দৈহিক কামসিদ্ধিরপর শিউলী যখন জানালো- আমাকে এখুনি বিয়ে করতে হবে, তা না
হলে আমি বাঁচব না। তখন আমি না করলাম না। তাকে জবাব দিলাম, শিউলী আমি
তোমাকে জান-প্রান দিয়ে ভালোবাসি, তুমিই বল তোমাকে ছাড়া আমি কি বাঁচব? তারচে
চল আমরা এখুনী কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি। দু’জনের আগ্রহে আমরা বিয়ে
করার উদ্দেশ্যে কাজীর অফিসের দিকে রওয়ানা হলাম।
মাত্র একমাসের চেনা-জানা আমাদের দু‘জনের। অথচ একমাসের মধ্যে আমাদের
ভালোবাসার ঢেঁউয়ের জল স্থলবন্দরে এতটাই টইটম্বুর হয়ে উছলে পড়ছে যে, আমরা
দু’জন দু‘জনার দৈহিক প্রনয়ে আবদ্ধ হয়ে গেলাম! ভালোবাসার সমাপ্তী টানতে আমরা
তাই কাজী অফিসের দিকে যাচ্ছি! আমরা আজ ভালোবাসার পূর্ণরূপ দেব!
তখন আমরা কাজী অফিসের অর্ধেক পথে, আমার মাথায় নানান প্রশ্ন কেন জানী
উঁকি-ঝুঁকি দিতে থাকল। তাই আমি তাকে বললাম শিউলী আমরা আজ ভালোবাসার পূর্ণতা
দিতে যাচ্ছি, তোমার কেমন লাগছে? লজ্জায় শিউলীর মুখ লাল হয়ে উঠল। ভালোবাসার
চুড়ান্তরূপের এই সময়টায় তার হৃদয় যেমন আবেগগ্রস্থ, তেমনী ভালোবাসার
শিহরণে তার মন খুব বেশী ব্যাকুল। হয়ত অজানা কোন শীহরণ তার মনেও হানা
দিচ্ছে।