বাড়িওয়ালাদের যদি ব্যাচেলরদের বাড়ী ভাড়া দেবার ইচ্ছে না হয়, তবে তারা কন্যার পিতা হয়ে ব্যাচেলরদের আত্মীয় কইরে নিবার পারে। এতে কারও থাকার ঘরও হয়, পাশে থাকার বউও হয়..
রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬
ব্যাচেলরদের বাড়ী ভাড়া
মানুষ আমি স্রেফ এক মানুষ
অতটা ভালো চাইনে হতে-
ভূল করে লোকে দেবতা বলে
অতটা নিচেও চাইনে নামতে
ভয়ে মরে লোক অতল জলে
মানুষ আমি স্রেফ এক মানুষ
সুখ-দুখ-আনন্দ-বেদনায়
মুখোশ পড়ি মুখোশ খুলি
অবোধ-বোধের মন্ত্রণায়...
ভূল করে লোকে দেবতা বলে
অতটা নিচেও চাইনে নামতে
ভয়ে মরে লোক অতল জলে
মানুষ আমি স্রেফ এক মানুষ
সুখ-দুখ-আনন্দ-বেদনায়
মুখোশ পড়ি মুখোশ খুলি
অবোধ-বোধের মন্ত্রণায়...
বাঙ্গালি থেকে গালি
অনেকে বলে থাকেন- গালিটাও নাকি একপ্রকার আর্ট, যে আর্ট মানুষ মনের অন্তঃগোছরে এঁকে রেখেছে সে আদিমকাল হতে। আমিও তাই মনে করি, জীবনের প্রতিটি আলোক বিচ্ছুরণের বিম্ব কিংবা প্রতিবিম্ব যখন চোখের কোণে ধরা দেয়, তখন সে মনের মাঝেও উজ্জ্বল পটরেখা এঁকে যায়।
আমি গাঁয়ের ছেলে। গাঁয়ে থাকাকালে আমাদের বেশীরভাগ সময়ই ঘুম আসত গালি-গালাজের শব্দে আবার ঘুমও ভাঙ্গত তা শুনেই। জীবনের সাথে এর এতটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক এমন ছিল যে, মাঝে-মাঝে মনে হত গালি না শুনলে প্রকৃতিও বোধহয় শূণ্যতা বোধ করত।
আমাদের জাতিসত্তা নিয়ে যদি বিস্তারিত ঘাঁটাঘাটি করা হয় তবে, আমাদের শিকড় থেকেই যে এর অন্তঃপ্রবাহধারা বর্তমান -তা সহজেই অনুমেয় হবে বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু প্রযুক্তির যুগে বসেও সে সব নিয়ে বিস্তর গবেষনা করবার মতো ধৈর্য্য না থাকায় অনুমানভিত্তিক জ্ঞাণকে সত্য বলে স্থাপন করবার যে সাহস দেখাচ্ছি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
কিন্তু হঠাৎ আজকে গালি নিয়ে লেখালেখির কৌতুহল জন্মাল কেন? আসলে মনের মর্জি-আর্জি দুইই বোঝা দায়! কখনও সে কাকে দাবড়াতে চায়, কখন সে নিজের দাবড়ে পালায়, এ বোঝা বেশ কষ্টসাধ্যই বটে। আজকে একটা বিষয় খেয়ালে নিতেই হঠাৎ মনে হল, গালি নিয়ে একটা ধারাবাহিক শুরু করলে কেমন হয়? এ নিয়ে কিছু অল্প-বিস্তর ভেবে দেখে পেলাম, আসলে ব্যাপারটা একেবারে মন্দ হবে না! যে হারে নিজের বিপরীত মানষিকতার মানুষের দিকে মানুষ ক্রোধের দৃষ্টি রেখে চৌদ্দগোষ্ঠীর শ্রাদ্ধ করছে, গোষ্ঠীর নামে নামে ফুল-তুলসির দিয়ে পিন্ডি চটকাচ্ছে, তাতে গালির ধরনগুলো শেখানোর মতো নিখাদ যুক্তির কার্য্যকারিতা আছে বই কি...
বর্তমানে উদিয়মান ক্ষমতাশালী দেশগুলো মধ্যে চীন, ভারত অন্যতম। তো আমরা বাঙ্গালিরা খুবই ভদ্র-শান্ত-সভ্য (নিজেদের মনে) হওয়ায়, আমরা ভাবি- যদি আমরা কোন দিন উদিয়মান শক্তি হইও, আমাদের মনের মধ্যে ভারতের মতো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ইচ্ছে বা অভিলাষ হবে না, কেননা আমরা তাদের তুলনায় অনেক ছোট দেশ এবং আমাদের লোকবল কম এবং আমরা আগায়-গোড়ায় সুগন্ধিমাখা ভালো মানুষী এবং ক্ষমতা হলেও দেশীয় ভূখন্ড কিংবা জনগোষ্ঠীর হিসেব-কিতেবে ইসরাইলের সাথে আমাদের দেশিও ইনছানদের তুলনা চলে না। কারণ তারা ইসরাইল, তারা ইহুদী-নাসারা, তারা ক্ষমতার জন্য হিংস্র দানব হয়ে রক্ত খায়।
তো ঠিক আছে, মুল কথায় আসি- যেহেতু আমাদের দেশের উপর ভারতীয়দের প্রভাব বেশী এবং ওরা আমাদের ক্ষমতার জোরে করায়ত্ত করে রাখতে চায়, তাই আজ আমরা ভারতীয় এবং এদেশে অবস্থানরত ভারতীয় দালালদের গালি-গালাজের কৌশল শিখব।
যেকোন গালি-গালাজ শুরুর পূর্বে যেমন কিছু কারণ থাকা চাই, তেমনি থাকা চাই কিছু উপকরণও। তাই ভারতের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করার জন্য যে কারণগুলো আছে সেগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেই।
১) ভারত আমাদের চারিদিকে স্থল ও জল দখল করে খাচ্ছে। (শ্রুতিপদঃ অধিকার আদায়ের ক্ষমতাহীন প্রত্যেকে অথর্ব বলে, এরা সবকিছু শুয়ে-বসে পেতে চেয়ে কাঁদে।)
২) ভারত অন্যায় ভাবে সীমানায় বাংলাদেশীদের খুন করছে। (তর্কিত প্রশ্নঃ খুন হবার সাধ বুকে জমিয়ে কারা অবৈধভাবে সীমানা পারাপার হতে চায়? আর কেন পারাপার হতে চায়?)
৩) আমাদের দেশের অসহায় গরু ব্যবসায়ীদের মেরে ফেলছে এবং গরু আনতে দিচ্ছে না। (প্রশ্নঃ গরু ব্যবসায়ীরা অকারণ সেখানে মরতে যাচ্ছে কেন? গরু কি এদেশে উৎপাদন সম্ভব নয়?)
৪) ভারত আমাদের সাথে টিপাই বাঁধ নিয়ে খেলছে, তিস্তা চূক্তি নিয়ে খেলছে। (উত্তরেঃ ভারত যখন টিপাই বাঁধ দিয়েছে, তিস্তা নিয়ে খেলছে, তখন আমরা তাদের সাথে শরীর ঘষাঘষি না করে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি না কেন? আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে অসমর্থ্য? তবে অসমর্থ্যে উর্দ্ধস্বর কি মানায়? আমরা না হয় যেদিন সামার্থ্য হবে সেদিন দেখাবার অপেক্ষায় থাকি)
৫) ভারত আমাদের দেশের সমাজ-রাজনীতি আর অর্থনীতি নিয়ে খেলছে। ( আশ্চার্য্যবোধক চিহ্নযুক্ত প্রশ্নঃ খেলার মাঠ আমার দেশের, লোক আমার দেশের, খেলবার দলও ঠিক হল দেশের মধ্যেকার লোকজন নিয়ে। তবে তারা খেলছে কিভাবে? যদি নিজের স্বাধীন ভূখন্ডে অন্যলোক এসে খেলে থাকে, তবে গলা ফাটিয়ে না বলে নিজের অক্ষমতার জন্য সকলের তো উচিত ছিল আত্মহত্যা করা।)
যা হোক- গালি দেবার মতো কারণ তো মিলল- এবার বন্ধুদের সাথে শুরু করুন গালাগালি।
ভারত রেন্ডিয়ার দেশ, শালারা নাপাক, ন...পো, মান্দ..., চু...পো, মা...রি, খা....পো, মা...পো, ন...জাত, বে..., দা... এভাবে চলতে থাকুক।
যেহেতু মেজাজ চাঙ্গা, তো বন্ধুদের গালির সাথে আরও যোগ করুন-
“রেন্ডিয়ার জাকির নায়েক খা.....পো, মওদুদি ন....পো, ভারতের মুসলমানদেরও..... করি, পিসটিভি লোকজনরে......, ডান্ডি রাষ্ট্রে দেওবন্দ রে.....” -আচ্ছা কোটেড লাইন শুরু করার পর বন্ধুরা কেউ-কেউ থেমে গেছে? কারও চোখমুখ লাল হয়ে যাচ্ছে? কারও রক্তচক্ষু আপনার দিকে তেড়ে আসছে? তবে রাগ সামলে থেমে গিয়ে সরে পড়ুন। কারণ গালি আপনি এখনও শিখে উঠতে পারেন নি, উল্টো-পাল্টা গালির জন্য আপনার কাঁধের উপরের ধড়টা হয়ত বন্ধুর রক্তচোখা রাগের উপর হারিয়ে বসতে পারেন।
পরিশেষঃ ভাইলোগ আমার উপ্রে রাগ লইয়েন না। সত্যি কতা কইতে কি- আপনেরা আসলে যে যুক্তিতে আড়ালে আবডালে গালি দিবার পয়তারা করেন, সে যুক্তিরই খাতিরে কয়েকটা কইলে কইছি ভায়ে আপনেরার সইবে না। আর কাঁধে একটু বিদ্যের ভার আছে বিধায় লজ্জায় মুখও খুলবার চাই না। কিন্তু এতে ভাইবে বইসেন না, কিচ্ছু কইবার পারি না, সত্যি কইছি ভাইলোগ- এখানে যে বিদ্যে আপনারা ফলিয়ে যাচ্ছেন তার কয়খান কইলেম পিচ্ছিবেলায়ই মুখস্ত হইয়ে গেছে।
আমি গাঁয়ের ছেলে। গাঁয়ে থাকাকালে আমাদের বেশীরভাগ সময়ই ঘুম আসত গালি-গালাজের শব্দে আবার ঘুমও ভাঙ্গত তা শুনেই। জীবনের সাথে এর এতটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক এমন ছিল যে, মাঝে-মাঝে মনে হত গালি না শুনলে প্রকৃতিও বোধহয় শূণ্যতা বোধ করত।
আমাদের জাতিসত্তা নিয়ে যদি বিস্তারিত ঘাঁটাঘাটি করা হয় তবে, আমাদের শিকড় থেকেই যে এর অন্তঃপ্রবাহধারা বর্তমান -তা সহজেই অনুমেয় হবে বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু প্রযুক্তির যুগে বসেও সে সব নিয়ে বিস্তর গবেষনা করবার মতো ধৈর্য্য না থাকায় অনুমানভিত্তিক জ্ঞাণকে সত্য বলে স্থাপন করবার যে সাহস দেখাচ্ছি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
কিন্তু হঠাৎ আজকে গালি নিয়ে লেখালেখির কৌতুহল জন্মাল কেন? আসলে মনের মর্জি-আর্জি দুইই বোঝা দায়! কখনও সে কাকে দাবড়াতে চায়, কখন সে নিজের দাবড়ে পালায়, এ বোঝা বেশ কষ্টসাধ্যই বটে। আজকে একটা বিষয় খেয়ালে নিতেই হঠাৎ মনে হল, গালি নিয়ে একটা ধারাবাহিক শুরু করলে কেমন হয়? এ নিয়ে কিছু অল্প-বিস্তর ভেবে দেখে পেলাম, আসলে ব্যাপারটা একেবারে মন্দ হবে না! যে হারে নিজের বিপরীত মানষিকতার মানুষের দিকে মানুষ ক্রোধের দৃষ্টি রেখে চৌদ্দগোষ্ঠীর শ্রাদ্ধ করছে, গোষ্ঠীর নামে নামে ফুল-তুলসির দিয়ে পিন্ডি চটকাচ্ছে, তাতে গালির ধরনগুলো শেখানোর মতো নিখাদ যুক্তির কার্য্যকারিতা আছে বই কি...
