সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

গানঃ এই পৃথিবীতে আমায় এত, যতন করবে কে

এই পৃথিবীতে আমায় এত, যতন করবে কে
ঐ মাটির বুকে মাযে আমার, ঘুমায়ে আছে।।

ত্রিভুবণে এত মায়ায় আর, জড়াবে আমায় কে
ঐ মাটির বুকে মাযে আমার, ঘুমায়ে আছে।।

দরদীয়া খুঁজে, দরদী ঐ মন, আমি মায়ের আঁশে
পথ ভেসে যায় নয়ন জলে আমার, মা না আসে কাছে।।

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৪

অব্যক্ত প্রতিশোধ

সে অনেকদিন আগেকার কথা, মানে আমার দাদার আমলের কথা। সেদিনকার সময়ে ফজর মিয়া নামে এক ব্যাক্তি ছিলেন বেশ জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন। তো একদিন ফজর মিয়া বাড়ি যাচ্ছেন, বাড়ির রাস্তায় পৌঁছতেই দেখেন ফজর মিয়ার ছোটভাই মোহন মিয়া হনহন করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ভাইকে এভাবে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে ফজর মিয়া তাকে থামালেন, আর জিজ্ঞাসা করলেন কিরে কই যাচ্ছিস? জবাবে মোহন মিয়া বলল- বাড়ি যাচ্ছি। ফজর মিয়া বললেন- বাড়ি যাচ্ছিস মানে? খাওয়া-দাওয়া করে যা। বলে রাখা ভালো ফজর মিয়া আর মোহন মিয়ার বাড়ি হতে দেড়ক্রোশ দূরে ছিল।

যেখানে আমার ডুবে যায় সবি

সন্ধ্যে সদ্য ফোঁটা হে মালতী
আজ যেমন তুমি তেমন আমি
নিরবে লালন করা প্রেমসিন্ধু‘তে
উছলে ওঠা ঢেঁউয়ে ডুবি।

আমি বলতে পারিনি তাকে
তোমার মতো করে সৌরভ বিলিয়েছি
বুঝেছি সে বোধহয় আমায় বোঝে
কিন্তু নক্ষত্র যেদিন ক্ষসে গেল
সেদিন বুঝলাম তার ছল্-ছল্ চোখে
অন্য কারো অপেক্ষার প্রেমসিন্ধু
যেখানে আমার ডুবে যায় সবি।

শনিবার, ২২ মার্চ, ২০১৪

অথৈই

অথৈই অসহায় হয়েও কাঁদে না, পথের পাড়ে অন্ধকার যেখানে জমাট বাঁধে; সেখানে সে থামে।
অথৈই কাঁদতে পারে না, ধুমড়ে-মুছড়ে পড়া হৃদয় ফেঁটে চৌচির হয়, কিন্তু কান্নায় হালকা হয় না। জীবনের নিরূত্তাপ বাসনা তাকে বিঁধে আপন খেয়ালে…

ফুলেরা কাঁদে, পাখিরা কাঁদে, বলে- অথৈই আয় আর একবার; প্রানের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠ খেয়ালী জীবনের সজীব সঞ্জিবনে। অথৈই চুপ যায়। পাহাড়ের কিনারে খাঁজকাঁটায় জলজমায় ভাবান্তর হয়। অথৈই বেলা বাইবার পথ খোঁজে।

জীবন

এতবড় দেহ, তাতে দু‘চারটা বীষফোঁড়া
আর এতেই গিলেছে শীসের সুখ!

