রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

জীবন ভূলে

দিন খায়; দিন যায়
বারো মাসে; তের ঘা
চোখ মেলে; চোখ খুলে
স্বপ্ন ঘুছে; জীবন ভূলে।

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০১৪

বাতাস বালিকা আর জল

সবুজ শিহরণে মুগ্ধ যে বালিকা; তাকে দেখে দৃশ্যলোকের শীহরণ কল্পলোকের ভাবনায় নিয়ে গেল, ভালোলাগায় মিশে গেল দু‘নয়ন। মাতোয়ারা সে রূপ-রঙে্ সুনীল আকাশে সুখ বিচরণে তাকে ছুঁয়ে দেবার একটু ইচ্ছেয় বাতাস তাকে ছুঁয়ে দিল ষড়ঋতু‘র ইচ্ছেবিলাষে। কখনো তাকে প্রজাপতি ডানার হিল্লোলে চুমি, কখনো ফুলের সৌরভে। স্বপ্নলোকে ছায়াখেলা চুমোয়-চুমোয় ভরে দিল কাললোকের রাত-বিরাত।

বালিকা সে শিহরণ অনুভবে বুঝেছিল!! তাই শিহরিত মনে ছল-ছল চোখে চঞ্চলা হরিণীর সুখে জড়িয়ে
নিয়েছিল। আর বাতাস? সেও মাতোয়ারা হয় প্রেম সিংহাসণে সম্রাট হয়ে। সে থেকে বালিকার মুখে সুখ জড়ানো স্মিত হাসিতে বার-বার পাগল হয়ে যেত, তার ওষ্ঠধ্বনি তাকে আরো ভাবুক করে তুলত। সে ভেবে-ভেবে ব্যকুল হত, তার দেহের পূর্ণতীথি, ও‘দু ঠোঁটের ঢেঁউ খেলা, কাজল মাখা চোখের তুলি, সুচালো নাকের দুল।বালিকার কোকরানো চুলের দ্যৌলাখেলায় তাই তার মুহূর্ত কেটে যেত একনিমিষে।

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

ভয়

দমনীতে বহমান রক্ত কদাকার
পাহাড় পাষাণ ওহে নির্বোধ দূরাচার,

মূ-হাঃ-হাঃ-হাঃ-হাঃ
ওহে হতাভাগা; জীবন তোর অসার
চিহ্ন হবে তোর মুন্ডু, বুঝবি মোর আচার।

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪

পদ

পদব্রজে পদ চলেছে পদে
এমন করে চলবে কি পদ শোধে !

বঙ্গ

বঙ্গ; মরি মম অহংকারে
তোমার ভাষার মধুর স্বরে
সৃজণে যে সুখ,
বঙ্গ; মরি সবুজ সরোবরে
তব গানের মধুর স্বরে
উন্নতশিরে বুক।

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪

যাচ্ছি ডুবে অতল জলে

তুমি ব্যাঙ্গেরমত ঘরকোণে
শীতনিদ্রাতে ঘর বানালে
আমার দেহের চর্বি কেটে
শীত বসতের চর্বি জমালে
তোমার মতো তুমি হয়ে
আপন সুখে দিন কাটালে।

আর আমি!!!
শীতহীমাঙ্কে ডাহুক ডুবে ফেনামুলে
যাচ্ছে দম যাচ্ছে বলে
তবু শিকারি হতে বাঁচব বলে
যাচ্ছি ডুবে অতল জলে।

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০১৪

আমাদের জীবন

জীবনটাকে আজীবন বয়ে-বয়ে ক্ষয়ে ফেরাতেই আমাদের জীবনের সর্বস্ব। মৌণ-মুর্চ্ছনায় এই আমাদের জীবনের সব বাসনাই তিক্ততায় ভরা। অলস বেলায় আমাদের সুখ স্মৃতি আসে না। সারাক্ষনই ঢুলু-ঢুলু ঘুম চোখে রাগিণীর বাসনায় পুষে যাওয়া ক্লেদাক্ত বেলায় আমরা অনুভব করি অপুরন্ত অশ্রান্ত হৃদয়ের অব্যক্ত জ্বালা।

দায়

দেখেও দেখিনা, কারণ বিবেক দেখার দায় সহে না...