বর্তমানে উদিয়মান ক্ষমতাশালী দেশগুলো মধ্যে চীন, ভারত অন্যতম। তো আমরা বাঙ্গালিরা খুবই ভদ্র-শান্ত-সভ্য (নিজেদের মনে) হওয়ায়, আমরা ভাবি- যদি আমরা কোন দিন উদিয়মান শক্তি হইও, আমাদের মনের মধ্যে ভারতের মতো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ইচ্ছে বা অভিলাষ হবে না, কেননা আমরা তাদের তুলনায় অনেক ছোট দেশ এবং আমাদের লোকবল কম এবং আমরা আগায়-গোড়ায় সুগন্ধিমাখা ভালো মানুষী এবং ক্ষমতা হলেও দেশীয় ভূখন্ড কিংবা জনগোষ্ঠীর হিসেব-কিতেবে ইসরাইলের সাথে আমাদের দেশিও ইনছানদের তুলনা চলে না। কারণ তারা ইসরাইল, তারা ইহুদী-নাসারা, তারা ক্ষমতার জন্য হিংস্র দানব হয়ে রক্ত খায়।
তো ঠিক আছে, মুল কথায় আসি- যেহেতু আমাদের দেশের উপর ভারতীয়দের প্রভাব বেশী এবং ওরা আমাদের ক্ষমতার জোরে করায়ত্ত করে রাখতে চায়, তাই আজ আমরা ভারতীয় এবং এদেশে অবস্থানরত ভারতীয় দালালদের গালি-গালাজের কৌশল শিখব।
যেকোন গালি-গালাজ শুরুর পূর্বে যেমন কিছু কারণ থাকা চাই, তেমনি থাকা চাই কিছু উপকরণও। তাই ভারতের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করার জন্য যে কারণগুলো আছে সেগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেই।
১) ভারত আমাদের চারিদিকে স্থল ও জল দখল করে খাচ্ছে। (শ্রুতিপদঃ অধিকার আদায়ের ক্ষমতাহীন প্রত্যেকে অথর্ব বলে, এরা সবকিছু শুয়ে-বসে পেতে চেয়ে কাঁদে।)
২) ভারত অন্যায় ভাবে সীমানায় বাংলাদেশীদের খুন করছে। (তর্কিত প্রশ্নঃ খুন হবার সাধ বুকে জমিয়ে কারা অবৈধভাবে সীমানা পারাপার হতে চায়? আর কেন পারাপার হতে চায়?)
৩) আমাদের দেশের অসহায় গরু ব্যবসায়ীদের মেরে ফেলছে এবং গরু আনতে দিচ্ছে না। (প্রশ্নঃ গরু ব্যবসায়ীরা অকারণ সেখানে মরতে যাচ্ছে কেন? গরু কি এদেশে উৎপাদন সম্ভব নয়?)
৪) ভারত আমাদের সাথে টিপাই বাঁধ নিয়ে খেলছে, তিস্তা চূক্তি নিয়ে খেলছে। (উত্তরেঃ ভারত যখন টিপাই বাঁধ দিয়েছে, তিস্তা নিয়ে খেলছে, তখন আমরা তাদের সাথে শরীর ঘষাঘষি না করে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি না কেন? আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে অসমর্থ্য? তবে অসমর্থ্যে উর্দ্ধস্বর কি মানায়? আমরা না হয় যেদিন সামার্থ্য হবে সেদিন দেখাবার অপেক্ষায় থাকি)
৫) ভারত আমাদের দেশের সমাজ-রাজনীতি আর অর্থনীতি নিয়ে খেলছে। ( আশ্চার্য্যবোধক চিহ্নযুক্ত প্রশ্নঃ খেলার মাঠ আমার দেশের, লোক আমার দেশের, খেলবার দলও ঠিক হল দেশের মধ্যেকার লোকজন নিয়ে। তবে তারা খেলছে কিভাবে? যদি নিজের স্বাধীন ভূখন্ডে অন্যলোক এসে খেলে থাকে, তবে গলা ফাটিয়ে না বলে নিজের অক্ষমতার জন্য সকলের তো উচিত ছিল আত্মহত্যা করা।)
যা হোক- গালি দেবার মতো কারণ তো মিলল- এবার বন্ধুদের সাথে শুরু করুন গালাগালি।
ভারত রেন্ডিয়ার দেশ, শালারা নাপাক, ন...পো, মান্দ..., চু...পো, মা...রি, খা....পো, মা...পো, ন...জাত, বে..., দা... এভাবে চলতে থাকুক।
যেহেতু মেজাজ চাঙ্গা, তো বন্ধুদের গালির সাথে আরও যোগ করুন-
“রেন্ডিয়ার জাকির নায়েক খা.....পো, মওদুদি ন....পো, ভারতের মুসলমানদেরও..... করি, পিসটিভি লোকজনরে......, ডান্ডি রাষ্ট্রে দেওবন্দ রে.....” -আচ্ছা কোটেড লাইন শুরু করার পর বন্ধুরা কেউ-কেউ থেমে গেছে? কারও চোখমুখ লাল হয়ে যাচ্ছে? কারও রক্তচক্ষু আপনার দিকে তেড়ে আসছে? তবে রাগ সামলে থেমে গিয়ে সরে পড়ুন। কারণ গালি আপনি এখনও শিখে উঠতে পারেন নি, উল্টো-পাল্টা গালির জন্য আপনার কাঁধের উপরের ধড়টা হয়ত বন্ধুর রক্তচোখা রাগের উপর হারিয়ে বসতে পারেন।
