আরাম-আয়েশ আর নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তার আশায় সকলে কদম রাখতে চায়, অথচ পরবর্তী কদমের নিশ্চয়তা নিয়ে কেউ ভাবতে রাজী নয়।
শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
জীবনের নিশ্চয়তা
নিয়মিত জীবনে অনভ্যস্ত
যারা নিয়মিত জীবনে অনভ্যস্ত, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ কাঁটায় জড়ানো।
কাপুরুষ
যেকোন দেশের সেনারা সে দেশের গর্ব-অহংকার, কেননা তারা দেশের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখে সেনা হিসেবে অংশগ্রহন করে আর প্রত্যয় ব্যক্ত করে নিজ জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অবধি দেশ ও মানুষের কল্যানে ব্যয় করার। তারা যেকোন অনাকাক্ষিত অনাগত ভয়-বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে দেশ মানুষের ভুলুন্ঠিত সম্মান ফিরিয়ে দেবার কিংবা ধরে রাখার অঙ্গিকারে সদা থাকে প্রস্তুত।
যুদ্ধ হয় সমানে-সমানে! যে যুদ্ধ শুরুর আগেই কারও পরাজয় শতভাগ নিশ্চিত করে রাখে, তাকে যুদ্ধ বলাটা অসম্মানের আর তাতে অংশগ্রহণ করা সেনাদের দেশপ্রেমিক না বলে কাপুরুষ ভুষণে আখ্যা দেয়াটা অধিকতর যুক্তিযুক্ত।
আমি রোহিঙ্গা জনগনের পক্ষে, যে যতভাবেই যুক্তি-তর্ক প্রদান করুক না কেন, কয়েকজন হিংস্র উন্মত্ত জানোয়ারের কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে একটা জাতিগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দেবার পয়তারা করা, ঘটনার সত্যতাকে সন্দিহান করে তোলে। যদি সত্যিকারেই ক্যাম্পে ঢুকে সেনা হত্যাযজ্ঞ হয়ে থাকে, তবে সে ঠেকাতে না পারার কিংবা নিজেদের কর্তব্যের ব্যাপারে সজাগ না হবার ব্যর্থতা তো রাষ্ট্রের। এটা রাষ্ট্রের দূরদর্শিতাকে প্রশ্নযুক্ত করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদের ন্যায় কর্তব্য সম্পর্কে, যারা দেশকে পাহারা দেবে বলে নিজেদেরই পাহারা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আর এই সুযোগটাকে ব্যবহার করছে সুযোগ সন্ধানীদল, যা রাষ্ট্রকে বরাবার অযাচিত ভাবনায় ফেলে দিতে যথেষ্ঠ। অথচ রাষ্ট্র যে কিনা নিজের দূর্বলতা ঢাকতে না পেরে যুগ-যুগ ধরে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীকে অবাঞ্চিত ঘোষনা দিয়ে কাপুষোচিত হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে।
সহস্রাব্দের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখছি এই সহিংস নেক্কারজনক ঘটনাকে বিশ্ব কি করে সহে যাচ্ছে। আজ চোখ মেলে চারিদিকে তাকিয়ে বুঝতে অক্ষম আমি আর আমার বোধ। ভাবছি, এ মানুষের মানবিক আত্মার পচন নাকি অমানুষের যাতনা সইতে না পেরে পলায়ন!
না, কাপুরুষ সেনাদলের এভাবে সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে মানুষ হত্যা আমি কোনভাবেই মানতে পারছি না, মানতে পারছি না একের অন্যায়ে অন্যকে দূর্বিসহ জীবনে ঠেলে দেয়া, নিষ্কোমল জীবনগুলোতে তীব্র ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়ে আরও কতগুলো সহিংস জীবনের উত্থানকে।
বাঁচি কেমনে প্রেম বিহনে
আরাধ্য দেবতা আমার-
সেও ব্যাকুল প্রেমনুরণনে
পরিব্রাজক হয়ে তবে
বাঁচি কেমনে প্রেম বিহনে!
সেও ব্যাকুল প্রেমনুরণনে
পরিব্রাজক হয়ে তবে
বাঁচি কেমনে প্রেম বিহনে!
