বেশ কয়েক বছর আগেকার কথা। তখন প্রতিটি গ্রামের পরিবেশ বেশ মনোরম। মানে
তখন গ্রামে বাড়ি-ঘরের এতটা ঘেঁষাঘেষি ছিল না, সবুজে চোখ জুড়ানো ক্ষেতে
সকলের ভোর নামত আর সেখানে বসবাসরত লোকে‘রা বুর্জোয়া রাজনীতির “র” না জেনে
সবুজ-সরল গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকত। পরম স্নেহ মমতা কিংবা ভালোবাসার
সৌহার্দ্রে বেঁধে রাখা জীবনের গচ্ছিত গল্পগুলো তাদের ছড়িয়ে থাকত
পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষগুলোর সাথে। হেঁটে-হেঁটে তারা চষে বেড়াত
চারপাশের সৌন্দর্য্য; সৌকত। তারা একে অন্যের বন্ধনে, আনন্দ শীহরণে, উৎসবে
কিংবা পার্বণে ছিল পরমবন্ধু।
সে সময়ে গ্রামের বাড়িগুলোর নাম
নির্দেশিত হত দিক, ক্ষমতা, শিক্ষা কিংবা শ্রর্দ্ধাজন ব্যক্তির নামে। তবে
আশপাশের লোকেরা বলার ক্ষেত্রে দিকের উপরই বেশি নির্ভর করত। এই যেমন- বাড়ি
পূর্বদিকে অবস্থিত হলে পূবের বাড়ি, পশ্চিমে হলে হইশমের বাড়ি উত্তরে অবস্থিত
বাড়ি উত্তুরের বাড়ি আর দক্ষিণের বাড়ি দইনের বাড়ি। আমি এখন যে বাড়িটিকে
ঘিরে ঘটনাটি বলব, সে বাড়িটিকে সকলে কৌণার বাড়ি নামে চেনে।