পরিশেষঃ ভাইলোগ আমার উপ্রে রাগ লইয়েন না। সত্যি কতা কইতে কি- আপনেরা আসলে যে যুক্তিতে আড়ালে আবডালে গালি দিবার পয়তারা করেন, সে যুক্তিরই খাতিরে কয়েকটা কইলে কইছি ভায়ে আপনেরার সইবে না। আর কাঁধে একটু বিদ্যের ভার আছে বিধায় লজ্জায় মুখও খুলবার চাই না। কিন্তু এতে ভাইবে বইসেন না, কিচ্ছু কইবার পারি না, সত্যি কইছি ভাইলোগ- এখানে যে বিদ্যে আপনারা ফলিয়ে যাচ্ছেন তার কয়খান কইলেম পিচ্ছিবেলায়ই মুখস্ত হইয়ে গেছে।
এখনও কত নতুন আছি
জীবনের দেয়াল থেকে চুন খসে পড়ে বার-বার
শিরিসের কাগজে জিহ্ন প্রলেপ তুলে নতুন প্রলেপ দেই
চকচকে দেয়াল দেখিয়ে বলি-
দেখ এখনও কত নতুন আছি!!!
শিরিসের কাগজে জিহ্ন প্রলেপ তুলে নতুন প্রলেপ দেই
চকচকে দেয়াল দেখিয়ে বলি-
দেখ এখনও কত নতুন আছি!!!
বিটিভি দেখুন আর পজিটিভ ভাবনা ভাবতে শিখুন
ভিসেন্ট সাহেব, কার্নেগী সাহেব, জনাব শিব খেরাসহ প্রত্যেকটি লেখকের যুক্তি ছিল, সব-সময় পজিটিভ চিন্তার ব্যাপারে। পারলে জীবন থেকে “পাপ” “মিথ্যা” এবং “না” এই শব্দগুলো মুছে দিতে। “আমি পারছিনা” এই কথাটি এভাবে না বলে বলতে হবে- “আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু মনে হয় কোথাও ভূল হচ্ছে!”
এরপর থেকে আমি টুকিটাকি পজিটিভ চিন্তা-ধারার চেষ্টা করে চলছি। কিন্তু মিডিয়ার অগ্রাসনে আর বিজ্ঞানের অগ্রধারায়, চারদিকে ইচ্ছে না থাকলেও “পাপ” “মিথ্যা” কিংবা “না” এই শব্দগুলো থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভবপর হয়ে উঠছে না।
এজন্য... ঠিক এজন্যই... আমি সিদ্ধান্ত নেবার চেষ্টা করছি, সব মিডিয়া জগত বন্ধ করে দিয়ে শুধু বিটিভি‘র ভক্ত হয়ে যাব। সত্যি বলতে কি, জ্ঞাণ হবার পর থেকে এই একটা মিডিয়ার চ্যানেল পেয়েছি, যেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পজিটিভ খবর, উন্নয়ন আর উন্নয়ন সাথে দেশ শাসকদের শীনা উঁচু করে বলবার মতো চরিত্র!!!
তাই সকলে আসুন, বিটিভি দেখুন আর পজিটিভ ভাবনা ভাবতে শিখুন।
এরপর থেকে আমি টুকিটাকি পজিটিভ চিন্তা-ধারার চেষ্টা করে চলছি। কিন্তু মিডিয়ার অগ্রাসনে আর বিজ্ঞানের অগ্রধারায়, চারদিকে ইচ্ছে না থাকলেও “পাপ” “মিথ্যা” কিংবা “না” এই শব্দগুলো থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভবপর হয়ে উঠছে না।
এজন্য... ঠিক এজন্যই... আমি সিদ্ধান্ত নেবার চেষ্টা করছি, সব মিডিয়া জগত বন্ধ করে দিয়ে শুধু বিটিভি‘র ভক্ত হয়ে যাব। সত্যি বলতে কি, জ্ঞাণ হবার পর থেকে এই একটা মিডিয়ার চ্যানেল পেয়েছি, যেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পজিটিভ খবর, উন্নয়ন আর উন্নয়ন সাথে দেশ শাসকদের শীনা উঁচু করে বলবার মতো চরিত্র!!!
তাই সকলে আসুন, বিটিভি দেখুন আর পজিটিভ ভাবনা ভাবতে শিখুন।
যে নিজেকে নিয়েই কেবল ভাবতে শিখেছে
যে নিজেকে নিয়েই কেবল ভাবতে শিখেছে ( অথাৎ যার পৃথিবী কেবল নিজেকে ঘিরেই বর্তমান) তাকে নিয়ে কিংবা তার ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবতে গেলে অনেক বেশী খেসারত দিতে হয়। সাথে নিজের অর্জিত সম্মানও বিসর্জন দিতে হয়।
বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬
পুলিশ নিক পাকায়ে
আমাদের মতো গবীবের মেসে এসেও পুলিশ ধরনা দিয়ে যাচ্ছে কয়েকবার। বলি-
ওগো প্রিয়তমা-
তুমি থাক আড়ালে লুকিয়ে
আমায় পুলিশ নিক পাকায়ে...
ওগো প্রিয়তমা-
তুমি থাক আড়ালে লুকিয়ে
আমায় পুলিশ নিক পাকায়ে...