প্রয়োজনের গল্প
একদিন তোমার প্রয়োজনে তুমি জন্মালে,
আমার প্রয়োজনে আমি-
এরপর পরস্পরের প্রয়োজনে আমরা এক হলাম
আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ল প্রয়োজনের গল্প
আমার প্রয়োজনে আমি-
এরপর পরস্পরের প্রয়োজনে আমরা এক হলাম
আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ল প্রয়োজনের গল্প
প্রিয় প্রতীক্ষায়
বসন্ত তরু-
কলি ছড়িয়ে ফুল দিলে
পাপড়ি ছড়িয়ে সন্তরিত-সম্ভোগ;
কুঞ্জলয়ের ভ্রমর ফিরিতে কহিও
প্রিয় প্রতীক্ষায় প্রেমিক হৃদয়ে
জমে অনুযোগ।
কলি ছড়িয়ে ফুল দিলে
পাপড়ি ছড়িয়ে সন্তরিত-সম্ভোগ;
কুঞ্জলয়ের ভ্রমর ফিরিতে কহিও
প্রিয় প্রতীক্ষায় প্রেমিক হৃদয়ে
জমে অনুযোগ।
বন্যার আর আমি?
জানতাম ঝড়গা ছাড়া প্রেম জমে না, কিন্তু তাই বলে এতটা? দিনে-দুপুরে ঘরে-বাহিরে এতটা নিলর্জ্জতায়? বন্যার উপর খুব রাগ হচ্ছিল, কষ্টও। উপরওয়ালাকে মনে-প্রানে ডাকছি, যেন এই লজ্জা হতে মুক্তি মেলে। কিন্তু বন্যার নিলর্জ্জ গা বেড়ে ঢলে পড়া, শরীরটাকে জড়িয়ে ধরে যেখানে-সেখানে টেনে নিয়ে যাওয়া, কিছুতেই রুখতে পারছিলাম না।
আজ সত্যি হতভম্ব আমি! আদি খোলস চুকিয়ে নিতে চায় সমস্ত সম্পর্কের বেড়ী বিন্যাস। অথচ কয়দিন আগেও কত আত্মদম্ভ সম্মান অহং সমুজ্জল ছিল। যৌবনের তেজদীপ্ত উচ্ছ্বাসে কত ছল্ - ছটাকে ছুটেছিলাম দিক-বিদিক। অথচ আজ অনন্তযৌবন ছৌঁয়া উদ্দীপনা মিটে দিচ্ছে প্রণয়বৃন্তের মন্ত্রণায়। আজ দন্ডায়মান পরিস্থিতি লোক সরোবরে নিস্তেজ করে দিচ্ছে উজ্জ্বল আলোকশিখার প্রেম পরিব্রাজক সূর্য্যটাকে।
বড় বিরহিত এই অনুলব্ধ বিন্যাস। সান-সৈকত আর আত্মগরিমার জমিয়ে রাখা অনুসঙ্গকে আজ বিদীর্ন করে তুলছে প্রতিটি খরস্রোতা ঢেঁউয়ের লয়। জীবনের সমস্ত লেনা-দেনা মিটে যাচ্ছে প্রাপ্তী-অপ্রাপ্তীর হিসেব-নিকেশে। পাবার সৌন্দর্য্যও আজ বিমুখ, বিভূষণে রঙ্গিন করে দেবার মতো সমস্ত চাকচিক্য আর অন্তরের গচ্ছিত সমস্ত স্বপ্নের আদিলেখা মুছে যাচ্ছে খাবি খাওয়া চুমুর রহস্যে। ভালোবাসার চিত্রপটে তাই এ এক দুর্বিসহ যন্ত্রণা।
প্রেম সমস্তই বিসর্জনের, প্রেম সমস্তই লেনদেনের। তাই সমস্ত হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে বন্যার গ্রাসে সলিল একটি পরিযায়ী পাখির নীড়ের, একটি পরম যতনে আগলে রাখা মধুর স্বপ্নের।
[লেখা পড়ে কেউ না আবার খারাপ কিছু ভেবে বসে তাই নিচে বি. দ্রঃ দিয়ে দিলাম]
[বি. দ্রঃ- আজ বাহারাইনের এক কাষ্টমার কল দিয়ে বলল- বিপ্লব ভাই, আমাদের এখানে তো বন্যায় সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাকেও মনে হয় ভাসতে হবে। তাকে মজা করে বললাম- ভাইয়া, বন্যার সাথে আপনার কাজ কারবার কি? তারই প্রেক্ষিত ধরে, বন্যা আর আমি।]