বিষিয়ে যাওয়া দেহে মমতার শ্রাদ্ধ হয়
জীবন ভোলানো এই এতটুকু যন্ত্রণার ভোগ,
পুরো দেহটাকে সাক্ষী করে তোলে অসহ্য ক্লেদে।

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

জীবন ভূলে

দিন খায়; দিন যায়
বারো মাসে; তের ঘা
চোখ মেলে; চোখ খুলে
স্বপ্ন ঘুছে; জীবন ভূলে।

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০১৪

বাতাস বালিকা আর জল

সবুজ শিহরণে মুগ্ধ যে বালিকা; তাকে দেখে দৃশ্যলোকের শীহরণ কল্পলোকের ভাবনায় নিয়ে গেল, ভালোলাগায় মিশে গেল দু‘নয়ন। মাতোয়ারা সে রূপ-রঙে্ সুনীল আকাশে সুখ বিচরণে তাকে ছুঁয়ে দেবার একটু ইচ্ছেয় বাতাস তাকে ছুঁয়ে দিল ষড়ঋতু‘র ইচ্ছেবিলাষে। কখনো তাকে প্রজাপতি ডানার হিল্লোলে চুমি, কখনো ফুলের সৌরভে। স্বপ্নলোকে ছায়াখেলা চুমোয়-চুমোয় ভরে দিল কাললোকের রাত-বিরাত।

বালিকা সে শিহরণ অনুভবে বুঝেছিল!! তাই শিহরিত মনে ছল-ছল চোখে চঞ্চলা হরিণীর সুখে জড়িয়ে
নিয়েছিল। আর বাতাস? সেও মাতোয়ারা হয় প্রেম সিংহাসণে সম্রাট হয়ে। সে থেকে বালিকার মুখে সুখ জড়ানো স্মিত হাসিতে বার-বার পাগল হয়ে যেত, তার ওষ্ঠধ্বনি তাকে আরো ভাবুক করে তুলত। সে ভেবে-ভেবে ব্যকুল হত, তার দেহের পূর্ণতীথি, ও‘দু ঠোঁটের ঢেঁউ খেলা, কাজল মাখা চোখের তুলি, সুচালো নাকের দুল।বালিকার কোকরানো চুলের দ্যৌলাখেলায় তাই তার মুহূর্ত কেটে যেত একনিমিষে।

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

ভয়

দমনীতে বহমান রক্ত কদাকার
পাহাড় পাষাণ ওহে নির্বোধ দূরাচার,

মূ-হাঃ-হাঃ-হাঃ-হাঃ
ওহে হতাভাগা; জীবন তোর অসার
চিহ্ন হবে তোর মুন্ডু, বুঝবি মোর আচার।

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪

পদ

পদব্রজে পদ চলেছে পদে
এমন করে চলবে কি পদ শোধে !

বঙ্গ

বঙ্গ; মরি মম অহংকারে
তোমার ভাষার মধুর স্বরে
সৃজণে যে সুখ,
বঙ্গ; মরি সবুজ সরোবরে
তব গানের মধুর স্বরে
উন্নতশিরে বুক।

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪

যাচ্ছি ডুবে অতল জলে

তুমি ব্যাঙ্গেরমত ঘরকোণে
শীতনিদ্রাতে ঘর বানালে
আমার দেহের চর্বি কেটে
শীত বসতের চর্বি জমালে
তোমার মতো তুমি হয়ে
আপন সুখে দিন কাটালে।

আর আমি!!!
শীতহীমাঙ্কে ডাহুক ডুবে ফেনামুলে
যাচ্ছে দম যাচ্ছে বলে
তবু শিকারি হতে বাঁচব বলে
যাচ্ছি ডুবে অতল জলে।

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০১৪

আমাদের জীবন

জীবনটাকে আজীবন বয়ে-বয়ে ক্ষয়ে ফেরাতেই আমাদের জীবনের সর্বস্ব। মৌণ-মুর্চ্ছনায় এই আমাদের জীবনের সব বাসনাই তিক্ততায় ভরা। অলস বেলায় আমাদের সুখ স্মৃতি আসে না। সারাক্ষনই ঢুলু-ঢুলু ঘুম চোখে রাগিণীর বাসনায় পুষে যাওয়া ক্লেদাক্ত বেলায় আমরা অনুভব করি অপুরন্ত অশ্রান্ত হৃদয়ের অব্যক্ত জ্বালা।

দায়

দেখেও দেখিনা, কারণ বিবেক দেখার দায় সহে না...

বরাত

বরাতে নাই করাতের গুড়ি
আপনা আগুনে আপনি পুড়ি।।