শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ভাবনা

যে নিজের বিশ্বাস কে চেনে, বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করতে জানে, সে তার শ্রদ্ধা-বিশ্বাসে নিজের প্রত্যয়কে জানে। কিন্তু অবিশ্বাসী লোকদের কাছে সকলে স্বার্থপর ঠেকে।

প্রবচনঃ সংগ্রহ ননুদাদু থেকে

লেই রাখছি কলাহাত্রে, হুন মারাও গৈ হাত্রে হাত্রে।
( সংগ্রহঃ ননুদাদুর কাছ থেকে)
 

উপরের প্রবচনটি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত, যেটা আমি শুধুমাত্র আমার শ্রদ্ধেয় ননুদাদুর কাছ থেকেই শুনতাম। এখানে ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষাসমূহ- লেই=লিখে, কলাহাত্রে= কলারপাত্রে, হুন= মানব দেহের পশ্চাৎদেশ, মারা= মার খাওয়া/দেওয়া, হাত্রে- জমিনে/ক্ষেতে।
এই প্রবচনটি তিনি তখনই কেবল ব্যবহার করতে, যখন তিনি কাউকে কোন ভালো বিষয়য়ে বুঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে রেগে পড়তেন।

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

রহস্যময় পৃথিবী

পৃথিবীতে মানুষের বিশ্বাসের বাহিরেও অনেক কিছু ঘটে, মেনে নিতে না চাইলেও অনেক কিছু মানতে হয়। এমন কিছু না চাইলেও হঠাৎ মেলে আবার নিশ্চিত প্রাপ্য কাঙ্খিত বস্তুটি অদৃশ্য হয়ে যায়।

পৃথিবী রহস্যময় !!! তাই রহস্যভেদ করার ইচ্ছেও মানুষের মাঝে প্রকট। যদি পৃথিবী রহস্যহীন হত? তবে বেঁচে থাকার এতটা ব্যকুলতা কেহই বোধহয় এতটা বোধ করত না।

মানুষ বেঁচে থাকবে

[গল্পঃ মাতৃহৃদয়
এই কিছুক্ষন আগেই কাদিরমিয়ার পুকুর থেকে স্নান সেরে ঘরে ফিরলাম কানুর সাথে, শীতকালের এই সময়টাতে আমাদের বাড়ির তিনপাশে তিনটে পুকুর থাকলেও ফসলি জমির সেচ করতে-করতে শীতকালে প্রায় পানিশূণ্য হয়ে পড়ে। তাই এই সময়টাতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় মিনিট পাঁচ-সাতেকের পথ হেঁটে কাদির মিয়ার পুকুরে স্নান সারতে হয়। স্নান করতে গেলেই প্রায় প্রতিদিনই আমাদের গল্পের আসর জমে, চারপাশের ফসলি সবুজ জমি তার মাঝখানটায় গাছগাছালি ঘেরা পুকুরটি সাক্ষী হয়ে যায় আমাদের জীবনে পার করে যাওয়া কতশত গল্পের স্মৃতিকথায়। তাছাড়া কাদিরমিয়ার পুকুটির অবস্থান এমনস্থানে যেখানে শীতকালে পুকুরের পানিতে সূর্যের আলোয় কিছুটা তপ্ত থাকে, ফলে আশপাশের অনেকের পুকুর থাকার স্বর্ত্ত্বেও, শীতের ভয় ভেঙ্গে গোসল করতেও ওখানে ছুটে। যাই হোক স্নান সেরে এসে যখনই ঘরে ডুকলাম, ঠিক তখনই শান্তিঠাকুরমার চিৎকার শুনতে পেলাম। আমাদের বাড়ি হতে প্রধান রাস্তায় বের হতে একশ কদম পার হলেই তাদের বাড়িটি। শান্তিঠাকুরমা সম্পর্কে আমাদের রক্তের জ্ঞাতী, মানে আমার দাদার বাবার পক্ষীয় সম্পর্কের রক্ত। আর আমাদের হিন্দু সমাজে আমরা আজও বোধকরি অনেকে ৭ টা বংশধর পার হওয়া পর্যন্ত জ্ঞাতীকে চেনার চেষ্টা করে।