আজ সত্যি হতভম্ব আমি! আদি খোলস চুকিয়ে নিতে চায় সমস্ত সম্পর্কের বেড়ী বিন্যাস। অথচ কয়দিন আগেও কত আত্মদম্ভ সম্মান অহং সমুজ্জল ছিল। যৌবনের তেজদীপ্ত উচ্ছ্বাসে কত ছল্ - ছটাকে ছুটেছিলাম দিক-বিদিক। অথচ আজ অনন্তযৌবন ছৌঁয়া উদ্দীপনা মিটে দিচ্ছে প্রণয়বৃন্তের মন্ত্রণায়। আজ দন্ডায়মান পরিস্থিতি লোক সরোবরে নিস্তেজ করে দিচ্ছে উজ্জ্বল আলোকশিখার প্রেম পরিব্রাজক সূর্য্যটাকে।
বড় বিরহিত এই অনুলব্ধ বিন্যাস। সান-সৈকত আর আত্মগরিমার জমিয়ে রাখা অনুসঙ্গকে আজ বিদীর্ন করে তুলছে প্রতিটি খরস্রোতা ঢেঁউয়ের লয়। জীবনের সমস্ত লেনা-দেনা মিটে যাচ্ছে প্রাপ্তী-অপ্রাপ্তীর হিসেব-নিকেশে। পাবার সৌন্দর্য্যও আজ বিমুখ, বিভূষণে রঙ্গিন করে দেবার মতো সমস্ত চাকচিক্য আর অন্তরের গচ্ছিত সমস্ত স্বপ্নের আদিলেখা মুছে যাচ্ছে খাবি খাওয়া চুমুর রহস্যে। ভালোবাসার চিত্রপটে তাই এ এক দুর্বিসহ যন্ত্রণা।
প্রেম সমস্তই বিসর্জনের, প্রেম সমস্তই লেনদেনের। তাই সমস্ত হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে বন্যার গ্রাসে সলিল একটি পরিযায়ী পাখির নীড়ের, একটি পরম যতনে আগলে রাখা মধুর স্বপ্নের।
[লেখা পড়ে কেউ না আবার খারাপ কিছু ভেবে বসে তাই নিচে বি. দ্রঃ দিয়ে দিলাম]
[বি. দ্রঃ- আজ বাহারাইনের এক কাষ্টমার কল দিয়ে বলল- বিপ্লব ভাই, আমাদের এখানে তো বন্যায় সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাকেও মনে হয় ভাসতে হবে। তাকে মজা করে বললাম- ভাইয়া, বন্যার সাথে আপনার কাজ কারবার কি? তারই প্রেক্ষিত ধরে, বন্যা আর আমি।]
ভন্ড ও ভবিতব্য
মানুষকে মানুষ ভাবতে পারা, বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ হতে শেখা আর মানবতা জাগ্রতকল্পে সচেতনতাই কেবল বিশ্বব্যাপী খুন-ধর্ষণ-আহাজারি কিংবা জাতি বিদ্বেষের মাত্রা কমাতে পারে।
যারা নিজের দেশের সংখ্যালঘুদের নিধন উল্লাসের সহিত করে শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিবোধ আর জাতিসত্ত্বার দোহাইয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য কেঁদে-কেটে চৌচির হচ্ছে, এরাও ভন্ডশ্রেনীর।
আমি শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি, যারা এদেশে সংখ্যালঘুদের মানুষ বলে মনে করে না, তাদের ক্ষয়ক্ষতিতে মনে-মনে খুশি হয় অথচ রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের বিবেকের দরবারে কুঠারাঘাত হচ্ছে, যদি সত্যিকারের বিবেকবান সমাজের ধরুন আমাদের দেশে রোহিঙ্গারা স্থায়ী আবাস পায় এবং এই দেশে সংখ্যলঘু‘রা নিছিহ্ন হয়। সেদিন এদেশের এই কপট ভন্ডধারী‘রাই অস্ত্র উছিয়ে রোহিঙ্গাদের কতল করতে ছুটবে বহিরাগত বলে।
বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬
অসার জন্ম
জন্মে যাদের তীব্র ঘৃণা
মর্মে তাদের কি?
