রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

নিরুদ্দেশে যাত্রা

শব্দহীন পথে আমি পা বাড়াতে চাই
তবুও জনকৌলাহল মেতে রাখে আমায়
জানিনা কে কি বলতে চায় উৎসাহে
তবু নিরুদ্দেশে যাত্রা হোক, মনের আগ্রহে।

পথের বেলা

সবতো দেখী রঙ্গলীলা,
বাঁধন ছাড়া এই আমাদের কি আছে গো
থাকবার বাকী কি রঙ্গশালায়
হেসে কাটি আপদভোলা
এই আমাদের দিনগুলোসব যত্নে তোলা
পথের বেলা।

আমার জীবনটাই রক্তাক্ত প্রহারের প্রহরী

জীবনের দেয়ালে মাথা ঠুকে-ঠুকে বার-বার রক্তাক্ত হয়েও যখন দেখী জীবনকে আমি আগের মতোই স্নেহ-মমতায় বাড়তে দিচ্ছি, তখন ভাবার আর কোন কারণ থাকে যে; আমার জীবনটাই রক্তাক্ত প্রহারের প্রহরী?

আমি বিভ্রান্ত নই

মানুষ হিসেবে আমার মাঝে বিভ্রাট থাকতে পারে, কিন্তু আমি বিভ্রান্ত নই। আমার চোখের সামনে দিয়ে তোমাদের নিয়ত লুকোচুরি খেলা দেখেও আমার চুপ থাকা দেখে ভেব না, বোঝার ক্ষমতা আমার কমে গেছে। আমিও শুধু অপেক্ষা করছি তোমার খেলার শেষধান‘টা দেখতে। জয়-পরাজয় সেতো খেলার শেষে নির্ণয় হয়; নাকি.......?

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩

বেওয়ারিশ নাভীমূল আজ ছেদ করে নিচ্ছে জগতের সব সুখ-সৈকত


বড় বেদনাসক্ত প্রাণ বয়ে যাচ্ছি, বেঁচে থাকার কথা ভাবতেই আৎকে উঠি। চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই মন্টু পাল, সুমিদের প্রজ্জ্বলিত আগুনের দগ্ধতা থেকে বেঁচে থাকার অপ্রাণ চেষ্টা, আত্মচিৎকার। উহঃ, চিৎকার দেহের প্রতি রন্ধে-রন্ধে প্রতিয়মান হচ্ছে। চিৎকার বেঁচে থেকে স্বপ্ন দেখার স্থানটাকে বড় অমানবিকতায় ছিরে-ছিরে ছুড়ে ফেলছে সহিংসতায়। হায়; আর চোখ বুঝে থাকতে পারছি না। কত নৃশংসতা, কত অষ্পৃষ্টতা, ঘৃণায়-ঘৃণায় হৃদয়টাকে ছিহ্ন-বিছিহ্ন করে দিচ্ছে। বলছে আমি মানুষ বড় অমানবিক, আমি মানুষ পশুর গর্ভদায়ে স্তম্বিক।

মৃত্যু!!!!


মৃত্যু!!!!
নিতে হবে স্বাদ, জন্ম যখন বন্ধন তাড়নায়
প্রহর কেটে, পশ্চিম দিগন্তের ঐ আভাটুকু
পৃথিবীর সুখ খুঁজে নিতে, অমৃত মন্ত্রণায়।