ভালোবেসে দেখেছ কি...
ছুঁতে চাইলে অহংকারী হিংসুটে গোলাপ
পাপড়ি ছড়িয়ে সুবাস ঢেলে উঠলে বলে
আমার মত এত কোমলরূপ পাবে নাকো...
মিথ্যে শুনতে আমার সে রাগ হয় বড়
বললেম আমি-
শুধু কি আরশিতে আপনায় রাখ?
আড়াল চোখে আমার প্রিয়ার
রাঙ্গা মুখখানী একটু দেখ!
সে দেখলে!
লজ্জায় লুকিয়ে নিলে সুবাস
গুটিয়ে নিলে পাপড়ি..
বললে আমায়-
কোথায় পেলে ষোড়শী অপরূপ কেশী?
বললেম আমি-
ভালোবেসে দেখেছ কি রূপের আরশিতে চাঁদনির হাসি?
পাপড়ি ছড়িয়ে সুবাস ঢেলে উঠলে বলে
আমার মত এত কোমলরূপ পাবে নাকো...
মিথ্যে শুনতে আমার সে রাগ হয় বড়
বললেম আমি-
শুধু কি আরশিতে আপনায় রাখ?
আড়াল চোখে আমার প্রিয়ার
রাঙ্গা মুখখানী একটু দেখ!
সে দেখলে!
লজ্জায় লুকিয়ে নিলে সুবাস
গুটিয়ে নিলে পাপড়ি..
বললে আমায়-
কোথায় পেলে ষোড়শী অপরূপ কেশী?
বললেম আমি-
ভালোবেসে দেখেছ কি রূপের আরশিতে চাঁদনির হাসি?
ভয় ও বোধ
তাদের কাছে অস্ত্র আছে, প্রশিক্ষন আছে, সর্বসাধারনের প্রতি ঘৃণা (কারন- তারা সাধারন মানুষকে মারছে) আছে, ধর্ম রক্ষার নৈতিক দায়িত্বের (যদিও কর্র্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ) তাগিদ (যদিও মুখোশধারী হিংস্র জানোয়ার) আছে, বেহেস্তের বাসনা আছে,৭২ হুরের লোভ আছে আর আত্মহত্যার প্রবণতা আছে- তবে এমন কাউকে যেকোন পরিস্থিতিতে মোকাবেলার সুযোগ কোথায়?
প্রার্থনার ধরন
গতকাল একজন বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতার একটা কৌতুক পড়েছিলাম, যা অনেকটা এরকম-
“ছোটবেলায় আমার একটা সাইকেল পাবার তীব্র আকাঙ্খা ছিল, তাই আমি ঈশ্বরের নিকট প্রতিদিন একটা সাইকেল পাবার আশায় প্রার্থনা করতাম। দীর্ঘদিন প্রার্থনায় ঈশ্বরের সাড়া না পেয়ে, আমি একটা সাইকেল চুরি করে এনে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা শুরু করলাম।”
কৌতুকটি পড়ার পর আমি বেশ ভাবলাম এবং দেখলাম আমাদের জীবনবোধের সাথে এই কৌতুকটির প্রভাব বিস্তর। আমাদের দেশের আপামর মানুষের দিকে তাকালে আপনার সহজে চোখে পড়বে- এদেশের একশ্রেণী যারা স্রষ্টার অনুগ্রহ পাবার আশায় তাঁর দরবারে ক্লান্তিহীন ফরিয়াদ জানিয়ে- অভুক্ত পড়ে পড়ে মরছে। আর অপরশ্রেণী যারা বৈধ-অবৈধ দু‘হাতে নিজের চাহিদার অতিরিক্ত টাকা কামিয়ে ভালো মানুষির পোশাক পড়ে মানুষকে দান-সদকা করে নাম ফুটাচ্ছে আর গলা ফাটিয়ে স্রষ্টার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে।
[মনে রাখুনঃ
১) যার নেই তার ফরিয়াদ পাবার। আর যার ক্ষমার ফরিয়াদ সে মুখোশধারী, ভন্ডরুপ আগলে সে সাধু হতে চায়।
২) পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো সাক্ষ্য দেয়- দুনিয়া ভোগ আর মোহবাসনায় আবদ্ধ, তাই সাধারন মানুষ বিষয়াসক্ত নয়- এ কথাটি সম্পূর্ণ অবান্তর। সত্য এই- মানুষের কোন না কোন বিষয়-বৈভবে আসক্তি থাকেই। অতএব- সর্বসহায়ের কাছে মানুষের প্রার্থনার মূল প্রার্থনা‘ই বাসনার, ক্ষমার নয়।]
“ছোটবেলায় আমার একটা সাইকেল পাবার তীব্র আকাঙ্খা ছিল, তাই আমি ঈশ্বরের নিকট প্রতিদিন একটা সাইকেল পাবার আশায় প্রার্থনা করতাম। দীর্ঘদিন প্রার্থনায় ঈশ্বরের সাড়া না পেয়ে, আমি একটা সাইকেল চুরি করে এনে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা শুরু করলাম।”
কৌতুকটি পড়ার পর আমি বেশ ভাবলাম এবং দেখলাম আমাদের জীবনবোধের সাথে এই কৌতুকটির প্রভাব বিস্তর। আমাদের দেশের আপামর মানুষের দিকে তাকালে আপনার সহজে চোখে পড়বে- এদেশের একশ্রেণী যারা স্রষ্টার অনুগ্রহ পাবার আশায় তাঁর দরবারে ক্লান্তিহীন ফরিয়াদ জানিয়ে- অভুক্ত পড়ে পড়ে মরছে। আর অপরশ্রেণী যারা বৈধ-অবৈধ দু‘হাতে নিজের চাহিদার অতিরিক্ত টাকা কামিয়ে ভালো মানুষির পোশাক পড়ে মানুষকে দান-সদকা করে নাম ফুটাচ্ছে আর গলা ফাটিয়ে স্রষ্টার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে।
[মনে রাখুনঃ
১) যার নেই তার ফরিয়াদ পাবার। আর যার ক্ষমার ফরিয়াদ সে মুখোশধারী, ভন্ডরুপ আগলে সে সাধু হতে চায়।
২) পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো সাক্ষ্য দেয়- দুনিয়া ভোগ আর মোহবাসনায় আবদ্ধ, তাই সাধারন মানুষ বিষয়াসক্ত নয়- এ কথাটি সম্পূর্ণ অবান্তর। সত্য এই- মানুষের কোন না কোন বিষয়-বৈভবে আসক্তি থাকেই। অতএব- সর্বসহায়ের কাছে মানুষের প্রার্থনার মূল প্রার্থনা‘ই বাসনার, ক্ষমার নয়।]
সভ্য!!!