রক্ত গঙ্গা সাঁতরে সেথায়
মানুষ খুঁজেছি
মানুষ খুঁজেছি আতুরঘরে
খুঁজেছি অন্ধ কবরে
বসতঘরের চারপাশ খুঁজেছি
অষ্ট প্রহর ঘুরে
ঘুরে-ঘুরে খয়ে জন্ম
আয়ু করি পার
মর্ম চোখের চর্ম তুলে
জন্ম হয় অসার।
মর্মে তাদের কি?
রক্ত গঙ্গা সাঁতরে সেথায়
মানুষ খুঁজেছি
মানুষ খুঁজেছি আতুরঘরে
খুঁজেছি অন্ধ কবরে
বসতঘরের চারপাশ খুঁজেছি
অষ্ট প্রহর ঘুরে
ঘুরে-ঘুরে খয়ে জন্ম
আয়ু করি পার
মর্ম চোখের চর্ম তুলে
জন্ম হয় অসার।
মানুষ শ্রেষ্ঠ নাকি নিকৃষ্ঠ?
সব মানুষকে বিবেচনায় নিলে মানুষকে শ্রেষ্ঠ বলতে দ্বীধা জন্মে। কিছু মানুষ আছে যাদের গুয়োপোকা বলাই বেশী সমীচিন, ওদের জন্মস্থান পরিচয় নির্ধারন করে। যুক্তির খাতিরেই বলি- শুধু কি জ্ঞান বিবেচনায় মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে পারে?
না; মানুষকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে পারছি না, বরং এদের এমন এক চিজ মনে হয়, যারা-
না; মানুষকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে পারছি না, বরং এদের এমন এক চিজ মনে হয়, যারা-
১) নিজেদের ধর্মে বিভক্ত করে, কর্মে বিভক্ত করে, জাতে বিভক্ত করে
২) এরা বাঁচাতে ঔষধ বানায়, মারতে অস্ত্র বানায়
৩) কখনও কারও ঘর তুলে দেয়, কারও টা আবার পুড়িয়ে দেয়
৪) সেবায় কখনও অসুস্থকে বাঁচিয়ে তোলে, আবার সুস্থকে খড়গে খুন করে
৫) সময়ে যতটা মমতায় আগলে রাখে, পুরোলে তারচেয়ে বেশী তাড়ায়
৬) স্বার্থ থাকলে শ্রদ্ধা করে, পুরোলে লাথি মারে
৭) কখনও পথ থেকে তুলে নেয়, কখনও আবার ঘর ছাড়া করে
৮) আদর-মমতায় কাউকে পরিপূর্ণ করে তোলে, কারও জীবনকে অবলীলায় বীষময় করে তোলে
৯) ডান হাতে পেট পুরে আর বাম হাতে বিষ্ঠা সাফ করে
১০) আর নিজের বিবেচনায় নিজেকেই শ্রেষ্ঠের দাবিদার করে বসে
না; আমার বিবেচনায় প্রাণিজগতের শ্রেষ্ঠ মানুষ!!! এ কোনভাবেই বিবেচিত হচ্ছে না। শ্রেষ্ঠ‘রা বরাবরই শ্রেষ্ঠ হবে তাদের নিষ্ঠায়-কর্মে-গুণে। তারা মহিমাণ্বীত হবে ক্রমাণ্বয়ে। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার মানুষদের ঠিক কতজন আজ নিজেকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারছে?
