বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

প্রচেষ্টা

যন্ত্র যদি পড়ে থাকে লক্ষ জনা মাঝে
যান্ত্রিক বিনা যন্ত্র কেমন করে বাজে।

উপরের দুটো লাইন গানের লিরিক। কিন্তু আমি এই লাইন দুটো দিয়েছি অন্য উদ্দেশ্যে।
যারা এই দুটো লাইনের মর্ম উদ্ধারে সমর্থ, একমাত্র তারাই বূঝতে পারে চলার পথটা কার সঠিক।

আমি সবসময় একটা বিশ্বাস ধরে রাখি এবং তা ধরে আকড়ে থাকি। আমাকে যখন পদচ্যুত পথ আকড়ে ধরে, তখন আমি নিজের মনের কাছে মণিষীদের বাণীগুলো উচ্চারণ করি-

“সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই।“
“যত্র জীব তত্র শিব।”
“জীবে প্রেম করে যে জন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর।”
অথবা নিজে চয়ন করে বলি-

“মানুষ বিনে ধর্ম কি ভাই পালন হবে শুদ্ধ, ধর্মের শান্তির বাণীতে যদি মানুষই বিদ্ধ।”
“অগত্য কোন পথে, শান্তি মিলে ভাই। মন যদি না শুদ্ধ রয়, বন্ধন মিলে কি তায় ”
অথবা
“আমার মাঝে আমি না রইলে, আমার দয়াল সে রবে কোনখানে। মানুষ না হয়ে মানুষ ভজব কেমনে।”

আমি জানি এই দুনিয়ায় স্রষ্টাই যখন নানানজনে কাছে নানানরুপে পরিব্যাপ্ত তখন বিভাজনে আমরা কতটা বিচ্ছিন্ন হই কিংবা আমরা সত্যিকারে মানুষ হবার পথটাতেই হয়ত বিভক্ত হয়ে পড়ি। তবু একটা উপায়েই কেবল আমরা সঠিকভাবে স্রষ্টার অণ্বেষন করতে পারি, তা নিজেদের মধ্যেকার মূল্যবোধ সৃষ্টি করে, মানবতাটুকু পরিশীল করে। পরিপার্শ্বের সাথে যুদ্ধ করে সত্যিকারের মানুষ হওয়া সত্যি দুষ্কর কর্ম । তবুও যতটা সম্ভব হচ্ছে চেষ্টা চালাচ্ছি, বাকিটা যিনি গন্তব্য স্থির করে দিয়েছেন তাঁর ইচ্ছে হলেই পৌঁছুতে পারব।

প্রশ্ন!

এখনও কি সম্মোহনে পল্লিগাঁয়ের রাখালিয়া
বাঁশিতে নেয় সখী ডাকি?
এখনও কি ঢোলের ঢুংয়ে পায়েতে বাজে ঘুঙ্গুর
খেলাঘরে নামে আলোর চাঁন কি?

বল হে সখী বল, রোদেলামন আজও কি ভিজে
চৈতালি মেঘবরণ ধারায়
আজও কি প্রতীক্ষা শেষে নয়নে নামে ঢল
ব্যাকুল মন কেঁদে-কেঁদে সারা।

এই তবে ভালোবাসা, ছুঁয়েছে মন তোমার
মরিতে হবে বীষের জ্বালায়
জানিও ওগো সখী, কলঙ্ক লাগিবে গায়ে
পুড়িতে হবে নিষ্ঠুর কালায়।

আত্মবিশ্বাস শূণ্য এবং সে কারও দায়িত্ব নিতে অসমর্থ্য

কারও মন যদি অন্যের আশ্রয় কিংবা অন্যের কাছ থেকে সুযোগ নেবার প্রত্যাশায় থাকে, মনে রাখুন তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস শূণ্য এবং সে কারও দায়িত্ব নিতে অসমর্থ্য।

সিরিয়াস কৌতুক সাথে প্রশ্ন (মিঃ বিন দেখার কারণে কৌতুকটির জন্ম সাথে প্রশ্নটির)

পাশের ফ্ল্যাটের পিচ্ছি অনুমান করি বয়েস দুই কি তিন হবে, অনেকক্ষন ধরে আব্বু-আব্বু করছিল। কোনদিক থেকে কোন সাড়া আসছিল না। আমি আমার রুমের চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম আমি ছাড়া আর কেউ নেই। বলুন তো পাশের ফ্ল্যাটের পিচ্ছি কাকে আব্বু-আব্বু ডাকছে?

অসহায় নিরাপরাধ কাকে বলে?



অসহায় নিরাপরাধ কাকে বলে?

আমি অসহায় নিরাপরাধ শব্দগুলো নিয়ে গোলযোগে পড়েছি। এতদিন আমার গোলযোগ ছিল না, কিন্তু রাজাকারদের ফাঁসি শুরু হবার পর থেকে কিছু বন্ধু-বান্ধবদের কথায় এই শব্দদুটি নিয়ে আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছি। এখনো আমার বন্ধুদের কেহ-কেহ উগলে বমি করে বলতে চাইছে, যাদের ফাঁসি দেয়া হচ্ছে তারা রাজাকার নয়। যদি জিজ্ঞাসা করি কেন? সহজে উত্তর দেবে- শুধু কি এরা রাজাকার? আওয়ামীলিগে রাজাকার নাই? সরকার যদি রাজাকারের বিচার করে থাকবে তবে, শুধু বিরোধীপক্ষকে কেন রাজাকার বলে ফাঁসি দিচ্ছে? প্রধানমন্ত্রীর নিজের বেয়াইও ত রাজাকার, তার বিচার করবে?

আমার প্রশ্ন দেখুন আর তাদের উত্তর দেখুন। প্রশ্ন কেন তারা রাজাকার নয়- আর উত্তর আওয়ামীলিগে রাজাকার নাই, বেয়াইও রাজাকার।

কোন সৌজন্যতা দেখাচ্ছি না, সরাসরি ভেবে নিচ্ছি তাদের মনস্তাত্ত্বিক ধ্যান-ধারনা আর কার্য্যবিধি। কিন্তু তারপরও একটি কথা তাদের উদ্দেশ্য করে আবার বলা- আজ যাদের রাজাকার হিসেবে ফাঁসি হচ্ছে- ঠিক কি কারণে এদের অসহায় নিরাপরাধ বোধ হচ্ছে?

এদের অর্থ-বিভব নেই? ক্ষমতা-দাপট নেই? বিদেশী লবিং নেই? তাদের জন্য লড়ার আইনজীবী নেই? এদের অবস্থা কি ঠিক এতই কর্পদস্ত যে, চাইলেই এদের অপরাধী প্রমাণ এত সহজতর? আইন-প্রশাসনের পক্ষে এদের অপরাধী প্রমাণ করা এতটাই সহজ? তবে অকারণে এদের রিভিউ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে? ঠিক কি কারণে এদেরকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আওয়াজ উঠছে? একদম সহজ করে বলি- পাকিদের সাথে আজও এদের কেন এত সখ্যতা দৃশ্যমান হচ্ছে?

এরপরও নিরাপরাধ অসহায়?

বলছি ভোদাই, তোদের যতই বুঝাই,

মাথায় যে মাল জমেছে তা ঝেড়ে ,মানুষ হবি? চেষ্টা বৃথাই।

আর একবার দেখুক পৃথিবী

সাকা চৌধুরীর মতো গলা মিলিয়ে বলতে চাই না- “ফাঁসি যখন নিশ্চিত তখন তা উপভোগই শ্রেয়!”

বরং বলতে চাই, আর একবার দেখুক পৃথিবী- “অপরাধীর ক্ষমা নেই, সে যত ক্ষমতাশালী কিংবা দাম্ভিক হোক না কেন।”

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

শরীরের বীষপোড়া

যখন শরীরে বীষপোড়া উঠে তখন তা সারাদেহ যন্ত্রণায় দহে।
আবার প্রদীপের শীখা বেড়ে পড়া ক্ষুদ্র আলোও রাত্রির অন্ধকারে অনেকটা পথ আলোকিত করে।

প্রোফাইল পিকচারে ফান্সের প্রতি সমবেদনা জানাতে ফান্সের পতাকা দেওয়াতে আমার যেসকল বন্ধুরা আহত হয়েছে, উপরের দুটো কথা তাদের জন্য। আইএসআইএস কে নির্দেশ করেই কথা দুটো। আশা করি আমাকে ভুল না বুঝে আমার কথাটি বন্ধুরা উপলব্ধি করবে।

আর একটি কথা, যারা আজ বলতে চাইছে লম্বা দাঁড়ি আর জুব্বা পড়ে আইএসআইএস নামধারী যারা ইসলামের নাম ভেঙ্গে এসব করছে তারা মূলত ইসলামের শত্রু। তাদের আবার অনেকেই দেখছি আইএস এর সাফল্যে খুশিতে গদগদ হতে। আইএস এর সাফল্যগাঁথা ছবিতে লাইক দিতে। সত্যি বলতে কি- আমার বিশ্বাস আইএসআইএস এর পতন হলে এরা সমভাবেই ব্যথিত হবে।

(অজ্ঞাতে কাউকে আঘাত করলে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)

পতন হোক সাম্রাজ্যবাদের

আদর্শিকতার ব্যাপারে মতের অমিল থাকলেও কোন ধর্মগ্রন্থে আমার অবিশ্বাস নেই। আমি আমার জীবনের যে মেরুতে দাঁড়িয়ে আছি, এখানে এসে দাঁড়াতে গিয়ে আমি যাদেরকে জীবনের আদর্শ কিংবা স্বরূপ মেনেছি- তারা কোন না কোন ধর্মের মতাদর্শী। তাই যুগ কিংবা কালের নাও বেয়ে যে সত্য আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাকে এক তুড়িয়ে মিথ্যা-বানোয়াট কিংবা অসত্য বলতে আমার কার্পণ্যতা সর্বাধিক। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, ধর্মগুলোকে কেউ-কেউ ইন্দ্রর্জাল বলতে চাইলেও এর অর্ন্তহীত যে বোধগুলো নিয়ে জগতে শীর্ষস্থানগুলোতে যারা পৌঁছেছে- ধর্মের আদর্শ কিংবা সারতর্ত্ত্ব যদি সত্যি বানোয়াট হত, তবে সে আকড়ে কেউ শীর্ষে পৌঁছতে পারত না।

কিন্তু ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি করা, এটাকেও আমি মানতে পারিনা। যেমন আমার কথাই যদি বলি তবে যে সত্যিটা সামনে এসে দাঁড়ায়, তাতে আমি দেখী- আমি চাইলেই অনেক কিছু মেনে চলতে পারি না। জীবনের অসঙ্গতিতে কিংবা সামাজিক অথবা পারিবারিক কারণে। যেহেতু অনেক ভাবনাকে কারণে অবহেলায় রাখতে হয়, তাই নিজের মনকে বুঝ দিতে কিংবা স্থির রাখতে আমাকেও নিত্য-নতুন কোন কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। অথাৎ আমার ব্যক্তিগত একটা মতাদর্শ আমাকে তৈরী করতে হয় স্রেফ নিজেকে বুঝ দিয়ে রাখতে।

পৃথিবীর ৯০ শতাংশ মানুষকে আমি একই কাতারে ফেলি। কারণ আমি মনে করি, যাদের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা শক্তিশালী রুপ নেয় নি, তারা কখনও কোন প্রকার নিজস্ব চেতনা কিংবা মতাদর্শ তৈরী করে চলছে না- হাজার শক্তিশালী যুক্তি প্রদান করলেও তা সত্য নয়। আর এই ধর্মীয় বাড়াবাড়িগুলোও এই ৯০ শতাংশ মানুষের হাত ধরেই তৈরী হয়। যারা না সঠিক ধর্মের সারতত্ত্ব প্রদানে সামার্থ্য, না জীবনের বাস্তবতায়। ফলশ্রুতিতে জীবনের সবক্ষেত্রেই এদের অবস্থান অনেকটা জগাখিচুড়ির মত। মানে এরা নিজেরাও শান্তিতে থাকতে পারে না, অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। আর এখানেই আধিপত্য বিস্তার করে মডারেটর, প্রমোটর কিংবা সাম্রাজ্যবাদীরা। এরা বিভ্রান্ত মানুষগুলোকে পেঁচিয়ে এতটাই গুলায় যে, সাধারণ মানুষগুলো নিজেরা সঠিক বলে ছুটতে বাধ্য হয়। তাতে সে খুন হচ্ছে নাকি তার মতো অসহায় কাউকে খুন করছে খেয়াল করে না। আর এখানেই সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থকতা।

পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক, আর পতন হোক সাম্রাজ্যবাদের সেই কামনা অহর্নিশ।

এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই

এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই
আমি যে কয়েকটা দিন বাঁচি ভাই...

আমি দুনিয়ার মোহে সব ভূলে যাই
পরকালের স্বর্গ খুঁজি কোথায়?

আমার ধর্মজ্ঞান নাই (আমার ধর্ম আচার নাই)
বেদ-কোরানের তত্ত্বসার জানিব কোথায়?
(আমার) রাত পৌহালে সংসারযজ্ঞে
সারাটা দিন কেটে যায়
এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই...
যারা করে ধর্মের আচার, জানে তারা তাঁর তত্ত্বসার
তাই পরপারের স্বর্গের আশায়, করে তা প্রচার।
শুধু বুঝি না তাদের এ কেমন বিচার
আমার এপাড় স্বর্গ পুঁড়ে করে ছাই
এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই...

আমি মূর্খ্য মানবভ্রুন, পাইব কোথায় তেমন জ্ঞাণীর গুণ
যাদের হাজার রকম নরক যন্ত্রণায়, টুটে যায় চোখের ঘুম
অজ্ঞাণী আমি ভাবী বসে, দেহের মধ্যে কোনস্থান আছে
দহণ ব্যথায় সমান না পৌড়ায়
এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই...
শুনি গুণীজনের কাছে, লক্ষ যোনি পর মানব এসেছে
মানব মুক্ত নিষ্কাম কর্মগুণে, স্বয়ং স্রষ্টা বলেছে
তবে স্বর্গ পাবার কর্ম কিসে, চলছে সবাই কিসের পিছে
অবিবেচক ভেবে কয় জানা নাই
এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই...

আন্তরিকতার অভাব দেখে

রাজন-রাজীব হত্যাকারীদের বিচারের যথাযথ প্রয়াসের জন্য সরকার আর বিচার বিভাগের প্রতি অকুন্ঠ শ্রদ্ধার্ঘ্য রইল।

কিন্তু এখনও কষ্ট পাচ্ছি সরকার-প্রশাসন-বিচারবিভাগের সাগর-রুনি, বিশ্বজিৎ, ত্বকী, সৌরভ, অভিজিৎ, হিমাদ্রী, নিলাদ্রী, ওয়াশিকুর বাবু, ফারুকী, রাজীব, অনন্ত বিজয়, দীপনসহ রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয়ভাবে আক্রান্ত মানুষগুলো হত্যার বিচারের ব্যাপারে আন্তরিকতার অভাব দেখে।

চাপাবাজি

দুইবন্ধু মুভি দেখছে, এসময় একবন্ধু কিছুক্ষন পাশে বসে চলে যেতে চাইলে মুভিতে মনোযোগী বন্ধুটি বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বলল, কিরে চলে যাচ্ছিস কেন? বসে মুভি দেখ, মুভিটি ভালো হবে মনে হচ্ছে।

বন্ধুটির কথা শুনে চলে যাবার জন্য উদগ্রিব বন্ধুটি বলল- আরে ছাড়। এই মুভি আমি আগে অনেক দেখেছি, মুভির আগাগোড়া সব মুখস্থ। বন্ধুর জবাব শুনে অপর বন্ধুটি বলল- কি বলিস? মুভিটি তো নতুন, তুই কি করে দেখলি? ঠিক আছে যদি দেখে থাকিস তবে কাহিনী বল-

জায়গায় ধরা খাওয়া বন্ধুটি আমতা-আমতা করে আদ্যপ্রান্ত ভাবছে কি বলবে....ঠিক এসময় একটি অ্যাকশান দৃশ্য চলছে, যেখানে নায়ককে দেখে ভিলেনরা পালাচ্ছে- এই দৃশ্য দেখে বন্ধুটি বলল- আরে ঐযে দেখছিস ছেলেটা, ওটা নায়ক আর হিরোয়িনটা নায়িকা। আর বাদ-বাকী প্রেম-রোমাঞ্চ-মারামারি-কাটাকাটি অন্য ছবির মত। তুই দেখ, কাহিনী আমি যা বলেছি এর বাহিরে কিচ্ছু নেই। অবশ্য তোর যেহেতু মুভি ভালো লাগে তুই মজা পাবি, দেখ দেখ, আমি গেলাম....

অনুকাব্য গুচ্ছ**

১)

বুঝিনা- নির্বিকার জীবনই কি কেবল বৃত্তবন্দি?
ফুল কি কেবল ডালের বন্ধনিতেই-
উজাড় করে মধু বিলায়?
ক্ষয়ে-ক্ষয়ে সুবাস বিলায়?
মুগ্ধতায় রুপসুধা বিলায়?

তবে- ক্ষয়ে যেতে বন্দি হব প্রাতঃরাশে!

২)

কিছু মানুষ ঘরে বসেই
যুদ্ধজয়ের গল্প লেখে
সৈনিক কিন্তু রণাঙ্গণেই
যুদ্ধজয়ের গল্প শেখে।

৩)
যে বোঝে তারে না হয় যায় বলা-
যে বুঝতে করে ছলা-কলা, তারে বোঝাতে কে নেবে জ্বালা?


সত্যিকারের ভালোবাসায় গড়ে উঠুক প্রতিটি সংসার-সমাজ-দেশ-পৃথিবী

যখন সমাজব্যবস্থা সাম্যবস্থায় পৌঁছার চেষ্টা করছে, তখন পুরুষালী সমাজ আড়মোড় ভেঙ্গে মোছড়াতে শুরু করেছে। আর ক্ষমতার বাহুবিন্যাস নারীর সাথে মিলিয়ে দেখাতে চাচ্ছে নারীর ক্ষমতা নস্যি তাদের তুলনায়। এখানে পুরুষালীসমাজ নারী ভূমিকা ধারন করতে চায় এবং নারীকে শেখাতে চায় তাদের ভালো-মন্দের ব্যাপারগুলো। ব্যাপারটা এমন- যেন নারীসমাজ তার ভেতরকার জাগ্রত সত্ত্বাকে কখনও উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। অথচ নিজেদের ব্যাপারে তাদের সচেতনতা আদ্যৌ জাগ্রত হচ্ছে কি?

কিন্তু এটা কেন হচ্ছে?

হচ্ছে কারণ- পুরুষ নারীসমাজকে দাবড়িয়ে রাখতে চায় নিজেদের ভেতরের পশুত্ব কিংবা অপকর্ম ডাকতে কিংবা নিজেদের চরিত্র চরিতার্থ করার মতো বাসনা যেন নারীর মধ্যে জাগ্রত না হয়, সে ঠেকাতে।

আমি সবসময় যা মনে করি তা হল- যেহেতু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আর্কষনটা স্বাভাবিক, তাই চারিত্রিক নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারটা ব্যক্তির ভেতর থেকে হওয়া উচিত। নারী যদি রাস্তা-ঘাটে পুরুষের উন্মুক্ত অঙ্গভঙ্গি দেখেও স্বাভাবিক পথ চলতে পারে, তবে নারীর পোশাকের দায় দিয়ে কেন তাকে হটানোর পয়তারা করা হবে?

নারী সমন্ধে বলতে গেলে অনেকের মধ্যে একটা সুর প্রায়ই উঠে, তা হল- নারীর দূর্বলতা তার মাতৃত্বে। অথাৎ নারীর অনিষ্ট সাধন খুবই সহজতর। তাই যে কোন অনিষ্ট তার চরিত্রে কালিমা লেপে দেবে। এখানে প্রশ্ন দাঁড়ায়- নারীর এ দূর্বলতা হবে কেন? এবং কালিমার ব্যাপারটা কেন একা নারীরক্ষেত্রে হবে? যদি কেউ নারীর অনিষ্ট করে তাহলে উপস্থিত নারী-পুরুষ দু‘জনের চরিত্রই তো শুদ্ধতা হারাল। তাহলে কলংঙ্কের দায় নারীর একার কেন? শুধু সন্তানের উৎপাদনের কারণ কিংবা সন্তানের লালন-পালন হেতুর দায়ে যদি নারীকে টুটি চেপে ধরে রাখা হয়, তবে একটাই উত্তর সন্মুখে এসে দাঁড়ায়, তাহল- পুরুষালীসমাজ বিবেকবর্জিত, এরা নিজেদের সাধু সাজানোর জন্যই কেবল নারীসমাজকে ঘরের ভেতর আটকে রাখতে চায় কিংবা কোনঠাসা করে রাখতে চায়।

জীবনগুলো জীবনের মতো পরিচ্ছন্ন হোক। দাবড়িয়ে রাখার পয়তারায় যে সন্দেহের দেয়াল তৈরী হচ্ছে তা ভেঙ্গে যাক। আর নারী-পুরুষের মধ্যেকার সত্যিকারের ভালোবাসায় গড়ে উঠুক প্রতিটি সংসার-সমাজ-দেশ-পৃথিবী।

গন্তব্যের পথ ধরে ছুটে চলছে তার সীমানা

সময়ের কথা বলছি- দেশ যে গন্তব্যের পথ ধরে ছুটে চলছে তার সীমানা তো কেবল নিষ্ঠুর পরিণতি।

না সে ভাবতে চাই না, তবু কেন জানি ভাবাচ্ছে-
বলি একদিন কি তবে স্বাধীনতার স্বপক্ষে লড়াকু সৈনিকদের কাছ থেকেই স্বাধীনতার অর্জনের জন্য লড়তে হবে?

নিজেকে স্তব্ধ করতে গিয়ে...

শুভাকাক্ষি প্রিয় মানুষগুলো বারংবার নিষেধ করছে কোন প্রকারের প্রতিবাদমূলক লেখা পোষ্ট করার ব্যাপারে। তাদের বারংবার নিষেধে কিছু লিখতে গেলেই একটা বাঁধার বলয় সামনে এগিয়ে আসে। বারবার মনে হয়- এ নিষেধ অমাণ্যতে তারা কষ্ট পাবে। কিন্তু বিচলিত মনকেও স্থির রাখতে পারি না।

মৃত্যু নিয়ে হাসপাস করা কিংবা মৃত্যুতে ভীত তত্রস্থ হয়ে পড়া সে এখন আমাকে এতটা আবেগী করে না। কিন্তু শুভাকাক্ষি মনগুলোর ভালোবাসা ডিঙ্গিয়ে মনের রক্তখরণগুলো বারবার মুছে নিতেও কষ্ট হচ্ছে খুব। কোন কিছুই ঠিক বুঝতে পারি না, শুধু ভাবনা আসে এভাবে নিজেকে স্তব্ধ করতে গিয়ে নিজের ভিতকার শক্তিটাকেই না স্তব্ধ করে দেই।