সভ্যরা অস্ত্র বানিয়ে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে মশা-মাছি, কীট-পতঙ্গ ধ্বংস আর পশু-পাখি শিকার করে জীবন-ধারনের মহৎ উদ্দেশ্যে। আর তারা অসভ্য-বর্বর মানুষদেরও শিকার করে চলছে সভ্যদের সাথে গলায়-গলায়, বাহুয়ে-বাহুয়ে জড়িয়ে চলতে!!!
প্রবাসী বাঙ্গালির গল্প
মেদু মিয়া প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরলে বাড়িতে আনন্দের জোয়ার উঠে। কৌতুহলী ময়-মুরুব্বি‘রা ঘিরে ধরে তার প্রবাস জীবনের গল্প শুনতে- আর মেদু মিয়াও আগ্রহ নিয়ে গল্প শুরু করে-
আরে ভাই বলবেন না, সে দেশ আর আমাদের দেশ? সবকিছুতে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।আমাদের এখানে তো কেবল খুনোখুনি-ঝড়গা-ফ্যাসাদ আর তারা যারা-যার মতো করে সে চলছে, কেউ কারও দিকে তাকাবার পর্যন্ত সময় নেই। সবচেয়ে আশ্চর্য্য কি- আমাদের দেশের মানুষের শরীরে মলে কি বাজে দূর্গন্ধ, কিন্তু কি কমু ভাই বিদেশে তারা যেমন ভালো-ভালো সুগন্ধি গায়ে মাখে তেমনি সুগন্ধিযুক্ত খাবার খায় আর তাদের মলগুলোও বেশ সুগন্ধযুক্ত। আর সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার কি- তাদের মল পড়ার সাথে-সাথেই মাটি হয়ে যায়। আর মাটিও বেলে মাটির মত চকচকে দেখায়। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা হলে তো এই মাটি দিয়েই ভাত-তরকারী খেলত। আমারও মাঝে-মাঝে ছোটবেলাকার ভাত-তরকারী খেলার কথা মনে পড়ত, তখন আমি বালতিতে করে টাংকিতে জমে যাওয়া বেলে মাটি দূরে সরিয়ে টাংকি খালির কাজ করতাম।
[বি. দ্রঃ- এই স্যাটোয়ারটি যারা ইংল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা, রাশিয়া, সৌদিআরব কিংবা দুবাইয়ের মতো দেশগুলো নিয়ে খুশিতে ফেটে পড়ে তাদের উদ্দেশ্যে লেখা। ভাইলোগ তারা নিজের দেশে কিংবা দেশের মানুষের সাথে যত ভালো ব্যবহারই করুন না কেন, কিংবা যত ভালো মানুষির পরিচয় তুলে নিজেদের সভ্য প্রচারের চেষ্টা করুক না কেন, জানুন বিশ্বব্যাপী সাধারন মানুষের জীবন-যাপন দিনকে-দিন কঠিন হয়ে পড়ছে তাদের বহমান কূট-কলাকৌশলের কারণেই। তাদের ভালো মানুষিরুপটা সত্যিকারের হলে- দুনিয়াব্যাপী খড়গ হাতে কারোই হয়ত রক্ত নেশায় ছুটতে হত না।]
প্রসঙ্গঃ জীবনবোধ ও বাস্তবতা
মিডেলইষ্টে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া প্রবাসীর বেশীরভাগ খুবই কষ্টসাধ্য দিনযাপন করেন। যেখানে দেশে ২৭-২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা সহ্য করা কঠিন, সেখানে অনেকে ৪০ ডিগ্রীর উপরের তাপমাত্রা সহ্য করে ভেড়া-উট চারণ, খেঁজুর গাছ কাটা, খেঁজুর সংগ্রহ করা, মেথর-মুচির কাজ, রাজমিস্ত্রির কাজ, দোকানের সাধারন শ্রমিকের কাজ, তেলের খনিতে কিংবা দিনমজুর হিসেবে কাজ করে পরিবার পরিজনের জন্য অর্থের সংস্থান করে থাকেন। অনেকে সেখানে দূর্গম পাহাড়ের গায়ে বির্স্তৃন জনাকীর্ণ স্থানে খাবার-দাবারের নানাবিধ সমস্যা বয়েও টিকে থাকবার চেষ্টা করেন। নিজ দেশ ছেড়ে, পরিবার-পরিজন সব ছেড়ে সেখানে একা-একা যুদ্ধ করা কিংবা দুই-একটা পরিচিতমুখ সামনে রেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে জীবনের প্রাণবন্ত মুহূর্তগুলো শেষ করে শেষ জীবনে এসে পরিবার-সন্তান সন্ততি নিয়ে একটু সুখের মুহূর্ত উপহার পাওয়া- এটাই বেশীরভাগের তাগিদ থাকে। কাজের মাধ্যমে মিডেলইষ্ট প্রবাসীরা সাথে সংযুক্ত থাকায় আমার জানা আছে- ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যারা কাজ করতে যায়, তারা মাসিক যে বেতনে চাকুরী করে তাতে ৮-১০ বছর চাকুরীর সুবাদে জমানো অর্থের পরিমান এ দেশে অবস্থানরত ১০-১৫ টাকা বেতনের চাকুরীজীবীদের থেকে সামান্যই বেশী। তাই বলতে গেলে বলা চলে- প্রতিনিয়ত বিরুপ পরিবেশে টিকে থাকায় তাদের জীবনবোধ অনুভব করার তাগিদ কিংবা সুযোগ দেশে বসবাসরত অন্যদের থেকে কয়েকগুন বেশী হবার কথা।
কিন্তু বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আমরা কি দেখতে পাই?