২) এরা বাঁচাতে ঔষধ বানায়, মারতে অস্ত্র বানায়
৩) কখনও কারও ঘর তুলে দেয়, কারও টা আবার পুড়িয়ে দেয়
৪) সেবায় কখনও অসুস্থকে বাঁচিয়ে তোলে, আবার সুস্থকে খড়গে খুন করে
৫) সময়ে যতটা মমতায় আগলে রাখে, পুরোলে তারচেয়ে বেশী তাড়ায়
৬) স্বার্থ থাকলে শ্রদ্ধা করে, পুরোলে লাথি মারে
৭) কখনও পথ থেকে তুলে নেয়, কখনও আবার ঘর ছাড়া করে
৮) আদর-মমতায় কাউকে পরিপূর্ণ করে তোলে, কারও জীবনকে অবলীলায় বীষময় করে তোলে
৯) ডান হাতে পেট পুরে আর বাম হাতে বিষ্ঠা সাফ করে
১০) আর নিজের বিবেচনায় নিজেকেই শ্রেষ্ঠের দাবিদার করে বসে
না; আমার বিবেচনায় প্রাণিজগতের শ্রেষ্ঠ মানুষ!!! এ কোনভাবেই বিবেচিত হচ্ছে না। শ্রেষ্ঠ‘রা বরাবরই শ্রেষ্ঠ হবে তাদের নিষ্ঠায়-কর্মে-গুণে। তারা মহিমাণ্বীত হবে ক্রমাণ্বয়ে। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার মানুষদের ঠিক কতজন আজ নিজেকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারছে?
সত্যি কি মানুষ দেখছি?
চারিদিকে কেবল মানুষগুলোকে খুঁজছি
চোখের সামনে কেবল মূর্তমানব স্বরুপে
বিবেকের দায়ে প্রশ্ন তুলি
সত্যি কি মানুষ দেখছি?
চোখের সামনে কেবল মূর্তমানব স্বরুপে
বিবেকের দায়ে প্রশ্ন তুলি
সত্যি কি মানুষ দেখছি?
সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬
চাওয়া পাওয়া
একদিন সবাই ভেবেছিল-
পৃথিবীটা বরং গর্দভদের শাসনে যাক
অতপরঃ গর্দভরা শাসনের আসন পেল
আসনে বসেই সমস্ত কৃতিস্তম্বকে বানিয়ে দিল মুক্ত টয়লেট
তারপর থেকে সমস্ত পৃথিবী ভরে উঠল উৎকট গন্ধ আর বীষময় বেদনায়...
পৃথিবীটা বরং গর্দভদের শাসনে যাক
অতপরঃ গর্দভরা শাসনের আসন পেল
আসনে বসেই সমস্ত কৃতিস্তম্বকে বানিয়ে দিল মুক্ত টয়লেট
তারপর থেকে সমস্ত পৃথিবী ভরে উঠল উৎকট গন্ধ আর বীষময় বেদনায়...
আমি সংশয়বাদী!!
আমি সংশয়বাদী!!
ধর্ম সত্য এ যুক্তি আজও যেমন কেউ আমার মননে গেঁথে দিতে পারে নি, তেমনি ধর্ম মিথ্যা এ সম্পর্কে যুক্তিগুলোও আমার কাছে অতটা শক্তিশালী মনে হয় না। তাই কেউ কোন বিষয়কে আমার কাছে সত্য বলে জোর যুক্তি দেখাতে পারলে আমি তাকে সত্য বলে স্বীকার করি আবার কোন সত্যকে মিথ্যা বা মিথ হিসেবে শক্ত অবস্থান তুলে ধরতে পারলে তাকেও আমি মানি।
আমার ধর্মের প্রতি যেমন প্রচন্ড বিশ্বাস আছে, তেমনি প্রচন্ড অবিশ্বাসও। পূর্বাপর মহাপুরুষদের মহানুভবতা এবং তাঁদের প্রতি আজও মানুষের শ্রদ্ধাবোধ দেখে আমি যেমন বিমোহিত হই। তেমনি ক্ষমতাশালীর ক্ষমতায় দীন-হীন মানুষের সারাজীবন শোষন, অবহেলা আর অবজ্ঞা আমাকে স্রষ্টার অপার মহিমার বিষয়ে সন্দিহান করে। আমি আমার ভ্রমযুক্ত পৃথিবীতেই কেবল পরিভ্রমন করি। সকল ধর্মের মহিমাণ্বীত হবার জায়গায় আমার যেমন দৃঢ বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ আছে, তেমনি ধর্মকে ব্যবহার করে হিংস্র ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠায় জন্য ঘৃণাবোধও প্রবল।