মাতৃহৃদয়

এই কিছুক্ষন আগেই কাদিরমিয়ার পুকুর থেকে স্নান সেরে ঘরে ফিরলাম কানুর সাথে, শীতকালের এই সময়টাতে আমাদের বাড়ির তিনপাশে তিনটে পুকুর থাকলেও ফসলি জমির সেচ করতে-করতে শীতকালে প্রায় পানিশূণ্য হয়ে পড়ে। তাই এই সময়টাতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় মিনিট পাঁচ-সাতেকের পথ হেঁটে কাদির মিয়ার পুকুরে স্নান সারতে হয়। স্নান করতে গেলেই প্রায় প্রতিদিনই আমাদের গল্পের আসর জমে, চারপাশের ফসলি সবুজ জমি তার মাঝখানটায় গাছগাছালি ঘেরা পুকুরটি সাক্ষী হয়ে যায় আমাদের জীবনে পার করে যাওয়া কতশত গল্পের স্মৃতিকথায়। তাছাড়া কাদিরমিয়ার পুকুটির অবস্থান এমনস্থানে যেখানে শীতকালে পুকুরের পানিতে সূর্যের আলোয় কিছুটা তপ্ত থাকে, ফলে আশপাশের অনেকের পুকুর থাকার স্বর্ত্ত্বেও, শীতের ভয় ভেঙ্গে গোসল করতেও ওখানে ছুটে। যাই হোক স্নান সেরে এসে যখনই ঘরে ডুকলাম, ঠিক তখনই শান্তিঠাকুরমার চিৎকার শুনতে পেলাম। আমাদের বাড়ি হতে প্রধান রাস্তায় বের হতে একশ কদম পার হলেই তাদের বাড়িটি। শান্তিঠাকুরমা সম্পর্কে আমাদের রক্তের জ্ঞাতী, মানে আমার দাদার বাবার পক্ষীয় সম্পর্কের রক্ত। আর আমাদের হিন্দু সমাজে আমরা আজও বোধকরি অনেকে ৭ টা বংশধর পার হওয়া পর্যন্ত জ্ঞাতীকে চেনার চেষ্টা করে।

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

হুঁশ ও ত্যাগ

একজন জীবন্ত ক্রুশ আর জাগতিক যত হুঁশ
ছড়িয়ে পড়ে সমাজে সংসারে
একজন জীবন্ত ত্যাগী আর সংসারে যত ভোগী
ছাড়ে সংসার যোগীরূপ ধরে!

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ক্ষমতা আর জীবন

চোখ রগাড়াতে-রগাড়াতে টকটকে লাল হয়ে গেছে, অনিয়মিত খাওয়া আর অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে চেহারার জলুস ভাঙ্গা শরীরের শীরদাঁড়াগুলো স্পষ্ট চোখে লাগছে। তবুও পেটের দায়ে আজ পথে নেমেছে ৬০ উর্দ্ধ বিনয় দত্ত। সারাদিন এধার-ওধার খুঁজে হয়নি তার আহারের ব্যবস্থা। চলার সামার্থ্য নেই তবু পরিবারের দায় বয়ে সংকোচে-সৌহার্দ্রে ফিরতে পারছে না। ঘরে যে পড়ে আছে তার জন্মান্তরের বন্ধিনী স্ত্রী মানষী, অকালে যৌবন খুইয়ে মরা ৩০ উর্দ্ধা একমাত্র কন্যা নীরা।

লজ্জায়; শারীরীক দূর্বলতায় পথ চলে না তার, তবু সংকুলান বুঝে না মনের শক্তি। বিকেল ঘনিয়ে এলে শ্রান্ত দেহ তার এলিয়ে পড়ে পথের কদম গাছতলায়। চোখ ভেঙ্গে আসে কিন্তু ঘুম আসে না, দিনভর কোন ভয়, হতাশা, বিষন্নতা তাড়িয়ে বেড়ায়। ঠিক তখনই দু‘চোখ ভিজে যায় অতীত স্মৃতির মূর্চ্ছনায়। বিনয় দত্তের মনে আসে সে দিনগুলোর কথা। দেশান্তরি হবার আগের দিনগুলোর কথা।

নষ্ট চেতনা

এ দংশন হতে নিস্তার মিলবে কিসে?
যদি দংশনে নতজানু হয় বিবেকের দায়,
মুক্ত হবার দায়ভার হতে মুক্তির মুহূর্তে?