বরাত

বরাতে নাই করাতের গুড়ি
আপনা আগুনে আপনি পুড়ি।।

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০১৪

চেতনার হাল-বর্তমান


মামা দেখ কি সব আজে-বাজে মিনিংলেস বিতিকিচ্ছা-

কোনটা মামা?

এই যে কবি লিখলেন-
”এমন জীবনের তুমি করিবে গঠণ
মরিতে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবণ।”
-এটা একটা কথা হল?

কি কও মামা আমার তো মনে হয় ঠিকই আছে। একটা মানুষের মহৎ জীবনের অনুভব মানুষের মাঝে সব সময় বিরাজ করবে।

কাঁটা-ফুল

কাঁটা-
সে থাকে গাছের অন্তঃশীরে গীটে
তীক্ষ্ণতায় দেহ বিঁধে
ব্যাথায় টুটে!

রঙ্গিণ ফুল-
সে ফোঁটে গাছের অন্তঃশীরে গীটে
সৌরভ-সৌন্দর্য্যে অন্তর বিঁধে
ব্যাথায় টুটে!

মনমানুষি হারাবে যদি সুদূর দূরে

ওপাড়ে যাবার যদি, সময় হয়ে এল
একপেগ মদ দাও, যন্ত্রনা ভুলি ঘোরে
মনমানুষি; হারাবে যদি সুদূর দূরে
বীষকাঁটা বিঁধে দাও, যন্ত্রনায় ভুলি তারে।

কি এত লাভ হলো, আশায় মন রাঙ্গানোয় ?
নীড় ভোলা সুখের পায়রা, দিগন্তে ডানা ছড়ানো
ভোলা যায় কি হায়, যে মন জড়িয়েছে
দিনে-দিনে তাকে ঘিরে…………


অনুগল্পঃ অনুরাগের প্রত্যয়!

দৈহিক কামসিদ্ধিরপর শিউলী যখন জানালো- আমাকে এখুনি বিয়ে করতে হবে, তা না হলে আমি বাঁচব না। তখন আমি না করলাম না। তাকে জবাব দিলাম, শিউলী আমি তোমাকে জান-প্রান দিয়ে ভালোবাসি, তুমিই বল তোমাকে ছাড়া আমি কি বাঁচব? তারচে চল আমরা এখুনী কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি। দু’জনের আগ্রহে আমরা বিয়ে করার উদ্দেশ্যে কাজীর অফিসের দিকে রওয়ানা হলাম।
মাত্র একমাসের চেনা-জানা আমাদের দু‘জনের। অথচ একমাসের মধ্যে আমাদের ভালোবাসার ঢেঁউয়ের জল স্থলবন্দরে এতটাই টইটম্বুর হয়ে উছলে পড়ছে যে, আমরা দু’জন দু‘জনার দৈহিক প্রনয়ে আবদ্ধ হয়ে গেলাম! ভালোবাসার সমাপ্তী টানতে আমরা তাই কাজী অফিসের দিকে যাচ্ছি! আমরা আজ ভালোবাসার পূর্ণরূপ দেব!
তখন আমরা কাজী অফিসের অর্ধেক পথে, আমার মাথায় নানান প্রশ্ন কেন জানী উঁকি-ঝুঁকি দিতে থাকল। তাই আমি তাকে বললাম শিউলী আমরা আজ ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে যাচ্ছি, তোমার কেমন লাগছে? লজ্জায় শিউলীর মুখ লাল হয়ে উঠল। ভালোবাসার চুড়ান্তরূপের এই সময়টায় তার হৃদয় যেমন আবেগগ্রস্থ, তেমনী ভালোবাসার শিহরণে তার মন খুব বেশী ব্যাকুল। হয়ত অজানা কোন শীহরণ তার মনেও হানা দিচ্ছে।

প্রলাপ

ঐ কে আছিস কোথায়, সামনে এসে দাঁড়া
এক ফুৎকারে সবকয়টাকে করে দেব হাওয়া।