সহজ করে বলতে গেলে আমার মত সংশয়বাদীদের অবস্থান জাহান্নাম কিংবা নরক! তাই স্বর্গ বা বেহেস্তের সাধও আমার মনে আসে না আর তা মনে আনার চেষ্টাও আমি করি না। দুনিয়ার আলো নিবে গেলে পরপারে কার কি হবে? কে কোথায় যাবে? সত্য-মিথ্যায় কে কতটা এগিয়ে? মুখোশের আড়ালে কে কাকে আস্তাকুঁড়ে ঠেলে পয়দা লুটছে... এসব যেহেতু জানা সম্ভবপর নয় আর দুনিয়াতে নানান পণ্থায় সৎ আর ভালো থাকবার জায়গায় থেকে যখন বার-বার আহত আর প্রতারিত হই, তখন বেঁচে থাকার এই দুনিয়ায় যেটুকু সুস্থ-নির্মল শ্বাস নিতে পারি, এই কেবল আমার কামনা।
ধর্ম সত্য এ যুক্তি আজও যেমন কেউ আমার মননে গেঁথে দিতে পারে নি, তেমনি ধর্ম মিথ্যা এ সম্পর্কে যুক্তিগুলোও আমার কাছে অতটা শক্তিশালী মনে হয় না। তাই কেউ কোন বিষয়কে আমার কাছে সত্য বলে জোর যুক্তি দেখাতে পারলে আমি তাকে সত্য বলে স্বীকার করি আবার কোন সত্যকে মিথ্যা বা মিথ হিসেবে শক্ত অবস্থান তুলে ধরতে পারলে তাকেও আমি মানি।
আমার ধর্মের প্রতি যেমন প্রচন্ড বিশ্বাস আছে, তেমনি প্রচন্ড অবিশ্বাসও। পূর্বাপর মহাপুরুষদের মহানুভবতা এবং তাঁদের প্রতি আজও মানুষের শ্রদ্ধাবোধ দেখে আমি যেমন বিমোহিত হই। তেমনি ক্ষমতাশালীর ক্ষমতায় দীন-হীন মানুষের সারাজীবন শোষন, অবহেলা আর অবজ্ঞা আমাকে স্রষ্টার অপার মহিমার বিষয়ে সন্দিহান করে। আমি আমার ভ্রমযুক্ত পৃথিবীতেই কেবল পরিভ্রমন করি। সকল ধর্মের মহিমাণ্বীত হবার জায়গায় আমার যেমন দৃঢ বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ আছে, তেমনি ধর্মকে ব্যবহার করে হিংস্র ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠায় জন্য ঘৃণাবোধও প্রবল।
সহজ করে বলতে গেলে আমার মত সংশয়বাদীদের অবস্থান জাহান্নাম কিংবা নরক! তাই স্বর্গ বা বেহেস্তের সাধও আমার মনে আসে না আর তা মনে আনার চেষ্টাও আমি করি না। দুনিয়ার আলো নিবে গেলে পরপারে কার কি হবে? কে কোথায় যাবে? সত্য-মিথ্যায় কে কতটা এগিয়ে? মুখোশের আড়ালে কে কাকে আস্তাকুঁড়ে ঠেলে পয়দা লুটছে... এসব যেহেতু জানা সম্ভবপর নয় আর দুনিয়াতে নানান পণ্থায় সৎ আর ভালো থাকবার জায়গায় থেকে যখন বার-বার আহত আর প্রতারিত হই, তখন বেঁচে থাকার এই দুনিয়ায় যেটুকু সুস্থ-নির্মল শ্বাস নিতে পারি, এই কেবল আমার কামনা।
অগ্রগতি
“দেশকে ডাস্টবিনে রাখুন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন!”
সংখ্যালঘু
আমাদের পাশের গ্রাম বিনোদপুরের একটা প্রচারিত ঘটনা ছিল এমন-
প্রতিদিন গ্রামে কোন না কোন ঘরে কিংবা মাঠ-বাগানের ফল-ফসল চুরি হয়ে যাচ্ছিল, কোনভাবেই এই সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছিল না। এলাকার লোকজন জানত কার ইশারায় চুরি হচ্ছিল, কিন্তু উপযুক্ত প্রমান আর খর্বিত ক্ষমতার ধরুন প্রভাবশালী মদদ দাতাকে কেউ স্পর্শও করতে পারছিল না। তো নির্বাচন প্রাক্কালে সে মদদ দাতাও মেম্বার পদপ্রার্থী পদের জন্য দাঁড়ায়। এলাকার লোকজন মনে-মনে তার উপর চড়াও থাকায় সে বুঝতে পারে নির্বাচনে তার পরাজয় শতভাগ নিশ্চিত। তাই তিনি নির্বাচন প্রচারে এ‘কথা প্রচার করতে থাকেন যে, যদি তিনি নির্বাচিত হন, এলাকার লোকজন দরজা খুলে ঘুমোতে পারবে, কোন চুরি হবে না। যাই হোক- প্রতিদিন পাহারা দিতে থাকা অতিষ্ঠ লোকজন এর সমাধান চাইছিল খুব করে, তাই এই নিয়ে মুরুব্বিশ্রেনীর কয়েকজন বসল। বসে তারা সবাই দেখল মদদ দাতা মেম্বারের বিপরীতে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তিনি চুরির মদদ দাতা থেকে কিছুটা ভালো হলেও তাকে দিয়ে এই সমস্যা আদৌ সমাধান সম্ভব নয়। তাই সকলের সম্মতিক্রমে চুরির মদদ দাতাকে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং তিনি নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পরেরদিন থেকে এলাকায় সত্যিকারে চুরি বন্ধ হয় এবং এলাকার মানুষের স্বস্তি ফেলবার সুযোগ হয়।
উপরের গল্পটি এইদেশের সংখ্যালঘুদের জানার উদ্দেশ্যে দেয়া, এদেশে সংখ্যালঘুদের নিঃশেষ করার জন্য যারা উঠে-পড়ে লেগেছে, সংখ্যালঘু‘রা ভয়ে-আতঙ্গে তাদের কাছ থেকে দূরে সরে থাকবার চেষ্টা করছে। ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়ত তাদের ভাগ্যে নেমে আসছে নির্মম প্রহসন। একদিকে যারা তাদের নিঃশেষ করতে চাচ্ছে, তারা নির্বাচিত না হয়ে সংখ্যালঘুদের কারন হিসেবে দেখে ক্ষোভ-প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন করছে আর অন্যদিকে ডর-ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ সংখ্যালঘু‘রা বাঁচতে গিয়ে যাদের আকড়ে ধরতে চাইছে তারা স্বার্থ উদ্ধার শেষে নিজেদের আখের গুছাতে এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আহরণের আশায় নিজেদের ভাই-বন্ধু খুঁজে তোষামোদিতে সংযুক্ত হচ্ছে। যার খেসারত ১৯৪৭ থেকে ২০১৬ সংখ্যলঘুর সংখ্যা ৩০% থেকে নেমে ৮%।
পরিশেষ একটা কথা- আমার মেছের ছোটভাই শরীফ একদিন হেসে উঠে আমার বন্ধু মিথুনকে উদ্দেশ্য করে বলছে, মিথুন ভাই দাদা আপনাকে আর করিম ভাইকে যে পরিমান নির্যাতন করছে (প্রেক্ষিত- আমার স্বভাব বন্ধুদের অসম্ভব বিরক্ত করে নিজের এবং তাদের মন ভালো রাখার চেষ্টা করা) তাতে কে বলবে এদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়! দাদা (আমাকে উদ্দেশ্য করে), কানু দাদা (ছোটভাই কানু) আর আমার বন্ধু সুব্রত (ছোটভাই) তো প্রতিদিন সংখ্যলঘু নির্যাতনের খবর পায়। যাই হোক, শরিফের সে কথা শুনে মনে-মনে হাসলাম আর বললাম- ভাইয়া, দোষ করেছে একজন আর তার খেসারত দিয়েছে ৩০০টি পরিবার। না এরবেশি বলার ইচ্ছে নেই, শুধু একটা কথাই ভাবছি ৬৯ বছরে সংখ্যলঘুদের ১০০% এর প্রায় ৭০% শেষ আর বাকীটা শেষ হতে বছর হিসেবে সময় নেবে ২৫ বছর। তারপর কি হবে? কি হবে না হবে সেটা বরং আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের দিকেই চোখ রেখে আমরা দেখি। যদি এখনও সকলের মনে বদ্ধমূল ধারনা থাকে মুসলিম-মুসলিম ভাই-ভাই, তবে বলি- ক্ষমতার লোভ আর রক্তের নেশা এই দুই পেয়ে বসলে শেষ ধ্বংস পর্যন্ত সে কাউকে নিস্তার দেয় না, উত্তর প্রজন্ম সে পথেই দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)