দেখতে পাই- জীবন সম্পর্কে যাদের বোধশক্তি বেশী জন্মাবার কথা, তাদের বেশীরভাগই এদেশে এসে জমিদার বনে যায়। দেশে ফিরে তারা নিজের হাত-মুখ ধোয়ার জন্যও কারও হাতে থাকা পানির পাত্র খোঁজে। যা সত্যিকার অর্থেই দুঃখজনক। আর সবচেয়ে বেশী দুঃখজনক, ফিরে এসে যখন সেখানে যাদের হাতে অত্যাচারিত হয় তাদের গল্পই গর্ব করে বলে বেড়ায়। অথচ এদেশে ফিরে মানুষকে জীবনমুখি শিক্ষায় উৎসাহিত করার তাদের কত না সুযোগ ছিল। দেশের কাজে হাত লাগিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবার তাদের কত না সুযোগ বর্তমান। অথচ তারা প্রবাসে অন্যের মল তুলতে ঘৃণা বোধ না করলেও নিজ দেশের নাঙ্গল কাঁদে নিতে তাদের আজন্মের দ্বীধা!
[বি. দ্রঃ মিডেলইষ্টে কাজ করে অনেক টাকার মালিক বনে যারা এদেশে ফেরে, মনে রাখবেন তারা বেশীরভাগই ঐদেশে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে ফিরেছে অথবা কারও মাথায় আঘাত করে কাউকে নিঃস্ব করে ফিরেছে। সৎভাবে উপার্জন করে ১০০-তে কেবল ২-৫ জনেরই ভাগ্য প্রসন্ন হবার সুযোগ বর্তমান।]
কিন্তু বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আমরা কি দেখতে পাই?
দেখতে পাই- জীবন সম্পর্কে যাদের বোধশক্তি বেশী জন্মাবার কথা, তাদের বেশীরভাগই এদেশে এসে জমিদার বনে যায়। দেশে ফিরে তারা নিজের হাত-মুখ ধোয়ার জন্যও কারও হাতে থাকা পানির পাত্র খোঁজে। যা সত্যিকার অর্থেই দুঃখজনক। আর সবচেয়ে বেশী দুঃখজনক, ফিরে এসে যখন সেখানে যাদের হাতে অত্যাচারিত হয় তাদের গল্পই গর্ব করে বলে বেড়ায়। অথচ এদেশে ফিরে মানুষকে জীবনমুখি শিক্ষায় উৎসাহিত করার তাদের কত না সুযোগ ছিল। দেশের কাজে হাত লাগিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবার তাদের কত না সুযোগ বর্তমান। অথচ তারা প্রবাসে অন্যের মল তুলতে ঘৃণা বোধ না করলেও নিজ দেশের নাঙ্গল কাঁদে নিতে তাদের আজন্মের দ্বীধা!
[বি. দ্রঃ মিডেলইষ্টে কাজ করে অনেক টাকার মালিক বনে যারা এদেশে ফেরে, মনে রাখবেন তারা বেশীরভাগই ঐদেশে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে ফিরেছে অথবা কারও মাথায় আঘাত করে কাউকে নিঃস্ব করে ফিরেছে। সৎভাবে উপার্জন করে ১০০-তে কেবল ২-৫ জনেরই ভাগ্য প্রসন্ন হবার সুযোগ বর্তমান।]
সময়ের অভ্যর্থনা
যৌথপরিবারে কেটেছে পুরোটা শৈশবকাল। একত্রে পরিবারের ১৫-২০ জন মানুষের সাথে মানষিকতা ভাগাভাগি কিংবা বসবাস করতে গিয়ে দেখেছি প্রত্যেকটি স্বাধীনতা মুখাপেক্ষি জীবনগুলোকে। স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা ভাগাভাগিতে তখন কত কত প্রতিযোগিতা! সময়ের সাথে জীবনের আয়োজন, খাদ্যের প্রয়োজন কিংবা বন্টণে কত বৈসাদৃশ্য-বৈচিত্র্যতা! দেখেছি স্বার্থের প্রয়োজনে অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার সে কি দারুন নিকৃষ্ট মানষিকতা। পরিবারের ক্ষমতাধর ব্যক্তির নিকট ভালো মানুষিরুপে প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে অন্যকে অগ্রহণযোগ্য করে তোলার কত সব নির্মম প্ররোচনা। অন্যের দূর্বলতার সুযোগে উচ্চস্বর বিলাপে কারও মাথা নত করে দেবার কত শত প্রতারিত ভাবনা। কত সহজে সময়কে না বলে কারও চোখে ঢল অথবা কারও চোখে চকচকে ছল্। দেখেছি কখনও অমানুষিক অন্যায় নির্যাতন, কখনও আবার চোখের সামনে দিয়ে রক্তের ঢলে ভেজাঘাস কিংবা অসহায় বেলায় কীতপতঙ্গের পীড়ন। আর সময়কে বাসনা করে উপোস কাটিয়ে দেয়া জীবনের কিছু নির্মম দিনলিপি।
সময়ের সাথে-সাথে জীবনের অনেক গল্প বদলে যায়, বদলেছেও। অনেক বছর আগেই যৌথপরিবার ভেঙ্গে একক স্বতন্ত্ররূপ পেয়েছে। স্বতন্ত্র পরিবারগুলো নিজেদের ঘিরে জমানো স্বপ্নে বর্ণিল হয়েছে। কিন্তু কিছু মানাষিকতা কিংবা রক্তধারা এখনও উত্তরাত্তরে বয়ে যাচ্ছে। সমতা বজায় রেখে বাঁচার তাগিদে যতটা সাধ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছি কিন্তু ব্যর্থতায় মাঝে-মাঝে অসহায় আর অবাক লাগে। তবে সবচেয়ে বেশী অবাক লাগে যখন দেখী ছোট-ছোট ভাইবোন যারা আমাদের মতো এমন শৈশব পায় নি অথচ আমাদের বদ্যৌলতে তারা পূর্বপ্রজন্মের মতো দক্ষ অভিনয়ের কৌশল আয়ত্ব করে ফেলেছে আর ভাব দেখাচ্ছে সে বুঝতে অক্ষম!!
