বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০১৫

নিঃচিহ্ন হয়ে গেছি বলতে আর বাঁধে কোথায়...

আমাদের দেশ, অঞ্চল তথা সমাজের কোন দৃশ্যপট‘টা এ মুহূর্তে পরিবর্তন সবচেয়ে বেশী জরুরী, যাতে আমরা অন্তর পক্ষাঘাতটাকে ঠেকাতে পারি? আমরা নিঃশ্চিত করতে পারি জীবনের গরিমাকে, আমরা আবদ্ধ হতে পারি সুস্থ মানষিকতায়, আমাদের চিন্তার স্থানটা হতে পারে সর্বোত্তম বিকশিত। সবমিলিয়ে আমরা আমাদের পঁচে যাওয়া অন্তরটাতে ধীরে-ধীরে সুস্থ করে তুলতে পারি?

পথে হেঁটে যেতে-যেতে প্রতিদিন দেখি মানুষের কর্মযজ্ঞ-কৌলাহল। দেখী পরিবার, পরিজন, আত্মীয়-স্বজনদের কর্মকান্ড। মাঝে-মাঝে নিজেকে ভেবেও অবাক হয়ে পড়ি!


কি মানষিকতা নিয়ে আমরা গড়ে উঠছি প্রতিনিয়ত?
আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের কাছ থেকে কি নিয়েছি?
আমরা আমাদের উত্তরসূরীদের কি দিচ্ছি?
তারা তাদের উত্তরাত্তরসূরীকে কি দেবে?


মিথ্যা-অপঘাত-প্রবঞ্চনার যে শক্তবিত গড়ে চলছে প্রতিনিয়ত, এ পঁচা বীষ দূর্গন্ধে এমনিতেই সব উজাড় হয়ে পড়বে।
আজ শিক্ষালয়ে লক্ষ মেধাবীর তকমা। চাকুরীর বাজারে সে তকমাধারীদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ক্ষমতার জোরে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি। দারিদ্র-অনাদর-হাহাকার, প্রতিনিয়ত বীষিয়ে উঠা জীবনের সত্যিকার অর্থে আশ্রয় কোথায় মিলবে? জীবনকে জীবনের চোখে দেখবে তার বস্তুত বিন্যাস কোথায়?


যদি জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি হাতরায়ে পথ উতরে যাবার জন্য মনটাকে স্থির করে রাখতে হয়, তবে নিঃচিহ্ন হয়ে গেছি বলতে আর বাঁধে কোথায়?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন