শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৩

অতৃপ্ত হৃদয়


গতকালও এখানের বাঁশঝাড়ের শন-শন বাতাসে কি যেন একটা ছিল
অতৃপ্ত প্রাণ সে!!!
জীবনের কোন সুপ্তশাপ তাকে গিলেছিল,
বিঁধেছিল প্রাণ তার অতৃপ্ত বাসনায়।

জীবনের লালায়িত সুখ, হাজারো বেদনার বেঁড়ী ভেঙ্গে ফেলে দেয়
উত্তাল জোয়ারে ভেস্তে যায় পাড়ের ধারে নীড়বাঁধা বাবুইয়ের স্বপ্ন।
তবু প্রাণের এপাড়ে সুখ কেড়ে নেয় পাষানের একঝলক আহ্বান।

পূর্ণাঙ্গতা

একজন মানুষ তখনই পূর্ণাঙ্গতা পায় যখন সে মানবতার জন্য দাসত্ব স্বীকার করতেও অঙ্গিকারবদ্ধ। নৈতিকতাহীন বুদ্ধিবৈশ্যা কিংবা চটকধার রাজনীতিবিদ‘রা মুখে যতই মিষ্টি বুলি আওড়ায় না কেন, মানুষ বলতে তাদের আমরা বাঁধা পাই। বিবেকই হয়ত চটকধারদের কখনো মানুষ বলেই স্বীকৃতি দিতে চায় না।

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৩

অভাব

জীবনের বিন্যাস যেখানে প্রতিনিয়ত শ্রেণী শোষন আর সামাজিক ভাগ বিভাজন, সেখানে মর্মস্পর্শী লোকের বড় অভাব হয়।

রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

আজীবনের ভয়

যখন কিঞ্চিৎ কারণে প্রিয় বিয়োগ হয়
তখন আরোগ্যেতেও জমে থাকে আজীবনের ভয়।

সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩

স্মৃতিচারণ

ঝাপসাদেখায় হাতের রেখায় ছবির মুখে হাতরায়ে
অবয়বটাকে টেনে নেই স্মৃতির কোলঘেষা বাদল বেলায়,
টপটপবৃষ্টির ধারায় ভেসে যায় তাই চোখেরকোণ!!

অনিষ্ট

মানুষ সুন্দরে আকৃষ্ট হয়ে তাকে নষ্ট করে ফেলে। ফুলের ক্ষেত্রেই দেখুন, গাছে তারা কত বিমেহিত থাকে অথচ মানুষ তাকে ছিড়ে অনিষ্ট করে।

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৩

খোঁজ

ভূলকে ভূলতে চেয়ে ভূলের মায়ায় আবদ্ধ হয়েই আমরা সুখ খুঁজি।

শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৩

সমস্যা

যদি সব শৃঙ্খলকেই ভেঙ্গে নতুন করে গড়তে পারি, তবে জীবনকে জীবনের রূপ দিতে আমাদের সমস্যা কোথায় বাঁধে?

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

ভাবনা

জীবনসংসার নিয়ে এত ভাববার কুসরত কোথায়
নয়নধারায় নোনাস্রোতের ঢেঁউ যেথায়?

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

হৃদয়ে থাকিও

নয়ণ নীদহারা
কুয়াশাধারা
বহে শীতে
আমার চেতনারা
পাগলপারা
অর্হনিশ প্রাতেঃ

তাহারে বিঁধিব
সুধিব
শোন প্রিয়
হৃদয়ে গাঁথিব
ভাবিব
হৃদয়ে থাকিও।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

সৃষ্টি

সৃষ্টি সৃষ্টিকে ধ্বংস করে অথবা নব্যরূপ প্রদান করে।

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

দায়ভার

ঐ দেখ, মরিবার কিযে স্বাদ তার
আমি মরব, সে মরবে; কে নেবে মৃত্যুর দায়ভার?

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

নিশন্তি

আজ চারাগাছটিতে নতুন দুটো পাতা গজালো। কি সুন্দর চকচকে দুটো পাতা। ভোরের আলোয় আলো খেলায়, মিষ্টি হাওয়ায় হাওয়া দোলায়। এ যেন নব আগমনে সুখের জোয়ারে আহ্লাদিত কচি দুটো পাতা। ছোট চারা কচিপাতা, দোলে খোলে স্বপ্নখাতা।
নিশন্তি ঘুম থেকে উঠে পাতা দুটো দেখে বড় আবেশিত হয়, ছোট্টখুকির অবুঝ মন, অবুঝ ভাবনাদের কথা-কথণ, কত কি বলে যায়, বার-বার টান পায়, ছুটে যায়। ধরে যত্ন করে, তার ছোঁয়ায় চারাটি শিহরিত হয়, দোলে, আনন্দে নড়ে।
ভোর সরে যায়, সকাল হয়। সূর্যের আলো বাড়তে থাকে। কৌলাহল বাড়ে, শব্দ ঝঙ্কারে ছায়াপূর্ণ হয়। খুশির কলরোল নামে, নিশন্তির খেলাঘরে। বন্ধুরা জড়ো হলে, সুখ লাগে। খেলা জমে। কতশত বর্ণিল রঙ্গে রাঙ্গে মাতানো মন, জীবন রাঙ্গানো খেলা। চলতে-চলতে ছুটে, পথে যেতে-যেতে কত হিল্লোল ঐ বাতাসের হিমে, রোদের ঘামে, খেলা জমে। খেলা বর্নিল, কোন খেলাই বেশী গড়ায় না, বন্ধুরা বাঁকে, কেউ কাঁদে, খেলা ভাঙ্গে, তবু খেলা চলে।

ভালোবাসার এবেলা ওবেলা

আমার ভালোবাসা এখন
মেঠোপথে হেঁটে চলা
চোরাকাঁটায় পা জড়িয়ে
অদূর বেলা
সকাল-সাঁঝে; একাকি একলা
ভেবে ভালোবেসে
মনের টানে, সবুজ বনে
আপন গানে; আত্মভোলা,
অনুরাগ আর অবহেলায়
দূরসবুজে দূ‘কূলঘেষে
নদীরটানে চালায়ে ভেলা (তরী)।

স্বপ্নশিখা যাব বয়ে পরস্পরে

তোমার ইচ্ছে হলেই এসো; এ আমার বৃষ্টিঝরা বাদল বেলায় কদমতলে
তোমায় তেমন কিছু দিতে না পারি; শূণ্য হাতে ফিরবে না ঠিক
কদমডালি বিছিয়ে দেব চরণতলে।

তোমার ইচ্ছে হলেই এসো; এ আমার নুড়ে পড়া কুড়োঘরে
তোমায় বসতে বলার স্থান দিতে না পারি; কষ্ট তোমার হবে না জেনো
আলো-ছায়া খেলবে যখন বদণপরে।