সময়ের সাথে-সাথে জীবনের অনেক গল্প বদলে যায়, বদলেছেও। অনেক বছর আগেই যৌথপরিবার ভেঙ্গে একক স্বতন্ত্ররূপ পেয়েছে। স্বতন্ত্র পরিবারগুলো নিজেদের ঘিরে জমানো স্বপ্নে বর্ণিল হয়েছে। কিন্তু কিছু মানাষিকতা কিংবা রক্তধারা এখনও উত্তরাত্তরে বয়ে যাচ্ছে। সমতা বজায় রেখে বাঁচার তাগিদে যতটা সাধ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছি কিন্তু ব্যর্থতায় মাঝে-মাঝে অসহায় আর অবাক লাগে। তবে সবচেয়ে বেশী অবাক লাগে যখন দেখী ছোট-ছোট ভাইবোন যারা আমাদের মতো এমন শৈশব পায় নি অথচ আমাদের বদ্যৌলতে তারা পূর্বপ্রজন্মের মতো দক্ষ অভিনয়ের কৌশল আয়ত্ব করে ফেলেছে আর ভাব দেখাচ্ছে সে বুঝতে অক্ষম!!
লেবেলসমূহ:
অবিবেচকের দিনলিপি,
ক্ষোভ
সন্তুষ্টি কি সম্পূর্ণতা আর সম্পূর্ণতাই কি সার্থকতা?
সন্তুষ্টি কি সম্পূর্ণতা আর সম্পূর্ণতাই কি সার্থকতা?
যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়- আপনি নিজেকে নিয়ে কি সন্তুষ্ট? সন্তুষ্ট কি আপনার পরিবারবর্গ নিয়ে? অথবা প্রতিবেশী-সমাজ-দেশমাতৃকা কিংবা ভূ-গোলার্ধ ভাবনায়?
আসল সত্য- কামনার বেড়াজালে জড়িয়ে থাকা মন হাজারো প্রচেষ্টাতেও সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম নয়। তাই ব্যক্তি সন্তুষ্টি কিংবা স্বার্থকতার আশায় ছুটে চলা পথটা বেশীরভাগ সময়ই বিপথগামীর কিংবা অবৈধ। আর স্বার্থকতার নেশায় ধাবিত লোকজনের বর্তমান চিত্রটাই সবচেয়ে বেশী চোখে পড়বার মতো।
জীবনটাকে উপভোগ করতে গেলে নিজের মনকে নিজের বিবেকলব্ধ সৎ চেতনায় বাঁধতে হয়, নিজের অবস্থান নিয়ে সর্বোচ্চ সুখী হবার চেষ্টা থাকতে হয়, তা না হলে সম্পূর্ণতা কিংবা সার্থকতার নেশায় ঘরে-ঘরে উন্মাদ জঙ্গিতে ভরে উঠবে। অথবা অসভ্য-মাতাল নষ্টদের পদচারণায় পৃথিবী ভরে যাবে। যা থেকে সত্যিকারে নিস্তারের কোন পথ নেই। তাই ভালো মানুষিকতায় সৎ চেতনা জাগ্রতকল্পে এখনই সবার সজাগ হওয়া জরুরী।
যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়- আপনি নিজেকে নিয়ে কি সন্তুষ্ট? সন্তুষ্ট কি আপনার পরিবারবর্গ নিয়ে? অথবা প্রতিবেশী-সমাজ-দেশমাতৃকা কিংবা ভূ-গোলার্ধ ভাবনায়?
আসল সত্য- কামনার বেড়াজালে জড়িয়ে থাকা মন হাজারো প্রচেষ্টাতেও সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম নয়। তাই ব্যক্তি সন্তুষ্টি কিংবা স্বার্থকতার আশায় ছুটে চলা পথটা বেশীরভাগ সময়ই বিপথগামীর কিংবা অবৈধ। আর স্বার্থকতার নেশায় ধাবিত লোকজনের বর্তমান চিত্রটাই সবচেয়ে বেশী চোখে পড়বার মতো।
জীবনটাকে উপভোগ করতে গেলে নিজের মনকে নিজের বিবেকলব্ধ সৎ চেতনায় বাঁধতে হয়, নিজের অবস্থান নিয়ে সর্বোচ্চ সুখী হবার চেষ্টা থাকতে হয়, তা না হলে সম্পূর্ণতা কিংবা সার্থকতার নেশায় ঘরে-ঘরে উন্মাদ জঙ্গিতে ভরে উঠবে। অথবা অসভ্য-মাতাল নষ্টদের পদচারণায় পৃথিবী ভরে যাবে। যা থেকে সত্যিকারে নিস্তারের কোন পথ নেই। তাই ভালো মানুষিকতায় সৎ চেতনা জাগ্রতকল্পে এখনই সবার সজাগ হওয়া জরুরী।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)