ভাবতে গেলে অবাক হই!
মানুষ যদি মানুষই হয়, তবে এ দায় হবে কেন?
যে জন্মদাতা-জন্মদাত্রী রক্তধারায় পুষে, তাদের নিষ্ঠুর পরিণয়

চতুরতা

খেলাঘরে চতুর খেলোয়ার এলে- খেলার ধরন পাল্টায়, রুপ পাল্টায়
বলে এভাবে খেললে নাকি খেলা আরও নব্যতা পায়।
আমরা প্রতিদিনকার খেলার রুপ বদলায়ে খেলি। নতুনরুপের খেলায় মজি,
কিন্তু; দিনশেষে আমাদের রুগ্নরুপের খেলাই প্রিয় হয়।

খোঁজ

ধীর! আরও ধীর হয় চলার পথ
একলা চলতে পিচ্ছিল পথে শীতল হাওয়ায় জমে যাই
তবু উষ্ণতার আশায়, দেহ কেটে-কেটে শিরা খুঁজি
যেখানে জমেছে সে উষ্ণ রক্তটুকু...

দিনপড়েছে

চেতনার জীবন খর্ব হলে, ব্যবচ্ছেদের পর জীবন পাই
ভাবি এ জীবন কি জরায়ুর উৎপাদনের মতোই ক্রিয়াশীল?
দিনপড়েছে বলে প্রতিবাদী স্বর ঝিমিয়ে পড়ে নিরাশ্রয়ে।

খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী;
আমরা লজ্জিত, আমরা খুবই লজ্জিত আর দুঃখিত। দুঃখ ভারাক্রান্তচিত্তে বলছি- আপনার দল আওয়ামীলিগ কিছু শিখুক আর না শিখুক রাজনীতি করতে শিখেছে, তাই তাদের কাছে সবধরনের চলন-বলন-ধরন ‘ই রাজনীতির চালে চালিত করতে উৎসাহ দেয়। এখানে আমাদের আম-জনতার চাওয়া-পাওয়া তাদের কাছে বড় কিছু নয়, আমাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসে ইতোমধ্যে আপনারা তা আমাদের দেখিয়েও দিয়েছেন।

দেখছি

চেয়ে-চেয়ে দেখছি
কি করে মানুষ মানুষ হয়
অমানুষ জাতে যায়....

আমি আমার নিজেকে আকড়ে পড়ে থাকতে চাই

না আর ইতিহাস শুনতে চাই না,
ইতিহাস মিথ্যে বলে, ইতিহাস প্রতারণা করে
ইতিহাস আমায় কটাক্ষ করে, আমার চেতনা নিয়ে ব্যবসা করে
না, আমি আর ইতিহাসের দারস্থ হতে চাই না, সব প্রতারক, সব প্রতারনা। সবাই সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে, ইতিহাসকে মিথ্যে বানিয়ে দেয়। আমার বাঁচার দুয়ার রূদ্ধ করে ফেলে। আমি আর কোনদিন এই ইতিহাস আকড়ে ধরে থাকতে চাই না। আমি কেবল নিজের গোলার্ধকে আকড়ে রেখে বাঁচতে চাই।

দয়া করে বেঁচে থাকা বাকী চেতনাটুকু কেউ কিনতে আসবেন না, আমি আমার নিজেকে আকড়ে পড়ে থাকতে চাই।

আওয়ামীলিগের প্রতি-

চেতনার বীজ রোপণ করে,
আমাদের আবাদক্ষেত্র করলে
চারাগাছ গজালে এই আবাদে,
যত্ন করতে অন্যে দিলে?

ফল গজালে এই আবাদে,
ভাগ-ভাগি করে নিলে
আমাদের এই আবাদক্ষেত্র
বিরাণ করে দিয়ে গেলে?