ঐযে; বেদী,
সেখানে সংসার খেলা চলে
স্বপ্ননিয়ে কতজন খেলতে যায় খেলাঘরে।

পুঁজিবাদী সমাজের সমাচার


গত তিনদিন ধরে লিটন‘দার একটু-আধটু সান্নিধ্য পেয়েছি, পেয়েছি এমন কয়েকটি সামাজিক আর বৈষয়িক বিষয়ে ধারণা যা সত্যি ভাবনার। এমন কিছু সচেতন ধারনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তাকে। দাদা আমাকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন-সমাজের পুঁজিবাদী‘রা নিজেদের হীণস্বার্থ উদ্ধারের জন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে কৌশলে এমনভাবে ধাঙ্গা বাঁধিয়ে চলছে যাতে করে আমরা যারা সমাজে বেঁচে থাকার জন্যই বেঁচে থাকি, তারা পরষ্পরের সাথে খড়গ হস্তে লিপ্ত থেকে পরষ্পরকে নিঃশেষ করে যাচ্ছি। প্রকান্তরে স্বার্থণ্বেষী‘রা নিজেদের এমনভাবে প্রচারের সুযোগ পাচ্ছে যে, তাতে মনে হতে থাকবে আমাদের যা কিছু আশা-প্রশ্বাস তা তাদেরই জন্য সম্ভব হচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে মোটেই তা নয়। প্রত্যেকটি ব্যাপার তারা সমাজের আধ্যপৃষে্ঠ এমনভাবে জড়িয়ে দিচ্ছে নিজেদের অজ্ঞতায় আমরা সেসব হতে কখনোই পারছি বের হতে পারছি না অথবা সেসব আমাদের ধারণা কিণারেই ঠাঁই পাচ্ছে না।

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৩

খেলা ও অশ্রু

কত সুন্দর করে রাজনৈতিক ময়দানের উত্তপ্ত খেলা চলছে,
তখনো আমাদের চোখের অশ্রুজল পৌঁড়া ঘর আর মন্দিরের পাণে চেয়ে ঝরছে।

শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৩

ভাবের দেশ

ভাবের দেশে লরের গাড়ী উল্টো দিকে চলে
সে গাড়ীতে পড়শি‘জন নাই, একা পৌঁছি ঘরে।।

চরিতার্থ

যে রাজনীতিতে সুবিধাভোগীর সংখ্যা দেশের মোট জনগনের ১০ শতাংশ কিংবা তারও কম, সে রাজনীতির মূখ্য উদ্দেশ্য রাজনীতি হয় না, মূখ্য উদ্দেশ্য ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে নিজ দল বা ক্ষমতালোভীদের স্বার্থন্বেষী মনোভাব চরিতার্থ করানো।

মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৩

দেখী হাসাতে পারি কিনা?

প্রযুক্তির ছোঁয়া জনজীবনকে দিয়েছে আকাশচুম্বি সফলতা, তারই ধারাবাহিকতার জের ধরে আজ জনজীবন হতে চলেছে যান্ত্রিক, প্রানহীন। যান্ত্রিকতার বেড়ানালে চাপা পড়ে ধীরে-ধীরে মানুষের মধ্যে মানষিক অশান্তি বাড়ছে দিনকে-দিন। আর এই মানষিক অশান্তির একমাত্র ঔষধ একচামচ হাসি। জীবনকে ঝরঝরে রাখতে প্রতিদিন তিনবার করে এই ঔষধ পান করুন। কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভাবছেন? ভয় নেই, সম্পূর্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত এ ঔষধ বিনামূল্যে সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে। বিনা পয়সার জিনিস বলে ভাবছেন? ভয় করবেন না, শুধু একবার মনে করতে চেষ্টা করূন- আমরা বাঙ্গালি জাতী, আর এ জাতীর গৌরব আছে এ ব্যাপারে। বাঙ্গালি বিনাপয়সায় পেলে আলকাতরাও খেতে রাজী। হাঃ হাঃ হাঃ, দেশপ্রেমিক বাঙ্গালি ভাইরা, দয়া করে মন খারাপ করবেন না। আমরা দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে একটাকা ঘুষ খাওয়ার জন্য মানুষের জীবন ছন্নছাড়া করে দিতেও ভাবি না। দুঃখিত, আবার ভুল করে ফেললাম তাই ভুলের মাশুল হিসেবে নিচে দুটো সত্য ঘটনার আর দুটো শোনা কৌতুক দিচ্ছি।

গর্বিত আগামি প্রজন্ম!

যুগ বদলেছে........
চারিদিকে আজ পালাবদলের হাওয়া। প্রকৃতির আনাচে-কানাচে পালাবদলের ঢেঁউ। সুন্দর বদল, কত সৃষ্টি-সৈকতের আগমণী বার্তা, বৈচিত্রের রঙ্গে-ঢঙ্গে বর্নিল।
সত্যি কি তাই! এই বদল শৃঙ্খলিত? এই পালাবদলের সুর কি বৈচিত্র্যের আহ্বানে চির-সুন্দর?
ঠিক আছে, আসুন আমরা একটা পালাবদলের চিত্রফট দেখী।
কি???? শালার বাচ্চা শালা, ইয়া...........

মুক্তির ক্ষুধা

সে অনেকদিন আগেকার কথা, এক বনে ছিল এক দুষ্ট বাঘ, তার হিংস্রতায় ছিল বনজীবন ও জনজীবন অতিষ্ট। একদিন এক দুষ্ট শিকারীর ফাঁদে ধরা পড়ে খাঁচায় বন্দি হয় বাঘটি। ফলে বনজীবন ও জনজীবনে নেমে আসে সুখের বারতা।
এভাবে কিছুদিন কেটে যায়, দিনের পর দিন খাবারের অভাবে বাঘটি ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং পথিমধ্যের লোকজনকে আকুতি-মিনতি করে তাকে ছেড়ে দেবার জন্য। কিন্তু দুষ্টবাঘের ব্যাপারে সবাই জানত বলে কেউ তাকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়না। শেষে এক সহজ-সরল লোক বাঘের মায়াকান্নার মোহজালে ধরা পড়ে বাঘটিকে ছেড়ে দেয়। অবাক ব্যাপার হল বাঘটি বেরিয়ে এসে লোকটির উপর কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে ক্ষুধার তোপে তাকে খেতে ছুটে যায়। অনেক অনুনয়-বিনয় করেও লোকটি বাঘটির হাত থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে পায় না। পরিশেষে ধূর্ত শিয়াল পন্ডিতের বুদ্ধিতে লোকটি প্রানে রক্ষা পায়।

নিদ্রিত হোক বেঁচে থাকার সুপ্ত বাসনাটুকুও

নিয়নের আবছা আলো ছড়ানো। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঐ আলোয় পথ দেখে চলতে হয়। রেললাইনের স্লিপার ধরে তেজতুরি বাজারের মোড় দিয়ে বাসায় ফিরছি। হঠাৎ একটা ব্যাপার চোখে পড়তেই আমি থমকে দাঁড়ালাম। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে যে আবছা আলো পড়ছে তাতে আমি প্রথমে কিছু না দেখতে পেলেও ভালোভাবে খেয়াল করতেই যে দৃশ্য দেখলাম তাতে হতবাক না হয়ে উপায় ছিলনা। আমি দেখলাম ঘুটঘুটে ঐ অন্ধকারে একটা লোক জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে। তার দেহের গড়ন চিকন ছিপছিপে, কালো। পরনে একটা লুঙ্গি যা কিনা বুক হতে হাঁটু অবধি জড়িয়ে আছে।

কঠিন বাস্তবতাঃ জননী

জননী ইট ভাংছিল, খেলছে নিজে-নিজে তার কোলের শিশুটি।  অনেক সময় পর শিশুটি খেলা সাঙ্গ করে মায়ের সান্নিধ্য পাওয়ার আশায় কান্না জুড়িয়ে দিল । মায়ার মোহজালে আবদ্ধ জননী আর নিজেকে স্থির রাখতে পারল না, ছুটে এলো নাড়ির টানে। হাতুড়ির কষাঘাতে শক্ত খসখসে হাতে সন্তানকে আপনার বুকের কাছে টেনে নিল। অথচ শক্ত খসখসে হাতের পরম মমতায় শিশুটির কান্না থেমে গেল। জননী শিশুটিকে আপনার বুকের দুধ খাইয়ে আবার খেলতে বসিয়ে দিলেন।কিন্তু; শিশুটি এখন আর নিজে- নিজে খেলতে রাজী নয়, সে খেলার সঙ্গি হিসেবে জননীকে প্রত্যাশা করে।