধারা এখনও উত্তরাত্তরে বয়ে যাচ্ছে। সমতা বজায় রেখে বাঁচার তাগিদে যতটা সাধ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছি কিন্তু ব্যর্থতায় মাঝে-মাঝে অসহায় আর অবাক লাগে। তবে সবচেয়ে বেশী অবাক লাগে যখন দেখী ছোট-ছোট ভাইবোন যারা আমাদের মতো এমন শৈশব পায় নি অথচ আমাদের বদ্যৌলতে তারা পূর্বপ্রজন্মের মতো দক্ষ অভিনয়ের কৌশল আয়ত্ব করে ফেলেছে আর ভাব দেখাচ্ছে সে বুঝতে অক্ষম!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন